চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় । দারুন ৯ টি উপায়

Salim Mahamud

Updated on:

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় । দারুন ৯ টি উপায়
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় । দারুন ৯ টি উপায়

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় । দারুন ৯ টি উপায়

বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির সময়ে কেবল চাকরি করে সংসার সামলানো অনেকের পক্ষেই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় অনেকেই চাচ্ছে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে। কিন্তু কি করা যায়? এমন কোন কাজ রয়েছে যা যেকোনো চাকরির পাশাপাশি করা যাবে? স্বাভাবিক ভাবে প্রায় সকল কাজই যথেষ্ট সময় ব্যয় করেই করতে হয়। এর মাঝে এমন কি কোনো কাজ রয়েছে যা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্য করা যাবে? 

উত্তর হলো “হ্যাঁ, আছে” এবারের আর্টিকেলে মূলত এই বিষয়েই জানাবো। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন “চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায়” সমূহ। পাশাপাশি থাকছে আনুসাঙ্গিক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা। তাহলে চলুন, ইন্ট্রোডাকশনের পর শুরু করা যাক মূল আলোচনা। 

হ্যালো সবাইকে, আপনাকে স্বাগতম Online Taka Income ওয়েবসাইটে। মূলত অনলাইনে টাকা ইনকাম করার যত খুঁটিনাটি বিষয় রয়েছে সেসব বিষয়কে তুলে ধরে তৈরি করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটি। আপনিও যদি তাদের একজন হয়ে থাকেন যারা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন উপায় খুজছে, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে বেশ উপকৃত করবে। তাই সঙ্গে থাকুন। 

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা 

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য আরেকটা চাকরি করার কথা ভাবলে খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কেননা এমন কোনো চাকরি সচারচর চোখে পড়বে না, যেখানে একই সঙ্গে দুইটা স্থানে চাকরি করতে পারবেন। তাছাড়া চাকরির মাধ্যমে আপনি একই নির্ধারিত আয়ের মধ্যেই আটকে পড়বেন। তাই আপনি যদি বাড়তি আয়ের ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজের আয়কে বুস্টআপ করতে চান তবে প্রাথমিক ভাবে ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু করার চিন্তা ভাবনা করতে পারেন। 

এখন ব্যবসায়ের কথা বলেছি বিধায় সব কিছু ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা কেন্দ্রিক মন গড়াটাও বোকামি হবে। এমতাবস্থায় ঠিক কিভাবে কি করা যায় সে বিষয়ে ধাপে ধাপে আপনার সাথে আলোচনা করবো। 

বাড়তি আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন? 

আপনি যতই ভালো চাকরিই করে থাকেন না কেনো, যেকোনো সময় চাকরিতে অনিশ্চয়তার দেখা দিতে পারে। এমন সময় সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট পাবেন যদি আপনার থাকে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার কোনো উৎস। তবে সে বিষয়ে কেবল ভাবলেই তো হবে না, প্রয়োজন পদক্ষেপ। আর এসব পদক্ষেপ নিতে কি কি প্রয়োজন সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক। 

১) প্রথমেই দেখতে হবে আপনার হাতে সময় কতটুকু রয়েছে। কেননা কাজ শুরু করলে আপনাকে অল্প হলেও সময় দিতে হবে। আর সঠিক পরিমাপের ফ্রী টাইম সম্পর্কে অবগত থাকলে যেকোনো কাজে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে সুবিধা হয়। 

২) সফট স্কিল এর উপর দক্ষতাঃ আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক কোনো কাজ করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে কিছু ভ্যালু এড করতে হবে আপনার কাজের উপর। আর তার জন্য প্রয়োজন সফট স্কিলের জাদু। আপনি যদি কোনো স্পেসিফিক কোনো বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তবে সেটিকে কাজে লাগিয়েই আয়ের ব্যবস্থা চালু করার অসংখ্য উপায় রয়েছে অনলাইন জগতে। 

৩) ক্ষেত্র বিশেষে কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা উপাদান গুলো আপনার থাকতে হবে। এই যেমন, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরির কোনো কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন, ভালো কমিউনিকেশন স্কিল, ও স্পেসিফিক বিষয়ের উপর দক্ষতার প্রয়োজন হবে। 

