ব্লগ কি বা ব্লগিং কি? blogging for beginners 

Salim Mahamud

Updated on:

ব্লগ কি বা ব্লগিং কি?
ব্লগ কি বা ব্লগিং কি?

ব্লগ কি বা ব্লগিং কি? blogging for beginners 

বর্তমান সময়ে ব্লগ (Blog) খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। আমাদের মধ্যে অনেকেই ব্লগ সম্পর্কে শুনেছি এবং ব্লগ সাইট দেখেছি, তবে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকই ব্লগের ইতিহাস কিংবা ব্লগের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অবগত নই। বিভিন্ন ধরণের ব্লগের পাশাপাশি রয়েছে ব্লগ সংক্রান্ত অনেক খুঁটিনাটি বিষয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই যে, আপনি ব্লগ তৈরি করে বা ব্লগিং করে করতে পারবেন আয়ও। 

শুনতে ভালো লাগছে? হ্যাঁ, অনলাইনে টাকা ইনকাম নামক এই ওয়েবসাইটে ব্লগ থেকে আয় করা সংক্রান্ত ধারাবাহিক টিউটরিয়ালে এবার থাকছে ব্লগ ও ব্লগিং সংক্রান্ত ব্যাসিক থেকে সকল তথ্য। 

তাহলে শুরু করা যাক ব্লগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়। 

ব্লগ কি? 

ইংরেজি শব্দ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিগত পত্রিকা। পাশাপাশি এটি এমন এক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট যেখানে একজন ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চিন্তাভাবনা, মতামত, তথ্য বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। “ব্লগ” শব্দটি “ওয়েবব্লগ” এর সংকোচন রূপ।

যেকোনো কিছুর উপরেই ব্লগ তৈরি করা যেতে পারে। যেমন ব্যক্তিগত ডায়েরি, সংবাদ, ফ্যাশন, খাদ্য, ভ্রমণ, প্রযুক্তি, বিনোদন, ব্যবসা বা অন্য কোনো বিষয় যা লেখক(রা) আকর্ষণীয় বলে মনে করেন। ব্লগ খুব চমৎকার একটি মাধ্যম ব্যক্তিদের সাথে নিজেদের মত প্রকাশ করা, জ্ঞান শেয়ার করে নেওয়া, কমিউনিটি তৈরি করা এবং একই ধরনের আগ্রহ আছে এমন পাঠকদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

ব্লগ পোস্টগুলি সাধারণত পাঠ্য নিয়ে গঠিত, তবে সেগুলিতে ছবি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স বা অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া উপাদানগুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অনেক ব্লগের একটি নির্দিষ্ট কুলুঙ্গি বা লক্ষ্য দর্শক আছে, যা তাদেরকে সেই বিশেষ বিষয়ে আগ্রহী পাঠকদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। কিছু ব্লগার বিজ্ঞাপন, স্পন্সর সামগ্রী বা পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির মাধ্যমে তাদের ব্লগ নগদীকরণ করে।

বছরের পর বছর ধরে, ব্লগগুলি সাধারণ ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মে বিকশিত হয়েছে যা জনমতকে প্রভাবিত করে, মূল্যবান তথ্য প্রদান করে, এবং ব্যক্তি এবং ব্যবসার জন্য তাদের দর্শকদের সাথে সংযোগ করার সুযোগ তৈরি করে।

ব্লগ কত প্রকার?

মূলত বিভিন্ন ধরণের ব্লগ হতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সচারচর যে সকল ব্লগ গুলো দেখা যায় সেগুলো নিম্মে উপস্থাপন করা হলো: 

ব্যক্তিগত ব্লগ: এই ব্লগগুলি অনলাইন ডায়েরির মতো, যেখানে ব্যক্তিরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, চিন্তাভাবনা এবং মতামত শেয়ার করে।

লাইফস্টাইল ব্লগ: লাইফস্টাইল ব্লগগুলি ফ্যাশন, সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য, ফিটনেস, গৃহসজ্জা, সহ বিভিন্ন বিষয় কভার করে এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন।

ভ্রমণ ব্লগ: ভ্রমণ ব্লগগুলি বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, টিপস, ভ্রমণপথ, গন্তব্য গাইড এবং ফটোগ্রাফি ভাগ করে নেওয়ার উপর ফোকাস করে।

ফুড ব্লগ: ফুড ব্লগগুলি রান্না, রেসিপি, রেস্তোরাঁর পর্যালোচনা, খাবারের ফটোগ্রাফি এবং রন্ধনসম্পর্কীয় অভিজ্ঞতার চারপাশে আবর্তিত হয়।

ফ্যাশন এবং সৌন্দর্য ব্লগ: এই ব্লগগুলি প্রাথমিকভাবে ফ্যাশন প্রবণতা, শৈলী টিপস, সৌন্দর্য পণ্য পর্যালোচনা, মেকআপ টিউটোরিয়াল এবং ব্যক্তিগত ফ্যাশন পছন্দগুলি কভার করে।

প্যারেন্টিং ব্লগ: প্যারেন্টিং ব্লগগুলি শিশুদের লালন-পালন, গর্ভাবস্থা, শিশু বিকাশ এবং পারিবারিক জীবন সম্পর্কিত পরামর্শ, টিপস এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

প্রযুক্তি ব্লগ: প্রযুক্তি ব্লগগুলি ডিজিটাল বিশ্বে সাম্প্রতিক গ্যাজেট, সফ্টওয়্যার পর্যালোচনা, প্রযুক্তিগত খবর, টিউটোরিয়াল এবং আপডেটগুলিতে ফোকাস করে।

স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ব্লগ: এই ব্লগগুলি বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়, ফিটনেস রুটিন, স্বাস্থ্যকর খাবার, মানসিক সুস্থতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার বিষয়ে তথ্য, টিপস এবং পরামর্শ প্রদান করে।

ব্যবসায়িক ব্লগ: ব্যবসায়িক ব্লগগুলি উদ্যোক্তা, ছোট ব্যবসার মালিক এবং পেশাদারদের লক্ষ্য করে। তারা বিপণন, উদ্যোক্তা, ব্যবস্থাপনা, অর্থ এবং ক্যারিয়ার উন্নয়নের মতো বিষয়গুলি কভার করে।

নিউজ ব্লগ: এই ব্লগগুলি বর্তমান ঘটনা, রাজনীতি, সামাজিক সমস্যা বা নির্দিষ্ট শিল্পের উপর মন্তব্য, বিশ্লেষণ এবং মতামত প্রদান করে।

নিশ  ব্লগ: নিশ ব্লগগুলি একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা শিল্পের উপর ফোকাস করে, একটি নির্দিষ্ট দর্শকদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করে। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে পোষ্য ব্লগ, বাগান ব্লগ, ফটোগ্রাফি ব্লগ, গেমিং ব্লগ, বই ব্লগ এবং আরও অনেক কিছু।

ব্লগিং এর জনক কে?

“ব্লগ” শব্দটি ১৯৯৭ সালে জর্ন বার্গার দিয়েছিলেন। তিনি এটিকে তার অনলাইন জার্নাল বা “ওয়েবব্লগ” হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে লিঙ্ক এবং সংক্ষিপ্ত মন্তব্য শেয়ার করেছিলেন। 

অন্যদিকে “ব্লগিংয়ের জনক” হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয় ডেভ উইনারকে। ডেভ উইনার হলেন একজন সফ্টওয়্যার ডেভেলপার এবং উদ্যোক্তা যিনি প্রথম দিকের ব্লগিং প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। 

১৯৯৯ সালে, তিনি “রেডিও ইউজারল্যান্ড” নামে প্রথম জনপ্রিয় ব্লগ করার সহজ মাধ্যম তৈরি করেছিলেন, যা ইউজারদের সহজেই ব্লগ তৈরি এবং আপডেট করার সুযোগ করে দিয়েছিলো। RSS (রিয়েলি সিম্পল সিন্ডিকেশন), একটি বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তি যা ব্লগের লেআউট সিন্ডিকেশনকে সাহায্য করে, এর উন্নয়নেও উইনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

যদিও ব্লগিংয়ের প্রথম দিকের সময়ে উইনারের অবদানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, এটি লক্ষণীয় যে ব্লগিং একটি ধারণা এবং অনুশীলন হিসাবে অনেক ব্যক্তির সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে।

ওয়েবসাইট ও ব্লগের মধ্যে পার্থক্য কি

আচ্ছা এবার জেনে নেয়া যাক ওয়েবসাইট এবং ব্লগ এর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি সম্পর্কে। অনলাইনে থাকা একটি ওয়েবপেজকে কখন ওয়েবসাইট বলা হবে আর কখন ব্লগ সাইট বলা হবে সে বিষয়ে ক্লিয়ার ভাবে বুজতে পারবেন। 

বৈশিষ্ট্যব্লগওয়েবসাইট
কন্টেন্টসাধারণত নিয়মিত আপডেট করা হয়, ব্যক্তিগত বা পেশাদার মতামত বা চিন্তাভাবনা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়সাধারণত স্থির, একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা উদ্দেশ্য প্রচার করার জন্য ব্যবহৃত হয়
পোস্টের ধরনসাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে পাঠ্য-ভিত্তিক সাইটএখানে সাধারণত সংক্ষিপ্ত তথ্য-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়
কন্টেন্ট টাইমলাইনসাধারণত নতুন কন্টেন্ট দিয়ে আপডেট করা হয়সাধারণত নতুন কোনো কন্টেন্ট দিয়ে আপডেট করা হয় না। একবার যেটা থাকে সেটার উপরেই ভিত্তি করে অনেক দিন চলে যায়।
কমেন্ট একটিভ থেকে কমেন্টের রিপ্লাই করা হয়ওয়েবসাইট গুলোতে সাধারণত কমেন্ট করা বা রিপ্লাই করার যে একটিভ বিষয়, সেটা দেখা যায় না।
ডিজাইনসাধারণত আরও ব্যক্তিগত এবং অভিব্যক্তিপূর্ণ হয়ে থাকেদেখতে খুবই প্রোফেশনাক এবং পরিশীলিত ভাবে দেখা যায়।
টার্গেট অডিয়েন্সসাধারণত একটি নির্দিষ্ট দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত হয়সাধারণত একটি বিস্তৃত দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত হয়
উদাহরণওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, গুগল ব্লগ, ব্যক্তিগত ব্লগ, নিউজ ব্লগ,ওয়াইডওয়ার্ল্ড ওয়েব, গুগল, মাইক্রোসফট, কোম্পানি ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও সাইট, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম

কোন ব্লগে বেশি ট্রাফিক থাকে

দেখুন, আপনি যদি আপনার বিষয়ে দক্ষ হোন, তবে যেকোনো বিষয় বা নিশকেই কম মূল্যায়ন করার মত নয়। তবে এমন কিছু নিশ রয়েছে যেগুলো বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচুর পরিমাণের ট্রাফিকও পাওয়া যায় এখান থেকে। এমনই কিছু ব্লগ সম্পর্কে নিম্মে জানাচ্ছি। 

প্রযুক্তি: প্রযুক্তি একটি জনপ্রিয় বিষয় যা সব বয়সের মানুষের কাছে আকর্ষণীয়। আপনি প্রযুক্তি নিয়ে বিভিন্ন বিষয় যেমন – নতুন প্রযুক্তি, প্রযুক্তিগত টিপস এবং ট্রিকস, এবং প্রযুক্তিগত সমালোচনা সম্পর্কে লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে বরাবরই ভালো ট্রাফিক দেখতে পাবেন। 

ব্যবসা: ব্যবসা একটি আরেকটি জনপ্রিয় বিষয় যা অনেক লোকের আগ্রহের বিষয়। আপনি ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়, যেমন ব্যবসায়িক কৌশল, বিপণন, এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে লিখতে পারেন।

জীবনধারা: জীবনধারা একটি বিস্তৃত বিষয় যা অনেকগুলি বিভিন্ন আগ্রহের বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আপনি জীবনধারা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়, যেমন স্বাস্থ্য, খাদ্য, ফ্যাশন, ভ্রমণ, এবং সম্পর্ক সম্পর্কে লিখতে পারেন।

শিক্ষা: শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সব বয়সের মানুষের জন্য উপকারী। আপনি শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়, যেমন শিক্ষামূলক পোস্ট, টিপস এবং ট্রিকস, এবং শিক্ষামূলক সমালোচনা সম্পর্কে লিখতে পারেন।

কত শতাংশ ব্লগ সফল হয় 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী গড়ে ১০% ব্লগার তাদের ব্লগে সফল হয়। আর বাকিরা কিছু দূর এগিয়েই ধৈয্যের সাথে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পেরে পিছিয়ে পরে। সফল ভাবে ব্লগ পরিচালন করতে যেগুলো অবশ্যই করতে হবে তা নিম্মে উপস্থাপন করছি: 

অধ্যাবসয়: আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজের প্রতি ডেডিকেশন ধরে রাখতে হবে। এমন কাজে কখনই দীর্ঘ কালীন সময়ের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। তাই কাজের প্রতি মনোবল রাখতে হবে শতভাগ।

ধারাবাহিকতা: আপনাকে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবে। আপনি একবার পোস্ট করে আবার সপ্তাহ খানিকের জন্য গায়েব হয়ে অবশ্যই তা আপনার ভিজিটরের কাছে ভালো বার্তা দিবে না। আপনাকে অবশ্যই একটা নিদিষ্ট সময় মেনে নিজের ব্লগকে আপডেট করতে হবে। 

ব্লগ ব্যবহার করে কত শতাংশ মানুষ

২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৪.৬৬ বিলিয়ন (প্রায়) লোক ব্লগ ব্যবহার করে। যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬১%। ব্লগ ইউজারদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তথ্য শেয়ার করার, ব্যবসা গড়ে তোলার এবং অনলাইনে উপস্থিতি তৈরি করার জন্য।

