গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার । ডিজাইন বিক্রি করে আয় 

Salim Mahamud

Updated on:

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার । ডিজাইন বিক্রি করে আয় 

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজেকে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে দেখতে চান? যার কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে করণীয় সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কেননা এই পর্যায়ে জানাবো গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে যা যা করতে হবে সেসব কিছুই। 

Note: গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি বিষয় বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে Onlie Taka Income ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন নামক ক্যাটাগরিটি তৈরি করা হয়েছে যেখানে এই বিষয়ক সকল আপডেট তথ্য গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা আছে। 

যাই হোক বলছিলাম গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা নিয়ে বিস্তারিত, চলুন শুরু করা যাক।  

কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করা যায়?

সবার আগে যে প্রশ্নটি আপনার মাথায় আসা উচিৎ এবং যেটা নিয়ে এখন কথা বলবো তা হলো: “কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আয় করবো?” Well, এবার সে বিষয় গুলো নিয়েই কথা বলবো। শুনুন.. 

ডিজাইন প্রতিযোগিতা

শুধুমাত্র বিভিন্ন ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আয় করা যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন Buyers তাদের প্রয়োজনীয়তাএকত্রিত করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অংশগ্রহণকারীরা সে প্রতিযোগিতায় যোগদান করে সুন্দর ডিজাইন উপস্থাপন করে পুরস্কার লাভ করে। প্রায় সময় দেখা যায় এই ধরনের প্রতিযোগিতা গুলোতে সর্বনিম্ন ৩০০ ডলার থেকে ১২০০ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এমন একটি প্ল্যাটফর্মের নাম হলো: 99designs.com

ডিজাইন বিক্রি করে 

ডিজাইন বিক্রি করে আয় করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি সৃজনশীল এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে হবে যা অন্যদের কাছে বিক্রিযোগ্য। আপনি যে ধরণের ডিজাইন বিক্রি করতে চান তা নির্ধারণ করুন, যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইত্যাদি। তারপরে, আপনার ডিজাইনগুলিকে একটি অনলাইন মার্কেটে বা আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করুন।

একটি ডিজাইন একাধিকবার বিক্রি হতে পারে তার মানে এই যে আপনি আপনার ডিজাইনকে অনেকবার বিক্রি করানোর মাধ্যমে বসে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই উপায়ে আয় করার জন্য একটি বিখ্যাত ওয়েবসাইট হলো graphicriver.net 

বিড করে কাজ যোগাড় 

এমন কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে ক্রেতারা তাদের কাজের বিবরণ উপস্থাপন করে পোস্ট করে এবং ফ্রিল্যান্সাররা সে কাজটি করতে সক্ষম হবে এমনটা জানিয়ে আবেদন করে যাকে বিড বলা হয়। যদিও পোর্টফোলিও শক্তিশালী না হওয়ার কারণে এখানে নতুনদের কাজ পাওয়া কিছুটা কষ্টসাধ্য তবে কিছু জনপ্রিয়তা পাওয়ার মাধ্যমে কিংবা আপডেট হলে সহজেই বিড করার মাধ্যমে কাজ পাওয়া যায়। বিড করে কাজ যোগাড় করার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল upwork.com

গিগ বিক্রির মাধ্যমে আয় 

বিড এর ক্ষেত্রে এটা কিছুটা ভিন্ন। কেননা, এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সার্ভিসের কথা উল্লেখ করে পোস্ট করে থাকে যেটাকে বলা হয় গিগ। এসব গিগ পড়ে ক্রেতারা (Buyers) নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উক্ত ব্যক্তিকে কাজের জন্য বাছাই করবে কি-না। এ ক্ষেত্রে একটা গিগ-এ হাজার বার অর্ডার আসতে পারে, তাই বিড নিয়ে টেনশন করার প্রয়োজন হয় না। এমন একটি প্ল্যাটফর্মের নাম হলো: fiverr.com 

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে যে কাজ গুলো জানতে হবে

এই পর্যায়ে জানানো হবে এমন ২০ টি কাজের ধরণ সম্পর্কে যেগুলো করার মাধ্যমেই বা যে সকল সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার আসবে এবং করে টাকা ইনকাম করা যাবে। চলুন, দেখে নেয়া যাক। 

বিজনেস কার্ড ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে “বিজনেস কার্ড ডিজাইন” এর কাজের চাহিদা বেশ ভালো। ব্যবসা-বাণিজ্য, উদ্যোক্তা, পেশাদার, এমনকি ব্যক্তিগত পরিচয়ের জন্যও বিজনেস কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই সবসময়ই এই কাজের চাহিদা থাকবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্সের মাধ্যমেই আপনি এটার কাজ শিখতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কাজ খুজে পাবেন। 

ফ্লাইয়ার ডিজাইন 

ফ্লাইয়ার ডিজাইন হল একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রক্রিয়া যাতে একটি পোস্টার তৈরি করা হয় যা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সচেতনতা বা প্রচার করতে ব্যবহৃত হয়। ফ্লাইয়ার ডিজাইনাররা গ্রাফিক্স, টেক্সট এবং ছবিগুলিকে একত্রিত করে একটি দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় নকশা তৈরি করে যা লক্ষ্য দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। মার্কেটপ্লেসে এই কাজের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। 

ব্যানার (ওয়েব ব্যানার, বিল বোর্ড, পেপার অ্যাড) 

ব্যানার হল একটি ছোট, গ্রাফিক্যাল বিজ্ঞাপন যা একটি ওয়েবসাইট, বিল বোর্ড বা অন্যান্য মিডিয়াতে প্রদর্শিত হয়। এটি একটি কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে এবং ব্যবহারকারীদেরকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে বা অ্যাপ-এ ক্লিক করতে উৎসাহিত করে।

বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেসে ব্যানারের কাজের চাহিদা বেশ বেশি। ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েব ব্যানার, বিল বোর্ড এবং পেপার অ্যাড ডিজাইন এবং তৈরি করে এই কাজগুলি পূরণ করে। এই কাজগুলির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটোশপ এবং অ্যাডোবি ইনডিজাইন।

ইমেজ রিটাচ 

ইমেজ রিটাচ হল একটি সম্পাদনা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ছবির দৃশ্যমান গুণমান উন্নত করা হয়। এটি সাধারণত ছবির ত্রুটিগুলি ঠিক করার, ছবির থিম বা ভাব প্রভাবিত করার বা ছবির আলো এবং রঙের বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করার জন্য করা হয়।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ইমেজ রিটাচের চাহিদা বেশ বেশি। অনেক ব্যবসা এবং ব্যক্তি তাদের ছবিগুলিকে আরও আকর্ষক এবং পেশাদার দেখানোর জন্য ইমেজ রিটাচের প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্স ইমেজ রিটাচারদের জন্য চাহিদা বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

প্রথমত, ডিজিটাল ফটোগ্রাফির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মানে হল যে আরও বেশি লোক তাদের ছবিগুলিকে আরও আকর্ষক দেখানোর জন্য ইমেজ রিটাচিংয়ের প্রয়োজন। 

দ্বিতীয়ত, ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মানে হল যে আরও বেশি ব্যবসা তাদের ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচারাভিযানের জন্য ইমেজ রিটাচিংয়ের প্রয়োজন। 

তৃতীয়ত, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মানে হল যে আরও বেশি গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাদের ডিজাইনে ইমেজ রিটাচিং ব্যবহার করছেন।

ইমেজ ম্যানিপুলেশন

ইমেজ ম্যানিপুলেশন হল একটি গ্রাফিক্স প্রক্রিয়া যা ছবিগুলিকে পরিবর্তন বা উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটিতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন ছবির কোণ বা আলো পরিবর্তন করা, বস্তু যোগ বা অপসারণ করা, বা ছবির রঙ বা টেক্সচার পরিবর্তন করা। ইমেজ ম্যানিপুলেশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে Adobe Photoshop, GIMP, এবং Paint.NET।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ইমেজ ম্যানিপুলেশনের কাজের চাহিদা খুব বেশি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরা তাদের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, বা বিপণন উপকরণগুলিতে ব্যবহার করার জন্য উন্নত ছবি তৈরি করতে চান। ফ্রিল্যান্স ইমেজ ম্যানিপুলারদের জন্য প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে, এবং তারা তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে।

ফেসবুক কভার ছবি 

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ফেসবুক কভার ছবি তৈরি করার কাজ একটি জনপ্রিয় কাজ। এই কাজের জন্য আপনাকে ফেসবুক কভার ছবির জন্য প্রয়োজনীয় স্কিল এবং জ্ঞান থাকতে হবে। এই কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে দক্ষ হতে হবে:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ফটোশপ বা অন্য কোন গ্রাফিক্স সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা
  • সৃজনশীলতা
  • ক্লায়েন্টের চাহিদা বোঝার দক্ষতা

আপনি যদি এই বিষয়গুলিতে দক্ষ হন, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ফেসবুক কভার ছবি তৈরি করার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বুক কভার ডিজাইন 

বুক কভার ডিজাইন হল একটি বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করা। এটি বইয়ের বিষয়বস্তু এবং শৈলীকে প্রতিফলিত করে এবং পাঠকদের আগ্রহ আকর্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বুক কভার ডিজাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ কারণ এটি একটি বইয়ের প্রথম ছাপ তৈরি করে। একটি আকর্ষণীয় এবং চিত্তাকর্ষক বুক কভার পাঠকদের বইটি সম্পর্কে আরও জানতে উৎসাহিত করতে পারে।

মারকেটপ্লেসে বুক কভার ডিজাইন এর চাহিদা ব্যাপক। বই প্রকাশক, লেখক এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীরা বুক কভার ডিজাইনারদের পরিষেবা ব্যবহার করে। বই প্রকাশকদের জন্য, বুক কভার ডিজাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপণন সরঞ্জাম। যার জন্য এই সেক্টরে কাজ করে ভালো পরিমাণের অর্থ আয় করা যাবে। 

স্টেশনারী ডিজাইন 

স্টেশনারি ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিভিন্ন পণ্যের নকশা তৈরি করা হয়। এসকল পণ্যের মধ্যে রয়েছে:

  • আইকন ডিজাইন
  • লেটারহেড ডিজাইন
  • ইনভেলাপ
  • টি-শার্ট
  • ক্যালেন্ডার ডিজাইন

স্টেশনারি ডিজাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এটি ব্র্যান্ড চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। একটি ভাল স্টেশনারি ডিজাইন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি প্রোফেশনাল এবং আকর্ষণীয় দেখাতে সাহায্য করতে পারে।

লোগো ডিজাইন 

লোগো ডিজাইন হল একটি কোম্পানি, সংস্থা, বা ব্র্যান্ডের জন্য একটি চিত্র বা প্রতীক তৈরি করা। লোগোটি সাধারণত একটি কোম্পানির নাম, লোগোটাইপ, বা একটি চিত্র বা প্রতীক দিয়ে তৈরি করা হয়। লোগো একটি কোম্পানির পরিচয় এবং ব্র্যান্ডিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি কোম্পানির দর্শকদের কাছে কোম্পানির মূল্যবোধ এবং বার্তাগুলিকে যোগাযোগ করতে সহায়তা করে।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে লোগো ডিজাইনের চাহিদা খুব বেশি। নতুন ব্যবসা প্রতিদিন শুরু হচ্ছে এবং তারা তাদের জন্য একটি অনন্য এবং আকর্ষণীয় লোগো তৈরি করতে চায়। ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইনাররা এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর তাদের প্রয়োজনীয় লোগো তৈরি করতে সাহায্য করে। আর এভাবেই তারা আয় করে। 

প্রোডাক্ট প্যাকেজিং

প্রোডাক্ট প্যাকেজিং হল একটি পণ্যকে তার ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত একটি বাহক বা আবরণ। এটি একটি পণ্যের চেহারা, সংবেদন এবং কার্যকারিতা উন্নত করে। প্যাকেজিং একটি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপণন সরঞ্জাম হিসাবে কাজ করতে পারে, কারণ এটি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররাই মূলত এই প্যাকেজিং এর কাজ করে। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কোম্পানি নিজেদের প্রোডাক্ট এর প্যাকেট ডিজাইন করার জন্য এদের Hire করে থাকে, আর এভাবেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়। 

ওয়েব টেমপ্লেট ডিজাইন 

ওয়েব টেমপ্লেট হলো একটি পূর্ব-নির্ধারিত ডিজাইন যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ওয়েবসাইটের কাঠামো, লেআউট এবং অন্যান্য গ্রাফিকাল উপাদানগুলিকে সংজ্ঞায়িত করে। ওয়েব টেমপ্লেটগুলি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরির সময় প্রচুর পরিমাণে বাঁচাতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ওয়েব টেমপ্লেট ডিজাইনের চাহিদা খুব বেশি। কারণ যারাই নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায়, কিন্তু তাদের কাছে ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা সময় নেই তারা বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের Hire করে উক্ত কাজ করে দেয়ার জন্য। 

ইনফো গ্রাফিক 

ইনফোগ্রাফিক্স হলো একটি গ্রাফিকাল উপায়ে তথ্য উপস্থাপনের একটি উপায়। এটি সাধারণত ছবি, আইকন, চার্ট, এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স ব্যবহার করে তথ্যকে দৃশ্যমান করে তোলে। ইনফোগ্রাফিক্সগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন তথ্য প্রদান করা, বোঝা সহজ করা, বা দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করে। তারা তথ্যকে একটি আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ উপায়ে উপস্থাপন করার জন্য তাদের সৃজনশীলতা এবং ডিজাইন দক্ষতা ব্যবহার করে।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ইনফো গ্রাফিক্সের চাহিদা খুব বেশি। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা এবং সংস্থা তাদের পণ্য, পরিষেবা, বা বিষয়গুলি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করার জন্য ইনফো গ্রাফিক্স ব্যবহার করে। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে, গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তাদের নিজস্ব সময় এবং শর্তে ইনফো গ্রাফিক্স তৈরি করে অর্থ উপার্জন করে থাকে।

অ্যাপস ডিজাইন

অ্যাপস ডিজাইন হল একটি অ্যাপের চেহারা এবং অনুভূতি তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি একটি অ্যাপের ভিজ্যুয়াল উপাদানগুলির (যেমন রঙ, ফন্ট, আইকন, গ্রাফিক্স ইত্যাদি) পাশাপাশি অ্যাপের কার্যকারিতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার (UX) উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

অ্যাপস ডিজাইনের মূল লক্ষ্য হলো একটি অ্যাপ তৈরি করা যা ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয়, ব্যবহার করা সহজ এবং কার্যকর। একটি ভালভাবে ডিজাইন করা অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে এবং তাদের অ্যাপটি ব্যবহার চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। আর এভবেই তারা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ইনকাম করে থাকে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম গুলো 

আপনি ইতিমধ্যে জানতে পারলেন গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে মূলত কি ধরনের কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে টুকটাক তথ্য। এবার প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরনের কাজ গুলো পাবো কোথায় না কোথায় থেকে করবো? এই প্রশ্নের জবাবে নিম্মে বেশ কিছু ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানাচ্ছি। 

ক্লাইয়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে আয় করার ক্ষেত্রে: 

এখানে যে ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে সেগুলোতে একজন গ্রফিক্স ডিজাইনার নিজেদের একাউন্ট তৈরি করে সেখান থেকে ক্লাইয়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। প্ল্যাটফর্ম গুলো হলো:

www.99designs.com 

www.freelancer.com/contest 

www.hatchwise.com/ 

www.logotournament.com/ 

www.logomyway.com/ 

www.crowdspring.com/ 

www.designcrowd.com/ 

www.designcontest.com   

ডিজাইন বিক্রি করে আয় করার ক্ষেত্রে: 

নিম্মে উল্লেখ্যিত ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি আপনার নিজের করা ডিজাইন গুলো আপলোড করতে পারবেন। এবং সেখান থেকে কেউ যদি আপনার ডিজাইন পছন্দ করে সেগুলো ক্রয় করে তবে আপনি নিদিষ্ট পরিমাণের কমিশন সেখান থেকে পাবেন। মজার ব্যাপার হলো এখানে আপনার ছবি হাজার বার ক্রয় করলে আপনি সে হারেই কমিশন পাবেন, যার অর্থ হলো এটা একটা প্যাসিব ইনকাম জেনারেট করবে। ওয়েবসাইট গুলো হলো:

www.graphicriver.net 

www.dribbble.com/ 

www.creativemarket.com 

www.codegrape.com 

www.designcrowd.com 

www.freelancer.com/marketplace  

কাজের জন্য বিড করে আয় করার ক্ষেত্রে: 

আপনি জেনেছেন বিড করা কাকে বলে। এবার আপনি যদি চান এমন কিছু যেখানে আপনাকে বিড এর মাধ্যমে কাজের জোগাড় করতে হবে, সেক্ষেত্রে নিম্মে লিখিত প্ল্যাটফর্ম গুলোর সাথে যুক্ত হতে পারেন। কেননা এখানে যতগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেখানে আপনি বিড এর মাধ্যমে কাজ পাবেন, এবং সেগুলো করার মাধ্যমেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। প্ল্যাটফর্ম গুলো হলো: 

www.upwork.com 

www.freelancer.com 

www.peopleperhour.com 

www.guru.com 

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য কাজ কিভাবে শিখবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল পেশা যাতে আপনাকে ভিজ্যুয়াল উপাদান তৈরি করতে হয় যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ক্রমবর্ধমান চাহিদাপূর্ণ শিল্প যা বিভিন্ন ক্ষেত্রের লোকেদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার বিকল্প হতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে, আপনার প্রথমে এই ক্ষেত্রের মূল ধারণা এবং নীতিগুলি বুঝতে হবে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন উপায়ে শিখতে পারেন, যেমন:

  • অনলাইন কোর্স: অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স পাওয়া যায়। এই কোর্সগুলি আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মৌলিক থেকে শুরু করে জটিল বিষয়গুলি পর্যন্ত শেখাতে পারে।
  • বই এবং টিউটোরিয়াল: গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে অনেক বই এবং টিউটোরিয়াল রয়েছে। এই উপকরণগুলি আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন তৈরি করতে শিখতে সাহায্য করতে পারে।
  • ট্রেনিং সেন্টার: আপনি একটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। এই সেন্টারগুলি আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি বিস্তৃত প্রোগ্রাম প্রদান করে যা আপনাকে এই ক্ষেত্রে একটি পেশাদার ক্যারিয়ার গড়তে প্রস্তুত করতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে, আপনাকে অবশ্যই প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। যত বেশি আপনি অনুশীলন করবেন, ততই আপনি ভাল হবেন। আপনি আপনার কাজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন যা আপনি সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাদের দেখাতে পারেন। 

তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তা শেখার স্টেপ গুলো? 

যেভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং

১) ভালো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয়া। অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হবে যেখান থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ গুলো শিখবেন। 

২) প্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারের অধীনে কাজ করা। আপনি যদি কিছু শিখতে চান তবে সেখানে ইন্টার্ন কিংবা জব করা হলো সবচেয়ে ভালো উপায় গুলোর মধ্যে একটি। প্রথমে আপনি ব্যাসিকটা শিখুন তবে একজন ডিজাইনারের অধিনে কাজ করে কাজ করার ধরণ সম্পর্কে পার্ফেক্ট ধারণা নিন। 

৩) অন্যের কাজ অনুসরণ করা। আপনি এই সেক্টরে নতুন নয়, আপনার আগে অসংখ্য মানুষ এই কাজ করেছে। তারাও নতুন ছিলো এবং ধিরে ধিরে কিভাবে তারা নিজেদের প্রোফেশনাল করেছে তা দেখুন, আর অনুসরণ করুন। 

৪) অনলাইনে সার্চ করা। দেখুন, অনলাইনে নেই এমন কোনো কিছুই হয়তো নেই। বর্তমানে আপনি যদি সঠিক ভাবে খুজতে পারেন, তবে সবকিছুই খুজে পাবেন, পাবেন সেই মন্ত্র যে মন্ত্র কাজে লাগিয়ে হতে পারবেন আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন এক্সপার্ট। 

৫) মানসম্মত টিউটোরিয়াল দেখা। মনে রাখবেন শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন টিউটরিয়াল দেখবেন যেটা যথেষ্ট মানসম্মত। 

৬) ভাল সফটওয়্যার দিয়ে ডিজাইন শিখা। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কেননা আপনার টুলস যতটা ভালো হবে ডিজাইন করার জন্য আপনার আউটপুট ততটাই সুন্দর হবে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে একজন ডিজাইনার কত টাকা আয় করতে পারে?

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে $৫০০ ডলার থেকে শুরু করে $৫০০০ ডলার এমনকি তারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। তবে, আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে আয়ের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।

নতুনদের জন্য, প্রতিটি কাজের জন্য $৫০ থেকে $১০০ ডলারের মধ্যে আয় করা সম্ভব। তবে, অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিটি কাজের জন্য $২০০ থেকে $৫০০ ডলারের মধ্যে আয় করা সম্ভব।

অন্যদিকে আপনি যদি বাংলাদেশে বসে কাজ করে থাকেন আর Newbie (৬ মাস – ১ বছর) বা নতুন হয়ে থাকেন, তবে প্রতি ঘন্টায় ১০ ডলার থেকে ২০ ডলার আয় করতে পারবেন যা মাসে দাঁড়াবে ২০ থেকে ৫০ হাজারে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার সুবিধা সমূহ 

১) এটি একটি সৃজনশীল ক্ষেত্র যা আপনাকে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করে, যেমন লোগো, ওয়েবসাইট, ব্যানার, পোস্টার, এবং আরও অনেক কিছু। এই নকশাগুলির মাধ্যমে, গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তাদের দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং তাদের উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করতে পারে।

২) গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি চাহিদাপূর্ণ দক্ষতা। আজকের বিশ্বে, গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রায় সব কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ তাদের ব্র্যান্ডকে বাজারজাত করতে এবং তাদের লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রয়োজন। এর অর্থ হল গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং সুযোগের একটি বড় বাজার রয়েছে।

৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ দেয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বিভিন্ন শিল্পে কাজ করতে পারে, যেমন ব্যবসা, বিনোদন, এবং শিক্ষা। এটি আপনাকে আপনার আগ্রহের সাথে মিলিত একটি ক্যারিয়ার খুঁজে পেতে দেয়।

৪) গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি রিমোট ফ্রেইন্ডলি পেশা। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ঘরে বসে বা কোনও অফিসে কাজ করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার কাজের সময় এবং স্থানের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দেয়।

৫) গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনাকে একটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে দেয়। আপনার কাজ অনলাইনে প্রদর্শিত হয়, তাই আপনি বিশ্বের যেকোনো কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার দক্ষতা গুলিকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে প্রদর্শন করার সুযোগ দেয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে কোন সফট স্কিলের প্রয়োজন?

এই পর্যায়ে বেশ কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানাচ্ছি যেগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ করতে অবশ্যই প্রয়োজন হবে: 

  • Adobe Photoshop
  • Adobe Illustrator
  • Adobe InDesign
  • Adobe PageMaker
  • GIMP
  • Inkscape
  • CorelDRAW
  • QuarkXPress
  • QuarkXPress

পরিশেষে কিছু কথা 

যেকোনো একটি স্কিলে দক্ষতা অর্জন এবং সেখানে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই প্রচুর জানতে হবে, শিখতে হবে, প্রাক্টিস করতে হবে। একই ভাবে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে এক্সপার্ট হয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর সাহায্যে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তবে অবশ্যই একই ব্যাপার গুলো অনুসরণ করতে হবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানিয়েছি “গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে করণীয় কিছু স্টেপ সম্পর্কে” জানিয়েছি এর কাজ, ধরণ, উপায়, সুবিধা, সফটওয়্যার এবং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে। আশা করি এবারের আর্টিকেলটি দ্বারা আপনার চানতে চাওয়া বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের গ্রাফিক্স ডিজাইন নামক ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।