৪) ধৈয্য, নতুন কিছু করার মানসিকতা, কঠোর পরিশ্রম ও শেষ অব্দি হাল না ছেড়ে দেয়ার মত ডেডিকেশন। ব্যাস, এটুকুই যথেষ্ট চাকরির পাশাপাশি নতুন কিছু করার মাধ্যমে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে। 

অনেক ব্যাসিক বিষয়ে আলোচনা হলো, এবার সরাসরি চলে যাওয়া যাক আমাদের মূল বিষয়বস্তুর দিকে। 

দারুন ৯ টি বাড়তি আয় করার উপায় 

এই পর্যায়ে ধাপে ধাপে ৭ টি ভিন্ন কাজের সম্পর্কে জানাবো যা একজন কর্মজীবি মানুষ তার চাকরির পাশাপাশি করার মাধ্যমে বাড়তি কর‍তে পারে। এই বাড়তি আয় করার উপায় গুলো বিভিন্ন সেক্টরের মানুষের জন্য এপ্লিকেবল। আপনি যে বিষয়ে ইন্টারেস্ট খুজে পাবেন আপনার উচিত হবে কেবল সে সেক্টরে যুক্ত হওয়া। যাই হোক, এবার দেখে নিন কোন কাজ বা উপায় গুলোর মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারবেন। 

চাকরির দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং 

আপনি অবশ্যই কি জানেন যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারির দিকে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। এমন অনেকে রয়েছে যারা চাকরি করতো কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর সফলতার পর চাকরি বাদ দিয়ে ফুল টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করছে। তবে আপনাকে আমি সে বিষয়ে উৎসাহিত করবো না কেননা আপনি ইতিমধ্যে যেহেতু একটি চাকরি করছেন এবং উপায় খুঁজে যাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে চাকরির পাশাপাশি ও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

 ফ্রিল্যান্সিং করার আগে প্রথমে বুঝতে হবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি কি? এটি মূলত এক ধরনের চাকরি, যেখানে আপনি নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ না করে বিশ্বব্যাপী যে কোন প্রতিষ্ঠানের স্পেসিফিক বিষয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

আপনি যেহেতু ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন, এক্ষেত্রে বলা চলে আপনার একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে অবশ্যই দক্ষতা রয়েছে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন অনলাইনে মার্কেটপ্লেসগুলোতে মোটামুটি সকল সেক্টরে কাজ পাওয়া যায়। তাই আপনি যে পেশায় যুক্ত থাকুন না কেন, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সে বিষয়ের উপর কাজের অর্ডার অবশ্যই পাবেন।

 তবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এমন কিছু ইউনিভার্স নিশ রয়েছে, যে নিশ গুলোতে কাজের পরিমাণ অনেক বেশি। এমন কিছু নিশের ব্যাপারে জানালো হলো: 

  • লেখার কাজ
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  • অনুবাদ
  • শিক্ষাদান
  • উপদেষ্টাতা
  • একাউন্টেন্ট
  • ফাইন্যান্সিয়াল এনালাইটিস
  • মার্কেটিং এক্সপার্ট ইত্যাদি 

আপনি যদি এই সেক্টরগুলোতে ইতিমধ্যে চাকরি করে থাকেন তাহলে আপনাকে অভিনন্দন কেননা আপনি এই সেক্টরের মাধ্যমে অনলাইনেও আয় করতে পারবেন। আর যদি এগুলো ছাড়া অন্যান্য সেক্টরে চাকরি করেন তবে সেই সেক্টর এর উপর সার্চ করলেও অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাছে পাবেন। 

রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ 

রিয়েল এসটেটে বিনিয়োগ হল একটি সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা। এটা হতে পারে কোন বাড়ি, এপার্টমেন্ট, অফিস ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, খালি জমি, কিংবা এমন টাইপের কিছু। রিয়েল এসটেটে ভিডিও করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে তবে এটি একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস হতে পারে মূলধন বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও এখানে রয়েছে এবং কর সুবিধা পাবেন এক্ষেত্রে। 