মানুষের কাছে ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির যে কারণ গুলো দাড় করানো যায় তা হলো:

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা: যেহেতু ব্লগ সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক তাই ইন্টারনেটের সংযোগের প্রয়োজনীয়তা বরাবরই ছিলো। আর যেহেতু বর্তমানে বিশ্বের টোটাল জনসংখ্যার ৬১% লোকদেরই রয়েছে ইন্টারনেটের সুবিধা, তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। 

ব্লগ তৈরি ও ব্যবহারে সহজ: বর্তমানে ব্লগ তৈরি করা ও সেটিকে পরিচালনা করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। যার ফল স্বরূপ এখন মানুষ সহজেই এটা করতে পারছে আর এই ব্যাপারটিই ব্লগকে করেছে জনপ্রিয়। 

যোগাযোগ ও ব্যবসার প্রচার: এখন প্রায় প্রতিটা কোম্পানি ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিজেদের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি একটা ব্লগ তৈরি করে রাখে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিটি করার ক্ষেত্রে। 

সাধারণত কারা ব্লগ পড়েন

বিভিন্ন ধরণের লোক  রয়েছে যারা ব্লগ পড়ে, এক্ষেত্রে একেক জনের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম হয়ে থাকে। তবে সাধারণ কিছু গ্রুপের লোক রয়েছে যারা প্রায়শই ব্লগ পড়েন। তারা হলো:

১) যারা নতুন তথ্যের খোজে রয়েছেন তাদের জন্য ব্লগের তথ্য এবং ধারণা একেকটা উৎস হিসেবে কাজ করে। এখান থেকে তারা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং জ্ঞানার্জন করে।

২) যারা তাদের শখ বা আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত কন্টেন্ট খুঁজছেন তারাও ব্লগের পাঠক শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত। একটি ব্লগ হয় একটি স্পেসিফিক বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে, এবং যারা সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক বা কমিউনিটেতে যুক্ত হতে ইচ্ছুক তারাই মূলত ব্লগের আসল পাঠক।

৩) এরপর যারা ব্যবসা বা পেশার জন্য তথ্য খুঁজছেন তারাও ব্লগের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। ব্যবসা বা পেশার সংক্রান্ত ব্লগ গুলোতে তারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও টিপস পাওয়ার জন্য সার্চ করে থাকে। আপনি আপনার শিল্প সম্পর্কে নতুন জিনিস শিখতে পারেন, এবং আপনি অন্যান্য ব্যবসা বা পেশাদারদের সাথে সংযোগ করতে পারেন যারা আপনার মতো অভিজ্ঞতা ভাগ করে।

৪) যারা অন্যদের সাথে নেটওয়ার্কিং গড়ে তুলতে চান, তারাও ব্লগের পাঠক শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদের সাথে সংযোগ করার একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম হলো ব্লগ। আপনি আপনার চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতাগুলি শেয়ার করতে পারেন, এবং আপনি অন্যান্য লোকেদের সাথে বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন মন্তব্য প্রদানের মাধ্যমে। 

ব্লগে প্রতিদিন কতটি পোস্ট প্রকাশিত হয়

গুগলের দেয়া তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপি প্রতিদিন গড়ে ২ মিনিয়নের বেশি পোস্ট করা হয় ব্লগ সমূহে। যদিও এটা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কিছু কিছু ব্লগ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন পোস্ট আপলোড করা হয়। আবার এমনও কিছু ব্লগ রয়েছে যেখানে সপ্তাহ কিংবা মাসিক ভিত্তিকে একটি নিদিষ্ট সময় মেইন্টেইন করে পোস্ট করা হয়। 

পরিশেষে কিছু কথা 

কথা হচ্ছিলো ব্লগ কি বা ব্লগিং কি সেই বিষয়ে ব্যাসিক কিছু আলোচনা। এই বিষয়টিতে বলার প্রদান উদ্দেশ্য হলো অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্র হিসেবে ব্লগিং (blogging) কে তুলে ধরা। ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায় এই বিষয়ে জানার আগে অবশ্যই ব্লগিং সম্পর্কে ভালো ভাবে অবগত থাকতে হবে। এই কারণেই এবারের আর্টিকেলে ব্লগিং সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হলো। এবং ধারাবাহিক ভাবে একেক করে ব্লগিং থেকে আয় করার সম্পুর্ণ প্রসেস টিউটরিয়াল আকারে প্রদান করা হবে অনলাইন টাকা ইনকাম ওয়েবসাইটের ব্লগিং ক্যাটাগরিতে। Stay Connected…