মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ২০টি দারুন উপায় 

Salim Mahamud

Updated on:

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ২০টি দারুন উপায়
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ২০টি দারুন উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ২০টি দারুন উপায় 

আপনি কি তাদের মধ্যে একজন যারা জানতে চায়, “প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়” সম্পর্কে? যাদের প্রধান প্রশ্ন কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করবো? তাহলে আমার মতে আপনি সঠিক স্থানেই রয়েছেন। আশা করছি এখানে ব্যয় করা প্রতিটা সময় আপনার জীবনের মোড় ঘুরাতে মোক্ষম অবদান রাখবে। হ্যাঁ, এই একটা আর্টিকেলেই থাকবে বিভিন্ন সেক্টরের বিভিন্ন মানুষের জন্য ২০ টি পৃথক উপায় যেগুলো অনুসরণ করলে আপনিও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

হতে পারে আপনি একজন Student, একজন বেকার, একজন কর্মজীবি কিন্তু নতুন কিছুর খোজে রয়েছেন, হতে পারে আপনি একজন গৃহিণী অথবা যে কেউ (যারা টাকা আয় করতে ইচ্ছুক) এই আর্টিকেলটি সেসকল মানুষের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, আর্টিকেলটি কিছুটা বড় হবে তবে হাতে সময় নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন, আপনার সময় বৃথা যাবে না। 

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব?

হ্যাঁ, বাংলাদেশে বসে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের কত শতাংশ মানুষের আয় সীমা ৩০ হাজার টাকা তা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে, অনুমান করা হয় যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০% মানুষ মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করে। এর মধ্যে অনেকেই ঘরে বসে অনলাইন বা অন্যান্য উপায়ে আয় করে। এবারের আর্টিকেলে আমরা সে স্পেসিফিক উপায় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো যেগুলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সময়ের জন্য কার্যকর এবং আপনাকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উৎস গড়ে দিবে। 

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

খুব সুন্দর প্রশ্ন, আয় করার আগে অবশ্যই জেনে নেয়া উচিৎ যে, এটা করার জন্য আপনার কি কি প্রদান করতে হবে, কোন বিষয়ে ইফোর্ট দিতে হবে কিংবা কি সব উপাদান লাগবে। এটি যদিও নির্ভর করবে ২০টি পৃথক উপায়ের উপরেই। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বা প্রায় সকল ক্ষেত্রেই যে জিনিস গুলো কমন হবে তার কিছু এখানে উপস্থাপণ করছি। বাকি গুলো উপায়ের সেকশনেই জানতে পারবেন। 

  • দক্ষতা: ঘরে বসে আয় করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। যে কাজটি করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে চান, সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনি অনলাইন কোর্স, বই, সরাসরি প্রশিক্ষণ, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
  • নিষ্ঠা ও পরিশ্রম: ঘরে বসে আয় করতে হলে নিষ্ঠা ও পরিশ্রম করতে হবে। কাজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে।
  • অনলাইন মার্কেটিং: নিজের কাজ বা ব্যবসাকে অনলাইনে প্রচার করতে হবে। অনলাইনে মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার লক্ষ্যবস্তু দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন এবং তাদের কাছে আপনার কাজ বা ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে পারবেন।
  • ইন্টারনেট সংযোগ: ঘরে বসে আয় করার জন্য ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ থাকা প্রয়োজন।
  • কম্পিউটার বা ল্যাপটপ: কাজ করার জন্য একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা প্রয়োজন।
  • অন্যান্য সরঞ্জাম: প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য সরঞ্জাম, যেমন ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ইত্যাদির প্রয়োজন হতে পারে।

আর যদি অফলাইনে কোনো কাজ করতে হয় তবে সেটির ক্ষেত্রে দক্ষতাকে কেন্দ্র করে সে কাজের উপর নির্ভর করে উপাদান প্রয়োজন হয়, যা উপায়ের বিস্তারিত সেকশনে উল্লেখ্য থাকবে। আপনি জানতে চলেছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়?

তাহলে কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় যায়? এর জন্য আপনাকে প্রথমে নিজেকে বুজতে হবে, নিজের ইচ্ছা, ভালো লাগার জিনিসের উপর নির্ভর করে একটা নিশ বা উপায় সিলেক্ট করতে হবে। এর পরের ধাপেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য ২০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। যে আলোচনায় কোনো না কোনো সেক্টরের কোনো উপায় আপনার পছন্দ হবে। পছন্দ হওয়ার পরে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্যই মূলত “কিভাবে” শব্দটাকে আকড়ে ধরে এগোতে হবে। 

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখান থেকে আপনি একটি বিষয়ের থিম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং এর পরবর্তী ধাপ গুলোর জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইন রিসোর্স, ব্লগ, আর্টিকেল, ভিডিও টিউটরিয়াল, কোর্স সমূহের সাহায্য নিতে পারেন। 

মূলত আগে বুজতে হবে আপনি কোন কাজটি করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত তারপরেই আপনি বুজতে পারবেন কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন স্পেসিফিক বিষয়কে কেন্দ্র করে। অবশ্যই কাজ গুলো শিখতে এবং করতে বেশ কিছু সময় লাগবে তবে আপনার উচিৎ হবে হাল ছেড়ে না দেয়া। তাহলে চলুন এবার যাওয়া যাক আমাদের কাঙ্খিত বিষয়ের মূল আলোচনায়। 

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় । ২০ টি উপায়  

এই পর্যায়ে জানাবো প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ২০ টি দারুন উপায়। বোঝার সুবিধার্থে আমরা এই উপায়গুলোকে এমন ভাবে তালিকাভুক্ত করেছি যেন কৃষি, অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ের ভাবে ভাগ করার উপায় সম্পর্কেই পাঠকরা বুঝতে পারে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সংক্রান্ত গাইডলাইনটি। 

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

এখানে থাকছে – টি অনলাইন ভিত্তিক মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়, যেগুলো করতে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই এই কাজ গুলো কর‍তে পারবেন। এবং এখানের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। 

ব্লগিং করে আয় 

বাংলাদেশে ব্লগিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এটি নির্ভর করে ব্লগের নিশ, কন্টেন্ট, গুণমান, এবং দর্শকদের সংখ্যার উপর। সাধারণত, একটি ব্লগ থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার পেজ ভিউ প্রয়োজন। প্রতি পেজ ভিউয়ের জন্য যদি গড়ে ০.৫ থেকে ০.৯০ ডলার হয়, তাহলে ৫০ হাজার পেজ ভিউ থেকে আয় হবে ৩০ হাজার টাকার আশেপাশে। তবে, প্রতি পেজ ভিউয়ের আয় নির্ভর করে ব্লগের নিশ, বিষয়বস্তু, এবং বিজ্ঞাপনের ধরণের উপর। 

এখানে যে আয়ের কথাটি বলা হলো সেটি গুগল এডসেন্স অ্যাপ এর মাধ্যমে মনিটাইজড করার ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয় আপনি যদি আরও বেশি ট্রাফিক নিজের ওয়েবসাইটে নিয়ে আনতে পারেন তাহলে আপনার আয় হবে আরো অনেক বেশি। বাংলাদেশে বসে শুধুমাত্র ব্লগিং করে লাখ টাকা আয় করছে এমন মানুষের সংখ্যা ও নিছক কম নয়।

 ব্লগিং এমন একটি কাজ যেখানে আনলিমিটেড টাকা আয় করা যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে নিস সিলেকশন এবং কন্টেন্টের উপর প্রবল মনোযোগ দিতে হবে। আপনি এখানে যেমন আয় করতে পারবেন তেমনি এখানে পরিশ্রম করতে হবে বেশ। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। একবার কষ্ট করে আজীবনের জন্য লাভবান হওয়ার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো ব্লগিং করা। 

আপনি যদি ব্লগিং এ এখন থেকে সময় দেন তাহলে আগামী ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে আপনি প্রতি মাসে ৩০০০০ টাকার মত আয় করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায়। 

ডাটা এন্ট্রি 

ডাটা এন্ট্রি কাজ হল একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা ডাটাবেসে ডেটা প্রবেশের প্রক্রিয়া। এটি অনেক ব্যবসা এবং সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ এটি সংগঠন, স্টোরেজ এবং ডেটা বিশ্লেষণের মত জটিল কাজের সংমিশ্রণ। 

একজন দক্ষ ডাটা এন্টি অপারেটর প্রতি ঘন্টায় ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ এন্টি করতে সক্ষম। সে হিসেবে একজন ডাটা এন্টি এক্সপার্ট যদি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে কাজ করে তবে তার মাসিক ইনকাম দাঁড়াবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। 

সাধারণত একজন ডাটা এন্টি এক্সপার্ট যত বেশি কাজ পাবে তার আয় ততো বেশি হবে। বাংলাদেশে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে এই সকল মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারে যেমন: 

  • টেক্সট এন্ট্রি: বিভিন্ন ধরনের পাঠ্য, যেমন নিবন্ধ, বই, কোড, ইমেল, ইত্যাদি এন্ট্রি করা।
  • ডাটা কনভার্টেশন: এক ধরনের ফর্ম্যাট থেকে অন্য ধরনের ফর্ম্যাটে ডেটা কনভার্ট করা।
  • ডেটা মাইনিং: ডেটা থেকে তথ্য খুঁজে বের করা।

সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস গুলো হলো:

  • Upwork
  • Fiver
  • Torrento
  • universal trading

ইউটিউব থেকে আয় 

ইউটিউব এর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন এটি বর্তমান সময়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।  আপনি নিশ্চয় জেনে থাকবেন যে ইউটিউব থেকে ইউটিউবে এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।  সাধারণত ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় রয়েছে দুইটি। এক গুগল এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে আয়। দুই স্পন্সর বা প্রমোশন থেকে আয়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু উপায় রয়েছে ইউটিউব থেকে আয় করার। উক্ত লিঙ্ক থেকে সে বিষয়ে পৃথকভাবে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবে প্রতিদিন প্রায় ৫০ মিলিয়ন ভিডিও দেখা হয় এবং বাংলাদেশ ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। এবং বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি যে সকল বিষয়বস্তুর উপরে কনটেন্ট দেখা হয় সেটা হল শিক্ষা, বিনোদন, খেলাধুলা ও টেকনোলজি। 

সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশ থেকেও ইউটিউবের মাধ্যমে মাসে ৩০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। এমনকি ত্রিশ হাজার টাকা আয় খুব কম হয়ে যায় ইউটিউব থেকে কেননা এর থেকেও অনেক বেশি আয় করছে এমন অনেক বাংলাদেশী ইউটিউবার রয়েছে।

 ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে ওই বিষয়ের উপর বিস্তারিতভাবে প্রতিনিয়ত ইউটিউব ভিডিও এবং আপলোড করে যেতে হবে। বেসিক SEO এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওগুলোকে বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন। আর যেহেতু youtube চ্যানেল মনিটাইজেশন অন করা থাকবে তাই যত বেশি ট্রাফিক তত বেশি আয়ের সম্ভাবনা।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে বাংলাদেশে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের চাহিদাও বাড়ছে। যদিও বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজারদের গড় বেতন প্রায় ২৫ হাজার টাকার মত, তবে এমন অনেকে রয়েছে যারা তিরিশ এমনকি এর থেকেও বেশি হাজার টাকা আয় করে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে। 

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে হলে প্রথমে আপনাকে এই বিষয়ক কোর্স করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করা হয়ে গেলে বিভিন্ন মিডিয়া থেকে করা জব পোস্টে এপ্লাই করুন এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে কাজে যোগ দিন। এছাড়াও আপনি নিজের পোর্টফলিও তৈরি করে এসইও এর মাধ্যমে সেটির মার্কেটিং করতে পারেন। অথবা আপনি কোন এজেন্সির হয়ে কাজ করতে পারেন।

যেহেতু এই কাজটির মাধ্যমে ফিক্সড একটি এমাউন্টের অর্থ প্রতি মাসের শেষে আসবে তাই এখানে আপনি  নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজটি আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য করতে পারেন। 

কন্টেন্ট রাইটিং 

আপনি জেনে অবাক হবেন যে, একজন কন্টেন্ট রাইটারের কাছে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা বড় কোনো ব্যাপার নয়। হোক আপনি বাংলা কন্টেন্ট রাইটার কিংবা ইংরেজি। আপনি উভয় ভাবেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, আপনাকে বেশ কিছু স্ট্রেটেজি অনুসরণ করতে হবে। 

একজন কন্টেন্ট রাইটার হয়ে উঠতে আপনাকে বেশ পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে। সে বিষয়ে সুন্দর করে উপস্থাপনার মত স্কিল থাকতে হবে। নিজের টোনে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সফট স্কিল যেমন SEO, Linking, Information Collecting and Selecting সেন্স থাকতে হবে। 

যাই হোক, কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে মাসে যদি ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান তবে আপনাকে নিজের সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে নিজের মত করে ৫ টি থেকে ১০ টি আলাদা বিষয় এর উপর আর্টিকেল তৈরি করে নিন। 

তারপর নিজের একটি সিভি এবং পোর্টফলিও গড়ে তুলুন। তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন (Upwork, Fiverr, Freelancer) এ প্রোফাইল গড়ুন এবং গিগ উপস্থাপন করুন। আপনার কাছে যে অর্ডার আসবে সেগুলো ভালোভাবে সাবমিট করুন। 

আপনার লেখার প্রাইজিং সিলেক্টশনে এখানে বড় অবদান রাখবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ক্ষেত্রে। আপনি যদি মাসে প্রতিদিন কাজ করেন এবং মাস শেষে ৩০ হাজার টাকা চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন ১০০০ টাকার কাজ করতে হবে। 

এক্ষেত্রে আপনাকে বাংলা কিংবা ইংরেজি উভয় ভাষায় পৃথক প্রাইজরেঞ্জ রেখে গড়ে ৩০০০ ওয়ার্ড লিখে যেতে হবে। বর্তমানে প্রাথমিক ভাবে বাংলা ভাষার আর্টিকেলের জন্য ৩০০ টাকা এবং ইংরেজি ভাষার আর্টিকেলের জন্য ৫০০ টাকা দেয়া হয় প্রতি হাজার ওয়ার্ডের জন্য। 

অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে আয় 

অ্যাপ ডেভেলপার হলো একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার যিনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। তারা অ্যাপ্লিকেশনগুলির ধারণা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন এবং প্রকাশ পর্যন্ত সবকিছুর করে থাকে। অ্যাপ ডেভেলপাররা বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে, যেমন গেম, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন, বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন এবং আরও অনেক কিছু।

অ্যাপ ডেভেলপারদের আয়ের প্রধান উৎস হল ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে, অ্যাপ ডেভেলপাররা বিভিন্ন গ্রাহকের জন্য কাজ করে, সাধারণত তাদের নিজস্ব সময় এবং হারে। চাকরিতে, অ্যাপ ডেভেলপাররা প্রযুক্তি কোম্পানি, স্টার্টআপ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির জন্য কাজ করে।

বাংলাদেশে, অ্যাপ ডেভেলপারদের গড় মাসিক আয় প্রায় ১০,০০০ টাকা। তবে, অভিজ্ঞ এবং দক্ষ অ্যাপ ডেভেলপাররা প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরা যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে চোখ বুলাই তবে দেখতে পাবো সেখানে অসংখ্য ডেভেলপার আছে যারা ঘন্টা অনুযায়ী কাজ করে। এবং এমনও রয়েছে যারা লাখ টাকাও আয় করছে। 

তবে বেশি লাভবান হয় প্রজেক্ট হিসেবে কাজ করা ডেভেলপাররা। তারা নিজেকেদের মত করে প্রজেক্টের উপর কাজ করে। এবং প্রজেক্ট শেষে বড় এমাউন্টের অর্থ হাতিয়ে দেয়। তবে এমন একজন হয়ে উঠতে আপনাকে বেশ পরিশ্রম করতে হবে, নিজের নাম ডাক অর্জন করতে হবে,  পাশাপাশি একটা এজেন্সি টাইপ ব্যবসা গড়ে তুলতে হবে। 

ভিডিও ইডিটিং 

ভিডিও এডিটিং হল ভিডিও শটের ম্যানিপুলেশন এবং বিন্যাস। ভিডিও এডিটিং ফিল্ম এবং টেলিভিশন শো, ভিডিও বিজ্ঞাপন এবং ভিডিও প্রবন্ধ সহ সমস্ত ভিডিও তথ্য গঠন এবং উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়। ভিডিও এডিটিং একটি দক্ষতা যা শিখতে অনেক সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। তবে, ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য প্রচুর সংখ্যক অনলাইন এবং অফলাইন রিসোর্স পাওয়া যায়।

আমাকে যদি একটা স্কিলের কথা জিজ্ঞাস করা হয়, যা এখন চলছে এবং ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি করে চলবে আর চলতেই থাকবে। তবে আমি ভিডিও ইডিটিং এর কাজের কথা বলবো। কেননা, বর্তমান সময় সব কিছু ভিডিও কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। কন্টেন্ট মেকিং থেকে শুরু করে ব্যবসার প্রোডাক্ট প্রোমোশন অব্দি, সব কিছুই যেনো ভিডিওতে উপস্থাপন করা হয়। এমতাবস্থায় যত বেশি ভিডিও নিয়ে কাজ, তত বেশি ভিডিও ইডিটরের চাহিদা। তাই আপনি যদি এখন থেকে শুরু করে লং টাইমের জন্য কাজ করতে চান পাশাপাশি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান তবে ভিডিও ইডিটিং এর সাথে যেতে পারেন। 

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও এডিটিংয়ের যে কাজ গুলি করে আয় করে সেগুলো হলো:

১) ভিডিও এডিটররা ভিডিও শটগুলিকে যেভাবে চান সেভাবে কাটতে এবং একত্রিত করতে পারে।

ভিডিওর গতি এবং সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা: ভিডিও এডিটররা ভিডিওর গতি এবং সময়সীমা পরিবর্তন করতে পারে।

২) ভিডিও এডিটররা ভিডিওর শব্দ এবং চিত্র উন্নত করতে বিভিন্ন প্রভাব এবং ফিল্টার ব্যবহার করতে পারে।

৩) ভিডিও এডিটররা ভিডিওতে সাবটাইটেল এবং অন্যান্য টেক্সট যোগ করতে পারেন করে আয় 

ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে আয় 

ইনফ্লুয়েন্সার হল এমন ব্যক্তি যিনি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি বড় দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এই দর্শকরা তাদের মতামত, পছন্দ এবং সুপারিশগুলিকে প্রভাবিত করতে বিশ্বাস করে। ইনফ্লুয়েন্সাররা বিভিন্ন বিষয়ে বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারে, যেমন ফ্যাশন, সৌন্দর্য, খাদ্য, ভ্রমণ, প্রযুক্তি, বা জীবনধারা।

ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রায়ই ব্র্যান্ড এবং কোম্পানিগুলির দ্বারা তাদের পণ্য বা পরিষেবাগুলি প্রচার করার জন্য ভাড়া করা হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলা হয়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় বিপণন কৌশল যা লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং তাদের ক্রয় সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ইনফ্লুয়েন্সারদের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

এন্টারটেইনার ইনফ্লুয়েন্সার: এই ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিনোদনমূলক সামগ্রী তৈরি করে, যেমন ভিডিও, পোস্ট এবং লাইভ স্ট্রিমিং।

এক্সপার্ট ইনফ্লুয়েন্সার: এই ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, যেমন ফ্যাশন, সৌন্দর্য, বা খাদ্য।

লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার: এই ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং আগ্রহ সম্পর্কে বিষয়বস্তু তৈরি করে।

মাসে ৩০ হাজার ও তার বেশি টাকা আয় কয়ার জন্য ইনফ্লুয়েন্সাররা বিভিন্ন উপায়ে অবলম্বন করতে পারে, যেমন:

১) স্পনসরশিপ: ব্র্যান্ড এবং কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের অর্থ প্রদান করে।

২) এফিলিয়েট মার্কেটিং: ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের দর্শকদের একটি লিঙ্ক বা কোডের মাধ্যমে একটি পণ্য বা পরিষেবা কেনার জন্য প্ররোচিত করে। যখন সেই দর্শক পণ্য বা পরিষেবাটি কেনে, তখন ইনফ্লুয়েন্সার একটি কমিশন পায়।

৩) পণ্য বিক্রয়: ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারে।

৪) সাবস্ক্রিপশন: ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের দর্শকদের কাছে সাবস্ক্রিপশন চার্জ করতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি বিপণন কৌশল যেখানে একজন ব্যক্তি বা কোম্পানি (অ্যাফিলিয়েট) অন্য ব্যক্তি বা কোম্পানির (প্রধান) পণ্য বা পরিষেবাগুলিকে প্রচার করে। যখন একজন গ্রাহক অ্যাফিলিয়েটের লিঙ্ক বা কোডের মাধ্যমে একটি পণ্য বা পরিষেবা কেনে, তখন অ্যাফিলিয়েট একটি কমিশন পায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের অনেকগুলি বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • লিঙ্ক-ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে, অ্যাফিলিয়েট একটি পণ্য বা পরিষেবার লিঙ্ক প্রদান করে যা গ্রাহককে প্রধানের ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। যখন সেই গ্রাহক পণ্য বা পরিষেবাটি কেনে, তখন অ্যাফিলিয়েট একটি কমিশন পায়।
  • কোড-ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে, অ্যাফিলিয়েট একটি কোড বা কুপন প্রদান করে যা গ্রাহককে প্রধানের ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করতে পারে। যখন সেই গ্রাহক পণ্য বা পরিষেবাটি কেনে, তখন অ্যাফিলিয়েট একটি কমিশন পায়।
  • প্রচারমূলক মার্কেটিং: এই ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে, অ্যাফিলিয়েট একটি পণ্য বা পরিষেবার জন্য একটি প্রচার চালায়। যখন একজন গ্রাহক সেই প্রচারটি ব্যবহার করে একটি পণ্য বা পরিষেবা কেনে, তখন অ্যাফিলিয়েট একটি কমিশন পায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় বিপণন কৌশল কারণ এটি একটি কার্যকর উপায়ে লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং তাদের ক্রয় সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরণের বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারে, (যেমন: পোস্ট, ভিডিও, এবং লিঙ্কডইন পোস্ট)।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য, একজন ব্যক্তি বা কোম্পানিকে প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে হবে। অনেকগুলি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম উপলব্ধ রয়েছে, তাই একজন ব্যক্তি বা কোম্পানিকে তাদের পণ্য বা সেবার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রোগ্রামটি খুঁজে বের করতে হবে।

একবার একজন ব্যক্তি বা কোম্পানি একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করলে, তারা তাদের দর্শকদের সাথে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করতে শুরু করতে পারে। এটি করার জন্য, তারা বিভিন্ন ধরণের বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারে, যেমন পোস্ট, ভিডিও, এবং লিঙ্কডইন পোস্ট।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় ধিরে ধিরে শুরু হলেও প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন এটার মাধ্যমে। শুরুর দিকে না হলেও মিড লেভেল থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় হবেই। 

ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন 

ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে সহজেই দ্রুত তৈরি এবং পরিচালনা করতে সুযোগ করে দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের চেহারা এবং কার্যকারিতা কাস্টমাইজ করতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারে।

ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশনের দুটি প্রধান উপায় হল:

  • থিম কাস্টমাইজেশন: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের চেহারা এবং সাজসজ্জা পরিবর্তন করতে থিম কাস্টমাইজ করতে পারে। থিমগুলি হল ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটগুলির জন্য প্যাটার্ন এবং শৈলীর সেট। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য একটি থিম নির্বাচন করতে পারে এবং তারপরে সেই থিমের চেহারা এবং সাজসজ্জা পরিবর্তন করতে কাস্টমাইজেশন অপশনগুলি ব্যবহার করতে পারে।
  • প্লাগইন কাস্টমাইজেশন: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা উন্নত করতে প্লাগইন কাস্টমাইজ করতে পারে। প্লাগইনগুলি হল ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটগুলিতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা যোগ করার জন্য তৈরি সফ্টওয়্যার। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য একটি প্লাগইন নির্বাচন করতে পারে এবং তারপরে সেই প্লাগইনের সেটিংস এবং বৈশিষ্ট্যগুলি কাস্টমাইজ করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশনের কিছু সাধারণ উদাহরণ হল:

  • থিম কাস্টমাইজেশন: একটি থিমের রঙ, ফন্ট, ফন্টের আকার, এবং অন্যান্য গ্রাফিকাল উপাদানগুলি পরিবর্তন করা।
  • প্লাগইন কাস্টমাইজেশন: একটি প্লাগইনের বৈশিষ্ট্যগুলি সক্ষম বা অক্ষম করা, প্লাগইনের সেটিংস পরিবর্তন করা, এবং প্লাগইনের সাথে নতুন ফাংশনগুলি যোগ করা।
  • কোড কাস্টমাইজেশন: ওয়ার্ডপ্রেস কোডে পরিবর্তন করা যা ওয়েবসাইটের চেহারা, কার্যকারিতা, বা বৈশিষ্ট্যগুলিকে পরিবর্তন করে।

Fiverr – এ, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশনের জন্য কাজগুলির গড় মূল্য $5 থেকে $50 এর মধ্যে থাকে। আরও জটিল কাজগুলির জন্য, আপনি $100 বা তার বেশি চার্জ করতে পারেন। Upwork-এ, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশনের জন্য কাজগুলির গড় মূল্য $10 থেকে $500 এর মধ্যে থাকে। তাহলে নিশ্চই বুজতে পারছেন এখানে অনেক বড় সুযোগ রয়েছে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য। 

অফলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

এখানে উল্লেখিত প্রতিটি কাজই আপনি বাস্তবিক জীবনে হ্যান্ড ফিল ফিয়ে করতে পারবেন। আপনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের অনুভুতির পাশাপাশি বাস্তব জীবনে কাজ করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি যদি শুধু ঘরে বসে আয় করতে না চেয়ে বাইরে কাজ করতে বেশি সাচ্ছন্যবোধ করেন তবে এই উপায় গুলো অনুসরণ করুন। 

রিসেলিং ব্যবসা 

ব্যবসা করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুজছেন? তবে ব্যবসা করার জন্য আপনার নিজস্ব কোনো প্রোডাক্ট বা সেবা নেই? কোনো অসুবিধে নেই, আপনি রিসেলিং ব্যবসা করেও মাসে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করতে পারবেন। 

রিসেলিং ব্যবসা হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি অন্য কারও পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করেন। আপনি একটি সরবরাহকারী থেকে পণ্যগুলি কিনতে পারেন এবং তারপর সেগুলি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। চলুন তবে অল্পের মধ্যে জেনে নেয়া যাক কিভাবে রিসেলিং এর মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে পারবেন, আর কিভাবে রিসেলিং ব্যবসা সেটাপ করবেন। 

রিসেলিং ব্যবসায়ের ধাপ সমূহ 

১) পণ্যের একটি বিভাগ নির্বাচন করুন যা সম্পর্কে আপনি উত্সাহী এবং আপনার জ্ঞান রয়েছে। এটা হতে পারে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, সৌন্দর্য পণ্য, আনুষাঙ্গিক, বা অন্য কোনো বিপণনযোগ্য আইটেম।

২) প্রতিযোগীতামূলক মূল্যে পণ্য অফার করে এমন নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী বা পাইকারী বিক্রেতাদের খুঁজুন। আপনি স্থানীয় সরবরাহকারীদের অনুসন্ধান করতে পারেন বা আপনার এলাকার পাইকারি বাজারে খোজ করতে পারেন।

৩) একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করুন যাতে আপনার বাজেট, প্রাথমিক বিনিয়োগ, লক্ষ্য বাজার, মূল্য নির্ধারণের কৌশল এবং মাসিক বিক্রয় লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। আপনার লাভ মার্জিন সম্পর্কে উল্লেখ্য থাকে। 

৪) আপনার রিসেলিং ব্যবসার জন্য একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করুন। একটি ওয়েবসাইট, ই-কমার্স স্টোর সেট আপ করুন, বা আপনার পণ্যগুলি প্রদর্শন করতে Facebook, Instagram, বা TikTok এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করুন৷

৫) পণ্য ক্রয়, শিপিং, এবং আপনার কাঙ্খিত লাভ মার্জিন সহ খরচ কভার করতে আপনার মূল্য গণনা করুন। নিশ্চিত করুন যে আপনার দাম বাজারে প্রতিযোগিতামূলক।

৬) আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি বিপণন কৌশল গড়ে তুলুন। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) ব্যবহার করুন। বিক্রয় বাড়ানোর জন্য প্রচার এবং ডিসকাউন্ট চালান।

৭) আপনার ব্যয় এবং আয়ের বিস্তারিত রেকর্ড রাখুন। এটি আপনাকে আপনার ব্যবসার আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষণ করতে এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে সাহায্য করবে।

৮) ব্যক্তিগত অর্থ থেকে আপনার ব্যবসার অর্থ আলাদা করুন। নগদ প্রবাহের উপর নজর রাখুন, সময়মত বিল পরিশোধ করুন এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ বা জরুরী অবস্থার জন্য সংরক্ষণ করুন।

একটি লাভজনক রিসেলিং ব্যবসা তৈরি করতে সময় লাগে। আপনার প্রচেষ্টার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকুন, বাজারের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিন এবং আপনার মাসিক আয়ের লক্ষ্যে কাজ করার সময় ধৈর্য ধরুন।

রেস্টুরেন্টের ব্যবসা 

২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টের সংখ্যা প্রায় ৫০০,০০০। এই সংখ্যাটি প্রতি বছর প্রায় ১০% বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টের মোট আয় প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই আয়টি প্রতি বছর প্রায় ১৫% বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ১০ মিলিয়ন লোক কর্মসংস্থান পেয়েছে। এই কর্মসংস্থানটি প্রতি বছর প্রায় ১০% বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তো বুজতেই পারছেন বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা কতটা ট্রেন্ডিং এবং গ্রোয়িং। এই ব্যবসা করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকাই নয় বরং এর থেকে অনেক বেশি প্রোফিট মার্জিন রাখা যায় অনায়াসেই। তবে এটা শুরু করে দিলেই হবে না প্রয়োজন স্ট্রেটেজির। 

একটি সফল রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চালানোর জন্য একটি ভাল ব্যবসায়িক কৌশল অপরিহার্য। এই কৌশলটি অবশ্যই রেস্তোরাঁর লক্ষ্য, বাজার এবং লক্ষ্য দর্শকদের বিবেচনায় নিতে হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল উপস্থাপন করা হলো:

১) আপনার রেস্টুরেন্টের লক্ষ্য কী? আপনি কি কোন নির্দিষ্ট ধরনের খাবার পরিবেশন করতে চান? আপনি কি কোন নির্দিষ্ট ধরনের গ্রাহকদের লক্ষ্য করছেন? আপনার লক্ষ্য এবং টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ করা আপনাকে আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করবে।

২) আপনার রেস্টুরেন্টের অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার রেস্তোরাঁটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত হওয়া উচিত যেখানে আপনার লক্ষ্য দর্শকরা সহজেই এটি খুঁজে পেতে পারে।

৩) আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার এবং সেবা আপনার লক্ষ্য দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আপনি যদি মানসম্পন্ন খাবার এবং সেবা প্রদান করতে পারেন তবে আপনি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং তাদেরকে পুনরায় ফিরে আসতে উৎসাহিত করবে।

৪) আপনার খাবারের জন্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার খাবারের জন্য খুব বেশি চার্জ করেন তবে আপনি গ্রাহকদের বিতাড়িত করতে পারেন। আপনি যদি আপনার খাবারের জন্য খুব কম চার্জ করেন তবে আপনি লাভ করতে পারবেন না।

৫) আপনার রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে মানুষকে জানতে হবে। আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রচার এবং বিপণন কৌশল ব্যবহার করে এটি করতে পারেন।

কাপুড়ের ব্যবসা 

কাপুড়ের ব্যবসা হলো একটি বৈশ্বিক ব্যবসা যা বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ এই ব্যবসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপুড়ের রপ্তানিকারক। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের কাপুড়ের রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের কাপুড়ের ব্যবসার প্রধান আকর্ষণ হলো এর কম খরচ। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, তাই এখানে শ্রম ও অন্যান্য উপকরণের খরচ তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়াও, বাংলাদেশের কাপুড়ের শিল্পে দক্ষ শ্রমিকের একটি বড় জনসংখ্যা রয়েছে।

বাংলাদেশের কাপুড়ের ব্যবসার প্রধান রপ্তানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপান। এই দেশগুলিতে, বাংলাদেশের কাপুড়ের পোশাক এবং অন্যান্য কাপড় জনপ্রিয়। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের কাপুড়ের রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দারুন সব তথ্যের মাধ্যমে এটা সুস্পষ্ট যে, কাপুড়ের ব্যবসা করার মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা আয় করা যায়। যদিও কাপুড়ের ব্যবসায় রয়েছে অনেক বেশি ভাগ, তবে আপনার দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে যদি সঠিক মাধ্যম ও সঠিক ব্যবসায়িক স্ট্রেটেজি গড়ে তুলতে পারেন তবে কাপুড়ের ব্যবসায়ের মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা কোনো ব্যাপারই নয়। 

কসমেটিক্সের ব্যবসা 

বাংলাদেশে কসমেটিক্সের ব্যবসা একটি দ্রুত বর্ধনশীল খাত। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশের কসমেটিক্স বাজারের আকার ছিল প্রায় ৪০০ বিলিয়ন টাকা। এই বাজারটি ২০২৭ সালের মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশে কসমেটিক্স ব্যবসার বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • জনসংখ্যা বৃদ্ধি
  • আয় বৃদ্ধি
  • জীবনযাত্রার মান উন্নত
  • প্রযুক্তির উন্নতি

২০২২-২৩ সালে, বাংলাদেশের কসমেটিক্স বাজারের বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১০% যা কি না খুবই গ্রোয়িং। এই সেক্টরে ব্যবসা করা সর্বদা লাভজনক হিসেবেই গন্য করা হয়। বাংলাদেশের কসমেটিক্স বাজারের প্রধান বাজারগুলি হল ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, ইত্যাদি। 

মূলত বাংলাদেশের কসমেটিক্স বাজারের প্রধান পণ্য বিভাগ গুলি হলো:

  • ত্বকের যত্ন: এই বিভাগের মধ্যে রয়েছে ফেসওয়াশ, লোশন, ক্রিম, ইত্যাদি।
  • চুলের যত্ন: এই বিভাগের মধ্যে রয়েছে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার জেল, ইত্যাদি।
  • মেকআপ: এই বিভাগের মধ্যে রয়েছে লিপস্টিক, পাউডার, আইশ্যাডো, ইত্যাদি।

আসলে এই ব্যবসাটি এখনের থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ অব্দি খুব গ্রোয়িং একটি ব্যবসা হবে। সঠিক বাজেটিং, ব্যবসার পরিকল্পনা, স্থান বাছাই করতে পারলে মাসে ৩০ হাজার কেন, এর চেয়েও অনেক বেশি আয় করার সুযোগ রয়েছে এই সেক্টরে। 

কোচিং সেন্টার 

বাংলাদেশে কোচিং সেন্টার ব্যবসার ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়। এই ব্যবসার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে কারণ শিক্ষার গুণমানের অবনতি এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

মূলত বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের কোচিং সেন্টার রয়েছে। 

১) স্কুল-ভিত্তিক কোচিং সেন্টার: স্কুল-ভিত্তিক কোচিং সেন্টারগুলি স্কুলের শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কোচিং সেন্টারগুলি সাধারণত স্কুলের পাঠ্যক্রমের উপর ফোকাস করে।

২) ইনস্টিটিউট-ভিত্তিক কোচিং সেন্টার: ইনস্টিটিউট-ভিত্তিক কোচিং সেন্টারগুলি বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কোচিং সেন্টারগুলি বিভিন্ন ধরণের কোর্স অফার করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি
  • চাকরির প্রস্তুতি

৩) অনলাইন কোচিং সেন্টার: অনলাইন কোচিং সেন্টারগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোর্স অফার করে। এই কোচিং সেন্টারগুলির সুবিধা হল যে শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গা থেকে কোর্সগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারে

এটি মূলত আপনার উপর নির্ভর করবে যে আপনি কোন ধরণের কোচিং সেন্টার স্থাপন করতে চাচ্ছেন। তবে মূল কথা হলো এই ব্যবসার দ্বারা মাসে ৩০ হাজার টাকার অনেক বেশি আয় করা যাবে নিশ্চিত ভাবেই। যার প্রদান কারণ হলো: 

  • শিক্ষার গুণমানের অবনতি
  • প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের চাহিদা বৃদ্ধি
  • অভিভাবকদের সন্তানদের শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি

ফাস্ট ফুডের দোকান 

বাংলাদেশে ফাস্ট ফুডের ব্যবসা একটি দ্রুত বর্ধনশীল খাত। ২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশে প্রায় ১০,০০০ ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে। এই দোকানগুলি বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড পরিবেশন করে, যার মধ্যে রয়েছে বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন, এবং অন্যান্য খাবার।

ফাস্ট ফুডের ব্যবসার জনপ্রিয়তার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, ফাস্ট ফুড দ্রুত এবং সহজে পাওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, ফাস্ট ফুডের দাম সাধারণত অন্যান্য খাবারের তুলনায় কম। তৃতীয়ত, ফাস্ট ফুডের বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যা বিভিন্ন মানুষের পছন্দের সাথে মানানসই।

ফাস্ট ফুডের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। একটি ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। বড় ফাস্ট ফুডের চেইনগুলি আরও বেশি আয় করতে পারে।

বাংলাদেশে ফাস্ট ফুডের ব্যবসার ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে মনে করা হচ্ছে। জনসংখ্যার বৃদ্ধি, শহরায়ণ, এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির কারণে ফাস্ট ফুডের চাহিদা আরও বাড়তে পারে।

ফার্মেসির দোকান

ছোট পরিসরে ফার্মেসির দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে, এর জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। ফার্মেসি একটি চাহিদাসম্পন্ন ব্যবসা। মানুষ অসুস্থ হলে ওষুধের জন্য ফার্মেসিতে আসে। তাই, ফার্মেসির দোকান ভালো অবস্থানে থাকলে এবং ভালো মানের ওষুধ বিক্রি করা হলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

বাংলাদেশে ছোট পরিসরে ফার্মেসির দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা একটি সাধারণ ঘটনা। ২০২৩ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ছোট পরিসরে ফার্মেসির দোকানগুলোর গড় মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে, কিছু দোকান ৩০ হাজার টাকারও বেশি আয় করে।

ফার্মেসির দোকান থেকে আয়ের প্রধান উৎস হল ওষুধ বিক্রি। তবে, ফার্মেসি থেকে অন্যান্য পণ্যও বিক্রি করা যায়, যেমন স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা ইত্যাদি। এসব পণ্য ও সেবা থেকেও আয় করা সম্ভব। ফার্মেসির দোকান থেকে আয় বাড়ানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

  • ভালো অবস্থানে দোকান বসানো
  • ভালো মানের ওষুধ বিক্রি করা
  • অন্যান্য পণ্য ও সেবা বিক্রি করা
  • বিপণন ও প্রচার করা
  • গ্রাহক সেবা উন্নত করা

ছোট পরিসরে ফার্মেসির দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে উক্ত বিষয়ে কোর্স করতে হবে। 

ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা 

বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার সুবিধা সমূহ: 

১) কম ঝুঁকি: ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক কম ঝুঁকি থাকে। কারণ তারা একটি প্রমাণিত ব্যবসা মডেলের অধীনে কাজ করে।

২) প্রশিক্ষণ ও সহায়তা: ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা প্রায়ই তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা প্রদান করে।

৩) ব্র্যান্ড সুনাম: ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা তাদের ব্র্যান্ডের সুনাম এবং গ্রাহক ভিত্তি ব্যবহার করে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ব্যবসা শুরু করতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার কিছু জনপ্রিয় খাত সমূহ: 

  • খাবার ও পানীয়
  • ফাস্ট ফুড
  • রেস্তোরাঁ
  • ক্যাফে
  • বেকারি
  • ফ্যাশন
  • পোশাক
  • জুতা
  • সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যসেবা
  • শিক্ষা 
  • সার্ভিস

বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার আয় প্রতি বছর বাড়ছে। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার আয় ৫,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালে, এই আয় আরও বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও এই ধরনের ব্যবসায়িক মডেলে অনেক মুলধনের প্রয়োজন তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিশ্চিত ভাবে মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রফিট মার্জিন পাওয়া যায়। 

বিউটি পার্লারের ব্যবসা 

বিউটি পার্লারের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে বিউটি পার্লারের ব্যবসার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে সৌন্দর্যচর্চার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিউটি পার্লারের ব্যবসার চাহিদাও বাড়ছে।

বিউটি পার্লারের ব্যবসার আয় নির্ভর করে পার্লারের অবস্থান, পরিষেবার মান, কর্মীদের দক্ষতা এবং গ্রাহকের সংখ্যার উপর। সাধারণত, একটি ছোট বিউটি পার্লার মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারে। একটি মাঝারি আকারের বিউটি পার্লার মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারে।

বিউটি পার্লারের ব্যবসায় লাভ করার জন্য কিছু কৌশল হল:

  • সঠিক অবস্থানে পার্লার নির্বাচন করুন। পার্লারটি এমন এলাকায় অবস্থিত হওয়া উচিত যেখানে গ্রাহকের সংখ্যা বেশি।
  • মানসম্মত পরিষেবা প্রদান করুন। কর্মীদেরকে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দিন।
  • সঠিক মার্কেটিং করুন। পার্লারের বিজ্ঞাপন দিন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে উপস্থিত থাকুন।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য একটি ছোট বিউটি পার্লারের জন্য নিম্নলিখিত স্ট্রেটেজিগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • প্রাথমিকভাবে, পার্লারটিতে মূলত সাধারণ পরিষেবাগুলি যেমন চুল কাটা, চুলের স্টাইল, মেকআপ এবং ত্বকের পরিচর্যা প্রদান করুন।
  • কর্মীদেরকে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দিন।
  • পার্লারের বিজ্ঞাপন দিন।
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে উপস্থিত থাকুন।

এই স্ট্রেটেজিগুলি অনুসরণ করে, আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

কৃষি সংক্রান্ত মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, তাই এবারে থাকছে কৃষি ও সেম ক্যাটাগরির কিছু কাজ যেগুলো করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যাপক ভুমিকা পালন করতেও সক্ষম হবেন। এই কাজ গুলো নারী পুরুষ যৌথ ভাবেও করতে পারবেন এবং নিজ গৃহে কিংবা বাইরের লোকেশনেও করতে সক্ষম হবেন। তাহলে আসুন দেখে নেয়া যাক সে কাজ গুলো। 

হাস মুরগির ডিম উৎপাদন 

পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের হাস মুরগির ডিম এর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের মোট ডিম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৩ বিলিয়ন, যার মধ্যে হাসের ডিম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন। হাসের ডিমের চাহিদা মোট ডিমের চাহিদার প্রায় ১০%।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের হাসের ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ বিলিয়ন। সরকার আশা করছে যে, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। হাস মুরগির ডিমের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে হাস মুরগির পালন একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। অনেক মানুষ এখন হাস মুরগি পালন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। 

হাস মুরগির ডিম উৎপাদন ব্যবসার কিছু সুবিধা হল:

  • লাভজনক ব্যবসা: হাস মুরগির ডিম উৎপাদন একটি লাভজনক ব্যবসা।
  • কম পুঁজির প্রয়োজন: এই ব্যবসা শুরু করার জন্য বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না।
  • কমঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা: এই ব্যবসার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।

চাহিদা ব্যাপক হওয়ার কারণে এই ব্যবসায় নামলে, এখান থেকে অনেক তারাতারি সফলতার চূড়ায় উঠতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে বেশ পরিকল্পনা করতে হবে। এই পর্যায়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে উপস্থাপন করছি: 

  • পরিকল্পনা: ব্যবসা শুরু করার আগে একটি ভালো পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পরিকল্পনায় খামারের আকার, খামারের অবস্থান, খামারের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং খাবার, এবং বিপণনের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • খামার: খামারের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। খামারটি অবশ্যই পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর হতে হবে। খামারে পর্যাপ্ত আলো এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • খাবার: হাস মুরগির জন্য উচ্চমানের খাবার সরবরাহ করতে হবে। খাবারের মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ হতে হবে।
  • চিকিৎসা: হাস মুরগির স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে।
  • বিপণন: ডিম বিক্রির জন্য একটি ভালো বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। ডিম পাইকারি বা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে।

তাহলে বুঝাই যায়, এই খাতেও আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

ছাগল পালন 

ছাগল পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে ছাগলের দুধ, মাংস, চামড়া, এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয়। ছাগলের দুধের উৎপাদন ও রপ্তানি করে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ছাগল পালন করে যে পরিমাণ আয় করা যায় তা নির্ভর করে ছাগলের প্রকার, পালনের পদ্ধতি, এবং বাজারের অবস্থার উপর। সাধারণত, প্রতিটি ছাগল থেকে বছরে প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা যায়। ছাগলের দুধ, মাংস, চামড়া, এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করে আরও বেশি আয় করা সম্ভব।

বাংলাদেশে ছাগল পালনের সম্ভাবনা অনেক। দেশে ছাগলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ছাগলের দুধ, মাংস, চামড়া, এবং অন্যান্য পণ্যের বাজার ভালো। তাই ছাগল পালন করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

বাংলাদেশে ছাগলের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। ছাগল পালনের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে ছাগলের দুধের উৎপাদন ছিল প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। ছাগলের মাংসের উৎপাদন ছিল প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন।

ছাগল পালনের সুবিধা ও অসুবিধা 

– ছাগল পালনের অনেক সুবিধা রয়েছে। ছাগল পালন করতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। ছাগল খাদ্যের জন্য দামি খাবার খায় না। ছাগল সহজেই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। ছাগল পালন করে কম সময়ে বেশি লাভ করা সম্ভব।

– ছাগল পালনের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ছাগল পালন করতে পরিশ্রম করতে হয়। ছাগলের রোগের কারণে ক্ষতি হতে পারে। ছাগলের দাম কম হলে লোকসান হতে পারে।

ছাগল পালন করে লাভবান হতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। ছাগল পালনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ছাগলের খাদ্য ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। ছাগলের রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ছাগল  পালন করতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ লাগে। যেমন:

  • ছাগলের ঘর
  • খাদ্য
  • পানি
  • ওষুধ
  • অন্যান্য সরঞ্জাম

ছাগল পালনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:

  • মুক্ত পদ্ধতি
  • আধা-মুক্ত পদ্ধতি
  • ঘেরা পদ্ধতি

ছাগল পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। ছাগল পালন করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই ছাগল পালনকে একটি পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। 

মাছ চাষ 

মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে মাছ চাষ করে প্রচুর পরিমাণে আয় করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাষের মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ২৯ লাখ মেট্রিক টন।

মাছ চাষ করে যে পরিমাণ আয় করা যায় তা নির্ভর করে মাছের প্রকার, চাষের পদ্ধতি, এবং বাজারের অবস্থার উপর। সাধারণত, প্রতি হেক্টর জমিতে মাছ চাষ করে বছরে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকা আয় করা যায়।

বাংলাদেশে মাছ চাষের সম্ভাবনা অনেক। দেশে মাছের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। মাছের বাজার ভালো। তাই মাছ চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশে মাছের চাষের জন্য প্রায় ৪ লাখ হেক্টর জমি ব্যবহার করা হয়। মাছ চাষের জন্য প্রায় ১ কোটি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।

মাছ চাষের সুবিধা ও অসুবিধা

– মাছ চাষের অনেক সুবিধা রয়েছে। মাছ চাষ করতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। মাছ চাষের জন্য দামি খাবার খাওয়াতে হয় না। মাছ চাষ করে কম সময়ে বেশি লাভ করা সম্ভব।

– মাছ চাষের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। মাছ চাষ করতে পরিশ্রম করতে হয়। মাছের রোগের কারণে ক্ষতি হতে পারে। মাছের দাম কম হলে লোকসান হতে পারে।

মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমন:

  • পুকুর চাষ
  • উন্মুক্ত জলাশয় চাষ
  • খাঁচায় চাষ
  • ট্রলিতে চাষ

মাছ চাষ করে মাসে অনায়াসেই ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। মূলত কৃষি মূলক খাতে এই পরিমাণ অর্থ আয় করা তেমন কোনো বড় ব্যাপার নয় কখনই। তবে প্রয়োজন সঠিক ভাবে সকল কার্য সম্পাদনের। 

হাস মুরগি পাগল 

হাস মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে হাস মুরগির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাস মুরগির মাংস, ডিম, পালক, চামড়া ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। হাস মুরগি পালন করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

হাস মুরগি পালনের চাহিদা

হাস মুরগির মাংস একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। বাংলাদেশে হাস মুরগির মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাস মুরগির ডিমও একটি জনপ্রিয় খাবার। হাস মুরগির পালক ও চামড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।

হাস মুরগি পালনের পরিসংখ্যানগত তথ্য

বাংলাদেশে হাস মুরগির সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে হাস মুরগির সংখ্যা প্রায় ১০০ মিলিয়ন। হাস মুরগির মাংসের উৎপাদনও প্রতি বছর বাড়ছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে হাস মুরগির মাংসের উৎপাদন প্রায় ১০ লক্ষ টন।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে করণীয়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে হলে কমপক্ষে ১০০টি হাস মুরগি পালন করতে হবে। হাস মুরগি পালনের জন্য একটি ভালো জায়গা নির্বাচন করতে হবে। হাস মুরগি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। হাস মুরগি পালনের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে হবে:

  • হাস মুরগি পালনের জন্য একটি ভালো জায়গা নির্বাচন করতে হবে। জায়গাটি অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ হতে হবে।
  • হাস মুরগি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে।
  • হাস মুরগি পালনের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
  • হাস মুরগিদের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে।
  • হাস মুরগিদের রোগ থেকে রক্ষা করতে হবে।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:

  • হাস মুরগির মাংস বিক্রি করে।
  • হাস মুরগির ডিম বিক্রি করে।
  • হাস মুরগির পালক ও চামড়া বিক্রি করে।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে হলে হাস মুরগি পালনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। পরিকল্পনায় হাস মুরগি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ, আয়ের সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে।

কবুতর পালন 

কবুতর পালন একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। কবুতরের মাংস, ডিম, ছানা, এবং বংশ বিস্তারের মাধ্যমে কবুতর পালন করে আয় করা যায়।

কবুতরের মাংসের চাহিদা

বাংলাদেশে কবুতরের মাংসের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কবুতরের মাংস পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা বেড়েছে। কবুতরের মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এবং চর্বির পরিমাণ কম। এছাড়াও, কবুতরের মাংসে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে।

কবুতরের ডিমের চাহিদা

কবুতরের ডিমও একটি জনপ্রিয় খাদ্য। কবুতরের ডিম আকারে ছোট হলেও এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। কবুতরের ডিম সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে।

কবুতরের ছানার চাহিদা

কবুতরের ছানাও একটি জনপ্রিয় খাদ্য। কবুতরের ছানা খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। কবুতরের ছানা সাধারণত মুখরোচক খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।

কবুতরের বংশ বিস্তারের মাধ্যমে আয়

কবুতরের বংশ বিস্তারের মাধ্যমেও আয় করা যায়। ভালো জাতের কবুতর বিক্রি করে ভালো আয় করা যায়। এছাড়াও, কবুতরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়েও আয় করা যায়।

কবুতর পালনের সম্ভাবনা

বাংলাদেশে কবুতর পালনের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশে কবুতর পালনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে কবুতর পালনের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে থাকে।

কবুতর পালনের পরিসংখ্যান

বাংলাদেশে কবুতর পালনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৫ কোটি কবুতর পালিত হয়। বাংলাদেশে কবুতর পালনের প্রধান এলাকা হল ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, এবং খুলনা।

কবুতর পালন করে আয় করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কবুতর পালনের জন্য ভালো জাতের কবুতর নির্বাচন করা, পর্যাপ্ত খাবার এবং পানীয় সরবরাহ করা, এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

কবুতর পালন করে আয় করার কিছু টিপস

  • ভালো জাতের কবুতর নির্বাচন করুন।
  • পর্যাপ্ত খাবার এবং পানীয় সরবরাহ করুন।
  • স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন।
  • কবুতরের যথাযথ যত্ন নিন।
  • কবুতরের প্রজনন নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • কবুতরের বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি কবুতর পালন করে ভালো আয় করতে পারবেন।

পরিশেষে কিছু কথা 

আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে এই পর্যায়ে এসে থাকেন, তবে অভিনন্দন আপনাকে, আপনি ভেতরগত দিক থেকেই একটা মাইলেস্টন গড়ে ফেলেছেন। আপনি মনযোগের সহিত পুরো আর্টিকেলটি পড়তে পেরেছেন একটা কারণেই আর সেটা হলো আপনার ডেডেকেশন। এরুপ ডেডিকেশন নিয়ে কোনো কাজ যদি শুরু করেন তবে অবশ্যই সেখান থেকে সফলতা ছিনিয়ে নিয়েই আপনি ক্ষ্যান্ত হবেন। আর এমন ডেডিকেশই পারে জীবনের সফলতা নিয়ে আসতে। 

যাই হোক, অনেক কথা বলেছি আর অনেক উপায় নিয়ে অনেক গুলো তথ্য দিয়েছি। আশা রাখছি এই সকল তথ্য আপনার কাজে আসবে, প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ক্ষেত্রে উপায় গুলো কার্যকর ভাবে ভূমিকা পালন করবে আপনার জীবনে। তবে আপনি যদি এই ২০ টি উপায় থেকেও আপনার পছন্দ মোতাবেক Earning Source টি খুজে না পান, তবে Online Taka Income ওয়েবসাইটটি চেক আউট করেন, কেননা এখানে রয়েছে অসংখ্য উপায় অনলাইন এবং অফলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার।