গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়? জানুন বিস্তারিত 

Salim Mahamud

Updated on:

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়? জানুন বিস্তারিত 

প্রতিটি পেশা, আর্থিক কর্মকাণ্ডের পিছনেই আমাদের উদ্দেশ্য থাকে টাকা আয় করার। তেমনি যখনই আমরা বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় পেশা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে আলাপ করি বা জানার আগ্রহ প্রকাশ করি এর মূল প্রশ্নই থাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়? 

Online Taka Income ওয়েবসাইটের এবারের আর্টিকেলে সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হবে। মনোযোগ দিয়ে পুরোটা পরে সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নিন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? 

আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটা বিস্তারিত আর্টিকেল প্রদান করেছি যা এই টিউটরিয়াল সিরিজের প্রথম আর্টিকেল। তবে এক কথায় বলতে গেলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখানে বাস্তবের নানা চিত্র, ঘটনা, বর্ণনা, তথ্য কম্পিউটারের সহায়তায় নিজের চিন্তাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, দক্ষতার মাধ্যমে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে (ছবি, ভিডিও আকারে) ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে – 

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?

সকল কাজের আউটকাম নির্ভর করছে দক্ষতার উপর। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিজের পেশাগত দক্ষতার সাহায্যে কর্পোরেট জগতে বেসিক ৩০ বা ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। দেশের বাহিরের হিসেবে নিয়ে আসলে তারা বেসিক লক্ষ টাকা থেকেও শুরু করে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে শুরুতেই ২ – ৩ লাখ টাকা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও আমাদের দেশের চেয়ে ১.৫ – ২ গুণ বেশি বেতনে গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

এত গেলো কর্পোরেট হিসেব। এর বাহিরে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের হিসেব কষলে দেখা যায়, ঘরে বসে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেও অনেকে শুরুতেই কর্পোরেট সেক্টরের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারছে। টাকার অঙ্কে যা লাখ বা এর উপরে। 

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে শুরুতেই এই পরিমাণ অর্থ পাওয়া খুশির সাথে একে ধরে রেখে আরও বেশি উপার্জন করা চ্যালেঞ্জিং। অনলাইন মার্কেপ্লেস যেমন fiver এ শুরুতে কাজের অর্ডার পাওয়া বা বেশি রেটিং লাভের জন্য অল্প পেমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে থাকেন বেশিরভাগ গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। 

সময়ের সাথে রেটিং ও রিভিভ ভালো পেলে ও পূর্বের ক্লায়েন্টের থেকে পুনরায় কাজের অর্ডার পেলে আগের চেয়ে আরেকটু বেশি পারিশ্রমিকে কাজ করে দেয়। এভাবে করে করে সময়ের সাথে সাথে পরিচিতি ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাসে ৩০-৫০± লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। 

ফ্রিল্যান্সিং পেশাই হিসেবে ধরা হোক বা কর্পোরেট জব হিসেবেই ধরা হোক, এই দুই সেক্টরেই দক্ষতা আবশ্যক। তবে আমাদের দেশের পারিপার্শ্বিকতা বিচারে কর্পোরেট সেক্টরে আবেদনের জন্য নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় বেশিরভাগ বিজ্ঞপ্তিতে। এর ব্যাতিক্রম ও রয়েছে যেখানে দক্ষতাই মুখ্য। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনে আয় করার সিক্রেট টিপস !! 

যারা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেছেন তাদের মাঝে এক ধরনের ভীতি কাজ করে থাকে। প্রথম অবস্থায় কোথায় ও কিভাবে কাজ শুরু করবেন বুঝতে পারেন না। তাদের জন্য সহজ বুদ্ধি হচ্ছে অনলাইনে, বিশেষকরে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এসকল প্লাটফর্মে নিজেদের করা কাজ পোস্ট করে নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করা। 

এছাড়াও নিজ এলাকার উঠতি নেতাদের বা নানা অনুষ্ঠানের জন্য গ্রাফিক্সের কোন কাজ থাকলে ফ্রিতে করে দিয়ে পোর্টফোলিও হিসেবে উপস্থাপন করা যা পরবর্তীতে টাকা আয় করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। 

আর গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য উত্তরউত্তর দক্ষতা বৃদ্ধি ও নিজের কল্পনা শক্তিকে ধারালো করে নেবার কাজ নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। মুখস্ত বিদ্যা বা একই ধরনের কাজের স্যাম্পল দিন শেষে ডিজাইনারের এই সেক্টরে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়। নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, হাজার হাজার নতুন ডিজাইনারের আবির্ভাব চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে প্রতিনিয়ত। এই চ্যালেঞ্জ উৎরে যেতে পারলে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা কঠিন কিছু হবেনা। 

পরিশেষে কিছু কথা 

তাহলে, জেনে নিলেন গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায় তাইতো? এবার গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আরো যে যে প্রশ্ন বা জানতে চাওয়ার মত বিষয় রয়েছে সেগুলোও জেনে নিতে পারবেন খুব সহজে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো: এই লিংকে ক্লিক করে আমাদের ওয়েবসাইটের গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যাটাগরিতে থাকা গ্রাফিক্স ডিজাইন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও টিউটরিয়াল পেয়ে যাবেন। আশা করছি এই সিরিজটি আপনাকে ভালো লাগছে, এবং বেশ কিছু তথ্য জানতে পারছেন। সঙ্গে থাকুন এবং জানতে থাকুন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো।