জিমেইল বিক্রি করে আয় । জিমেইল কেনা বেচা করে ইনকাম করার উপায় 

Salim Mahamud

Updated on:

জিমেইল বিক্রি করে আয় । জিমেইল কেনা বেচা করে ইনকাম করার উপায়
জিমেইল বিক্রি করে আয় । জিমেইল কেনা বেচা করে ইনকাম করার উপায়

জিমেইল বিক্রি করে আয় । জিমেইল কেনা বেচা করে ইনকাম করার উপায় 

যাদের স্মার্টফোন রয়েছে তারা সকলেই জিমেইল সম্পর্কে অবগত, তবে আপনি কি এ বিষয়ে জানেন যে জিমেইল একাউন্ট বিক্রি করা যায়? এমন অনেকেই রয়েছে যারা জিমেইল বিক্রি করে আয় করছে। জিমেইল কেনাবেচা করে ইনকাম করার উপায় সমূহ সম্পর্কে জানতে চায় অনেকেই। তাদের চাহিদা দিক গুলো বিবেচনা করে এবারের আর্টিকেলে জানাচ্ছি বিস্তারিত পদ্ধতি জিমেল বিক্রি করে আয় করার। আপনিও যদি জিমেইল বিক্রি করে আয় করতে চান তবে কিছুটা সময় নিয়ে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করুন। 

জিমেইল কি? 

জিমেইল হল গুগল প্রদত্ত একটি ওয়েবমেইল সেবা, যেখানে ইউজাররা নিরাপদ ভাবে ইমেইল সেবা গ্রহণ করতে পারে।এখানে মূলত আপনাকে একটি ইমেইল এড্রেস দেয়া হয় পাশাপাশি ১৫ জিবি ফ্রিস্টোরেজ দেওয়া হয়। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ফিচারস এবং সুবিধাসমূহ যা একজন google gmail ইউজার ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবে। 

অনেকের ধারণা ইমেইল এবং জিমেইল একই। কিন্তু ধারণাটি সম্পন্ন ভুল কেননা ইমেইল হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে ওয়েবের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক বার্তা কিংবা ডিজিটাল ডাটা আদান-প্রদান করা যায়। অন্যদিকে জিমেইল হল একটি প্ল্যাটফর্ম যা তার ইউজারদের সহজে ইমেইল পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে সহায়তা করে। 

মূলত গুগলের যতগুলো সার্ভিস রয়েছে সে সার্ভিস গুলো ব্যবহার করতে আপনাকে অবশ্যই জিমেইল একাউন্ট তৈরি করতে হবে। জিমেইল এর নির্দিষ্ট কোন অবস্থান নেই এটি বিশ্বব্যাপী google এর সার্ভারের হোস্ট করা হয়।

জিমেইলের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য জিমেইল কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে অনেক কার্যক্রম। জিমেইলের এ বিশ্বব্যাপী চাহিদার জন্য অনেকেই বিভিন্ন কাজের জন্য জিমেইল কেনাবেচা করে থাকে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে জিমেইল ফ্রিতে তৈরি করা গেলেও প্রতিনিয়ত অগণিত সংখ্যার জিমেল কেনাবেচা করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে কেন জিমেল কেনাবেচা করা হয়? আসুন সে বিষয়ে জেনে নেই.. 

কেনো জিমেইল কেনা বেচা করা হয়?

ইতিমধ্যে বলা হয়েছে gmail কেনাবেচা করার কথা। মূলত এমন অনেকে রয়েছে যারা জিমেইল কেনাবেচা করে থাকে কিন্তু তারা এই কাজটি কেন করে? তার আগে জেনে নিতে হবে জিমেইল কেনাবেচা করা কি গুগলের পক্ষ থেকে পারমিটেড? সত্যি কথা বলতে google কোন ভাবে এটাকে অনুমোদন দেয়নি, বরং কেনাবেচা করাকে একটা ক্রাইম হিসেবে ধরা হবে। কেননা একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট একটি ব্যক্তির একক সত্তা নির্ধারক হিসেবে কাজ করে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি কাউকে জিমেইল বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে একটা সত্তা বিক্রি করার সমতুল্য হবে।  যাই হোক এটি একটি ধারণা মাত্র। এবার মূল প্রশ্নের ফেরা যাক যে কেন জিমেইল কেনাবেচা করা হয়?

Gmail কেনাবেচার ক্ষেত্রে মূলত অসৎ কোন উদ্দেশ্যকে প্রমোট করা হয় না। বরং এ কাজটি করা হয় লিড জেনারেশন সিপিএম মার্কেটিং সহ ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য সেক্টরে ব্যবহার করার জন্য। 

যারা এই সংক্রান্ত কাজগুলো করে থাকে তাদের প্রতিনিয়ত অসংখ্য জিমেইল প্রয়োজন হয়, আর যেহেতু তারা নিজেদের কাজের পাশাপাশি এক্সট্রা সময় দিয়ে এই জিমেইল ক্রিয়েট করার মত কাজ করতে আগ্রহী নয়। যার কারণে তারা অন্যকে দিয়ে জিমেইল একাউন্ট তৈরি করিয়ে নেয়। এতে করে তাদের যেমন সুবিধা হয় পাশাপাশি যারা জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে তারাও লাভবান হয়। 

কিভাবে  জিমেইল বিক্রি করে আয় করা যায়?

