ফ্রি টাকা ইনকাম । ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় 

Salim Mahamud

ফ্রি টাকা ইনকাম । ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় 
ফ্রি টাকা ইনকাম । ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় 

ফ্রি টাকা ইনকাম । ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় 

ফ্রিতে টাকা ইনকাম চাই, কি করা যায় বলুন তো? একদমই কোনো প্রকার টাকা পয়সা খরচ করতে পারবো না। কাজ করবো তারপরেই টাকা ইনকাম করবো, থাকবে না কোনো ইনভেস্টমেন্ট আর থাকবে না কোনো এড ফি এর ভেজাল। আছে এমন কোনো উপায় যেখানে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়?

অবশ্যই আছে, আপনি যদি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে চান এবং এই বিষয়ক যথাযথ গাইডলাইন খুজে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি বিশেষ ভাবেই আপনার জন্যই। আসুন জেনে নেই রহস্য.. 

ফ্রিতে টাকা ইনকাম ! আসলেই কি সম্ভব? 

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়? টাকা ইনকাম করা কি সত্যিই এতো সহজ? প্রাথমিক ভাবে উত্তর এখানে হ্যাঁ আবার না। খুলে বলছি, এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না যে আপনি একদম চুপ করে বসে থাকলেন আর টাকা উড়ে উড়ে আপনাকে কাছে  চলে আসলো। আপনি ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন, তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু ভ্যালু প্রোভাইড করতে হবে যার জন্য আপনাকে যেকেউ টাকা প্রদান করতে ইচ্ছুক হয়ে উঠে। 

আপনাকে অবশ্যই এমন একটা সার্ভিস কিংবা প্রোডাক্ট খুজে বের করতে হবে যেটাকে কেন্দ্র করে আপনি এই বিষয়টি ঘটাবেন। আর হ্যা, কোনো প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই – অর্থাৎ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় এমন অনেক উপায়ই রয়েছে। এবারের আর্টিকেলটিতে মূলত এই সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক। 

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ 

এই পর্যায়ে একেক করে মোট ১০ টি পৃথক পৃথক উপায় সম্পর্কে জানাবো, যেগুলোর একটি কিংবা একাধিক অনুসরণের মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দেখে নেয়া যাক উপায় গুলো। 

ব্লগিং করে আয় 

ব্লগিং করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি ভালো মানের ব্লগ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগের কন্টেন্ট অবশ্যই আকর্ষক এবং তথ্যপূর্ণ হতে হবে। এছাড়াও, আপনাকে আপনার ব্লগের জন্য নিয়মিত উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।

Blogging করে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। প্রথমদিকে আপনার আয় খুব বেশি হবে না। তবে ধীরে ধীরে আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়লে আপনার আয়ও বাড়বে। এটাকে অনেকটা ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা বলা যেতে পারে। কেননা আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে কোনো প্রকার অর্থ খরচ করতে হবে না। 

যদিও ব্যাসিক পর্যায়ে কিছু খরচ আছে যেমন – ডোমেইন, হোস্টিং এবং ওয়েবসাইট বিল্ড এর জন্য ব্যাসিক খরচ। তবে আপনি যদি নিজেই নিজের ব্লগের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করেন কিংবা লিখে থাকেন তবে এক্সট্রা করে কোনো খরচ হবে না বরং এখান থেকেই আপনার প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট হবে। 

ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় 

আপনি যদি অনলাইনে সহজ কোনো কাজের মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা ইনকাম চান তবে ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে পারেন। ক্যাপচা এন্ট্রি হলো অনলাইনে সবচেয়ে সহজ কাজ গুলোর মধ্যে অত্যতম। এখানে ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ক্যাপচা এন্ট্রি করে ভালো আয় করতে পারেন।

অন্যদিকে ক্যাপচা হলো এমন একটি ছবি, যা রোবট বা স্প্যাম থেকে মানুষকে আলাদা করতে ব্যবহার করা হয়। ক্যাপচা এন্ট্রি হলো সেই ক্যাপচার ছবি দেখে সঠিক উত্তর টাইপ করা। That’s All. ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

ক্যাপচা এন্ট্রি করে প্রতি ১০০০ ক্যাপচা টাইপ করার জন্য সাধারণত এক থেকে দেড় ডলার দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৩০০ ক্যাপচা টাইপ করলে মাসে ৩০০০-৫০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য কিছু ভালো সাইট

  • 2Captcha
  • CaptchaTypers
  • Kolotibablo
  • MegaTypers
  • ProTypers

আর্টিকেল লিখে আয় 

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য আর্টিকেল লিখে আয় করা থেকে ভালো উপায় আর অন্যটি নেই। এটি এমন এক ধরনের কাজ যেখানে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন এবং আপনাকে কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না। একদম ফ্রিতেই আর্টিকেল লিখে সেটার উপর টাকা পাবেন। 

লেখালেখি একটি শখ, আবার পেশাও হতে পারে। যদি আপনি ভালো লেখালেখি করতে পারেন, তাহলে তা থেকে আয় করার সুযোগ রয়েছে। আর্টিকেল লিখে আয় করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে।

১. অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা

বর্তমানে অনলাইনে বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যেকোনো একটি বিষয়ে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। যেহেতু এখন কথা হচ্ছে আর্টিকেল লিখা বিষয়ক তাই কেবল এই বিষয়টি ফোকাস করুন। 

কিছু জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়:

  • ফাইভার
  • আপওয়ার্ক
  • ফ্রিল্যান্সার

এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের নমুনা উল্লেখ করতে হবে। এরপর আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চান (আর্টিকেল রাইটিং) সে বিষয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ক অফার খুঁজে বের করতে পারেন। ওয়ার্ক অফারে কাজের ধরন, সময়সীমা এবং পেমেন্টের পরিমাণ উল্লেখ করা থাকে। আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যেকোনো একটি ওয়ার্ক অফারে আবেদন করতে পারেন।

এই সেক্টরে কাজ করে অনেক টাকা আয় করা যায়, স্বাভাবিকভাবে একটা ১০০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলের ক্ষেত্রে পেমেন্ট ধার্য করা হয় দুই ভাবে। ১) আপনি যদি ওয়ার্ড ভিত্তিক লিখেন; ২) আপনি যদি প্রজেক্ট ভিত্তিক লিখেন। ওয়ার্ড ভিত্তিক হলে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য বাংলা আর্টিকেলে ০.৩০ টাকা ধার্য হয় অন্যদিকে ইংরেজির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ম ০.৫০ টাকা প্রতি শব্দে ধার্য করা হয়ে থাকে। 

২. নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করে আয় 

আপনি যদি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তাহলে তা থেকে আয় করার সুযোগ রয়েছে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ লেখা প্রকাশ করলে পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন (Google Adsense) প্রদর্শন করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন।

৩. বই বা ইবুক প্রকাশ করা 

আপনি যদি কোনো বিষয়ে ভালো জানেন ও লেখেন, তাহলে সে বিষয়ে বই বা ইবুক প্রকাশ করতে পারেন। আপনার লেখা বই বা ইবুক পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হলে তা থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। বই বা ইবুক প্রকাশ করার জন্য আপনি নিজেই প্রকাশক হতে পারেন, অথবা কোনো প্রকাশকের সাথে কাজ করতে পারেন।

৪. নিবন্ধন বা সাক্ষাৎকার দিয়ে আয় করা

আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে সে বিষয়ে লিখিত পরামর্শ (আর্টিকেল) বা সাক্ষাৎকার দিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন পত্রিকা, ওয়েবসাইট বা টিভি চ্যানেল বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল প্রকাশের এবং সাক্ষাৎকারের জন্য লেখকদের খোঁজে থাকে। আপনি যদি এই ধরনের কোনো সুযোগ পান, তাহলে তা গ্রহণ করে আয় করতে পারেন। যদিও এর জন্য আপনাকে জনপ্রিয়তার কাতারে থাকতে হবে। 

৫. আর্টিকেল রাইটিং কোর্স তৈরি করে আয় 

আপনি যদি লেখালেখিতে দক্ষ হন, তাহলে লেখালেখির কোর্স বা সেমিনার করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লেখালেখির কোর্স বা সেমিনার পরিচালনা করে থাকে। আপনি যদি এই ধরনের কোনো কোর্স বা সেমিনার পরিচালনা করেন, তাহলে তা থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয় 

ইউটিউব থেকে আয় করার প্রধান উপায় হল বিজ্ঞাপন। ইউটিউব ভিডিওর মাঝে এবং ভিডিওর আগে এবং পরে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এই বিজ্ঞাপন থেকে ইউটিউব এবং ভিডিও ক্রিয়েটর উভয়ই আয় করে। ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের আয় নির্ভর করে তার ভিডিওর ভিউ সংখ্যা, ভিডিওর বিষয়বস্তু, এবং বিজ্ঞাপনদাতার আগ্রহের উপর।

অন্যদিকে ইউটিউব থেকে আয় করার আরেকটি উপায় হল স্পনসরশিপ। কোন ব্র্যান্ড বা কোম্পানি তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য ইউটিউব নির্মাতার সাথে চুক্তি করতে পারে। এই চুক্তির আওতায়, ইউটিউব নির্মাতা তার ভিডিওতে ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে। এই ধরনের চুক্তি থেকে ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ভাল পরিমাণে আয় করতে পারে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য একজন ইউটিউবারকে অন্তত ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম অর্জন করতে হবে। এই ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করলে ইউটিউবাররা তাদের চ্যানেলকে “মনিটাইজেশন” এর জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এপ্রুভ হলে এডস দেখানো হবে। অর্থাৎ, চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হতে শুরু করবে এবং তারা সেই বিজ্ঞাপনগুলি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

মাইক্রো জব করে আয় 

মাইক্রো জব বলতে বুঝানো হয় ছোট ছোট কাজ গুলোকে যেগুলো করা তুলনামূলক ভাবে সহজ ও অল্প সময়ের মধ্যে করে ফেলা যায়। এমন বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেমন: 

১) ভিডিও দেখা 

২) রেফার করা 

৩) ফেসবুক একাউন্ট সেল করা

৪) ওয়েবসাইট ভিজিট 

৫) মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করা 

৬) গেম ডাউনলোড 

৭) ইমেইল একাউন্ট তৈরি করা 

৮) লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, রিভিউ এর মত কাজ 

তাহলে বুজতে পারছেন ঠিক কি ধরণের কাজ গুলোকে মাইক্রো জব বলা হয়। এবার কথা হলো এগুলো করার জন্য আপনাকে কেন টাকা দেয়া হবে? আর টাকা আপনি কোথায় কাজ করে পাবেন রাইট? 

মূলত এখানে দুটি পক্ষ থাকে। এক পক্ষ কাজ দেয় আর আরেক পক্ষ কাজ গুলো করে থাকে। মাঝখানে যে মাধ্যমটির অবস্থান সেটিকে মাইক্রো জব সাইট বলা হয়। এমন অনেক মাইক্রো জব সাইট রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কিছু মাইক্রো জব ওয়েবসাইট হলো: 

  • Clickworker
  • Microworkers
  • PeoplePerHour
  • RapidWorkers
  • SproutGigs
  • Zeerk
  • Remotasks

এবার যেহেতু আপনি সাইট গুলোর নামও জেনে গেছেন এবার প্রশ্ন আসতে পারে যে, এখানে কাজ করে ঠিক কত টাকা আয় করা সম্ভব। সত্যি কথা বলতে এই কাজ গুলো যেহেতু একদম ব্যাসিক পর্যায়ের কাজ। খুব বেশি একটা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না এই সকল কাজ করার জন্য। প্রয়োজন কেবল – “ডিভাইজ, ইন্টারনেট কানেক্টশন, প্রচুর সময় ও ধৈর্য্য” তাই সে হিসেবেই এখানে পেমেন্ট পাওয়া যায়। তা খুব বেশি না হলেও ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে সন্তুষ্টজনক। 

রেফার করে আয় 

রেফার করে আয় করা ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে একটি সেরা মাধ্যম। এই পদ্ধতিতে, আপনি কোনও কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পণ্য বা সেবাগুলি অন্যদের কাছে প্রচার করেন। যদি কেউ আপনার রেফারেল লিঙ্ক ব্যবহার করে সেই কোম্পানি বা ওয়েবসাইটে যোগদান করে, তাহলে আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। এই কমিশনের পরিমাণ সাধারণত আপনার রেফারেলের কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে।

এর জন্য প্রথমে আপনাকে প্রথমে এমন একটি কোম্পানি বা ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে যা রেফারেল প্রোগ্রাম অফার করে। একবার আপনি একটি কোম্পানি বা ওয়েবসাইট খুঁজে পেলে, আপনাকে তাদের রেফারেল প্রোগ্রামে যোগদান করতে হবে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত খুব সহজ। আপনাকে সাধারণত আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা এবং অন্যান্য কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।

রেফারেল প্রোগ্রামে যোগদান করার পরে, আপনি আপনার রেফারেল লিঙ্ক পাবেন। এই লিঙ্কটি আপনি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। তারা এই লিঙ্কটি ব্যবহার করে কোম্পানি বা ওয়েবসাইটে যোগদান করলে, আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। বেশির ভাগ রেফারেবল ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ গুলো ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা অব্দি কমিশন দিয়ে থাকে, যা একেবারেই ফ্রিতে টাকা ইনকাম। 

এই পর্যায়ে এমন কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপ সম্পর্কে জানাচ্ছি যেখান থেকে সরাসরি রেফারের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

১. বিকাশ / নগদ / রকেট / উপায় (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) 

২. TikTok, Shanke Video app, Betterment App, Mylo App (অ্যাপ সমূহ)

৩. Amazon, Mypoints.com, (ওয়েবসাইট সমুহ)  

৪. BeFrugal

৫.TopCashBack

৬. Living Society

৭. Ibotta

৮. Amazon prime student

এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়ুন: রেফার করে ইনকাম 

সার্ভে করে আয় 

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য সার্ভে করা একটি সহজ এবং কম পরিশ্রমের উপায়। আপনি যদি আপনার মতামত প্রকাশ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সার্ভে করা একটি ভালো অপশন। সার্ভে করে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি সার্ভে সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনি গুগলে “সার্ভে সাইট” লিখে সার্চ করলে অনেকগুলো সাইটের লিঙ্ক পাবেন। এর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন। 

এসব সাইটে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আগ্রহের বিষয় ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। এরপর আপনি বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থার সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সার্ভেতে অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নগুলি সাধারণত আপনার পছন্দ, মতামত, ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কিত।

সার্ভে সাইট এবং সার্ভেটির ধরন অনুযায়ী রেভেনিউ এর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত একটি সার্ভে সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে $0.50 থেকে $5 পর্যন্ত অর্থ দেওয়া হতে পারে। এবার নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে বর্তমানে জনপ্রিয় সার্ভে সাইট গুলো সম্পর্কে? Well এই পর্যায়ে কিছু সার্ভে সাইট সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি। 

সার্ভে করে আয় করার জন্য কিছু জনপ্রিয় সাইট হলো:

  • Swagbucks
  • Survey Junkie
  • InboxDollars
  • Opinion Outpost
  • MyPoints
  • Survey Monkey
  • Prolific Academic
  • User Interviews

বাংলাদেশে সার্ভে করে আয় করার জন্য কিছু জনপ্রিয় সাইট হলো:

  • ইনকাম ৪ ইউ
  • সার্ভে জ্যাঙ্কি
  • ইনবক্স ডলার
  • মতামত পোস্ট
  • মাইপয়েন্টস
  • সার্ভে মনি
  • সার্ভে জোন
  • সার্ভে ফ্ল্যাশ

ড্রপশিপিং 

ড্রপশিপিং হল এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যবসায়ী একজন উৎপাদক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য বিক্রি করে, কিন্তু সেই পণ্যগুলিকে নিজের কাছে মজুদ না রেখে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠায়। অর্থাৎ, একজন ড্রপশিপার পণ্যগুলির মালিক হয় না, তবে তিনি সেগুলির জন্য বিক্রয় করে কমিশন পায়।

বাংলাদেশে ড্রপশিপিং ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ হল এটি একটি কম বিনিয়োগের ব্যবসা যা খুব সহজেই শুরু করা যায়। ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট বা ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হয় এবং তারপর সেই প্ল্যাটফর্মে পণ্যগুলি তালিকাভুক্ত করতে হয়। পণ্যগুলির বিক্রয় হলে, ব্যবসায়ী উৎপাদক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে সেগুলি সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠাতে দেয়।

ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে আপনি একদম ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে যেহেতু আপনার কোনো প্রোডাক্ট কিনে মজুদ করতে হচ্ছে না, আবার প্রোডাক্ট ডেলিভারি সংক্রান্ত কাজ না থাকায় কোনো খরচ নেই তাই যতটা কমিশন আসবে তার পুরোটাই লাভ হিসেবে গণ্য হবে। 

বাংলাদেশে ড্রপশিপিং এর কাজে সফল হতে হলে অবশ্যই সঠিক পণ্য বাছাই করতে হবে, টার্গেট অডিয়েন্স সেট করতে হবে এবং খুব ভালো ভাবে প্রোডাক্ট গুলো তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে যাতে করে তারা পণ্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের পাশাপাশি গ্রহনের মানসিকতা রাখে। 

ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম 

ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে, এটি একটি সম্ভাব্য উপায়, কিন্তু নির্ভরযোগ্য নয়। লটারী খেলার ফলে আপনার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, যদি আপনি সৌভাগ্যবান হন, তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা জিততে পারেন।

ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমে বিভিন্ন ফ্রি লটারী ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন খুঁজে বের করতে হবে। এই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের লটারী খেলা হয়। আপনি আপনার পছন্দের লটারী খেলা বেছে নিতে পারেন। এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রি লটারী খেলে আয় করার সুযোগ হয়ে থাকে। এমন জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলো: 

Free Birthday Lottery: এটা এমন একটা লটারী সাইট যেখানে আপনার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে লটারি ড্র করা হয়। প্রতিদিন একটা করে জন্মদিন ড্র করা হয় আর সেখানে আপনার জন্মদিনটা জিতলে আপনি হবেন উইনার আর পেয়ে যাবেন £10 এরা মূলত ওয়েবসাইটে এডসের মাধ্যমে আয় করে আর সেখান থেকেই লটারির প্রাইজ মানি দিয়ে থাকে। 

1xbet: এটাও একটা লটারি খেলার ওয়েবসাইট। যদিও এখানে আপনাকে বিড করে আয় করতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে নিদিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট ও সেখানে টাকা খাটানোর সুযোগ থাকে। এখানে জিতলে অনেক বেশি টাকা পাবেন আর হারলে লস খাবেন। যদিও এটা খুব রিস্কি তবে ভালো ভাবে খেলতে পারলে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

Pick My Postcode: এখানেও আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার এরিয়া পোস্ট কোড দিতে হবে, আর একটা নাম্বার পিক করতে হবে। প্রতিদিন ড্র হয়ে থাকে সেখানে যদি আপনার নাম্বারটি লেগে যায় তবে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন লটারী খেলার মাধ্যমেই। 

ডাটা এন্ট্রি করে আয় 

ডাটা এন্ট্রি হলো একটি সহজ কিন্তু বেশ চাহিদাপূর্ণ কাজ। এই কাজটিতে মূলত বিভিন্ন ধরনের তথ্যকে কম্পিউটারে ইনপুট করা হয়। ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য কোন বিশেষ শিক্ষা বা যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে, কিছু প্রাথমিক কম্পিউটার দক্ষতা থাকলে কাজটি করা সহজ হয়।

ডাটা এন্ট্রি করে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে কাজের ধরন, কাজের পরিমাণ, কাজের মান এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপর। সাধারণত, অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজের বেতন ঘণ্টা প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজের বেতন প্রতি কীস্ট্রোক বা প্রতি পৃষ্ঠার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। সাধারণত, প্রতি কীস্ট্রোক বা প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে বেতন দেওয়া হয়।

আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। অনলাইনে অনেক ফ্রি ও পেইড কোর্স পাওয়া যায়। অফলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

সুবিধা:

  • কাজটি শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না।
  • এই কাজটি ঘরে বসে বা যেকোনো জায়গায় থেকে করা যায়।
  • এই কাজের চাহিদা সবসময়ই থাকে।

অসুবিধা:  

  • এই কাজটি একঘেয়ে হতে পারে।
  • এই কাজটি অনেক সময় ধরে করতে হয়

যদি আপনি অনলাইন থেকে ফ্রী কোর্স গুলোর মাধ্যমেই ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখতে পারেন তবে কোনো প্রকার অর্থ খরচ করা ছাড়াই ডাটা এন্ট্রির কাজের মাধ্যমেই ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে। 

টাকা ইনকাম করার সাইট 

ইতিমধ্যে আপনি জানতে পারলেন বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে যেগুলো অনুসরণ করলে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়। মূলত আপনি যে কাজই করেন না কেনো সেটা যদি হয় অনলাইন সংক্রান্ত তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। এমন অনেক সাইট বা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এসব সাইটে অবশ্যই আপনাকে একদম বিনা কারণে টাকা দিবে না, বরং আপনাকে এখানে হয়তো কোনো সার্ভিস প্রদান করতে হবে নয়তো কিছু সেল করতে হবে। মোট করা হলো আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে তো পারবেন, তবে আপনাকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো সাইট আছে। আপনি আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী যেকোনো সাইটে কাজ করতে পারেন। এখানে কিছু জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার সাইটের নাম দেওয়া হল:

  • ফ্রিল্যান্সিং সাইট: এই সাইটগুলোতে আপনি আপনার বিভিন্ন দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন। যেমন: লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং, ইত্যাদি। Upwork, Freelancer, Fiverr, PeoplePerHour, Guru, Toptal, ইত্যাদি হল কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট: এই সাইটগুলোতে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন আয় করতে পারেন। Amazon, Flipkart, eBay, Clickbank, CJ Affiliate, ShareASale, ইত্যাদি হল কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট।
  • ইউটিউব: YouTube-এ ভিডিও তৈরি করে এবং সেই ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।
  • ব্লগ: একটি ব্লগ তৈরি করে এবং সেই ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

টাকা ইনকাম করার সাইট সংক্রান্ত আরো বিস্তৃত তথ্য জানতে Online Taka Income ওয়েবসাইটের এই সেকশনটি অনুসরণ করুন। 

পরিশেষে কিছু কথা 

তাহলে আমরা জানতে পারলাম ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো। এবার এগুলো এপ্লাই করার পালা। দেখুন আইডিয়ার কোনো শেষ নেই, আর একটি আইডিয়া কোনো ভাবেই কার্যকর হয়ে উঠবে না যতক্ষন না অব্দি আপনি সেটা বাস্তব জীবনে এপ্লাই করছেন। এখানে উল্লেখিত প্রতিটা কাজের মাধ্যমেই অনেকে সফলতা পেয়েছে, অনেক টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। আবার অনেকেই শুরু করে ধৈয্য রাখতে না পেরে মাঝ পথে হার মেনে বসে আছে। এবার এটা আপনার চয়েস যে আপনি কোন পথে হাটবেন। আপনার জন্য শুভকামণা, এবং অনলাইনে টাকা ইনকাম করা বিষয়ক যেকোনো ব্যাপারে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন, কেননা এখানেই কেবল নিত্য নতুন দারুন কিছু জানতে পারবেন।