ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় । Facebook থেকে আয়ের 7টি পদ্ধতি 

Salim Mahamud

Updated on:

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় । Facebook থেকে আয়ের 7টি পদ্ধতি 

আপনাকে স্বাগতম আমাদের এবার আর্টিকেলে, যার বিষয় হচ্ছে “ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়” আপনি যেহেতু এই  আর্টিকেলটি পড়ছেন তার মানে অবশ্যই “ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায়?” এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী। যে আপনি ঠিক  স্থানে অবস্থান করছেন, Online Taka Income নামক ওয়েবসাইটের এবারের আর্টিকেলে রয়েছে ফেসবুক থেকে আয় করার সাতটি দারুণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।  

ফেসবুক থেকে আয় করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ অবশ্য ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব এর জন্য রয়েছে অনেক অনেক পদ্ধতি। এবারের আর্টিকেলে জানাবো এমনই কিছু দারুন পদ্ধতি যেগুলো অনুসরণ করে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  তবে এখানে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম বলতে আপনাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ টাকা দিবে এমনটা নয়। হ্যাঁ কিছু কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে যেখানে আপনাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে অর্থ প্রদান করবে তবে সেটা একমাত্র একটি উপায়। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক উপায় যেগুলো করলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে সেটা করতে হবে ফেসবুককে কেন্দ্র করে। এখানে সরাসরি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার অর্থের সাথে সম্পৃক্ত নয় তবে, মার্কেটপ্লেস হিসেবে ফেসবুকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় সমূহ। তার আগে আসুন জেনে নেই ফেসবুক থেকে আয় করার সুযোগ সুবিধা গুলো কি। 

ফেসবুক থেকে আয় করার সুবিধা সমূহ 

ফেসবুক থেকে আয় করলে আপনার বেশ সুবিধা রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: 

১) আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার ও গ্রাহক প্রাপ্তির জন্য দারুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। 

২) সরাসরি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তাদের থেকে ফিডব্যাক নেয়া সহজ হবে। 

৩) এখানে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম পেয়ে যাবেন।

৪) বিনামূল্যে ফেসবুক নামক প্ল্যাটফর্মটি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা যায়

আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যেহেতু ফেসবুক বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লোকবহুল প্ল্যাটফর্ম তাই এখানে কাজ করে বেশি ভালো পরিমাণের অর্থ আয় করা সম্ভব এবার জানব সে পদ্ধতি যা অনুসরণের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করা যাবে। 

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় । ৭ টি কার্যকর উপায় 

অতঃপর এখানে ধাপে ধাপে সাতটি  উপায় সম্পর্কে জানানো হবে যে ছয়টি উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি কিংবা একাধিক সেক্টরে কাজ করে আপনিও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। 

ফেসবুকে কন্টেন্ট মনিটাইজ করে

ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন বা ভিডিও মনিটাইজেশন হলো এমন এক পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনি তৈরি কৃত ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে সেগুলো থেকে instream ads এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে ইনস্টিম এড হলো ছোট ছোট বিজ্ঞাপন যা আপনার ফেসবুক ভিডিও দেখানোর মাঝে মাঝে দেখানো হয়ে থাকে। আপনি আপনার দর্শকদের সে ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখার সুযোগ করে দেওয়ার কারণেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে কিছু পেমেন্ট করা হবে। 

ফেসবুকে যখন অ্যাডস দেখানো হয় তখন কোনভাবেই এটাকে স্কিপ করার চান্স থাকে না যেমনটা ইউটিউব এর ক্ষেত্রে হয়। আপনার ভিডিও চলাকালীন সময়ে যেকোনো একটি নির্ধারিত সময়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে এবং আপনার ভিউয়ার্স সেগুলোকে স্কিপ করতে পারবেনা। 

আপনার ভিডিওতে যত বেশি ট্রাফিক হবে,বা যত বেশি লোক আপনার ভিডিও দেখবে আপনার ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা এখানে তত বেশি। এ সকল ভিডিও আপনি চাইলে ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে সেখানে আপলোড করতে পারেন অথবা আপনার প্রোফাইল কে প্রফেশনাল মোডে রূপান্তর করে একই কাজ করতে পারেন। 

