গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন । ১ম পর্ব 

Salim Mahamud

Updated on:

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন । ১ম পর্ব 

বর্তমানে সময়ে জব সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর রয়েছে বিস্তর চাহিদা। অথচ, গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যাতিত পুরো ডিজিটাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টই অচল। এর কারনও রয়েছে চোখের সামনেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যা যা দরকার একটা কোম্পানির, তার বেশির ভাগই প্রস্তুত করে থাকেন গ্রাফিক্স ডিজাইনারগণ। 

ব্যানার, পোষ্টার থেকে শুরু করে বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো, টেলিভিশন কমার্শিয়াল, ইত্যাদির সবকিছুই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের আওতায় পড়ে।

এসব কারনেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব দিনকে দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। আর তাই, এই সময় আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন, তাহলে বলতেই হচ্ছে, আপনার জীবনে নেওয়া অন্যতম একটা ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত হতে পারে এটি।

তো, আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে। আশা করি আপনার মনে জাগা সকল প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে পেয়ে যাবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? 

গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত, নির্দিষ্ট একটি ম্যাসেজ বা তথ্যকে সৃজনশীলতার মিশেলে রঙ, রেখা ও বিভিন্ন আকৃতিতে সম্ভাব্য ক্রেতা বা সাধারণত মানুষের সামনে তুলে ধরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন এই তথ্য বা ম্যাসেজগুলো হয় মার্কেটিং সম্পর্কিত।

গ্রাফিক্স ডিজাইন যে কেবল মার্কেটিং সম্পর্কিত তেমন কিন্তু না। মার্কেটিং বাদেও বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সাথে সম্পর্কিত। যেমন, গার্মেন্টস সেক্টর। গার্মেন্টস খাতের যেকোনো পণ্য তৈরি করার পূর্বে এর ডিজাইন প্রস্তুত করে নিতে হয়।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর পৃথিবী বিখ্যাত। এই সেক্টরে পৃথিবীর মাঝে দৈনিক সবচেয়ে বেশি পণ্য তৈরি করার অর্ডার পাই আমরা। আর তাইতো, এ খাতে যোগ দিলে  আপনার ক্যারিয়ারের জন্য এর ফলাফল খুবই উপকারী হবে।

এমনকি, আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পাবেন যদি দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন। পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করেও অনেক অর্থ উপার্জন করার সুযোগ তো থাকছেই।

এমনকি, সরকারি – বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ডিজাইনিং প্রয়োজন হয়।  

ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয়তার কারণ 

ক্যারিয়ার হিসেবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর এতো জনপ্রিয়তার অনেক মানুষের মনে কৌতুহল জন্ম দিয়েছে। সত্যি বলতে এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য কারন। সকলেই চাইবে এমন একটি পেশায় জড়াতে যার ভবিষ্যৎ বেশ আশা জাগানিয়া। আসুন, এক নজরে দেখে নেই এর বিভিন্ন দিকগুলো!

সৃজনশীল পেশা

গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পূর্ণ একটি সৃজনশীল পেশা। এই পেশায় আপনার সৃজনশীলতা হচ্ছে একজন ডিজাইনারের মূল হাতিয়ার। বই পড়ে বা অনলাইনে দেখে শিখা বিদ্যা এখানে তেমন একটা কাজে আসে না। আপনার মাঝে যদি সৃজনশীল না থাকে, তবে এই সেক্টরে ভালো করা সম্ভব নয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহার করতে হয়। তাই, এর সঠিক ব্যাবহার না জানলে সঠিকভাবে সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়না। এজন্য আপনাকে অনেক চর্চা এবং ধৈর্য্যের সাথে বিভিন্ন প্রজেক্ট করতে হবে নিজের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মান বাড়িয়ে নেয়ার জন্যে।

আপনি খোঁজ করলে নানা ধরনের ডিজাইন অনলাইনেই পেয়ে পাবেন, কিন্তু নিজেকে যদি সেই অন্যের করা ডিজাইনগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চান তাহলে আপনার জন্যে এই পেশা সম্মান বয়ে আনবেনা। আপনার নিজেকে নিত্য নতুন ডিজাইন করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে, আপনি যত বেশি সৃজনশীলতার সাথে আপনার আইডিয়া ফ্রেমে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন ততই আপনার কাজের মান উন্নত থেকে উন্নততর হবে। আপনি যদি আপনার সৃজনশীলতাকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পছন্দ করেন তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায় আপনি অবশ্যই উন্নতি করতে সক্ষম হবেন।