জেনে নিলেন কেন জিমেইল কেনাবেচা করা হয়, এবার আসুন জানি কিভাবে জিমেইল বিক্রি করে আয় করা যায়? জিমেইল বিক্রি করে আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমেই বুঝতে হবে আপনি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কতটা তৎপর। প্রথমে জানতে হবে একজন ব্যক্তি নিজের নাম্বার ব্যবহার করে ঠিক কয়টা জিমেল খুলতে পারবে? অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কিংবা একটি নাম্বার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি জিমেইল একাউন্ট খোলা যাবে। কিন্তু যারা জিমেইল বিক্রি করে আয় করছে তারা কিন্তু শুধুমাত্র জিমেইল নয় বরং হাজার হাজার জিমেইল বিক্রি করছে। তাহলে তারা কিভাবে সে কাজগুলো করছে? তারা মূলত আনলিমিটেড জিমেইল একাউন্ট খোলার পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে অসংখ্য জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিচ্ছে এবং সেগুলো বিক্রি করে আয় করছে। আপনি যদি জানতে চান কিভাবে আনলিমিটেড জিমেল অ্যাকাউন্ট খোলা যায় তবে পড়তে থাকুন কেননা আর্টিকেলের পরবর্তী ধাপে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে তার আগে জেনে নেই “ জিমেইল বিক্রি করে আয় করার নিয়ম” গুলো। 

জিমেইল বিক্রি করে আয় করার নিয়ম 

যেমনটা আপনি জানেন যে একটি নাম্বার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি জিমেইল একাউন্ট খোলা যাবে। এবং আমরা বলেছি আনলিমিটেড জিমেইল একাউন্ট খোলার উপায় রয়েছে পরবর্তী ধাপ থেকে এসে উপায় গুলো দেখে নেবেন তবে এখন জানাচ্ছি সে উপায় অবলম্বন করে জিমেইল তৈরি করার পর সেগুলো বিক্রি করে কিভাবে আয় করবেন সে বিষয়ে। 

১) মূলত প্রথমে আপনাকে জিমেইল তৈরি করার কাজের অর্ডার গ্রহণ করতে হবে। এ পর্যায়ে প্রশ্ন করতে পারেন যে জিমেইল তৈরি করে আয় করার জন্য জিমেইল তৈরি করার অর্ডার কোথায় পাব কিংবা জিমেল কোথায় বিক্রি করব? 

মূলত বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের মাধ্যমে gmail ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। বর্তমানে এমন অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে জিমেইল ক্রয় বিক্রয় করা সংক্রান্ত। সেসব গ্রুপে যুক্ত হয়ে সেখানে পোস্ট কিংবা অন্যের করা পোস্টের রেস্পন্ডসের মাধ্যমে গ্রাহক খুজে পাবেন। জিমেইল ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত ফেসবুকে যে গ্রুপ রয়েছে সেগুলোর নাম কিছুটা এমন: 

  • জিমেইল মার্কেটিং
  • gmail মার্কেটিং বিডি
  •  জিমেইল ক্রয় বিক্রয়
  •  gmail কেনা বেচা 

২) আচ্ছা ধরে নেয়া যাক আপনি জিমেইল তৈরি করার অর্ডার পেয়ে গেছেন, আবার হতে পারে আপনি অর্ডার এখনো পাননি তবে এই জিমেইল তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন। এমতাবস্থায় আপনার জিমেইলগুলো এবং জিমেইলে যাব তে ইনফরমেশনগুলো আপনাকে google সিটে সংরক্ষণ করতে হবে। আপনি ঠিক এই প্রসেসে সংরক্ষণ করবেন যে প্রথমে জিমেইল একাউন্টের নাম থাকবে, জিমেইলের এড্রেস থাকবে, এবং উক্ত জিমেইলের পাসওয়ার্ডটি থাকবে। 

৩) আপনি যখন আপনার কাজ সাবমিট করবেন কিংবা আপনার বায়ারকে জিমেইল দিবেন তখন মূলত গুগল সিটের এক্সেসটি দিয়ে দিলেই হবে, এক্সট্রা কোন কাজ করতে হবে না। 

জিমেইল বিক্রি করে কত টাকা আয় করা যায়?

মূলত আপনি যত বেশি জিমেইল তৈরি করতে পারবেন আপনার আয় কত বেশি হবে। তবে সাধারণত প্রতি জিমেইলের দাম নির্ধারণ করা হয় জিমেইলের ধরন ও বয়সের উপর। সাধারণত একটি জিমেইল আট টাকা থেকে 10 টাকা অবধি বিক্রি করা হয়ে থাকে।  তাহলে আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ টি জি মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ পেয়ে থাকেন এবং প্রতিটি 10 টাকা মূল্যে বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন আপনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। 

সাধারণত একটি জিমেইল একাউন্ট খুলতে সময় লাগে দুই মিনিট। এক্ষেত্রে ১০০টি জিমেইল অ্যাকাউন্ট করতে সময় লাগবে ২০০ মিনিট বা সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো।  তাহলে প্রতিদিন মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা কাজ করে আপনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম হবে জিমেইল বিক্রি করে। 

তাছাড়া আপনি যদি অনেক বেশি জিমেল তৈরি করার অর্ডার পেয়ে থাকেন এক্ষেত্রে একটি টিম করে একত্রে কাজ করতে পারবেন। আপনার টিমে যতজনকে রাখবেন তাদের সকলকে আপনার অর্ডারের প্রাইসিং থেকে যদি এক টাকা কমেও পেমেন্ট করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার প্রচুর ইনকাম হবে কোন কিছু না করে এজেন্সি মালিক হিসেবে। 

ধরুন আপনি প্রতিদিন এক হাজার জিমেইলের অর্ডার পেলেন, এবং প্রতিটি জিমেইল ১০ টাকা করে বিক্রি করলেন। এক্ষেত্রে আপনার মোট পেমেন্ট হবে দশ হাজার টাকা। আপনি যদি আপনার টিমকে দিয়ে এই কাজগুলো করিয়ে নেন এবং তাদেরকে নয় টাকা করে পেমেন্ট করেন তাহলে প্রতিদিন আপনার এক হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে কিছু না করেই। যদিও এই পর্যায়ে পৌঁছাতে আপনাকে বেশ পরিশ্রম করতে হবে।

আনলিমিটেড জিমেইল খোলার উপায় 

প্রথমে বলে রাখিয়া আনলিমিটেড জিমেইল খোলার উপায়টি অনুসরণ করে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য জিমেইল ক্রিয়েট করবেন না। গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন ইউটিউব চ্যানেল খোলা facebook অ্যাকাউন্ট খোলার মত কাজগুলো করার জন্য যদি এখানে উল্লেখিত প্রসেসটি অনুসরণ করে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তবে পরবর্তীতে আপনার একাউন্টটি ডিজেবল কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে সেটিকে কোনভাবে রিকভার করা সম্ভব হবে না। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদে অন্যান্য কাজ যেমন – ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানো, ইমেইল মার্কেটিং, লিড জেনারেশন এর মত ছোটখাটো কাজের জন্য আনলিমিটেড gmail খোলার উপায় অবলম্বন করে খোলা জিমেইল ব্যবহার করবেন।

যাইহোক, আনলিমিটেড জিমেইল একাউন্ট খুলতে প্রথমেই আপনার দুইটি অ্যাপ প্রয়োজন হবে।

১) Hide My Ip – Fast, Unlimited VPN 

২) Tomato VPN 

উল্লেখ্য যে দুটি ভিপিএন ই গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে নিতে পারবেন। এখান থেকে যে কোন একটি ইন্সটল করে নিলেই হবে। ইনস্টলেশন এর পর সেটিকে ওপেন করে মোবাইলের সেটিংসে গিয়ে google একাউন্ট সিলেক্ট করুন এবং স্বাভাবিকভাবে একটা জিমেইল একাউন্ট যেভাবে খোলা হয় ঠিক একই নিয়ম অনুসরণ করে একটি জিমেইল একাউন্ট খুলে নিন। 

তবে উল্লেখ যে, যখনই মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের ধাপটি আসবে তখন নিচে কোনায় থাকা Skip বাটনে ক্লিক করে সেটিকে অফ করে দিবেন। 

ব্যাস ঠিক এই নিয়ম অনুসরণ করে আনলিমিটেড জিমেল একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন কোন প্রকার নাম্বার ভেরিফিকেশন ছাড়াই। তবে বলে রাখা ভালো যে, এই নিয়মে খোলা জিমেইল একাউন্টগুলো কত সময়ের জন্য স্থায়ী হবে তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না। google যে কোন সময় চাইলে এই একাউন্টগুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে।  তবে এই অ্যাকাউন্টগুলোতে যদি পরবর্তীতে নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করা হয় তাহলে একাউন্টগুলোর সমস্যা হবে না। 

পরিশেষে কিছু কথা 

আশা করি এবারের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জিমেইল বিক্রি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়েছে। বর্তমান সময়ে জিমেইল কেনা বেচা করার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। বিভিন্ন মার্কেটিং সেক্টরের প্রয়োজনীয়তায় জিমেইলের চাহিদা বাড়ছে পাশাপাশি জিমেইল বিক্রি করে আয় করার পথ আরো শিথিল হচ্ছে। সময় এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে আপনি খুব সহজ কাজ করেও অনেক টাকা আয় করতে পারবেন যার সরাসরি উদাহরণ জিমেইল বিক্রি করে আয় করাকে বলা যায়। শুধু তাই নয় আপনি যদি অনলাইনে আয় করার আরো অন্যান্য উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে অনলাইনে টাকা ইনকাম ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কেননা এখানে রয়েছে অনলাইন থেকে আয় করার অসংখ্য উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।