বর্তমানে ফেসবুক instream ads এর জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে রেখেছে।সেগুলো হলো আপনার প্রোফাইল অথবা পেইজে সর্বনিম্ন ১ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে এবং লাস্ট ৬০ দিনে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম প্রয়োজন হবে।

আপনার আপলোড ভিডিও অবশ্যই কপিরাইট বিহীন এবং আপনার নিজের তৈরি হতে হবে। তাছাড়াও ইন্সট্রিম এড বাদে লাইভ স্ট্রিমস এবং স্টার এর মত মাধ্যম থাকার কারণে ফেসবুক থেকে একাধিক উপায়ে আয় করতে পারবেন এবং এই পেমেন্ট গুলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ করবে। 

বিঃদ্রঃ ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করার জন্য আরো ভালোভাবে জানতে এখানে ক্লিক করুন এবং খুব ডিটেলস ভাবে প্রতিটা বিষয় জেনে নিন। 

ফেসবুক পেইজ তৈরি করে আয়

ফেসবুক প্রোফাইল বাদেও আরো দুইটি ফিচার্স রয়েছে যা হলো ( ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপ ) এখন বিষয়টি হচ্ছে এখান থেকে কিভাবে আয় করা যায়?  ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে হলে হয়তো আপনাকে উপরে উল্লেখিত প্রথম পদ্ধতি মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আয় করতে হবে অথবা আপনার ফেসবুক পেইজে লাইক এবং ফলোয়ার যদি অনেক বেশি থাকে তবে অন্য মাধ্যমেও এখান থেকে আয় করা সম্ভব। প্রশ্ন হচ্ছে মাধ্যমটি কি?  দেখুন এমন অনেক ব্লগার এবং ইউটিউব রয়েছে যারা তাদের কন্টেন্ট প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দেয়। এক্ষেত্রে যেহেতু ফেসবুক সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া গুলার মধ্যে অন্যতম, তাই ফেসবুকের আলাদা রয়েছে।

যখন আপনার পেইজে একটি নির্দিষ্ট নিজের ফলোয়ার্স থাকবে তখন উক্ত নিষে তৈরিকৃত কনটেন্ট সহজে প্রচার করা সম্ভব এবং সেখান থেকে ভালো পরিমাণের রিচ পাওয়া সম্ভব। এবং এই বিষয়টির সুবিধা গ্রহণ করে বিভিন্ন ব্লগার এবং ইউটিউবাররা। তারা বিভিন্ন পপুলার facebook পেইজের সাথে কন্টাক্ট করে তাদের কনটেন্ট প্রচার করায়। যার বিনিময়ে ভালো পরিবারের অর্থ ফেসবুক পেজ ওনারদের দিয়ে থাকে। 

ফেসবুকে পেজ তৈরি করা খুব সহজ, তবে সেখানে ফলোয়ার নিয়ে আসা এবং পপুলার করে তোলা কিছুটা কষ্টসাধ্য কাজ। তবে একবার দশ হাজার বা তার বেশি ফলোয়ার হয়ে গেলে খুব সহজেই এখান থেকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে এবং কনটেন্ট শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে সক্ষম হবেন। 

এতো গেলো একটি পদ্ধতি, ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এক টাইমে অনেক বেশি আয় করার দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে ফেসবুক পেজ বিক্রি করে দেওয়া। আপনি চাইলে ফেসবুকেই ফেসবুক পেজ বিক্রি করতে পারবেন। আপনার পেজটি যদিও উন্নত মানের হয় তাহলে সেখান থেকে এক টাইমে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। Facebook পেজটি বিক্রি করা হোক কিংবা এখানে কনটেন্ট পাবলিশের মাধ্যমে আয় করা হোক উভয় কাজের জন্য আপনাকে ফেসবুক পেজটিতে কন্টাক্ট ইনফরমেশন সঠিকভাবে দিয়ে রাখতে হবে এবং আপনি যে বিজ্ঞাপন দেখাতে চাচ্ছেন কিংবা বিক্রি করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে একটা অ্যারাউন্সমেন্ট দিয়ে রাখতে হবে। 

ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে আয়

উপরের পদ্ধতিতে যেমন facebook পেজ নিয়ে বলা হয়েছে,এখানেও তেমন গ্রুপ নিয়ে বলা হবে। আপনারা জানেন গ্রুপ ক্রিয়েট করা খুব সহজ এবং একটি ফেসবুক গ্রুপে লক্ষ লক্ষ মেম্বার অব্দি থেকে থাকে। গ্রুপে যত বেশি মেম্বার আপনার গ্রুপটি তত বেশি সফল এবং সেখান থেকে আয় করা তত বেশি সহজ হবে। অবশ্যই ফেসবুক গ্রুপ হয়ে থাকে একটি নির্দিষ্ট বিষের উপর দাঁড় করে। 

উক্ত নিশকে কেন্দ্র করে চালাতে পারেন আপনার ব্যক্তিগত ব্যবসা, করতে পারেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,গ্রহণ করতে পারেন স্পন্সরশিপ কন্টেন্ট,  ভাড়া দিতে পারেন বিভিন্ন ব্লগার ও ইউটিউবারদের কে, আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটি তা হচ্ছে আপনি ফেসবুক গ্রুপটি বিক্রিও করতে পারবেন খুব উচ্চ প্রাইজে। সাধারণত একটি ফেসবুক গ্রুপে দশ হাজার মেম্বার হয়ে গেলে সেখান থেকে এই সকল কাজগুলো করা যাবে। 

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে জিনিস বিক্রি করে

ফেসবুক ব্যবহার করছেন অথচ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ বর্তমানে খুব কমই রয়েছে। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস, এমন একটি সার্ভিস ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে যেখানে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট সার্ভিস কিংবা অফার ফেসবুকে থাকা ট্রাফিকের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য থাকতে হবে আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট এবং মার্কেটপ্লেসে তৈরি আরো একটি অ্যাকাউন্ট। 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি একটি পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে। আপনাকে সর্বোচ্চ যা করতে হবে তাহলে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানান দিয়ে মার্কেটে পোস্ট করতে হবে। যদি কোন গ্রাহক কিংবা ক্রেতা আপনার পণ্য বা সেবাটি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হয় তবে সে নিজে থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। খুব সহজেই কোন প্রকার অনলাইনে shop তৈরি করা ছাড়াই বিনামূল্যে এখান থেকে পেয়ে যাচ্ছেন হাজারো কাস্টমার। 

এক্ষেত্রে আপনার যা করতে হবে তা হচ্ছে প্রথমে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। যথেষ্ট ইউনিক এবং চাহিদা সম্পন্ন পণ্য বাছাই করতে হবে। সে পণ্যটি হোলসেল মার্কেট বা পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করতে হবে। প্রোডাক্ট এর ছবি এবং অন্যান্য ডিটেলস নিয়ে মার্কেটপ্লেসে পোস্ট করতে হবে। এরপর বিভিন্নভাবে ওই প্রোডাক্টের পোস্টটিকে মার্কেটিং করতে হবে, এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে প্রধানকৃত promote ad অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। 

এরপর ওই প্রোডাক্ট এর চাহিদা আছে সকলে এরিয়াতে রয়েছে সে সকল এরিয়ার জনগণের কাছে পৌঁছাতে প্রমোট অ্যাড ইউজ করুন অথবা কাস্টম ভাবে তাদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুন। মনে রাখবেন অনলাইনে ব্যবসা করার সময় যে দুইটি বিষয়ে অবশ্যই ফোকাস রাখতে হবে তা হলো: চাহিদা সম্পন্ন পণ্য এবং কম দামে তার প্রোভাইড করা।  এই দুইয়ের কম্বিনেশনে যদি আপনি কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কোথাও হাজির হন তবে অবশ্যই আপনার ব্যবসা সফল হবে। 

তারপর যখন ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার কাছে অর্ডার আসবে, তখন পণ্যটি যেকোনো এক হোম ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পণ্যটি পৌঁছে দিবেন। 

ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়ে প্রোগ্রাম

আপনি যদি এই মুহূর্তে অনলাইনে ব্যবসা করার মতো আর্থিক সক্ষমতা না রাখেন তবে উপরে উল্লেখিত ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং একক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্য কোম্পানির প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।  এক্ষেত্রে আপনাকে কোম্পানিগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হতে হবে। যুক্ত হওয়ার পর সে সকল কোম্পানির পণ্য বা সেবাকে নিজের মতো করে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রাহক নিয়ে দিতে হবে। যখন আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে কোন গ্রাহক পণ্যটি বা সেবাটি ক্রয় বা গ্রহণ করবে, তখন সেই ক্রয়ের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন আপনাকে প্রদান করা হবে। 

প্রশ্ন হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ কেন যুক্ত হব? তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এখানে আপনি যে কাজটি করছেন তা অনেকাংশে একটি ব্যবসার অন্তর্ভুক্ত, এবং এই ব্যবসাটি করতে আপনাকে এক টাকাও অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না, আপনার না প্রয়োজন হচ্ছে আগে থেকেই পন্য কিনে রাখা, আর না প্রয়োজন পড়ছে সে পন্যকে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।  এই সকল কাজ করবে কোম্পানি আপনি যা করবেন তা হলো কোম্পানির সাথে গ্রাহকের যোগাযোগ করিয়ে দিবেন। তারপর যখন গ্রাহক কোম্পানির কাছ থেকে পণ্যটি ক্রয় করবে তখন আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। 

 এই কাজটি করার জন্য আপনি ফেসবুক মার্কেটে ব্যবহার করতে পারেন অথবা ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল কিংবা পেজ এমনকি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমেও একই কাজ করতে পারেন। মনে রাখতে হবে আপনার কাছে যত বেশি ট্রাফিক থাকবে ফেসবুক থেকে আপনি তত বেশি আয় করার মত অপরচুনিটি পেয়ে যাবেন। 

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে দারুন পারফর্ম করছে এখন কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো: 

আপনাকে যা করতে হবে তাহলে শুরু করে দেওয়া। একবার শুরু করে দিলেই আপনি সব কয়টা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকবেন তবে যতক্ষণ না অব্দি শুরু করছেন ততক্ষণ না অব্দি কোনই লাভ হচ্ছে না। আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন সে বিষয়ে যদি আরো বিস্তারিতভাবে জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত কনটেন্ট গুলো দেখতে পারেন। 

ফেসবুক এড স্পেশালিস্ট হয়ে

উপরে আমরা দুইটি ব্যবসা কেন্দ্রিক আয়ের ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। এক হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে এবং অন্যটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে। এখন বিষয়টি হচ্ছে আপনি যখন এই দুইটি কাজ করতে যাবেন তখন আপনার প্রয়োজন হবে নির্দিষ্ট লোকেশনে নির্দিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছানো। এই কাজটি আপনি কিভাবে করবেন? সবসময় কি এমন হবে যে আপনি পোস্ট করেছেন এবং ওই পণ্যটি যার প্রয়োজন তার কাছেই নোটিফিকেশন চলে যাচ্ছে? এটা তো সম্ভব নয় তাই না? এবং এখানেই উঠে আসছে ফেসবুক এডস বা promote ad এর কথা। 

ফেসবুকে থাকা কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে আপনার গ্রাহক কে হবে তা খুজে বের করার জন্য সবচেয়ে দারুণ যে উপায়টি রয়েছে তা হল facebook ads.  এটার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট এরিয়াতে নির্দিষ্ট জেন্ডার এবং নির্দিষ্ট মানুষের কাছে (যাদের পণ্য বা সেবার চাহিদা রয়েছে)  পৌঁছাতে পারবেন খুব সহজেই। 

ফেসবুকে কেন্দ্র করে যতগুলো ব্যবসায়ী রয়েছে সে সকল ব্যবসায়ীর প্রয়োজন একজন facebook ads স্পেশালিস্ট। যে কিনা তার পণ্য বা সেবার যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারবে জনসাধারণের কাছে এবং সেখান থেকে বাছাইকৃত কাস্টমার দের কাছে পৌঁছাতে পারবে নিজের পণ্য। 

তাই আপনি যদি facebook এড বিশেষজ্ঞ হয়ে যান তবে এটা ধরে রাখতে পারেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আপনি সেফ জনে রয়েছেন। কেননা, বর্তমান সময় থেকে আগামী পাঁচ বছরে অন্ততপক্ষে ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাড স্পেশালিস্টদের চাহিদা শীর্ষস্থানে থাকবে। 

আপনি যদি দক্ষতার সাথে আপনার কাজ করতে সক্ষম হন তবে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির লোকেরা এসে আপনাকে হায়ার করবে।  প্রথম দিকে কাজ পেতে কিছুটা কষ্ট করতে হলেও আপনি যখন এ বিষয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করতে সক্ষম হবেন তখন আপনার কাছে কাজের অভাব হবে না কেননা প্রতিনিয়ত ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং এফিলিয়েট এর মাধ্যমে নিত্য নতুন অপরচুনিটির সৃষ্টি হচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে

বর্তমান সময়ে সব ধরনের কোম্পানিগুলোর একটি করে সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে। কিন্তু আপনার কি মনে হয় এই সকল অ্যাকাউন্টগুলো কোম্পানি নিজে থেকে মেইনটেইন করে? অবশ্যই নয়। কোম্পানি বাদ দেই রয়েছে অনেক বড় ইনফ্লুয়েন্সার, সেলিব্রেটি ধাঁচের মানুষজন। যাদের ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছে সময়ের স্বল্পতা, আর এই স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজ করার কাজটি করানোর জন্য তারা হায়ার করে থাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজার। অন্যান্য গুলোর মতই রয়েছে ফেসবুক প্রোফাইল পেইজ ম্যানেজারও।  আপনি যদি ফেসবুক স্পেশালিস্ট হয়ে থাকেন তবে আপনি এই সকল কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারেন। 

এক্ষেত্রে কোম্পানির পেইজ ম্যানেজমেন্টে যে কাজগুলো করতে হয় তা হলো তাদের পণ্য বা সেভার প্রতিনিয়ত পোস্ট করা পোস্টে থাকা কমেন্টগুলো রিপ্লাই করা পেইজে আসাম মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া সহ বিভিন্ন রকমের কাজ যা সরাসরি গ্রাহকের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার জন্য করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই রকম কাজ, তাদের বিভিন্ন ছবি ভিডিও তৈরি করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা সেখানে লাইক কমেন্ট এবং মেসেজের মনিটরিং করা সহ বিভিন্ন করতে হয় সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে। 

আপনিও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে অন্য ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার মাধ্যমে মাসিক হারে ইনকাম করতে পারেন। সবচেয়ে দারুন ব্যাপার হলো, এই কাজটি করার জন্য আপনাকে যেতে হবে না কোন অফিসে আপনি ঘরে বসে কাজটি করতে পারবেন পাশাপাশি ফুলটাইম সময় দিতে হবে না কাজটিকে আপনি পার্ট টাইম হিসেবে নিতে পারেন এবং মাস শেষে একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের অর্থ আপনার পকেটে থাকবে। 

পরিশেষে কিছু কথা 

দেখলে তো ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো। এবারের পর্বে আলোচনা করেছি সাতটি ভিন্ন ভিন্ন উপায় যেগুলোর একটি কিংবা একাধিক অনুসরণ করে আপনিও facebook নামক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে আয় করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আরো অন্যান্য পদ্ধতি এবং দারুন সব আইডিয়া পেতে অনুসরণ করুন আমাদের ওয়েবসাইটটি।