টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট । দীর্ঘ সময় ইনকাম করার ১০টি ওয়েবসাইট

Salim Mahamud

Updated on:

দীর্ঘ সময় টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
দীর্ঘ সময় টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট । দীর্ঘ সময় ইনকাম করার ১০টি ওয়েবসাইট

অনলাইনে টাকা ইনকাম করা নিয়ে বর্তমানে প্রায় সকলেই জানে এবং এই বিষয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করে। যে কোন বয়সের মানুষ হোক কিংবা যে কোন পেশার মানুষ, পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম, কিছু বাদ দেয়ার জন্য অনলাইনে খোঁজ করে থাকে। এবং সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো অনলাইনে এমন হাজারো উপায় আছে যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

 অনলাইনে টাকা ইনকাম নামক এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করি, যে সকল উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার পথ নিশ্চিত করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আর্টিকেল এর মূল বিষয়বস্তু “ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট “ 

প্রশ্ন হচ্ছে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট বলতে কি বোঝানো হচ্ছে? এখানে আলোচনা করা হবে সেই সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে যেখানে কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।  সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এবার আর্টিকেলে আমরা  খোঁজার চেষ্টা করবো এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম কিংবা ওয়েবসাইট যেখানে রয়েছে কাজের সমাহার এবং উক্ত কাজগুলো করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যাবে। 

ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

সত্যি কথা বলতে হ্যাঁ ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে  যেগুলো আপনাকে কাজ করার মাধ্যমে টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও আপনার সাথে স্ক্যাম করে কাজ করানোর পাশাপাশি টাকা পেমেন্ট না করেই প্রতারণা করবে। আমাদের প্রয়োজন সে সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে সচেতন থাকা। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা চেষ্টা করবো যথাযথ তথ্য দেওয়ার যেখানে থাকবে না কোন স্পামি ওয়েবসাইট, না হবে আপনার সাথে প্রতারণা। জানাবো সেরা দশটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে। 

সেরা ১০ টি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত 

এ পর্যায়ে থাকছে এক এক করে মোট ১০ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে বেসিক বিস্তারিত আলোচনা, যেগুলো থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে টাকা ইনকাম করা মোটেও সহজ কোনো কাজ নয় এর জন্য প্রয়োজন হবে আপনার দক্ষতার, ধরতে হবে ধৈর্য এবং করে যেতে হবে কঠিন পরিশ্রম। তাহলে আসুন এক এক করে জেনে নেই দশটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে। 

ডিজিটালমার্কেট (DigitalMarket)

প্রথম যে ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে বলব তার নাম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেট। নামের মতো করেই বোঝা যাচ্ছে এখানে যে কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্তই। আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে এই প্লাটফর্মটি আপনার জন্যই। এটি এক ধরনের মিলনমেলার মূলক প্রতিষ্ঠান যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ কিংবা প্রদান করে থাকে। 

কি কি ধরনের কাজ রয়েছে এখানে? 

যেমনটা বলেছিলাম ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত যতগুলো কাজ রয়েছে সেই কাজগুলো এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো তৃতীয় কোন পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কেবল ক্রেতা এবং বিক্রেতা একে অপরের সাথে সেবা আদান-প্রদান করতে পারবেন। এখানে যে ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায় সেগুলো হলো:

  • Design & Creative
  • Development & IT
  • Music & Audio
  • Programming & Tech
  • Digital Marketing
  • Finance & Accounting
  • Writing & Translation
  • Trending

এখানে কাজ করার সুবিধা 

১) মার্কেটিং সংক্রান্ত কাজ অনলাইনে মাধ্যমে করা যায়

২) স্বল্প সময়ে অর্ডার পাওয়া এবং কাজ সাবমিট করার পরপরই অর্থ পাওয়া যায়

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

এখানে যে কাজ করবে তার জন্য বেশ লাভবান হলেও যে কাজ গ্রহণ করবে তাকে একটু বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। তাই আপনি যদি এখান থেকে কাজ করাতে চান তবে এটা হবে আপনার জন্য অসুবিধা। 

পেমেন্ট যেভাবে তুলবেন

তাই সকল ধরনের পেমেন্ট গেটের মাধ্যমে এখান থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তবে যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় সেহেতু সরাসরি বাংলাদেশি টাকাতে অর্থ তুলে পাবেন না, ব্যবহার করতে হবে আন্তর্জাতিক মাধ্যম। 

আপওয়ার্ক (Upwork)

আপওয়ার্ক হল একটি বিশ্বব্যাপী অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্স কাজ পেতে পারেন। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে এটা বেশ জনিপ্রিয়। বিশ্বজুড়ে নানা ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সাররা এখানে একত্রিত হয় নিজেদের মধ্যে কাজ আদান প্রদানের জন্য। 

কি কি ধরনের কাজ রয়েছে এখানে? 

১) লেখা এবং অনুবাদ: কন্টেন্ট লেখা, কপিরাইটিং, প্রযুক্তিগত লেখা, অনুবাদ, ইত্যাদি 

২) ক্রিয়েটিভ: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, অ্যানিমেশন ইত্যাদি।

৩) প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।

৪) অ্যাডমিন সাপোর্ট: ভার্চুয়াল সহায়তা, ডেটা এন্ট্রি, গ্রাহক সহায়তা ইত্যাদি।

৫) বিক্রয় এবং বিপণন: ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, এসইও ইত্যাদি।

৬) ফিন্যান্স এবং অ্যাকাউন্টিং: হিসাবরক্ষণ, আর্থিক বিশ্লেষণ, ট্যাক্স প্রস্তুতি ইত্যাদি।

৭) আইনি সেবা: চুক্তির খসড়া, আইনি গবেষণা, প্যারালিগাল সহায়তা ইত্যাদি।

৮) ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার: CAD ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল ড্রাফটিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।

ফিচার্স সমূহ

  • গ্লোবাল রিচ: বিশ্বজুড়ে ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারদের সাথে মিলনমেলা হয় এখানে।
  • বিভিন্ন প্রকল্প: বিভিন্ন দক্ষতার জন্য উপযোগী বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ।
  • নমনীয়তা: আপনার নিজস্ব চার্জ, কাজের সময় সেট করুন এবং আপনার দক্ষতার সাথে মেলে এমন প্রকল্পগুলি বেছে নিন।
  • পোর্টফোলিও বিল্ডিং: আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে এবং ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে কাজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করার সুযোগ রয়েছে।
  • নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম: আপওয়ার্ক নিরাপদ পেমেন্ট সিস্টেম এবং বিরোধ নিষ্পত্তি প্রদান করে।

আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধা:

  • ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা রয়েছে। 
  • দক্ষতার প্রদর্শণের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ।
  • বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে সংযোগ স্থাপনা ও নিজের নেটওয়ার্ক প্রসারিত করা।
  • এখানে আপনার নিজের বস আপনি, আপনার কাজের চাপ ও ক্যারিয়ারের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। 

আপওয়ার্কে কাজ করতে অসুবিধা

  1. প্ল্যাটফর্মটিতে প্রচুর সংখ্যক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে। 
  2. ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা এবং যোগাযোগ পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
  3. কাজের চাপ ওঠানামা করতে পারে, যা আপনার আয়ের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

পেমেন্ট প্রক্রিয়া

ঘন্টায় ভিত্তিক কাজ: আপওয়ার্কের টাইম ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার কাজের সময় ট্র্যাক করুন এবং আপনার সেট করা প্রতি ঘন্টার হারের উপর ভিত্তি করে পেমেন্ট গ্রহন করুন।

ফিক্সড-প্রাইস জবস: কাজ শুরু করার আগে ক্লায়েন্টের সাথে একটি প্রোজেক্টের সম্মানি নিয়ে আলোচনা করে নিতে হয়। যা আপওয়ার্ক একাউন্টে হোল্ড করে রাখা হয়, আপনি প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করার পরে সে অর্থ পাবেন।

সাটারস্টক (Shutterstock)

ফটোগ্রাফিতে দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য সাটারস্টক অন্যতম সেরা মাধ্যম গুলোর মধ্যে একটি। টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সাটারস্টককে রাখার অন্যতম কারণ হলো একটি যথেষ্ট পুরনো বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেখানে আপনার নিজস্ব তোলা যেকোনো ছবি (যা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিনতে ইচ্ছুক) রাখতে পারবেন। এবং কেউ যদি এখান থেকে ছবিগুলো ক্রয় করে সেক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ প্রদান করা হবে। 

কি কি ধরনের কাজ রয়েছে এখানে? 

এখানে একাউন্ট খুলে বিনা মূল্যে আপনার ছবিগুলো আপলোড করে রাখতে পারবেন। এখান থেকে ছবিটি কেউ ক্রয় করুক কিংবা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করুন উক্ত কাজের জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত একটি রয়ালিটি প্রদান করা হবে যেটা থেকে অর্থতে বা টাকাতে রূপান্তর করা যাবে। 

ফিচার্স সমূহ

সৃজনশীলতা এবং শিল্পীদের নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্ববান ওয়েবসাইটটিতে আপনার কাজ কিংবা ছবি সুরক্ষিত থাকবে। আপনি যখন এটি কাউকে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করবেন তখনই কেবল এটিকে কেউ ব্যবহার করতে পারবে অন্যথায় আপনি আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন ( সাধারণত আপনাকে কিছু করতে হবে না ওয়েবসাইট সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে করে আপনি আপনার প্রাপ্য রয়্যালিটি পেতে পারেন) 

এখানে কাজ করার সুবিধা 

১) এখান থেকে খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম করার সম্ভব। যার অর্থ এই যে, যখন আপনি প্রথমবারের মতো কষ্ট করে ছবি আপলোড করবেন সে ছবি থেকে আজীবন রয়্যালিটির অংশ পেতে থাকবেন। 

২) ফটোগ্রাফি কিংবা ভিডিওগ্রাফি আপনার Hobby হোক বা প্রফেশনাল কাজ, ছবি বা ভিডিও বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

৩) এরকম অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় এখানে সর্বাধিক পেমেন্ট নিশ্চই করে। 

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

এখানে কাজ করার সবচেয়ে বড় অসুবিধা যেটা হলো তা হলো পেমেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আমেরিকান ডলারে পেমেন্ট নিতে হবে। যার জন্য আপনি যে দেশের হয়ে থাকেন না কেন আমেরিকান ডলারের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। 

ফাইভার (Fiverr)

আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আরও একটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হলো ফাইভার। বিশেষ করে ডিজিটাল অ্যানিমেশন সম্পর্কে আপনার দক্ষতা থাকলে ফাইভার থেকে বেশ ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। শুধু তাই নয় এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি নগদ অর্থের বিনিময়ের রিসার্চ কমপ্লাইন করার কাজ করতে পারেন তাছাড়া আরো অন্যান্য অনেক  কাজ রয়েছে যেটা নিম্মে উল্লেখ করছি:  

কি কি ধরনের কাজ রয়েছে এখানে? 

ফাইভারে আপনি যে ধরনের কাজগুলি খুঁজে পেতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে:

  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ডেভেলপমেন্ট
  • লেখালিখি
  • অনুবাদ
  • মার্কেটিং
  • ভিডিও প্রোডাকশন
  • অডিও প্রোডাকশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • অ্যাকাউন্টিং
  • আইনি পরামর্শ
  • আর্থিক পরিষেবা
  • স্বাস্থ্যসেবা
  • শিক্ষা

এবং আরও অনেক কিছু। 

ফিচার্স সমূহ

ফাইভারের মাধ্যমে কাজ পেতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং আপনার কিক সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে।  যখন আপনার বিবরণের উপর কোন ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হবে এবং আপনাকে কাজ দিতে ইচ্ছুক হবে সেক্ষেত্রে আপনার সাথে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যমে তার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি তার থেকে কাজ আদায় করে নিতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সার হিসাবে এখানে যুক্ত হওয়া খুবই সহজ এবং খুব সুন্দর করে প্রোফাইল তৈরি করা এবং হাইলাইট করা ব্যবস্থা রয়েছে পাশাপাশি আপনি ৫০০ টিও বেশি কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এখানে। 

এখানে কাজ করার সুবিধা 

ফাইভারে কাজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো: এখানে আপনি নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে. নিজস্ব সময়, সুযোগ, সুবিধা বুঝে, ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন ক্লাইটের কাজ করতে পারবেন। 

এখানে রয়েছে কাজের বিভিন্ন বৈচিত্র্যতা যখনই কোন একটা নির্দিষ্ট কাজের উপর একঘেয়েমি তার চলে আসবে তখন খুব সহজে দক্ষতা অর্জন পূর্বক অন্যান্য কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। 

 মাত্র অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে নয় বরং ফাইবারের মাধ্যমে আপনি একটি স্ট্রং নেটওয়ার্ক কমিউনিটি করে তুলতে পারবেন। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত শেখার  পাশাপাশি শেখাতেও পারবেন। 

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

বিশ্বব্যাপী খুব জনপ্রিয় হওয়ার কারণে এখানে প্রায় সকল ধরনের  ফ্রিল্যান্সারদের আনাগোনা রয়েছে। এর ফলে একটি মেজর সমস্যা এটা সৃষ্টি হয়েছে অনেকে রয়েছে যারা নির্ধারিত মূল্যের থেকে খুব কম দামে সার্ভিস প্রদান করে। এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে আপনাকেও নির্ধারিত মূল্যের থেকে কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে সার্ভিস প্রদান করতে হবে, কেননা এখানে আপনার কম্পিটেটর অনেক বেশি। 

ফাইবারে আরও একটি অসুবিধা হলো: ফাইভার এর চার্জ। আপনার এবং ক্লায়েন্টের কাজের পরিমাণের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণের চার্জ ধার্য করবে ফাইভার কতৃপক্ষ। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ফ্রিল্যান্সার একটি কাজের জন্য $100 চার্জ করে, তাহলে ফাইভার $20 পরিষেবা চার্জ নেবে।

পেমেন্ট যেভাবে তুলবেন

কাজ করার পর পেমেন্ট নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না কেননা এখানে রয়েছে মাল্টিপল পেমেন্ট গেটওয়ে। পেমেন্ট পার্টনার গুলো হলো: পেপাল, মাস্টার ও ভিসা কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট সহ অন্যান্য ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সমূহ। 

অ্যাটসি (Etsy)

Etsy হলো একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস, যেখানে বিক্রেতারা তাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে পারেন। Etsy প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে, এবং এটি বিশ্বের ১২০ টিরও বেশি দেশে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার রয়েছে। 

কি কি ধরনের জিনিস বিক্রি করা যায় এখানে?

  • পোশাক
  • গয়না (সবচেয়ে বেশি বিক্রিত জিনিস) 
  • হাতে তৈরি টেবলওয়ার 
  • ঘরের বিভিন্ন জিনিস 
  • হাতে তৈরি উপহার 
  • খেলনা 
  • হাতে তৈরি খাবার 

সহ আরো অনেক কিছু..  

ফিচার্স সমূহ ও সুবিধা সমূহ 

  1. বিক্রেতা হিসাবে এখানে একাউন্ট করা খুব সহজ
  2. আপনার তৈরি কৃত আইটেম গুলি করে তার হাতে পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠানটি সাহায্য করবে
  3. আমরা তো লিখিত পণ্য সরাসরি ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে
  4. কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই অনলাইন শপ সেটআপ করা যায়
  5. ক্রেতার সাথে দামাদামি করা এখানে খুব সহজ

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

এই ওয়েবসাইটি বেশ জনপ্রিয় যার কারণে এখানে ব্র্যান্ডিং করে তোলাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য। তবে একবার আপনি আপনার পণ্যের ঠিকভাবে করে ফেলতে পারলে খুব ভালো পরিমাণের আয় করতে পারবেন। যেহেতু এখানে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির উপরে অনেকেই নিজের অনলাইন শপ করে তুলেছে সেক্ষেত্রে অসংখ্য বিকৃতদের মধ্যে আপনি একজন হবেন যা কিছুটা আশঙ্কাজনক। 

তাছাড়া প্রতিটি বিক্রির জন্য প্ল্যাটফর্মটি আপনার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে সেবা চার্জ ধার্য করবে। এবং আরেকটি অসুবিধা এই যে, পূর্ণ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কিংবা সমস্যার সম্মুখীন হলে সেটিকে আপনার নিজের মোকাবেলা করতে হবে এক্ষেত্রে প্লাটফর্ম কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। 

গুগল অ্যাডসেন্স (Google Adsense)

আপনাদের মধ্যে কমবেশি সকলেই এডসেন্স সম্পর্কে অবগত যেটি গুগলের পক্ষ থেকে প্রদান কৃত বিজ্ঞাপন সেবা।  এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করতে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং অথবা ইউটিউবে সংক্রান্ত কার্যক্রম করতে হবে। আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট থাকবে কিংবা একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকবে সেখানে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন।

 গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার  উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ টিউটরিয়াল ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য উক্ত আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন তবে এখানেও বেসিক কিছু তথ্য জানিয়ে রাখছি। 

কাজের ধরণ

এখানে কাজের ধরন খুবই সহজ, আপনাকে স্রেফ প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সেখান থেকে একটি কোড পাবেন যে কোড আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত করতে হবে। তারপরে গুগলের পক্ষ থেকে আপনার ওয়েবসাইট রিভিউ হতে চলে যাবে এবং গুগল যদি মনে করে আপনার ওয়েবসাইটটিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যেতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে এপ্রুভ করা হবে। এডসেন্স অ্যাপ্রুভের পর আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিনিধিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে এবং প্রতিটি বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভর করে কিছু ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী আপনাকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ প্রদান করা হবে। 

ফিচার্স সমূহ ও সুবিধা সমূহ 

  • গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ হয় করা সম্ভব।
  • যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটেই গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করানো যায়।
  • গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে আপনাকে কোন প্রকার অর্থ খরচ করতে হবে না।
  • আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হবে আপনার কন্টেন্ট অনুযায়ী।
  • গুগল এডসেন্সে আপনি আয় করতে পরবেন কি না সেটা নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটের উপরে। তবে আপনি যদি প্রথম দিকে এখান থেকে আয় করতে একেবারেই সক্ষম না হয়ে থাকেন তবে আপনার একাউন্টে ব্যান করে দেওয়া হবে না। 

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

যে কোন জিনিসের সুবিধা ও অসুবিধা উপায় রয়েছে সে সুবাদে google এডসেন্সের অনেকগুলো সুবিধা থাকার পরেও এখানে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো:

গুগলের এডসেন্স থেকে প্রাপ্ত আয় খুবই কম। এখানে সিপিসি খুব কম দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন আপনি বাংলা কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবেন সে ক্ষেত্রে সিপিসির পরিমাণ যা হবে তা আপনার কাছে খুব কম  মনে হতে পারে। তবে ইংরেজি  ভালোভাবে রিসার্চ করে কাজ করলে ভালো রিভিউ আশা করা যেতে পারে। 

আপনার ওয়েবসাইটে কি ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে তার কিছুটা কন্ট্রোল আপনার কাছে থাকলেও দিন শেষে google সিদ্ধান্ত নিবে ঠিক কি ধরনের  বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হবে। 

যখনই আপনার ওয়েবসাইটে কোন ইউজার ইচ্ছাকৃত কিংবা পরিকল্পনামাফিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে, বা গুগলের মনে হবে এটা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হচ্ছে তখন আপনার এড ব্লক করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে যতক্ষণ না অবধি গুগলের মনে হবে ওয়েবসাইটের ভিজিটর স্বাভাবিক এবং পরিকল্পনা মাফিক বিজ্ঞাপনে ইনভ্যালিড ক্লিক করা হচ্ছে না ততক্ষণ উক্তি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ থাকবে পাশাপাশিও আয়ও বন্ধ থাকবে। 

পেমেন্ট যেভাবে তুলবেন

গুগল এডসেন্স থেকে পেমেন্ট নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না কেননা আপনি যে কোন দেশেই থাকে থাকুন না কেন সে দেশের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে গুগল থেকে সরাসরি পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। 

Microworkers

Microworkers হল একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে একদল মানুষ নিজেদের ছোট ছোট কাজ গুলিকে অন্য দলের দিয়ে করিয়ে নেয়, যারা উক্ত কাজ গুলো করতে ইচ্ছুক। এটি বিশ্বের যেকোনও জায়গা থেকে যে কেউ কাজ করতে পারে। 

কি কি ধরনের কাজ রয়েছে এখানে? 

Microworkers-এ আপনি যে ধরনের কাজগুলি খুঁজে পেতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে:

  • ডেটা এন্ট্রি
  • অনুবাদ
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • টেক্সট রাইটিং

এবং আরও অনেক কিছু!

ফিচার্স সমূহ ও সুবিধা সমূহ 

এখানে কাজ করতে আহামরি দক্ষ হওয়া লাগে না, ব্যাসিক জ্ঞান থাকলেই হয়।

একটিভ ইনকামের জন্য অনেক ভালো মাধ্যম।

আপনি কাজ গ্রহন করলে সেটাকে করতে হবে এবং কাজ জমা দেয়ার পরে এপ্রুভ হলে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। খুব সহজ হিসাব। 

আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজের ধরণ ও কাজ বেছে নিতে পারবেন। 

এখান থেকে প্রতি কাজের জন্য ০.৫ ডলার থেকে ৫ ডলার অব্দি পেতে পারেন কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে।

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

  • অতিরিক্ত পরিমাণের আয় করতে পারবেন না
  • কোনো ভাবেই ফুল টাইম জব হিসেবে গ্রহন করতে পারবেন না 
  • কাজের পরিমাণ উঠা নামা করতে পারে

পেমেন্ট যেভাবে তুলবেন

সর্বনিম্ম ৯ ডলার হয়ে গেলেই এখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য পেওনিয়র অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার এর মত মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। 

বিল্যান্সার ডটকম

বিল্যান্সার হলো বাংলাদেশে তৈরি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে দেশিও প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এখানে বর্তমানে ফিক্সড প্রাইজের অসংখ্য প্রজেক্ট পাওয়া যায়। সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে অনেক বড় পরিমাণ অর্ধেক প্রজেক্ট বর্তমানে এখানে পাওয়া যাচ্ছে। এখন অব্দিও যদিও বাংলাদেশের নাগরিকরাই এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারছে এবং কাজ করতে পারছে তবে ভবিষ্যতে দেশের বাইরের লোকদেরকেও ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ দিবে এই প্লাটফর্মটি। প্রশ্ন হচ্ছে এখানে কি কি ধরনের কাজ করা যেতে পারে? আসুন জেনে নেই। 

কি কি ধরনের কাজ রয়েছে এখানে? 

বিল্যান্সার ডটকম-এ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, যেমন:

  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • লেখালিখি
  • অনুবাদ
  • ভিডিও এডিটিং
  • অডিও এডিটিং
  • মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • অ্যাকাউন্টিং
  • ফাইন্যান্স
  • আইন
  • চিকিৎসা
  • প্রকৌশল
  • বিজ্ঞান
  • শিক্ষা
  • প্রশিক্ষণ

এবং আরও অনেক কিছু

ফিচার্স ও সুবিধা সমূহ 

  • বাংলাদেশ তৈরি ফ্রিল্যান্সার এবং গ্রাহকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ডেটাবেজ প্ল্যাটফর্ম এটি
  • প্লাটফর্মটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসর পাশাপাশি নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রদান করে
  • প্রতিটা কাজের পরবর্তীতে ফিডব্যাক দেয়ার সুবিধা রয়েছে
  • এখানে কাজ করলে নিশ্চিত পেমেন্ট গ্যারান্টি রয়েছে পাশাপাশি যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কাস্টমার সার্ভিস তৎপরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 
  • অ্যাকাউন্ট খোলা এবং কাজের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ ও সাবলীল। 

এখানে কাজ করার অসুবিধা 

খুব বেশি জনপ্রিয়তা না পাওয়ার কারণে এখানে কাজের পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। যার কারণে প্রতিযোগিতা খুব বেশি। এখানে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রমাণ দেখিয়ে দিতে হবে।  কিছুটা ইনএকটিভ বলা যায় এই প্লাটফর্মটিকে।  তবে বাংলাদেশে এই প্রথম ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যথেষ্ট ভালো কাজ করে যাচ্ছে বিল্যান্সার। 

পেমেন্ট যেভাবে তুলবেন

এখানে কাজ করার মাধ্যমে যে পেমেন্ট পাওয়া যাবে তা বাংলাদেশী মোবাইল ফাইন্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম (যেমন: বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়) থেকে গ্রহণ করা যাবে।

থিমফরেস্ট 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হল থিমফরেস্ট। আমরা জানি বর্তমানে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট না রয়েছে। এবং আগামীতে ওয়েবসাইটের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। একটা ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত যতগুলো এলিমেন্ট রয়েছে সেগুলোর প্রতিটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর অন্তর্ভুক্ত।  এমনই ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় করা হয় থিমফরেস্টের মাধ্যমে। 

মূলত সকল ধরনের ওয়েবসাইটের থিম পাওয়া যায়, এগুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য যেগুলো থিমফরেস্টে পাবেন তা হচ্ছে:

  • বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • প্লাগিন
  • এইচটিএমএল টেম্পলেট
  • বিভিন্ন ধরনের কোডিং স্ক্রিপ্ট
  • মিউজিক ক্লিপস
  • ভিডিও ক্লিপস
  • স্টক ফটো ইত্যাদি

আপনি যদি একজন ডিজিটাল প্রোডাক্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন বা এই বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তবে এখান থেকে আয় করার ভালো ব্যবস্থা তৈরি করে নিতে পারবেন।  আপনার তৈরি  ডিজিটাল প্রোডাক্টটি থিমফরেস্টের মাধ্যমে সেল করুন। বাংলাদেশ-ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের টুলস ডেভলপাররা থিমফরেস্ট থেকে টাকা ইনকাম করছে। 

আপনি আপনার নিজের তৈরি করা ডিজিটাল পণ্য, যেমন থিম, প্লাগিন, ইবুক, ওয়ার্কশপ, কোর্স ইত্যাদি এনভটো মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। যখন কেউ আপনার পণ্য কিনবে, তখন আপনি এনভটো থেকে কমিশন পাবেন।

bikroy.com

Bikroy.com বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে নতুন ও পুরাতন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকে।  আপনি যেকোনো ধরনের পণ্য খুঁজে থাকেন না কেন সে সবগুলো বিক্রয় ডট কম এর মধ্যে পেয়ে যাবেন। আপনি যদি নতুন কিংবা ব্যবহৃত পণ্য ক্রয় করতে ইচ্ছুক হন তবে এখানে থাকা বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে সহজেই সেগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ, কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে একাউন্ট করে ফেলুন bikroy.com এ। পরবর্তীতে আপনি কোন পণ্য বিক্রি করতে চাইলে বিজ্ঞাপনটি অন্যথায় ক্রয় করতে চাইলে হোম পেইজে থাকা সার্চ অপশনে থেকে কাঙ্খিত পণ্যটি খুঁজে নিন। 

সবচেয়ে ভালো ব্যাপার এই যে এখানে আপনাকে সেগুলোই দেখাবে যেগুলো আপনার নিজস্ব লোকেশনের আশেপাশে রয়েছে। আপনি সহজেই আপনার ব্যবহৃত জিনিস বিক্রি করার মাধ্যমে এখান থেকে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া এটি একটি অনলাইন শপ হিসেবেও উপস্থাপন করতে পারবেন।  আপনি চাইলে নতুন পুরাতন সকল ধরনের পণ্য এখানে বিক্রির উদ্দেশ্যে জানাতে পারবেন।  যখন কোন ক্রেতা আপনার পণ্যটি নিতে আগ্রহী হবে তখন সে নিজে থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার কাছে এসে পণ্যটি নিয়ে যাবে টাকার বিনিময়ে। 

কি কি ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারবেন?

এখানে প্রায় সকল ধরনের পণ্যের সমাগম দেখা যায়, তবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী নিম্মে উল্লেখিত পণ্য গুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন। 

  • মোবাইল ফোন
  • ল্যাপটপ
  • টিভি
  • ফ্রিজ
  • ওয়াশিং মেশিন
  • গৃহস্থালির সরঞ্জাম
  • আসবাবপত্র
  • গাড়ি
  • মোটরসাইকেল
  • জুতা
  • পোশাক
  • জুয়েলারি

এখানে বিক্রয়ের কাজ করে ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে লেনদেন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে বিক্রয় ডটকম অন্যতম। 

পরিশেষে কিছু কথা 

কোনো কাজ ছোট নয়, কোনো কাজ সহজ নয়। টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার যেটাই করতে হোক না কেনো, সে কাজে প্রয়োজন দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও ধৈয্যের সহিত নিয়মিত পরিশ্রম করে যাওয়া। এই আর্টিকেলে উল্লেখিত ১০ টি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন যদি আপনার এমন ডেডিকেশন থেকে থাকে। আর কেবল এই দশটি ওয়েবসাইট নয়, বরং টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট রয়েছে হাজার হাজার, আপনি যদি আরো অন্যান্য টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে চান তবে Online Taka Income ওয়েবসাইটের online earning Site ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।