ব্যাপক চাহিদা

বর্তমান সময়ে ভিজুয়াল কনটেন্ট (ভিডিও, ছবি) সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এর সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনও বেশ চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ছোট বড় সকল ওয়েবসাইটের কাজের জন্যে এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন অপরিহার্য হিসেবে ধরা হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে, কেননা এই ইন্ডাস্ট্রিতে পেশাগত মানুষের সংখ্যা অল্প কিছু। এজন্য, আপনি যদি নিজেকে এই কাজে সুপিরিয়র করে তুলতে পারেন তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোতে চাকরি করার সুযোগ লাভ করবেন। যেখানে আপনার বেতনের পরিমাণ অন্যদের থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি হবে।

ঘরে বসে কাজের সুযোগ

গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, চাইলেও আপনি যেকোন জায়গায় বসে এই কাজ করতে পারেন। আপনাকে কোন অফিসে বসেই কাজ করতে হবে এমনটা না। আপনি চাইলে ঘরে বসে কাজ করতে পারেন।

একটি মাত্র ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন যেকোন জায়াগা থেকেই। এখানে সম্পূর্ণরূপে কাজের পারদর্শিতার উপরে সব কিছু নির্ভর করছে।  তাইতো, শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি জরুরী হয় না। যদি পারদর্শী হন, তবে কারো আন্ডারে না থেকেই আপনি এই সেক্টরে কাজ করতে পারবেন।

কাজের স্বাধীনতা

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা স্বাভাবিকভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদ যদি ইচ্ছা করেন তাহলে নিজে নিজেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারে। নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে নিজেই কাজ করতে পারেন।

বর্তমানে অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে নিজের একাউন্ট তৈরি করে নিজের কাজগুলো দেখানোর পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার কাজ দেখে যদি কারো ভাল লাগে তাহলে তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের প্রোজেক্টে কাজ করার জন্যে।

এজন্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিয়ে কাজে মনোযোগ দেয়া উচিত।

বেশি বেশি আয়ের সুযোগ

বর্তমান বিশ্ব ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট এর দিকে ঝুকে পড়ছে, আপনি চাইলে এখনই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অধিক আয় নিশ্চিত করতে পারেন। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা শুধুমাত্র লোগো ডিজাইন করার জন্যে লক্ষ্ লক্ষ টাকা খরচ করে থাকে।

তাইতো, ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের পণ্যগুলো ভালোভাবে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সহায়তা নিয়ে থাকে।

চাকরির বিস্তর সুযোগ

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে আপনি দেশ ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। বিদেশি কোম্পানিগুলোতে কাজ করার চেয়ে সব থেকে বেশি ভালো হয় যদি আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিদেশি বায়ারদের সাথে কাজ  করেন।

কেননা, একবার কাজ করা শুরু করলে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে এবং তাদের মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের কোম্পানির সাথে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে।

পাশাপাশি আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে দেশি কোম্পানিতে কাজ করতে চান, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে গ্রাজুয়েট হতে হয় এবং এই বিষয়ক সার্টিফাইড কোর্স সম্পন্নকারী হতে হয়।

তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে। অনেক দেশি কোম্পানি এখন একাডেমিক যোগ্যতার থেকেও দক্ষতার উপরেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। আপনি চাইলে ওইসব কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন।

প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ 

আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে প্রতিভা দেখানোর সুযোগ কম। সুযোগ থাকলেও সেগুলার তেমন মূল্যায়ন হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে আপনি দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে আপনার যদি প্রতিভা থাকে, তাহলে সেটা দেখানোর ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। আপনি যথাযথ মূল্যায়নও পাবেন। আপনার প্রতিভা গুলো চাইলে পোর্টফোলিও আকারে মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রদর্শন করতে পারবেন। সেগুলো দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে খুব সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন।

উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নাই 

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে কোনো উচ্চতর ডিগ্রিধারী হওয়া লাগবে না। মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক মানুষ আছে যারা স্কুলের গন্ডিও ঠিক করে পার করতে পারেন নি। ছাত্র থেকে শুরু করে গৃহিণীরা পর্যন্ত এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের সাথে সংযুক্ত।

