প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । পার্ট ২ । বাস্তব উপায়  

Salim Mahamud

Updated on:

প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । পার্ট ২ । বাস্তব উপায়  

অনলাইনে টাকা ইনকাম ওয়েবসাইট থেকে ইতিমধ্যে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সংক্রান্ত একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছিল কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায়, এবারও থাকছে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। তবে এই আর্টিকেলে দেখানো হবে সে সকল উপায় যেগুলো অনলাইনে নয় বরং বাস্তব জীবনে কার্যকর ভাবে করা যায়। যদি আরো সহজ করে বলা যায়, আপনি যদি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজে থাকেন,  পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক কোন কার্যক্রম করতে চাচ্ছেন না তবে এবারের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। 

আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করবো সাতটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়,যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। আপনি যদি এই ধারাবাহিকতার প্রথম আর্টিকেলটি মানে অনলাইনে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে ইতিমধ্যে না জেনে থাকেন, তবে এখানে ক্লিক করে সেটি দেখে নিতে পারেন কেননা সেখানে বিস্তারিতভাবে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা আছে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে। 

আচ্ছা তোর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি, প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বলা। তবে তার আগে এক নজরে দেখে নেই, অফলাইনে কিংবা বাস্তবিক উপায়ে মাসে 20000 টাকা আয় করার ক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজন হবে। 

প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে কি প্রয়োজন?

এটা মনে রাখার জরুরি যে, আমরা যে কোন কাজ করি না কেন সে কাজের দক্ষতা থাকা একান্ত প্রয়োজন। অর্থ আপনার কাছে হেঁটে হেঁটে চলে আসবে না, আপনাকে তা অর্জন করতে হবে কাজের মাধ্যমে। অন্যদিকে কাজ করার জন্য দরকার নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে দক্ষতা।  আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ রয়েছেন কিংবা হয়ে উঠতে চান।  এরপর সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আয়ের উৎস তৈরি করে নিতে হবে। 

আপনি যখন অনলাইনে কাজ করবেন তখন আপনাকে শারীরিক পরিশ্রম তেমন একটা করতে হয় না, অন্যদিকে আপনি যখন অফলাইনে কোন কাজ করতে যাবেন তখন শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা পরে। তাই যখনই আপনি অফলাইনে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজবেন তখন মানসিকভাবে শারীরিক পরিশ্রম করার মনোভাবটা আনতে হবে। 

মনে রাখা জরুরী যে কোন কাজেই ছোট নয়, এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোকে আমরা Odd Job বলে থাকি  তবে সে কাজগুলোতে রয়েছে প্রচুর টাকা। দিনশেষে আপনি কাজ করছেন অর্থ উপার্জনের জন্য তাই কি কাজ করছেন, অন্যরা সে কাজ সম্পর্কে কি ভাবছে, এইসব চিন্তা নিয়ে বসে থাকলে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। কোন কাজকে ছোট করে না দেখে প্রতিটা কাজের উপর সম্মান রেখে পরিশ্রম করে যেতে হবে। 

অফলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস যেটা খুব প্রবলভাবে আপনার প্রয়োজন হবে তাহলে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল। আপনাকে প্রচুর কথা বলতে হবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের সাথে, এক্ষেত্রে নিজেকে উপস্থাপন থেকে শুরু করে কিভাবে কোন ডিল আদায় করিয়ে নেওয়া যায় এবং কিভাবে কাউকে কথার মাধ্যমে কোন বিষয়ে সম্মতি প্রদান করানো যায় সে বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। 

নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে না বললেই নয়, আপনি যে কাজই করেন না কেন আপনার একটা ভালো নেটওয়ার্কিং থাকলে আপনি খুব সহজে সে কাজে পরিপক্ততা পাবেন। আপনার নেটওয়ার্কিং যতটা স্ট্রং হবে সে কাজে আপনার সফলতা ততটা সহজ হয়ে উঠবে। তাই চেষ্টা করবেন প্রথম থেকেই ভালো একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার। 

যাক, অনেক হলো আনুষাঙ্গিক আলোচনা এবার মূল বিষয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া যাক.. 

অফলাইনে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

এ পর্যায়ে যে কাজগুলো সম্পর্কে বলা হবে সেগুলোর নির্দিষ্ট কোন একাডেমিক যোগ্যতা কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়নি, এখানে সর্বোচ্চ প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে দক্ষতার। হাতে যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য হবে, কোন পেশাকে ছোট কিংবা বড় করে না দেখে বরং প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা যাবে এরকম উপায় গুলো নিম্নেও উপস্থাপন করা হয়েছে 

রাইড শেয়ারিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

আপনি যদি ড্রাইভিং স্কিল থেকে থাকে এবং আপনার কাছে একটি মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি রয়েছে, অথবা এগুলো নাও থাকতে পারে শুধুমাত্র ড্রাইভিং স্কিল রয়েছে; এবং এটাকে কাজে লাগিয়েই আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং হতে পারে আপনার অন্যতম সেরা পছন্দ। 

রাইড শেয়ারিং, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন কোন যানবাহনের, চলার পথে মানুষের প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এখন যথাসময়ে যথাযথ যান কোথায় পাওয়া যাবে? সেই সমস্যাটির যথাযথ সমাধান নিয়ে আসে বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম যেমন:  উবার, পাঠাও! বলা যায় চিরাচরিত গাড়ি ভাড়া প্রক্রিয়ার আধুনিক বাস্তবায়ন হল রাইড শেয়ারিং। 

এখানে একজন থাকবে যার  নিজস্ব কিংবা ভাড়া করা গাড়ি রয়েছে, এবং আরেকজন থাকবে যার নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হবে। এই দুইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে নিজেদের মধ্যে লেনদেন করার প্রক্রিয়াটি করে থাকে এই রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম গুলো।

প্রশ্ন হচ্ছে এখান থেকে আপনি কিভাবে আয় করবেন?  

যেহেতু আপনার ড্রাইভিং স্কিল রয়েছে এবং আপনার কাছে একটি মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি রয়েছে, অথবা ধরে নিলাম নেই কিন্তু আপনি ভাড়া করে নিয়েছেন। এবার আপনার প্রথম কাজ হবে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নেওয়া। 

পরবর্তীতে নিজের প্রোফাইল সেটআপ করুন, এবার যখনই কোন গ্রাহক ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ ব্যবহার করে রাইডার রিকোয়েস্ট পাঠাবে,  আপনি সে লোকেশনের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করলে রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে কাস্টমারকে রিসিভ করতে যাবেন সেই স্থানে। 

এরপর কাস্টমারকে তার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দিয়ে কাস্টমারের কাছ থেকে ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে অর্থ আদায় করুন।উল্লেখ খুঁজে কাস্টমার এবং রাইডার উভয়ের ফোনেই জিপিএস অন থাকতে হবে এবং সেটির উপর নির্ভর করেই প্ল্যাটফর্ম গুলো সচল থাকে। 

এভাবে আপনি দিনে যতটা সম্ভব  রাইডার হয়ে রাইড শেয়ারিং করুন। আপনি ঠিক কত টাকা মাসে আয় করতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনি কত  পরিমাণের রাইড শেয়ার করছেন। সত্যি কথা বলতে এখান থেকে কেবল ২০ হাজার টাকায় নয় বরং এর থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করা সম্ভব, বিভিন্ন লোকেশন ভেদে আয় এর পরিমাণ বৃদ্ধি কিংবা কম হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হলো: 

পাঠাও (Pathao): সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে তাদের যাত্রা শুরু করে বর্তমানে দেশের তিনটি বৃহৎ শহরে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশজুরে তাদের রয়েছে ৮০ লাখের বেশি গ্রাহক, এবং তাদের রয়েছে ৩ লাখেরও অধিক রাইডার। রাইডারদের কাছ থেকে প্লাটফর্মটি প্রতি প্যাসেঞ্জারের ভাড়ার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ চার্জ কেটে থাকে। 

উবার (Uber): এটি একটি আন্তর্জাতিক রাইট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আসে ২০১৬ সালে। বর্তমানে তাদের সেবাটি রয়েছে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কক্সবাজার ও সিলেট শহরে। কার, মাইক্রোবাস, মোটর বাইক, স্কুটার সহ বিভিন্ন যানবাহন রয়েছে গ্রাহকের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে। একজন রাইডার থেকে প্রতি প্যাসেঞ্জারের ভাড়ার প্রায় ২৫ শতাংশ কমিশন কেটে নেয় প্লাটফর্মটি। 

ওভাই (Obhai): পাঠাও এবং উবারের মতোই ওভাই হলো বাংলাদেশী রাইড শেয়ারিং সার্ভিস। এই প্লাটফর্মটির সেবা পাওয়া যায় ঢাকা,-চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, কুমিল্লা, কক্সবাজার এর মত শহরগুলোতে। 

এই তিনটি হলো বর্তমানের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং ব্যাপক ব্যবহৃত রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যার নাম হলো: 

  • টেক্সিওয়ালা, 
  • গতি, 
  • চলো, 
  • আমার বাইক, 
  • যাবো, 
  • পিক মি,
  • পিংক স্যাম, 
  • লিলি বা ওবোন ইত্যাদি। 

এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমতাবেক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে রাইডার হয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। 

মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন এর করা একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি ৪৪ লক্ষ মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে এমন একজনকে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন যার হাতে অন্তত একটি করে মোবাইল নেই। এত সংখ্যক মোবাইল ইউজারদের কেন্দ্র করে কোন ব্যবসা করে তোলা হবে না সেটা ভাবাটাও ভুল। এত এত মোবাইল ফোন এগুলো কি নষ্ট হয়ে যায় না? অবশ্যই যায় যখনই কোন মোবাইল ফোন নষ্ট হয় তখনই ইউজারের মাথায় সর্বপ্রথম যেদিন চিন্তাটি আসে হয়তো মোবাইলটিকে সার্ভিসিং করাবে অথবা নতুন একটি মোবাইল কিনবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মোবাইলটি সার্ভিসিং এর দিকে মানুষ বেশি ঝুকে। 

 আর এখানেই এক বিশাল অপর্চুনিটি রয়েছে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার। হ্যাঁ আপনি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।  এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে মোবাইলের যাবতীয় খুঁটিনাটি সার্ভিসিং এর কাজ শিখতে হবে। একবার যথাযথভাবে মোবাইল সার্ভিসিং এর যাবতীয় কাজ শেখা হয়ে গেলে মার্কেটে কিংবা জনবহুল কোন এরিয়াতে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন। 

কোথায় শিখবো?

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের মোবাইল সার্ভিসিং শেখা খুবই সহজ তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন মেয়াদ ভিত্তিক কোর্স যেগুলো করে মোবাইল সার্ভিসিং এর বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন হয়ে উঠতে পারবেন।  যাইহোক বলছিলাম ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি চাইলে শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলেও মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন। মোবাইল সার্ভিসিং এর প্রয়োজনীয়তা বেশি দেখা যায় এবং সেখান থেকে বেশি অর্থ আয় করার সম্ভাবনা থাকে। 

কেমন ইনভেস্টমেন্ট দরকার? 

এটিকে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে দেখতে পারেন এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার খুব বেশি অর্থের ইনভেসমেন্ট প্রয়োজন হবে না। আপনি কোথায় দোকানটি স্থাপন করতে চাচ্ছেন সেটার উপরে নির্ভর করবে আপনার ইনভেসমেন্ট এর পরিমাণ কেমন হবে। তাছাড়া মোবাইল সার্ভিসিং এর জন্য যে সকল এলিমেন্টগুলো দরকার সেগুলো ক্রয় করতে খুব বেশি অর্থ খরচ হবে না। প্রথমদিকে ছোট করে শুরু করে পরবর্তীতে ব্যবসা ভালো হওয়ার পাশাপাশি আরও আপগ্রেটেড মেশিনারি যুক্ত করতে পারেন  মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজে। 

শুরুর দিকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা জিনিসপত্র করে খরচ করলে কাজ শুরু করার কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা অব্দি আয় করতে সক্ষম হবেন। 

শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

শেয়ার মার্কেট খুব বিস্তৃত একটি আলোচনার বিষয়বস্তু, যদিও বিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে শেয়ার মার্কেট কে ইনভল্ভ করা যায় না, তবুও সাধারন ভাবে খুব কম করে শুরুর দিকে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করাকে বিবেচনায় রাখতে পারেন। 

আপনার কাছে যদি প্রাথমিকভাবে প্রচুর অর্থ থেকে তাকে এবং আপনি চাচ্ছেন সে অর্থগুলোকে এমন কোন মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন যেখান থেকে প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারেন সে ক্ষেত্রে সে আর মার্কেটে থেকে ভালো অন্য কোন  মাধ্যম দেখছিনা। এখানে আপনাকে শারীরিক  ভাবে কোন পরিশ্রম করতে হবে না, অন্যদিকে কোন ব্যবসার সংক্রান্ত কাজও করতে হবে না। আপনি শুধু নিজের  বিনিয়োগ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট করা টাকার উপরে মাসে 20 থেকে 50 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

তবে বলে রাখা ভালো যে, সল্প সময় ইনভেস্ট করার কোন মাধ্যম না। এখানে ইনভেস্ট করতে হবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। তবে এমন একটা সময় আসবে যখন আপনার ইনভেসমেন্ট থেকে প্রতি মাসে কিছু না কিছু আয় হবে তখন ২০ হাজার টাকা আয় খুব বেশি একটা ফিগার নয়। 

আপনি চাইলে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেও শেয়ার মার্কেটে পা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে খুব সুন্দর একটি এক্সপ্লানেশন রয়েছে, এখানে ক্লিক করে সেটি দেখে নিতে পারেন। 

যাইহোক শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের পূর্বে অবশ্যই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয় আপনার যদি শেয়ার মার্কের সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান না থেকে থাকে তাহলে এই উপায়টি আপনি স্কিপ করতে পারেন। তবে আপনি যদি ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই উপায়টি আপনার জন্যই। 

ছোট পরিসরে উদ্যোক্তা হয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া অন্যতম সেরা উপায় গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করছি। কেননা এখানে নিজের মতো করে কাজ করতে পারবেন, এবং নিজের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন। 

অনেকে রয়েছে যারা নিজের ব্যবসাদার করাতে নিজেই উদ্যোগ নিচ্ছে, হতে পারে খুব অল্প পরিসরে তবে ভালো আইডিয়া নিয়ে কাজ করলে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বরং এর থেকে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব যদি যথাযথভাবে আইডিয়ার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেন। 

স্বল্প পরিসরে শুরু করা যায় এমন অনেক উদ্যোগ রয়েছে। আপনার জন্য ঠিক কোনটা সঠিক হবে সেটা নির্ভর করছে একমাত্র আপনার উপরে। আপনি মার্কেট নিয়ে গবেষণা করুন নিজের চাহিদা এবং ইন্টারেস্টের জায়গা সিলেক্ট করুন। দেখুন আপনার কোন কাজটি করতে বেশি ভালো লাগে। 

যখন একবার ভালো লাগার সেক্টরটি বেছে নিতে সক্ষম হবেন তখন খুব সহজেই যে কোন একটি আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মতো মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবেন।  তবে হ্যাঁ উদ্যোক্তা হতে স্বল্প পরিসরে পুঁজির প্রয়োজন হয়, আপনাকে অবশ্যই হাতে কিছু পুঁজি রাখতে হবে। নিজে থেকে ভালো আইডিয়া খুঁজে বের করুন এবং উক্ত আইডিয়ার উপরে পুরো স্ট্রাকচার তৈরি করে ফেলুন। 

একজন ভালো উদ্যোক্তা সবসময় সুন্দর পরিকল্পনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম হয়, উদ্যোগ নেওয়ার মতো মনোবল থাকলে ইনভেসমেন্ট করার জন্য অনেক ইনভেস্টার পাওয়া যাবে। 

একটা কথা মনে রাখবেন, “সকল উদ্যোক্তারাই ব্যবসায়ী, তবে সকল ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নয়।” 

ব্যবসা করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

পূর্বের উপায়টিতে আমরা কথা বলেছি উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে তবে এবার কথা বলব ব্যবসা করার বিষয়ে। আপনি চাইলেই যে কোন একটি Existing  ব্যবসা থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে অনুরূপ ব্যবসা স্থাপন করতে পারেন। ব্যবসা হল সবচেয়ে সুন্দর এবং সহজ মাধ্যম অর্থ উপার্জন করার। ইসলাম ধর্মে ব্যবসা কে হালাল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

ব্যবসা করার ঝোলের প্রয়োজন একটি ভালো ব্যবসায়িক আইডিয়া, সেই আইডিয়ার উপরে যথাযথ পরিকল্পনা, পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজন মূলধন, মূলধনকে দক্ষতার সহিত পরিচালনার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিশ্রম। 

আপনার আশেপাশে এমনও হাজার ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে যেগুলো শুরু করতে খুব একটা পুঁজের প্রয়োজন হয় না। আবার এমনও ব্যবসা রয়েছে যেগুলো শুরু করতেই হয় লাখ টাকা দিয়ে। আপনি যেহেতু প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করার মতো একটি উপায় খুঁজে বের হচ্ছে সেক্ষেত্রে স্বল্প পুঁজির ব্যবসার মাধ্যমে এই উদ্দেশ্য হাসিল করা সম্ভব।

 বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া, ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান, শুরু করার পদ্ধতি সহ ব্যবসায়িক সকল বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে এখানে ক্লিক করুন। এখানে রয়েছে অসংখ্য ব্যবসায়িক আইডিয়া ও সে আইডিয়া গুলোকে কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। 

চাকরি করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

আপনি যদি খুব সহজ এবং ছাগলের একটি উপায় খুঁজে দেখেন প্রতিমাসের বিশ হাজার টাকা আয় করার জন্য তবে চাকরি করা হলো আপনার জন্য একদম যথার্থ। বর্তমানে এমন অনেক চাকরি রয়েছে যেগুলোর বেতন ২০ হাজার টাকা। এখানে কিছু সেক্টর সম্পর্কে বলা হলো যে সেক্টর গুলোতে আপনি চাকরি করতে পারেন। বাংলাদেশে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় এমন অনেক চাকরি আছে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইনার
  • ওয়েব ডেভেলপার
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  • মার্কেটিং এক্সপার্ট
  • সেলসম্যান
  • কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি
  • শিক্ষক
  • নার্স
  • রাঁধুনি 

সহ আরো অনেক অনেক জব। সব গুলো এখানে উপস্থাপন করা সম্ভব নয় তবে এখানে কেবল ধারণা প্রদান করলাম। এমন প্রায় অনেক ধরনের জব রয়েছে যেগুলোর বেসিক স্যালারি রেঞ্জ ২০ হাজার টাকা। তাই আপনার যদি যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরি করার মতো দক্ষতা থাকে তবে স্বাভাবিকভাবে চাকরি করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

ফটোগ্রাফি করে মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

বর্তমান যুগ ফটোগ্রাফির যুগ, মানুষ এখন তার প্রতিটি মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করতে ভালোবাসে।  আর এখানেই সুযোগের সৃষ্টি হয় ফটোগ্রাফারের। সকল মানুষের কাছে নিজস্ব ক্যামেরা নেই এবং ক্যামেরা থাকলেও সে ক্যামেরা থেকে  সুন্দর করে ছবি তোলার  দক্ষতাটা সকলের নেই। এমত অবস্থায় প্রয়োজন হয় একজন ফটোগ্রাফারের। আপনার যদি ছবি তুলতে ভালো লাগে এবং ছবি তোলার প্যাশন থেকে থাকে তবে ফটোগ্রাফি করে মাসে বিশ হাজার টাকা নয় বরং এর থেকেও বেশি অর্থ আয় করা সম্ভব। 

 ফটোগ্রাফি করে আয় করার  আরেকটি উপায় হলো বিভিন্ন ইভেন্টে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করা। বিশেষ করে বিয়ের ইভেন্টে একজন ফটোগ্রাফারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থেকে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে একজন ওয়েডিং ফটোগ্রাফারের ভাড়া সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

তাহলে একবার ভাবুন শুধুমাত্র একটি বিয়ে কভার করে এত টাকা আয় করা সম্ভব হলে আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে এই কাজটিকে গ্রহণ করেন তাহলে কত টাকায় করতে পারবেন? 

ফটোগ্রাফার মাধ্যমে আয় করার উপায় কি এখানেই শেষ? অবশ্যই নয়, ফটোগ্রাফি করে আপনি যে ছবিগুলো তুলেছেন সে ছবিগুলো বিক্রি করার মাধ্যমেও  প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা “ফটোগ্রাফি করে আয় করার উপায়” এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন। 

পরিশেষে কিছু কথা 

অথবা এই ছিল প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ, যেখানে আলোচনা করা হয়েছে অফলাইন ভিত্তিক কাজ সমূহ নিয়ে। আপনি বাস্তবিক জীবনে এ কাজগুলো করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু কি এই কাজগুলোই? না এমন কিছু নয় রয়েছে এমন হাজারো কাজ, হাজারো উপায়। Online Taka Income ওয়েবসাইটটিতে এমনও অসংখ্য টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয় প্রতিনিয়ত। পড়তে থাকুন, জানতে থাকুন এবং আয় করতে থাকুন। আপনার জন্য শুভকামনা।