রিয়েল এস্টেট থেকে আয় করতে চাইলে আপনি একাধিক পন্থা অবলম্বন করতে পারেন যেমনঃ 

  • ভাড়া থেকে আয়: রিয়েল এস্টেটের একটি সম্পত্তি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে। ভাড়ার পরিমাণ সম্পত্তির অবস্থান, আকার এবং বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে।
  • মূল্য বৃদ্ধি থেকে আয়: রিয়েল এস্টেটের সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি পেলে এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি লাভ হতে পারে। মূল্য বৃদ্ধি থেকে আয় করার জন্য, বিনিয়োগকারীদের এমন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে যা ভবিষ্যতে মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
  • আয়ের উত্স হিসাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবহার করা: রিয়েল এস্টেটকে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করে আয় করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বাড়ি একটি অফিস হিসাবে বা একটি অ্যাপার্টমেন্ট একটি হোটেল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রশ্ন হচ্ছে চাকরির পাশাপাশি রিয়েলি এস্টেট এর ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার সুবিধাটা কি হতে পারে? যেহেতু এখানে বিনিয়োগ করার পর আপনাকে প্রতিনিয়ত এটির উপরে কাজ করতে হবে না, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে সে সময়ের আগ পর্যন্ত বসে থাকলে হবে কিংবা গবেষণা করলেই হবে। পরবর্তীতে যখন আপনি হিসাব কোষে এটি কি বিক্রি করবেন তখন আপনার লাভ হবে। এক্ষেত্রে আপনার চাকরির ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। 

ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা গড়ে তোলা  

ব্যবসা সর্বদাই একটি উত্তম পন্থা অর্থ উপার্জন করার জন্য।  আপনি যদি একে চাকরি করে থাকেন এবং চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় খুঁজছেন তাহলে ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা করে তোলা যেতেই পারে। মূলত চাকরির পাশাপাশি ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা করে তোলে আয় করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এটি যেমন একাধারে আপনার বাড়তি আয়ের উৎস হবে পাশাপাশি নতুন কিছু করার আমেজটা এখানে বরাবরই থাকবে। 

 ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ব্যবসার ধারণা খুঁজে বের করতে হবে এবং সে বিষয়ের উপরে যথাযথ পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটানোর জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ স্থাপন করে নিজের মূলধনের উপর ভিত্তি করে সে কাজ বা ব্যবসা পরিচালনা করে যেতে হবে। 

এখানে কিছু নির্দিষ্ট ব্যবসার ধারণা রয়েছে যা আপনি চাকরির পাশাপাশি শুরু করতে পারেন:

  • ফ্রিল্যান্সিং: আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য বিক্রি করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
  • অনলাইন বিক্রয়: আপনি একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করে বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
  • সেবা ব্যবসা: আপনি একটি সেবা ব্যবসা শুরু করতে পারেন যাতে আপনি অন্যদের জন্য কাজ করেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং: আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা প্রদান করে ব্যবসাগুলিকে তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।
  • ইনফরমেশনাল প্রোডাক্ট: আপনি একটি বই, কোর্স বা অন্যান্য ইনফরমেশনাল প্রোডাক্ট তৈরি করে এবং বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এ তো ছিল কয়েকটি উদাহরণস্বরূপ ব্যবসা আইডিয়া যেগুলো আপনি চাকরির পাশাপাশি করতে পারেন তবে বিস্তৃত রূপে যদি জানতে চান, চাকরির পাশাপাশি করা যায় এমন সব ব্যবসা সম্পর্কে তবে উক্ত লিংকে ক্লিক করে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। 

বাসার ছাদ কিংবা উঠানে নার্সারি গড়ে তোলা 

আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি এমন কিছু করতে চান যার মাধ্যমে বাড়তি আয় করা যায়, সেক্ষেত্রে আপনার বাসা ছাদে কিংবা উঠানে নার্সারি করে তুলতে পারেন। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন বাংলাদেশের নার্সারি ব্যবসা একটি  সম্ভাবনাময় ব্যবসা। এ ব্যবসাতে আপনি ঠিক কোন গাছগুলো নিয়ে কাজ করবেন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার লাভ এর পরিমাণ কেমন হবে। এক্ষেত্রে কিছু পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা যাক! 

ফুলের গাছ: ফুলের গাছের চাহিদা সবসময়ই থাকে। তাই ফুলের গাছ চাষ করে ভালো লাভ করা সম্ভব। একটি ফুলের গাছের চারা থেকে 20-30 টাকা লাভ করা সম্ভব।

ফলের গাছ: ফলের গাছ চাষ করেও ভালো লাভ করা সম্ভব। একটি ফলের গাছের চারা থেকে 100-200 টাকা লাভ করা সম্ভব।

ভেষজ গাছ: ভেষজ গাছের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই ভেষজ গাছ চাষ করেও ভালো লাভ করা সম্ভব। একটি ভেষজ গাছের চারা থেকে 10-20 টাকা লাভ করা সম্ভব।

সাধারণত, একটি নার্সারি ব্যবসা থেকে 50-100% লাভ করা সম্ভব। তবে, সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই লাভের পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব।

খরচ সমীকরণ

নার্সারি ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু খরচ রয়েছে। এই খরচগুলির মধ্যে রয়েছে বীজ বা চারা খরচ, টব, মাটি, সার, শ্রম খরচ, এবং অন্যান্য খরচ। এক্ষেত্রে সমীকরণটি কিছুটা এমন: 

খরচ = বীজ/চারা খরচ + টব/মাটি/সার খরচ + শ্রম খরচ + অন্যান্য খরচ 

নার্সারি গড়ে তোলার সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে না বরং চাকরি করার পাশাপাশি নিজের ফ্রি সময়ে এ কাজটি করতে পারবেন। তবে গাছপালা চাষের পর, আপনাকে সেগুলোর যত্ন নিতে হবে। গাছপালা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে এবং ফুল ফুটতে হলে আপনাকে সেগুলোকে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো, জল, এবং সার দিতে হবে।

গাছপালা যখন পরিপক্ব হয়ে যায়, তখন আপনি সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার স্থানীয় বাজারে, অনলাইনে, বা আপনার পরিচিতদের কাছে গাছপালা বিক্রি করতে পারেন।

Dropshipping শুরু করা 

আশা করি আপনি ইতিমধ্যে ড্রপ শিপিং সম্পর্কে অবগত। আপনি যদি না জেনে থাকেন ড্রপ শিপিং কি এবং কিভাবে ড্রপ শিপিং করতে হয় তাহলে উক্ত আর্টিকেল থেকে এসে বিষয়ে জেনে নিন। বিষয় হচ্ছে ড্রপ শিপিং করে কিভাবে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করা যায় সে বিষয়ে জানাচ্ছি। 

দেখুন ড্রপ শিপিং করার ক্ষেত্রে যেহেতু আপনাকে কোন প্রডাক্ট নিজের হাতে ধরতে হয় না কিংবা আপনাকে প্রোডাক্টটি কাস্টমারের কাছে ডেলিভারি করতে হয় না তাই আপনি চাকরির পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে ড্রপ শিপিং এর কার্যক্রম গুলো খুব সহজে করতে পারবেন।

আপনি আপনার অফিস আওয়ারে কিংবা অফিস টাইম শেষে নিজ গৃহে বসে ড্রপ শিপিং এর প্রতিদিনকার কার্যক্রম গুলো সম্পাদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার একটি ডিভাইস হতে পারে সেটা স্মার্টফোন ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন এবং ড্রপ শিপিং বিষয়ক যথাযথ জ্ঞান থাকা অবশ্যক। 

সত্যি কথা বলতে ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে আপনি খুব অল্প সময়ে ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন যদি যথাযথভাবে ড্রপ শিপিং এর নিস এবং ড্রপ শিপিং এর প্রসেস গুলো অনুসরণ করতে পারেন। অনেকে এটিকে পার্ট টাইম কাজ থেকে ফুল টাইম কাজে পরিণত করেছে। তবে আপনি যেহেতু ইতিমধ্যে একটি চাকরিতে রয়েছেন তাই আপনাকে কোন ভাবে ড্রপ শিপিং কে ফুল টাইম কাজ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত হবে না। আপনি সর্বোচ্চ এটাকে পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে গণ্য করতে পারেন। 

ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে আয় করা 

ওয়েবসাইট ফ্লিপিং হলো ওয়েবসাইট তৈরি থেকে শুরু করে সেটাকে বিক্রি করা অব্দি কার্যক্রম। এখানে মূলত আপনাকে একটা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেখানে কন্টেন্ট আপলোড করে জনপ্রিয় করার পর, সেটিকে মনিটাইজেশন কিংবা মনিটাইজেশন ছাড়াই বিক্রি করে দেয়ার কাজ করতে হবে। 

Trust me, এই কাজে আপনি এতো টাকা আয় করতে পারবেন যে, অন্য সব কাজ বাদ দিয়ে এই কাজই করতে ইচ্ছা হবে। ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটা খুব মজার। তবে এখানে আপনাকে প্রথমে শিখতে হবে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় এবং কিভাবে সেই ওয়েবসাইট থেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের পাশাপাশি সেখানে কনটেন্ট দিয়ে মনিটাইজেশন করতে হয়। যখন আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইট কারো কাছে ভ্যালুয়েবল হিসেবে গণ্য হবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের দাম অনেক বেড়ে যাবে। আর তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে বিক্রি করে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। 

এবার মূল প্রশ্নটি হচ্ছে আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় হিসেবে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করতে হবে। 

যাইহোক আপনি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করবেন এবং কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করবেন সে বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু আর্টিকেল দেওয়া রয়েছে, আপনি যদি এই বিষয়ে ইন্টারেস্ট হন তবে এসে আর্টিকেল গুলো পড়ে শিখে নিতে পারবেন। তবে মূল বিষয়টি হচ্ছে ওয়েবসাইট স্লিপিং এর মাধ্যমে আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ভালো উৎস তৈরি করে ফেলতে পারবেন। 

গুগল এডসেন্স 

 

বর্তমানে যদি google এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করা একটি ওয়েবসাইটের দাম জানতে চান তবে আপনার ধারণার জন্য বলে রাখছি যে, বাংলা ভাষায় তৈরি করা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে বর্তমানে ১৫ থেকে ২৫ কে কিভাবে বেছে নিবেন বা কিভাবে এটাকে মেনটেইন করবেন?

এ কাজটি আপনি রাতারাতি করতে পারবেন না। এখানে পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করতে হবে, প্রথমে আপনাকে একটি ডোমেইন ক্রয় করতে হবে এবং হোস্টিংয়ের মাধ্যমে সেটিকে অনলাইনে জায়গা দিতে হবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কনটেন্ট লেখা কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে লিখে নিয়ে সে ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে হবে। নির্দিষ্ট একটি নিশ অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট থেকে গুগলে র‍্যাংক করাতে পারবেন। আসলে খুব সহজেই শব্দটা বলা ভুল কেননা এই কাজটি করতে আপনাকে বেশ পরিশ্রম হাজার টাকা অব্দি একটি ওয়েবসাইট বিক্রি করা হয়। আর আপনার ওয়েবসাইট যদি ইংরেজি ভাষায় হয়ে থাকে তাহলে এ থেকে কিছুটা বেশিও দাম পেতে পারেন।প্রতি মাসে যদি একটি করে ওয়েবসাইট এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল করাতে পারেন তাহলেও চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় হিসেবে এটা ভালো পরিমাণ অর্থ।  

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং কনটেন্ট তৈরি করে আয় 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট: 

আজকের ডিজিটাল বিশ্বে, ব্যবসাগুলি একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি বজায় রাখার গুরুত্ব স্বীকার করে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে, আপনি কোম্পানীগুলোকে তাদের অনলাইন ব্র্যান্ড তৈরি এবং বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারেন। আকর্ষক কন্টেন্ট, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট এবং কৌশলগত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করতে পারেন। 

পোস্টের সময়সূচী এবং সামাজিক মিডিয়া মেট্রিক্স বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা সহ, আপনি কার্যকরভাবে একাধিক সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন এবং ব্যবসাগুলিকে তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তা করতে পারেন।

উক্ত কাজের জন্য প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে ভালো পরিমাণের আয় করা সম্ভব। তাছাড়া এখানে আপনাকে প্রতিদিন একটি নিদিষ্ট সময়ের মত কাজ করতে হবে। যার কারণে আপনি চাকরির পাশাপাশি টাইম ম্যানেজ করে এখানে সময় দিতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতেও হবে না। আপনি ঘরে বসেই এই কাজ গুলো করতে পারবেন, তাই অন্য কোথাও যাতায়াত করার টেনশনও নেই। 

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া: 

ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে Content is King, এবং ব্যবসা ক্রমাগত সৃজনশীল এবং আকর্ষনীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের খুঁজছে। ব্লগ পোস্ট লেখা হোক, ভিডিও তৈরি করা হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশন তৈরি করা হোক, কন্টেন্ট তৈরি কম খরচে ব্যবসার সুযোগ দেয়। আপনার দক্ষতাকে সম্মানিত করে এবং শিল্প প্রবণতার সাথে আপ-টু-ডেট থাকার মাধ্যমে, আপনি ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে পারেন এবং তাদের লক্ষ্য দর্শকদের সাথে অনুরণিত উচ্চ-মানের সামগ্রী তৈরি করতে সহায়তা করতে পারেন।

একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আরেকটি দারুন সুবিধা হলো নিজের ভালো লাগার জিনিসকে প্রধান্যতা দেয়ার পাশাপাশি কাজ করার মাধ্যমেও বিনোদন খুজে পাওয়া যায়। কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের কাজটি আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে করতে পারেন, এটা হতে পারে ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা অন্য যেকোনো প্ল্যাটফর্মে। 

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে প্রচুর অর্থ আয় করা যায়। বিশেষ করে সব সময়ের জন্য প্যাসিভ ইনকাম (মনিটাইজেশন প্রসেস), স্পন্সরের থেকে প্রাপ্ত অর্থ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ভালো পরিমাণের আয় করা সম্ভব। একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য কিভাবে কি করবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দেয়া রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটের সার্চ অপশন থেকে সেগুলো দেখে নিতে পারেন। 

পরিশেষে কিছু কথা

এই ছিল বেশ কিছু উপায় যেগুলো অনুসরণ করলে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে সক্ষম হবেন। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় হিসেবে উল্লেখিত উপায় গুলো থেকে আপনার নিজের জন্য কোনটি বাছাই করবেন সেটির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে অবশ্যই নিজের ইচ্ছা এবং ভালোলাগাকে  প্রায়োরিটি দিবেন। কেননা দিনশেষে সে কাজ করে কোনভাবে আগানো যাবে না যে কাজ আপনার করতে ভালো লাগবে না। 

পাশাপাশি আপনি এমন কাজ সিলেক্ট করার চেষ্টা করবেন যে কাজ আপনি ইতিমধ্যে চাকরি ক্ষেত্রে করছেন। তবে এটা নাও করতে পারেন যদি আপনি ভিন্ন কিছুর এক্সপেরিয়েন্স করতে চান। এটা সম্পূর্ণরূপে আপনার মানসিকতার উপর নির্ভর করবে। তবে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্য অন্য নতুন কাজ শুরু করা প্রচন্ড মনোবলের প্রয়োজন, অনেকেই রয়েছে যারা এই বিষয়ে চিন্তা করে কিন্তু কিছুদিন পর হাঁপিয়ে ওঠে। 

তাই ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে, সবসময় নিজেকে মোটিভেট রাখতে হবে। আর অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাহায্যের জন্য এবং বিভিন্ন আইডিয়ার জন্য পাশে আছে অনলাইন টাকা ইনকাম ওয়েবসাইটে। তাই যে কোন প্রয়োজনে যেকোনো তথ্য জানতে অবশ্যই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, ধন্যবাদ।