এখানে তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট থাকে না এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে। তাই আপনি খুব বেশি একটা শিক্ষিত না হয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। এখানে কেউ আপনার কাছে শুনতে চাইবে না যে আপনি কতটা শিক্ষিত। এখানে আপনার ক্লায়েন্টরা শুধু দেখতে চাইবে আপনার দক্ষতা।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা 

সবচেয়ে বড় আশার বাণী হচ্ছে, এই খাতের ভবিষ্যত অনেক বেশি ভালো। বর্তমানে এমন সময় এসে পড়েছে যেখানে আমরা মার্কেটিং বলতে শুধু মাত্র ডিজিটাল মার্কেটিংকেই বুঝে থাকি।

পরবর্তী সময়ে এর আওতা আরও বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর পদ্ধতি বের হবে যেগুলো মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপরে নির্ভরশীল হবে। তাই যারা এই সেক্টরে নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করার কথা চিন্তা করছেন, নিঃসন্দেহে তারা বেশ সময়ুপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ফ্রিলান্সিং ও আউটসোর্সিং 

ফ্রিলান্সিং ও আউটসোর্সিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা। অনেক অনেক বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যম হয়েছে এই সেক্টর। তাদের মতন আপনিও চাইলে ঘরে থেকেই লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

এই ফ্রিলান্সিং জগতের এর বিশাল একটা অংশ জুড়ে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। ছোট্ট লোগো থেকে টেলিভিশনের জন্য কমার্শিয়াল তৈরি এমনকি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব ধরনের মার্কেটিং সামগ্রী প্রস্তুতের ক্ষেত্রে রয়েছে এর প্রয়োজনীয়তা৷ এ সকল কারণে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ সম্পর্কিত কাজ তুলনমূলকভাবে বেশি দেখা যায়।

কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?

ক্যারিয়ার হিসাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করার সিদ্ধান্তের পর প্রথম যে প্রশ্ন মনে উকি দেয় সেটি হচ্ছে, কিভাবে শেখা যাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন। প্রধানত দুইটি উপায়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন।

প্রথমত, গুগল থেকে বিভিন্ন রিসোর্স সংগ্রহ করে সেগুলোর সহায়তায় এ সম্পর্কে শিখতে পারবেতন। এছাড়াও আছে ইউটিউব। ইউটিউব-এ এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে। এর মধ্যে শুরুতে যেকোনো একটি চ্যানেল অনুসরণ করলেই আপনি কম বেশি শিখতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন।  

এছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও ওয়েবসাইট পাবেন যারা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ দেয়। সেসব কোর্স করেও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শেখা যায়। এজন্য আপনার কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকা লাগবে। 

আপনি যদি এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে আমাদের ওয়েবসাইটের মেনু অপশন থেকে টিউটরিয়াল ক্যাটাগরির মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন অপশনটিতে ক্লিক করুন। সেখানে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ অব্দি সকল বিষয়ে আলোচনা। আপনি এখন বর্তমানে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন সেটিই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন সংক্রান্ত টিউটরিয়ালের প্রথম পর্ব। থাকছে আরো অনেক শেখায় জিনিস, আরো অনেক পর্ব। ধাপে ধাপে বিষয় গুলো সম্পর্কে জানুন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন। 

পরিশেষে কিছু কথা 

এই ছিল মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কিভাবে শিখবেন এই নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত আলোচনা। আশা করি সব কিছু খুব সুন্দর ভাবে বুঝেছেন। এখন সময় এসেছে কাজে লেগে পড়ার। যেকোনো একটা পন্থা বেছে নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফেলুন এবং জব মার্কেটে ঢুকে পড়ুন। আর কোনো বিষয়ে যদি জানতে চান, তাহলে সেটি কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। পাশাপাশি অনুসরণ করুন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বৃহৎ রিসোর্স সম্পন্ন ওয়েবসাইট Online Taka Income, যেখানে বাংলা ভাষায় জানতে ও শিখতে পারবেন যে, কিভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সময়ের জন্য অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ধন্যবাদ এতো সময় ধরে যুক্ত থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামণা।