গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি? কি শেখানো হয়? 

Salim Mahamud

Updated on:

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি? কি শেখানো হয়? 

আপনি নিশ্চই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর সম্পর্কে শুনেছেন। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজের চাহিদা শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। কেননা, ভিজুয়াল যেকোনো কাজ সহজে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় হয়, সেটা হোক লেখা, আঁকা, কিংবা অন্য কোনো মাধ্যম। 

Online Taka Income নামক ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বিষয়ক টিউটরিয়ালের প্রথম ও ২য় পর্বে জানানো হয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইং কি সে সম্পর্কে পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করার সেরা ওয়েবসাইট সম্পর্কে। এবং এই পর্যায়ে জানাবো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি সে বিষয়ে। কেননা এটা নিজে থেকেই বিশাল এক সমাহার যেখানে রয়েছে অনেক ধরনের কাজ। 

কোনো একটি স্পেসিফিক বিষয়ে এক্সপার্ট হতে সে বিষয়ে আগে জানতে হবে সঠিক ভাবে। আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং নিয়ে এগোতে চান সেক্ষেত্রে এর আওতাভুক্ত কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং যেকোনো নিদিষ্ট কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি সে সম্পর্কে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? 

সে বিষয়ে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যার জন্য একটি পৃথক আর্টিকেল দেয়া হয়েছে, আপনি এখানে ক্লিক করে গ্লাফিক্স ডিজাইং বিষয়ক বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে ব্যাসিক ভাবে যেটা বলা যায় পরবরতী বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য তা হলো: 

গ্রাফিক্স ( গ্রীকঃ γραφικός গ্রাফিকস্‌ , যাকে বলা হয় “অঙ্কন বিষয়ক জ্ঞান”) হল এমনি একটি সদৃশ মাধ্যম যার দ্বারা কোন পৃষ্ঠের উপর (যেমন, একটি ওয়ালের উপর, একটি ক্যানভাসের উপর, একটি পর্দার উপর কিংবা একটি কাগজের উপর) কিছু ছবি বা নকশা আঁকাকে বুঝায়। [তথ্যসূত্র: Wikipedia

মোট কথা হলো কোনো তথ্যকে ভিজুয়াল ভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে অক্ষর, চিহ্ন, এমিনেশন, চিত্র ব্যবহার করে যে নান্দনিক look নিয়ে আসার কাজ সেটাই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। এবার চলুন শিখে নেই গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি শেখানো হয়। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি শেখানো হয়? 

খুবই গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটি, কেননা আপনি যখন গ্রাফিক্স ডিজাইন করার ইচ্ছা প্রসণ করবেন তখন আপনার অবশ্যই জানতে হবে এখানে আপনি কোন কোন বিষয়ে শিখবেন। তাই, নিম্মে কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হলো যা সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনে শেখানো হয়। 

১) গ্রাফিক্স ডিজাইনের মূলনীতি ও সূত্রাবলী: গ্রাফিক্স ডিজাইনের মূলনীতিগুলি হলো রঙ, রেখা, আকার, ভারসাম্য, গতিশীলতা, সংগতি, জোর ও গুরুত্ব, এবং স্পেস। এই নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তাদের কাজ তৈরি করে থাকেন।

২) গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার: গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। এই সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করে ডিজাইনাররা তাদের ধারণাগুলি বাস্তবায়ন করে থাকেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনে সাধারণত যেসব সফটওয়্যার শেখানো হয় সেগুলি হলো Adobe Photoshop, Illustrator, InDesign, এবং After Effects।

৩) গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন শাখা: গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র। এর মধ্যে রয়েছে প্রোডাক্ট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, টাইপোগ্রাফি, ওয়েব ডিজাইন, মোবাইল ডিজাইন, ইন্টারেক্টিভ ডিজাইন, ইমেল মার্কেটিং, এবং ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন। গ্রাফিক্স ডিজাইনে এই বিভিন্ন শাখার উপর ভিত্তি করে কাজ করা হয়।

৪) গ্রাফিক্স ডিজাইনের পেশাগত দিক: গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা। এছাড়াও, গ্রাফিক্স ডিজাইনের পেশাগত ক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোর্স ও প্রশিক্ষণ রয়েছে। এই কোর্সগুলি অনলাইনে ও অফলাইনে উভয়ভাবেই পাওয়া যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্সগুলি সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের হয়।

এবার আসুন দেখে নেই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি 

লোগো ডিজাইন 

লোগো ডিজাইন প্রফেশনটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির জন্য একটি দৃশ্যত চিহ্ন তৈরি করার শিল্প। একটি লোগো সাধারণত একটি প্রতীক, ব্র্যান্ডমার্ক বা চিত্র নিয়ে গঠিত যা কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করে বা প্রতীকী করে। একটি লোগো আলাদা হওয়া উচিত এবং সহজেই স্বীকৃত হওয়া উচিত।

গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র যা বিভিন্ন ধরণের দৃশ্যমান উপাদান তৈরির সাথে জড়িত, যেমন লোগো, ওয়েবসাইট, পোস্টার, বিজ্ঞাপন, এবং আরও অনেক কিছু। লোগো ডিজাইন হল গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি বিশেষ শাখা যা লোগো তৈরির সাথে জড়িত।

লোগো ডিজাইন প্রফেশনটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি ভাল লোগো একটি ব্র্যান্ডের জন্য অপরিহার্য। এটি একটি ব্র্যান্ডের ব্যক্তিত্ব এবং মূল্যবোধকে মূর্ত করে তুলতে সাহায্য করে। এটি গ্রাহকদের মধ্যে ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং বিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য লোগো ডিজাইন একটি আকর্ষণীয় এবং ফলপ্রসূ ক্যারিয়ার হতে পারে। লোগো ডিজাইনাররা বিভিন্ন ধরণের শিল্প ও ব্যবসার জন্য লোগো তৈরি করেন। তারা কর্পোরেট লোগো, ব্যক্তিগত লোগো, এবং সাংস্কৃতিক লোগো সহ বিভিন্ন ধরনের লোগো তৈরি করতে পারেন।

লোগো ডিজাইন প্রফেশনটি বিভিন্ন দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। লোগো ডিজাইনারদের অবশ্যই সৃজনশীল, কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। তারা অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যারের সাথে দক্ষ হতে হবে।

প্রোডাক্ট ডিজাইন 

প্রোডাক্ট ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনও পণ্যের ধারণা থেকে শুরু করে এর উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সমস্ত দিক ডিজাইন করা হয়। প্রোডাক্ট ডিজাইনাররা পণ্যের কার্যকারিতা, ব্যবহারযোগ্যতা, আকর্ষণীয়তা এবং মান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে প্রোডাক্ট ডিজাইনের অবস্থান হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রোডাক্ট ডিজাইনাররা তাদের পণ্যগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা লোগো, প্যাকেজিং, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং প্রোডাক্ট ম্যানুয়ালগুলি ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সাথে কাজ করে।

আপনি যদি কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট ডিজাইন করতে চান তবে নিম্মে উল্লেখিত ধাপ গুলোর মধ্য দিয়ে যেতে হবে: 

১) প্রথমেই প্রোডাক্টের বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে। শুধু তাই নয় বরং কিভাবে একটি পণ্য গ্রাহকের চাহিদার হয়ে উঠবে সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে। 

২) পণ্য ফাইনালি বাজারজাত করার আগেই প্রাথমিক ভাবে পণ্যের ডিজাইনের ইলাস্ট্রেশন কিংবা স্যাম্পল বানাতে হবে এবং সেটা কিছু গ্রাহকের কাছে পৌছাতে হবে তাদের কিছুটা আকর্ষণ করতে পণ্যের দিকে। 

উক্ত কাজের জন্য কিছু স্কিলের প্রয়োজন রয়েছে। তা হলো: 

  • প্রোটোটাইপিং 
  • মার্কেট রিসার্চিং 
  • থ্রিডি মডেলিং 

ব্র্যান্ডিং ডিজাইন 

একটি প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং ডিজাইনের মধ্যমে সে প্রোডাক্টের ট্যাগ লাইন, মার্কেটিং ম্যাসেজ গ্রাহকের কাছে পৌছে দেয়ার কাজ করা হয়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পূরণ হবে। ব্র্যান্ডিং ডিজাইনিং হল একটি শিল্প এবং বিজ্ঞান যা একটি ব্যবসা বা পণ্যের ব্র্যান্ড তৈরি এবং বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়। ব্র্যান্ডিং ডিজাইনের মূল উদ্দেশ্য হল একটি ব্র্যান্ডকে দর্শকদের কাছে আকর্ষক এবং মনে রাখার মতো করে তুলতে। 

ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা ব্রাউজিং এর সাথে সব ভাবেই জরিত। ব্রাউজিং এর মাধ্যমে একটার পর একটা ওয়েবসাইটে যে ভিজিট করা হয় সে ওয়েবসাইট গুলো এতো সুন্দর করে উপস্থাপনের পেছনে রয়েছে কোনো না কোনো ওয়েবসাইট গ্রাফিক্স ডিজাইনারের হাত। 

ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লে-আউট এবং ওভারল সৌন্দর্যকে প্রভাবিত করে। একটি ভাল ডিজাইন করা ওয়েবসাইট দর্শকদের আকর্ষণ করতে এবং তাদের ওয়েবসাইটের সাথে কানেক্ট রাখতে সহায়তা করে।

ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল:

  • ব্র্যান্ড আইডেনটিটি: ব্র্যান্ড আইডেনটিটি হলো একটি কোম্পানির লে-আউট এবং ওভারল ধারণার একটি সংক্ষিপ্তসার। এটি একটি কোম্পানির লোগো, রঙ প্যালেট, টাইপোগ্রাফি এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। ওয়েবসাইটে ব্র্যান্ড আইডেনটিটি ব্যবহার করে, একটি কোম্পানি তার দর্শকদের কাছে তার বার্তাটি আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারে।
  • ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (UX): ইউজার অভিজ্ঞতা হল ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় দর্শকদের অভিজ্ঞতা। একটি ভাল UX-এর অর্থ হল একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা সহজ এবং বোঝার জন্য সহজ। গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করে, ওয়েবসাইটগুলিকে আরও ইউজার-ফ্রেইন্ডলি এবং আকর্ষণীয় করে তোলা যেতে পারে।
  • কন্টেন্ট দৃষ্টি আকর্ষণ: গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করে, ওয়েবসাইটে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট থেকে যে তথ্যটি চান তা খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সময়ের দিক থেকে বিবেচনা করলে ওয়েবসাইটের গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা সব সময়েই রয়েছে এবং কাজও সব সময় পাওয়া যায়। 

প্রিন্টিং 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রিন্টিং। গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ডিজাইনগুলিকে প্রিন্টযোগ্য ফরম্যাটে রূপান্তর করতে সক্ষম হতে হবে যাতে সেগুলি প্রেসে পাঠানো যায় এবং সফলভাবে ছাপানো যায়।

প্রিন্টিং এর সাথে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত। প্রিন্টিং কাজে ক্ষেত্রে সাধারণত যে সকল জিনিসের প্রিন্টিং করা হয় সেগুলো হলো: 

  • নিজস্ব প্রতীক কিংবা লোগো সম্বলিত মগ
  • টি শার্টে ডিজাইন প্রিন্টিং
  • স্টেশনারি আইটেম সহ আরো অনেক কিছু 

প্রিন্টিংয়ের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে হবে:

  • প্রিন্টিং প্রক্রিয়া: প্রিন্টিংয়ের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অফসেট প্রিন্টিং, ডিজিটাল প্রিন্টিং, এবং সোয়েড প্রিন্টিং। প্রতিটি প্রক্রিয়ার নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, এবং ডিজাইনারদের তাদের ডিজাইনগুলির জন্য সঠিক প্রক্রিয়াটি বেছে নেওয়া উচিত।
  • প্রিন্টিং মিডিয়া: প্রিন্টিং মিডিয়া হল কাগজ, প্লাস্টিক, বা অন্যান্য উপাদান যাতে প্রিন্ট করা হয়। বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টিং মিডিয়া রয়েছে, যার প্রতিটিটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডিজাইনারদের তাদের ডিজাইনগুলির জন্য সঠিক প্রিন্টিং মিডিয়াটি বেছে নেওয়া উচিত।
  • প্রিন্টিং রঙ: প্রিন্টিংয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের রঙ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে CMYK, RGB, এবং Pantone। ডিজাইনারদের তাদের ডিজাইনগুলির জন্য সঠিক রঙগুলি বেছে নেওয়া উচিত যাতে তারা প্রেসে সঠিকভাবে পুনরুত্পাদন করা হয়।
  • প্রিন্টিং মানের মানদণ্ড: প্রিন্টিংয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের মানদণ্ড রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে DPI, PPI, এবং dpi। ডিজাইনারদের তাদের ডিজাইনগুলির জন্য সঠিক মানদণ্ডগুলি বেছে নেওয়া উচিত যাতে তারা প্রেসে সঠিকভাবে ছাপানো হয়

পাবলিশিং ডিজাইন 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি শাখা হলো পাবলিশিং ডিজাইন। এই শাখায় প্রিন্টেড মিডিয়া, যেমন বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, ক্যাটালগ, ইত্যাদির ডিজাইন করা হয়। পাবলিশিং ডিজাইনাররা গ্রাহকের চাহিদা এবং উদ্দেশ্য অনুযায়ী একটি আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ উপায়ে প্রিন্টেড মিডিয়া ডিজাইন করার জন্য তাদের সৃজনশীলতা এবং ডিজাইনের দক্ষতা ব্যবহার করে।

পাবলিশিং ডিজাইনাররা বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে, যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইনডিজাইন, ইত্যাদি। তারা প্রায়ই গ্রাহকদের সাথে কাজ করে তাদের চাহিদা এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে।

পাবলিশিং ডিজাইনের কিছু সাধারণ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে:

  • বইের ডিজাইন
  • ম্যাগাজিনের ডিজাইন
  • সংবাদপত্রের ডিজাইন
  • ক্যাটালগের ডিজাইন
  • বিজ্ঞাপনের ডিজাইন
  • ব্রোশারের ডিজাইন
  • ইনফোগ্রাফিক্সের ডিজাইন

বর্তমান সময়ে একটা বেস্ট সেলার বই এর তকমা পেতে আধুনিক ও উন্নতমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনের জুরি নেই। আর পাবলিশিং ডিজাইন এই বিষয় গুলো নিয়েই কাজ করে। 

অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স 

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স। অ্যানিমেশন হলো একটি শিল্প যাতে স্থির চিত্রগুলিকে এমনভাবে একত্রিত করা হয় যাতে তারা চলমান বলে মনে হয়। মোশন গ্রাফিক্স হলো অ্যানিমেশনের একটি নির্দিষ্ট ধরন যাতে গ্রাফিক ডিজাইনের উপাদানগুলিকে এনিমেটেড করা হয়।

যদিও অ্যানিমেশন এবং মোশন গ্রাফিক্সের মধ্যে কিছু মূল পার্থক্য রয়েছে। অ্যানিমেশন সাধারণত গল্প বলার জন্য ব্যবহৃত হয়, যখন মোশন গ্রাফিক্স সাধারণত তথ্য প্রদান বা বিনোদন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যানিমেশনে প্রায়ই চরিত্র এবং সেটগুলির মতো জটিল উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে, যখন মোশন গ্রাফিক্সে সাধারণত সরল গ্রাফিক উপাদানগুলির উপর জোর থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে অ্যানিমেশন এবং মোশন গ্রাফিক্সের অনেকগুলি ব্যবহার রয়েছে। এগুলি বিজ্ঞাপন, শিক্ষা, বিনোদন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অ্যানিমেশন এবং মোশন গ্রাফিক্স ব্যবহার করে, গ্রাফিক ডিজাইনাররা দর্শকদের কাছে তাদের বার্তাগুলি আরও আকর্ষণীয় এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারে।

অ্যানিমেশন ও মোশন গ্রাফিক্স দ্বারা মূলত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও গনমাধ্যম চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরি করা হয়ে থাকে। এই কাজে প্রথমে স্ক্রাচিং থেকে শুরু করে সেটাকে অ্যানিমেশন ও মোশনে রুপান্তরিত করা হয়। 

পরিশেষে কিছু কথা 

আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে “গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি” সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সংক্রান্ত আরো অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন নামক ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।