রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায় । অনলাইনে রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট 

Salim Mahamud

রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায়
রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায়

রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায় । অনলাইনে রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট 

আপনি কি রিয়েল টাকা ইনকাম করতে চান? অনলাইনে ঘরে বসে রিয়েল টাকা ইনকাম করার সাইট ও প্ল্যাটর্ফমের পাশাপাশি উপায় খুজে যাচ্ছেন? তবে আপনাকে বলবো একটু শান্ত হোন, আর কোথাও যেতে হবে না, কেননা আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমেই জানতে পারবেন রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে সব কিছু। 

রিয়েল টাকা ইনকাম বলতে কি বুঝানো হচ্ছে? 

ইংরেজি Real শব্দের বাংলা অর্থ প্রকৃত, আসল। সেক্ষেত্রে রিয়েল টাকা ইনকাম বলতে প্রকৃতপক্ষে আসল টাকা ইনকাম করার ব্যাপারটা বোঝানো হয়েছে। অনলাইনে এমন অনেক প্ল্যাটফর্মই আছে যেখানে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার কথা বলে ঠিকই কিন্তু দিন শেষে কিছুই পাওয়া যায় না। 

তবে চিন্তা নেই, এই আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন সেসব রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট ও উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই রিয়েল টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে, কেননা এই বিষয়ে অবগত না থাকলে দিন শেষে আপনার সময় নষ্ট হবে আর কিছু না। 

(প্রকৃত অর্থে) রিয়েল টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি করতে হয়?

আপনি যখনই রিয়েল টাকা ইনকাম করতে চাইবেন তখন আপনাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে কিছুটা প্রস্তুতি নিতে হবে, কেননা পৃথিবীতে কেউই আপনাকে বিনা কারণে অর্থ দিবে না। এই প্রস্তুতি হবে কিছু যোগ্যতার ভিত্তিক এবং কিছু প্রয়োজন ভিত্তিক। আসুন প্রথমে জেনে নেই অনলাইনে রিয়াল টাকা ইনকাম করার জন্য কি করতে হবে: 

১) প্রথমে আপনাকে একটি সফট স্কিল নিজের মধ্যে ডেভেলপ করতে হবে।

২) আপনার অর্জিত স্কেল দ্বারা কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন সে প্লাটফর্ম সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এবং সে প্লাটফর্মে একাউন্ট করে সেখানে কাজের জন্য এপ্লাই করতে হবে।

৩)  যখন অর্ডার পেয়ে যাবেন তখন কাজটি সম্পূর্ণ করে সেটি সাবমিট করতে হবে। অতঃপর সে প্লাটফর্ম থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। 

এবার প্রশ্ন হচ্ছে অনলাইনে রিয়াল টাকা ইনকাম করার জন্য সে প্লাটফর্ম গুলো সম্পর্কে কিভাবে জানতে পারবেন বা সে ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত কিভাবে হবে? উক্ত কাজটি সহজ করার জন্যই আমাদের এবারের আর্টিকেলটির উপস্থাপনা। এয়ার টিকেটের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন রিয়েল টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম বা উপায় গুলোর সম্পর্কে।  চলুন শুরু করা যাক.. 

অনলাইনে রিয়েল টাকা ইনকাম করার সাইট সমূহ 

অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট, প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে রিয়াল টাকা ইনকাম করা যায়। বুঝার সুবিধার্থে এবং উপস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা পৃথক পৃথকভাবে সেগুলো উপস্থাপন করব। প্রথমেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করা যাক। 

রিয়েল টাকা ইনকাম করার অনলাইন মার্কেটপ্লেস 

আপনি নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অবগত, ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি সফট স্কিল অর্জন করতে হবে। পরবর্তীতে সেই স্কিলটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মার্কেট প্রেসের মাধ্যমে কাজের অর্ডার গ্রহণ এবং সেখানে কাজ করে কাজ সাবমিট করে টাকা ইনকাম করতে হবে। এই পর্যায়ে এমন কিছু বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানাবো যেখানে কাজ করে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

Upwork 

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং  সেক্টরে যতগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে সে সবগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং খুব বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে Upwork। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি নিজ ঘরে বসে অনলাইনে ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে নিজের সফট স্কিল কে কাজে লাগিয়ে কাজ করে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যখনই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন তখন বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাজের সমাহার দেখতে পাবেন। এখানে বেশ কিছু সেক্টর বা ক্যাটেগরিতে কাজ পাওয়া যায় ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে: 

১) ডেভেলপমেন্ট এন্ড আই টি

২) ডিজাইন এন্ড ক্রিয়েটিভ

৩) সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং 

৪) writing and translation 

৫) admin and customer support

আপনি যে সফট স্কিলটি অর্জন করেছেন বা যে সব স্কিনের দক্ষতা অর্জন করেছে সে সব স্ক্রিলটি যদি এই ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত হয় তাহলে আপনি Upwork এর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে কাজ করে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

Fiverr 

অনলাইনে ঘরে বসে রিয়েল টাকা ইনকাম করার আরো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে হলো ফাইবার।ফাইবার একটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী। প্রায় সব ধরনের স্কিল  গুলোকে একত্রিত করে এখানে দিক দেওয়া হয় এবং প্রচুর গ্রাহক হওয়ার কারণে এখানে বেশ ভালো রিয়াল টাকা ইনকাম করা যায়। 

আপনি যদি আপনার সার্ভিসের প্রতি কনফিডেন্ট হয়ে থাকেন তবে ফাইবার এর মাধ্যমে আপনি বেশ ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফাইবারে আপনি বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে কাজ খুঁজে পাবেন সে  ক্যাটাগরি গুলো হলো: 

  •  গ্রাফিক এন্ড ডিজাইন
  •  ডিজিটাল মার্কেটিং
  •  রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন
  •  ভিডিও অ্যানিমেশন
  •  মিউজিক এন্ড অডিও
  •  প্রোগ্রামিং
  •  ডাটা
  •  বিজনেস
  •  লাইফ স্টাইল
  •  ফটোগ্রাফি

উপরে উল্লেখিত ক্যাটাগরি গুলোতে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফাইবারে কাজ করতে সক্ষম হবেন। আবার বলে রাখছি আপনি যদি আপনার কাজের প্রতি কনফিডেন্ট হন এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত এবং ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে পারবেন ফাইবারের মাধ্যমে।

PeoplePerHour.com

হয়তো নাম শুনেই বুঝে যাচ্ছেন এটা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস যেখানে মানুষকে ভাড়া করা হয় প্রতি ঘন্টা অনুযায়ী কাজ করার জন্য। যারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর সম্পর্কে আগ্রহী এবং সেখানে কাজ করতে চায় এবং প্রতি ঘন্টা অনুযায়ী কাজ করে  রিয়েল টাকা ইনকাম করতে চায়, তাদের জন্য আদর্শ একটি মার্কেটপ্লেস হলো পিপল পার আওয়ার ডটকম। 

এই  মার্কেটপ্লেসটিতে আপনি যে সকল ক্যাটাগরিতে নিজের দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে সকল ক্যাটাগরি গুলো হলো: 

  •  টেকনোলজি অ্যান্ড প্রোগ্রামিং
  •  রাইটিং সার্ভিস  এবং translation
  •  ডিজাইনিং
  •  ডিজিটাল মার্কেটিং
  •  ভিডিও ফটো এডিটিং
  •  বিজনেস
  •  অডিও এন্ড মিউজিক এডিটিং
  •  মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং এন্ড সেলস
  •  সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালি

এবার আপনি নিজে বিবেচনা করুন আপনি যদি এই ক্যাটাগরির গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কিংবা একাধিক ক্যাটাগরিতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। এবং ঘন্টা অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ হয়ে অনলাইনে কাজ করে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে এই মার্কেটপ্লেসটি আপনার জন্য উপযুক্ত। 

Frelancer.com 

নামের মাধ্যমেই হয়তো বুঝে গিয়েছেন যে এই প্লাটফর্মটি একমাত্র freelancer দের জন্যই উপযুক্ত। যারাই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চায় তাদের হাতে গোনা যে কয়েকটি নাম মাথায় আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। 

ফ্রিল্যান্সার ডটকম হলেও একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান করে রিয়াল টাকা ইনকাম করে থাকে। 2019 সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এবং বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি।

ফ্রিল্যান্সার ডটকমে আপনি বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে কাজ খুঁজে পাবেন সে ক্যাটাগরি গুলো হলো: 

১) আইটি ও সফটওয়্যার যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের হদিস পাওয়া যায়। 

২) ডিজাইনিং ক্যাটাগরি যেখানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এর মত কাজ খুঁজে পাওয়া যায়। 

৩) রাইটিং এন্ড কন্টেন্ট সার্ভিস যেখানে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা, অনুবাদ করা সহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরির কাজ করা যায় এবং সেগুলো করে টাকা ইনকাম করা যায়। 

৪) ব্যবসা ও মার্কেটিং সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ, সার্ভিস, এবং ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত কার্যক্রম করা হয় 

৫) তাছাড়া ছোট-বড় আরো অনেক কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, গেম ডেভলপমেন্ট এর মত আরো অনেক কিছু যেগুলো করে ফ্রিল্যান্সার ডটকম থেকে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

LinkedIn 

LinkedIn কেকোন প্রকার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তো বলা যায় না এটা একটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তবে এই প্লাটফর্মটি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কিছুটা ভিন্ন। কেননা এটাকে আখ্যায়িত করা হয় প্রফেশনালদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। কেননা LinkedIn একটি প্রফেশনাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে আপনি চাকরি খুজতে পারবেন, নেটওয়ার্কিং করতে পারবেন, বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রফেশনালদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। 

এখানে চারটি খোঁজা  খুব ভালো একটি উপায় যদি কিনা আপনি রিমোট ওয়ার্ক করতে চান। রিমোর্ট ওয়ার্ক বলতে বোঝানো হচ্ছে এমন ধরনের কাজগুলো যেগুলো করতে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সে কাজগুলো করতে পারবেন, ঠিক যেমন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর ক্ষেত্রে করে থাকেন। 

এই প্লাটফর্মটির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল ব্যক্তিবর্গ কিংবা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং তাদের সাথে কথা বলে ইন্টারভিউর মাধ্যমে তাদের কোম্পানিতে চাকরি নিশ্চিত করতে পারবেন। 

প্রাথমিকভাবে এটা শুনে আপনার কাছে খুব অবাক লাগতে পারে যে বিশ্বের খুব বড় বড় কোম্পানি গুলো LinkedIn এর মাধ্যমে নিজেদের কোম্পানির কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। আর এখানে চাকরির খুঁজে পেতে আপনাকে প্রথমে এপ্লাই করতে হবে এবং নিয়োগ কর্তৃপক্ষ আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবে যদি আপনাকে যোগ্য বলে গণ্য করে থাকে। 

রিয়েল টাকা ইনকাম করার প্ল্যাটফর্ম 

এই পর্যায়ে জানাবো এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে যে প্ল্যাটফর্মগুলো এক কথায় রিয়েল টাকা ইনকাম করার মূল উৎস হিসাবে কাজ করে। এখানে একবার যুক্ত হলে আপনি আজীবন এখান থেকে টাকা ইনকাম করে যেতে পারবেন। উপরে যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর কথা বলেছিলাম সেগুলো মূলত একটিভ ইনকাম করার জন্য। একটিভ ইনকাম এমন ধরনের ইনকাম যেগুলো আপনি যতদিন করবেন ততদিন অর্থ হাতে পাবেন যখন করা বাদ দিয়ে দিবেন তখন আর কোন টাকা পাবেন না।

অন্যদিকে এখন যে প্ল্যাটফর্ম গুলো সম্পর্কে জানাবো সেগুলো হল প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করার  প্ল্যাটফর্ম। প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন সব ইনকাম যেগুলো অর্জন করার জন্য আপনি একবার পরিশ্রম করবেন এবং আজীবন সে পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে অর্থ উপভোগ করতে পারবেন।

Adsense 

এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা ওয়েবসাইটের মালিকদের তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য রিয়াল টাকা প্রদান করে থাকে। এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন গুলো মূলত গুগল প্রোভাইড করে, এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে google সে বিজ্ঞাপন গুলো সংগ্রহ করে। 

মূলত মার্কেটিং এর কার্যক্রমের জন্য বিজ্ঞাপনদাতা গুগলকে অর্ধ প্রদান করে এবং গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সে সকল ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিকদের সেসকল বিজ্ঞাপন গুলো প্রদর্শন করায়, এখানে যেহেতু google বিজ্ঞাপন দাদাদের কাছ থেকে অর্থ পাচ্ছে বিজ্ঞাপন গুলো দেখানোর জন্য, সেহেতু google ও ওয়েবসাইটের মালিকদের অর্থ প্রদান করে সে সকল বিজ্ঞাপন গুলো নিজেদের ওয়েবসাইটে দেখানোর জন্য। এটা মূলত এভাবে কাজ করে। 

এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে হলে প্রথমে আপনাকে এডসেন্স একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবং এডসেন্সের যে সকল ক্রাইটেরিয়া গুলো রয়েছে সে ক্রাইটেরিয়া গুলো অনুসরণ করে নিজের ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিতে হবে। যখনই আপনার ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য রেডি হয়ে যাবে তখনই আপনি সেই সকল ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের এপ্লাই করতে পারবেন।

এপ্লাই করার পর যখন সেটিকে google এপ্রুভ করে নিবে তখন থেকে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাড দেখানো শুরু হয়ে যাবে। এবং যত বেশি অ্যাড আপনার ভিজিটরা দেখবে আপনার ইনকাম তত বেশি হতে থাকবে। যেহেতু একটু ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল যতদিন সক্রিয় থাকে ততদিন ভিজিটর আসতেই থাকে, সেহেতু বলা যায় এখান থেকে আজীবন আপনার আয় হতে থাকবে যাকে আমরা প্যাসিভ ইনকাম বলে থাকি।

আসুন জেনে নেই গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে রিয়াল টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কোন দুইটি হাতিয়ার ব্যবহার করতে হবে: 

Website 

প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইটে উন্নত মানের কনটেন্ট বা আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় কিংবা কিভাবে ব্লগের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হয়। 

এ সকল বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিস্ট করা রয়েছে আপনার সুবিধার্থে সেগুলো দেখে নিতে পারেন। যাই হোক ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে আপনার সে ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট দিতে হবে এবং এডসেন্সের নির্দেশনা মোতাবেক আপনার ওয়েবসাইট থেকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে। 

এক্ষেত্রে এডসেন্সের ওয়েবসাইট থেকে এডসেন্সের নীতিমালা গুলো দেখে নিবেন।  তাছাড়া ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিতে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো রয়েছে সেটা দেখে নেবেন। 

পরবর্তীতে যখন  আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটটি সর্বোচ্চ ১৪ দিনের অবজারভেশনে থাকবে, এবং google যদি মনে করে যে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানো যায় তাহলে সেটিকে এপ্রুভ করে দিবে এবং তারপর থেকে বিভিন্নভাবে কাস্টমাইজ করে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারবেন এবং প্রদর্শনের মাধ্যমেই রিয়াল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

YouTube

অনুরূপভাবে আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং আপনি ইউটিউব চ্যানেলের প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করে থাকেন তবে আপনার youtube চ্যানেলে ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে youtube চ্যানেল থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা বিষয়ক আমাদের ওয়েবসাইটে পৃথক আর্টিকেল রয়েছে যা দেখে নিলে খুব বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন কিভাবে কোন প্রসেসে এগোতে হবে।

তবে খুব অল্পের মধ্যে এখন উপস্থাপন করতে চাইলে প্রথমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে মনিটাইজেশনের জন্য রেডি করে নিতে হবে। রেডি হয়ে গেলে আপনি গুগল এডসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখানে এপ্লাই করবেন। কিছুদিন সময় নিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি অবজারভেশন করা হবে। গুগল এডসেন্সের কাছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি গ্রহণযোগ্য হলে আপনার চ্যানেলটিকে অ্যাপেল দেওয়া হবে এবং তারপর থেকেই আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন শুরু হবে। আর একবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন শুরু হয়ে গেলে সেখান থেকে আজীবন আয় করতে পারবেন। 

Admob 

উপরে গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানানো হয়েছে যা হচ্ছে গুগলের একটি বিজ্ঞাপন সার্ভিস যা ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কার্যকর। ঠিক একই বিষয়ে গুগল এডমোব এর বেলায় হয়, তবে এক্ষেত্রে কোন ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল নয় বরং বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে রিয়েল টাকা ইনকাম করা যায়।

আপনার যদি কোন মোবাইল অ্যাপস থেকে থাকে তাহলে সেই অ্যাপসে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য আপনি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন না বরং আপনাকে ব্যবহার করতে হবে google Admob বাকি সব বিষয় প্রায় একই রকম এদের নিজস্ব কিছু নীতিমালা রয়েছে সে নীতিমালা অনুসরণ করে আপনাকে অ্যাপস তৈরি করতে হবে এবং তা প্লে স্টোরে পাবলিস্ট করতে হবে। এ কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনার অ্যাপস ব্যবহারকারীরা যখন অ্যাপস ব্যবহার করবে তখন এপ্সে বিজ্ঞাপন দেখবে সে বিজ্ঞাপন গুলো দেখার কারণেই আপনাকে রিয়েল টাকা প্রদান করা হবে গুগলের পক্ষ থেকে।  এভাবেই আপনি Admob থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

রিয়েল টাকা ইনকাম করার অফলাইন পদ্ধতি 

ইতিমধ্যে যে পদ্ধতি গুলো জানানো হলো সেগুলো প্রত্যেকটি অনলাইন ভিত্তিক পদ্ধতি যেগুলো করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে অনলাইনে সে কাজগুলো করে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক কিছু না করতে চান, বা আপনি যদি অফলাইনে কোন কাজ করে রিয়াল টাকা ইনকাম করতে চান তবে নিম্নে উল্লেখিত উপায় গুলো আপনার জন্য। 

চাকরি 

রিয়াল টাকা ইনকাম করার জন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো চাকরি করা। আপনি যখন চাকরি করবেন তখন আপনাকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের রিয়েল টাকা আপনাকে দেয়া হবে। এবং এটি যেহেতু নির্ধারিত তাই আপনাকে অন্য কোন চিন্তা করতে হবে না টাকা ইনকাম করার জন্য। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে চাকরি করে মাস শেষে রিয়াল টাকা হাতে পেয়ে যাবেন। 

এই চাকরি হতে পারে যেকোনো ক্যাটাগরি যেকোনো ধরনের সেটা আপনার যোগ্যতা এবং ইচ্ছার উপরে নির্ভর করবে। অন্যের জন্য কাজ করা সকল কিছুই মূলত চাকরির অন্তর্ভুক্ত। যখন আপনি অন্য কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাবেন এবং মাস শেষে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর অর্থ হাতে পাবেন সেটাই হচ্ছে চাকরি। আর রিয়াল টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো চাকরি করা। 

ব্যবসা 

আপনি যদি এমন কেউ হয়ে থাকেন যার চাকরি করতে ভালো লাগে না এবং মানসিকতা ব্যবসা কেন্দ্রিক, তবে আপনি ব্যবসা করার মাধ্যমেও কিন্তু রিয়াল টাকা ইনকাম করতে পারছেন। অবশ্যই কোন ব্যবসা টাকা ছাড়া কিংবা টাকা ছাড়া অন্য কোন বস্তুর মাধ্যমে লেনদেন করা হয় না, তাই ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো ব্যবসা করা। ব্যবসায় রয়েছে রহমত ব্যবসায় রয়েছে বরকত। তাই আপনার যদি সুযোগ হয়ে থাকে ব্যবসা করার তাহলে অবশ্যই ব্যবসা করুন রিয়াল টাকা ইনকাম করার জন্য। ব্যবসা হতে পারে যে কোন বিষয়ের, ব্যবসা হতে পারে যে কোন কিছুর। অবৈধ নয় এমন যেকোন জিনিসের ব্যবসা করাই হালাল। আপনি যদি বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উক্ত লিংকে ক্লিক করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন। 

টিউশনি 

Last but not the least, আপনি যদি একজন  শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং আপনি রিয়াল টাকা ইনকাম করার উপায় খুজছেন এক্ষেত্রে যদি আপনার নির্দিষ্ট কোন দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরিতে যেতে পারেন অথবা অনলাইনে রিয়াল টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন। 

আপনি যদি যথেষ্ট সময় এবং সুযোগ করে নিতে পারেন তাহলে বিভিন্ন পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম চাকরি করতে পারেন। আপনি যদি আরো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেন ব্যবসা করার তাহলে অবশ্যই রিয়াল টাকা ইনকাম করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা করতে পারবেন। 

তবে এই তিনটি সেক্টরের একটিতেও যদি আপনি পারদর্শী নাও হয়ে থাকেন, তাহলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি টিউশনি করিয়ে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশে অলিতে গুলিতে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা টিউশনি করে নিজেদের হাত খরচ থেকে শুরু করে নিজের ওভারল খরচ বহন করছে। 

টিউশনিকে প্রফেশনালি নিতে পারলে এই সেক্টর থেকেও আপনি প্রচুর রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারেন। শিক্ষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অনেক ভালো পরিমাণের অর্থ ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে যার অন্যতম উদাহরণ টিউশনি। তাই আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি রিয়েল টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই টিউশনি করুন। 

পরিশেষে কিছু কথা 

সবশেষে আপনাকে কিছু পরামর্শ দিতে চাই যা হল আপনি যে পথে রিয়েল টাকা ইনকাম করে থাকেন না কেন সে টাকাকে অবশ্যই হালালভাবে অর্জিত করার ট্রাই করবেন। এবারের আর্টিকেলে আমরা খুব সাজিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো। জানিয়েছি অনলাইনে রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট, প্ল্যাটফর্ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার জানতে চাওয়া বিষয় গুলোকে ক্লিয়ার করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি আপনি যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের Online Taka Income ওয়েবসাইটটি অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।