লিড জেনারেশন কি? লিড জেনারেশন করে আয় করার উপায় 

Salim Mahamud

Updated on:

লিড জেনারেশন কি? লিড জেনারেশন করে আয় করার উপায়
লিড জেনারেশন কি? লিড জেনারেশন করে আয় করার উপায়

লিড জেনারেশন কি? লিড জেনারেশন করে আয় করার উপায় 

বর্তমান সময়ে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে গ্রাহক খোঁজার কাজটি অনলাইনে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে, যার কারণে অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন সে সকল উপাদান যেগুলোকে কেন্দ্র করে অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটিং করা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে এই উপাদানগুলো পাওয়া যাবে কোথায়? বা কিভাবে সংগ্রহ করা যায় এই উপাদান গুলো? উক্ত প্রশ্নটির এক কথার উত্তর লিড জেনারেশন।  

লিড জেনারেশন হল একটি মার্কেটিং কৌশল যা সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্যটি সাধারণত নাম, ইমেল ঠিকানা, কোম্পানির নাম, যোগাযোগের তথ্য ইত্যাদি। লিড জেনারেশনের লক্ষ্য হল সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার ব্যবসায়ের সাথে পরিচিত করা এবং তাদের পণ্য বা পরিষেবাগুলিতে আগ্রহী করে তোলা।

শুধু কি এটুকুই? না রয়েছে আরও অনেক বিস্তারিত আলোচনা, তথ্য এবং পদ্ধতি। মূলত এবারের আর্টিকেলে আমরা জানবো লিড জেনারেশন সম্পর্কে। লিড জেনারেশন কি? সেটি কিভাবে কাজ করে? কোন কোন সেক্টরের জন্য লিড জেনারেশন কার্যকর? এবং লিড জেনারেশন করে আয় করার উপায় সময় সম্পর্কে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক এবারের মূল আলোচনা। 

লিড জেনারেশন কি ও কেনো করা হয়? 

ধরে নিয়ে যাক আপনার একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি রয়েছে, যেখানে আপনি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের অটোমেশন সার্ভিস এর সফটওয়্যার বিক্রি করেন। এখানে আপনার মূল ক্রেতা হচ্ছে রেস্টুরেন্টের মালিকগণ, এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি প্রতিটি রেস্টুরেন্টের মালিকগণকে কিভাবে খুজে পাবেন? বা কোথায় কয়টা রেস্টুরেন্ট রয়েছে কিংবা কোন রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য কেমন সেগুলো জানবেন কিভাবে? রেস্টুরেন্টের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের ফোন নাম্বার ইমেইল কিংবা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম কি আপনার জানা রয়েছে? মূলত এই সকল কাজ করো করার জন্যই লিড জেনারেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লিড জেনারেশন পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোনো স্পেসিফিক তথ্য খুঁজে বের করা সম্ভব। 

ব্যবসায়িকভাবে লিড জেনারেশন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা বা গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আমরা সকলেই জানি বর্তমান যুগ তথ্যের যুগ, যার কাছে যত বেশি তথ্য সে তত বেশি সমৃদ্ধ। সঠিক কাস্টমার টার্গেট করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করার পেছনে অবদান লিড জেনারেশনের। সাধারণভাবেই প্রস্তুতি মনে জাগতে পারে আপনি লিড জেনারেশন কেন করবেন? 

লিড জেনারেশন করার বেশ কিছু কারণ নিন্নে উপস্থাপন করা হলোঃ

১) লিড জেনারেশন করার মাধ্যমে ব্যবসায়ী সঠিক ক্রেতা সংগ্রহ করতে পারে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্ভাব্য ক্রেতার পরিচয় জানতে পারা খুব বড় একটি সুবিধা, সে সুবিধা গ্রহণ এবং নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্যবাস সেবা বিক্রি করার জন্য ক্রেতা আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে লিড জেনারেশন প্রয়োজন। 

২) ব্র্যান্ড ভ্যালু একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, সঠিকভাবে লিড সংগ্রহ করে আপনি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করাতে পারবেন।

৩) আপনি যেকোনো ভাবেই মার্কেটিং করেন না কেন, আপনার মার্কেটিং টার্গেট অডিয়েন্স যদি সঠিক না হয় কিংবা আপনার যারা প্রকৃতপক্ষে ক্রেতা তাদের কাছেই মার্কেটিং না পৌঁছায় সে ক্ষেত্রে মার্কেটিং এর কোন মূল্য থাকে না। যেহেতু লিড জেনারেশনের মাধ্যমে স্পেসিফিক অডিয়েন্সকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি কেবল আপনার সম্ভাব্যকে তাদের কাছেই মার্কেটিং করতে পারবেন এবং  সম্ভাব্য ক্রেতা থেকে প্রকৃত ক্রেতা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। 

৪) এইতো গেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লিড জেনারেশন এর প্রয়োজনীয়তা, আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার কিংবা লিড জেনারেটর হয়ে থাকেন, তবে লিড জেনারেশন করে আয় করতে পারবেন। 

আচ্ছা, আসুন এবার জেনে নেই লিড জেনারেশনের বিভিন্ন প্রকারভেদ সম্পর্কে। 

লিড জেনারেশন কত প্রকার?

সাধারণত লিড জেনারেশন দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটির ক্ষেত্রে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য লিড জেনারেট করে। অন্যদিকে আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি কাস্টমারকে টার্গেট করে লিড জেনারেট করে। একটু কি কঠিন লাগছে? আসুন আরো খোলামেলাভাবে বুঝি.. 

B2B Lead Generation 

বি টু বি লিড জেনারেশন পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক এবং কোম্পানির বিভিন্ন পদবীর লোকদেরকে খুঁজে বার করার কাজ করা হয়। এ কাজটির তুলনামূলক সহজ কেননা প্রতিটি কোম্পানির বেশ কিছু তথ্যই অনলাইনে পাবলিক করা থাকে। 

এমন কিছু প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে বিটুবি লিট জেনারেট করা খুব সহজ হয়ে যায়। কেননা সে সকল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য, যোগাযোগের বিবরণ, পণ্য বা সেবার বিবরণ সম্পর্কে খুব সহজে জানা যায়। তাহলে এসে সকল ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে জেনে নিন? 

  • Yellowpages.com
  • yelp.com
  • Bbb.org
  • Local.yahoo.com
  • Yellowbot.com
  • yasabe.com
  • Angi.com
  • Manta.com
  • LeadFuze
  • Justlanded.com
  • airbnb.com
  • merchantcircle.com
  • Superpages.com
  • Dandb.com
  • us.kompass.com
  • Local.com
  • Infobel.com

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ট্রাস্টেড গুলোই এখানে উপস্থাপন করলাম। আচ্ছা এই পর্যায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানব যা হচ্ছে প্রয়োজনীয় টুলস। বি টু বি লিড জেনারেশনের ক্ষেত্রে কিছু টুলস ব্যবহার করলে সেগুলো ফিল্টারিং এর মাধ্যমে আরো অথেন্টিক তথ্য পাওয়া সম্ভব। আসুন এবার কিছু টুলস এর নাম জেনে নেই: 

  • Findthatlead.com
  • Linkedin Sales Navigator
  • D7leadfinder.com
  • Email finder – Getprospect.com
  • Discoverly.com
  • Peoplefinder.ai
  • Skrapp.io
  • Hunter.io
  • Reply.io
  • ZoomInfo.
  • Emailable.
  • Snovio.
  • NeverBounce.
  • Bouncer.
  • ZeroBounce.
  • BriteVerify

B2C Lead Generation

B2C লিড জেনারেশন হলো  এটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত কাস্টমার খোঁজার প্রসে প্রসেস। এই কাজটা তুলনামূলকভাবে কিছু কঠিন। কেননা এখান থেকে লিড জেনারেট করার জন্য ব্যবহার করতে হবে গুগল এড, facebook এড, বিভিন্ন ফরম পুরণ, সার্ভে  ক্যাম্পেইন এর মত বিভিন্ন অফার প্রমোশন। 

তাছাড়া এ কাজটি কিছুটা সময় সাপেক্ষ এবং বেশ ব্যয়বহুল। এ কাজের জন্য বেশ কিছু পেইড টুলস ব্যবহার করতে হয়। এ পর্যায়ে কিছু প্রয়োজনীয় টুলস সম্পর্কে জানানো হচ্ছে: 

  • Sumo
  • Sumo.com
  • HubSpot
  • Flowlu
  • Hellobar
  • Leadfeeder.com
  • Picreel.com
  • Pipedrive

লিড জেনারেশনের প্রধান এই দুইটি প্রকারভেদের মধ্যেও আরো কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। এই প্রকারভেদ গুলো মূলত বিভিন্ন সেক্টরের উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে। আসুন এই পর্যায়ে সেক্টর ভিত্তিক লিড জেনারেশন সম্পর্কে জানি। 

১) মার্কেটিং কোয়ালিফাইড লিড (MQL): মার্কেটিং কোয়ালিফাইড লিড হল সেই সব প্রক্রিয়া যেখানে আপনার টার্গেট করা মানুষগুলো আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানা অব্দি থাকে।এই পর্যায়ে আপনি যাদের কাছে মার্কেটিং করেছেন তাদের কোন অ্যাকশন অনুসরণ করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি একটি ক্যাম্পেইন চালু করলেন এবং সেটি কাস্টমারকে দেখালেন। আপনার কাস্টমার কিছু কোন অপেক্ষা করে সে মার্কেটিংটি দেখলো। that’s all. 

২) সেলস কোয়ালিফাইড লিড (SQL) : SQL হলো সেই প্রসেস যে প্রসেসে আপনার করা মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে কাস্টমার উক্ত পণ্য গ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করবে। যখন কোন কাস্টমার আপনার পণ্য ক্রয় করার উদ্দেশ্যে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা শপে সময় ব্যয় করবে তখন সেটি হবে  সেলস কোয়ালিফাইড লিড। 

৩) প্রোডাক্ট কোয়ালিফাইড লিড (PQL): হলো সেই প্রসেস যেখানে আপনার প্রমোট করা পণ্যের কাস্টমাররা ফ্রি ট্রায়াল গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে জানতে চাওয়া এবং পণ্য সম্পর্কে ফিডব্যাক প্রদান করে। 

৪) সার্ভিস কোয়ালিফাইড (SQL): লিড হল সেই ধাপ যেখানে আপনার পণ্যের ফ্রী টায়াল ব্যবহার করার পর কাস্টমার সেগুলোর পেইড সার্ভিস গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। সহজ ভাষায় আপনার পণ্যটি কিনতে চায়। এই ধরনের লিড গুলোকে সার্ভিস কোয়ালিফাইড লিড বলে। 

লিড জেনারেশন কিভাবে করা হয়? 

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি লিফট জেনারেশন কি এবং কি কারণে লিড জেনারেশন করা প্রয়োজন। এই পর্যায় জানবো লিড জেনারেশন কিভাবে করা হয় সে বিষয়ে। মূলত লিড জেনারেশন বা ডাটা কালেকশন এর কাজ বিভিন্নভাবে করতে পারবেন, উক্ত কাজের জন্য বিভিন্ন টুলস এবং ওয়েবসাইটের কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি।  তবে বর্তমান সময়ে একজন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করার জন্য আরো অনেক ফ্রি মেথড রয়েছে সেগুলো হলো: 

১) সোশ্যাল মিডিয়া: 

বর্তমান সময়ে কম বেশি সকলেরই কোনো না কোনো সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে।এ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে  নিজেদের সম্পর্কে সে সকল তথ্য আমরা স্ব-ইচ্ছায় প্রদান করে থাকি। যখন আপনি কোন একটি ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিংবা তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট অনুসরণ করার মাধ্যমে এমন অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে আমরা নিজেদের নাম ঠিকানা ইমেল এড্রেস ফোন নাম্বার সহ প্রায় সকল ধরনের গোপন কিংবা প্রকাশ্য তথ্যগুলো শেয়ার করে থাকি বা পাবলিক করে রাখি। 

২) গুগল সার্চ: 

আমরা জানি যে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ইউজার রয়েছে google এ। এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য স্থান হলো। গুগলে নেই এমন তথ্য খুব কমই রয়েছে, আপনি যদি যথাযথভাবে গুগল সার্চ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে গুগল থেকে আপনি যে কোন বিষয়ে যে কোন ভাবে যেকোন তথ্য জানতে পারবেন। তবে এটা ঠিক যে, যেকোনো ব্যক্তি চাইলেই গুগল থেকে তথ্য নিয়ে যেতে পারবে না। তবে এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা অবলম্বন করলে গুগল থেকে যত সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যারা অনেকদিন ধরে লিড জেনারেশন এর কাজের সাথে যুক্ত তাদের সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি লিস্টে থাকে গুগল সার্চ। 

৩) অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন: 

Google একটি সার্চ ইঞ্জিন, এবং google এর মত এমন অসংখ্য সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। যদিও সেগুলো খুব একটা জনপ্রিয় নয় তবে বেশ কার্যকর। এই যেমন ধরা Yelp এর কথাই। এটি এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন যেখানে আপনি plumber, রেস্টুরেন্ট, হোম সার্ভিসের মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোকে জানার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। 

এমনই ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনের সাপেক্ষে অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আপনি যখন লিড জেনারেশন পদ্ধতি গুলো শিখবেন তখন সে সকল সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে তথ্য এবং সেগুলো ব্যবহার করার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

লিড জেনারেশন এর কাজ সমূহ 

লিড জেনারেশন করে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে লিড জেনারেশনের কাজ সমূহ গুলো কি? মানে এখানে আপনাকে ঠিক কি কাজ করতে হবে? এই পর্যায়ে সে বিষয়ে জানাবো, মূলত লিড জেনারেশনের মাধ্যমে তথ্য কালেকশনের কাজ করতে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এবার ধাপ অনুসারে সেগুলো জানাচ্ছি। 

ধাপ ১ঃ 

আপনাকে যখন লিট জেনারেশন করতে বলা হবে তখন আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে লিট জেনারেট করার উদ্দেশ্যটি কি? যে আপনাকে লিড জেনারেশন এর কাজ দিবে তার চাহিদা বুঝে আপনাকে লিড জেনারেট করতে হবে। 

 উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনাকে বলা হয় বাংলাদেশে যতগুলো গার্মেন্টস কোম্পানি রয়েছে সে সকল কোম্পানিগুলোর মেইল সংগ্রহ করতে, সেক্ষেত্রে আপনাকে কেবলমাত্র  ইমেইল গুলো সংগ্রহ করলেই হবে এক্সট্রা কোন কাজ করতে হবে না। 

ধাপ 2

আপনি যখন বুঝে যাবেন আপনাকে ঠিক কি কাজটি করতে হবে বা কোন ধরনের লিড জেনারেট করতে হবে, তখন আপনার কাজ হবে লিট জেনারেশনের প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া। এক্ষেত্রে আমরা ইতিমধ্যে জানিয়েছে ঠিক কি কাজের জন্য কোন ধরনের প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করবেন।  এটি মূলত নির্ভর করে আপনি কি ধরনের লিড জেনারেট করতে চান সেটির উপর।

ধাপ ৩

উপরের দুই ধাপের কাজ হয়ে গেলে এবার আপনাকে মূল কাজটি করতে হবে যা হলো ডাটা সংগ্রহ করা। এ সকল  ডাটার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: কোন ব্যক্তির নাম, কোম্পানির নাম, ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি এর মত তথ্য। 

 পাশাপাশি এ সকল ডাটা কে জেনারেট করার পর সেগুলোকে সার্জিত করে গুছিয়ে রাখতে হবে। কাজগুলো কিছুটা কঠিন এবং বেশাকেও পড়তে পারেন কেননা স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের ডাটা গুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে না তাই আপনাকে বেশ কিছু টুলস ব্যবহার করতে হতে পারে। 

 ধাপ ৪ 

যখন আপনি অন্য কারো ডাটা কালেকশন করতে যাবেন তখন সকল প্রকার ডাটা নাও পেতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে বুদ্ধিমানতার সহিত কাজ করতে হবে। যখন আপনি লিড জেনারেট করা শিখবেন তখন আপনাকে এমন অসংখ্য টিপস শেখানো হবে যখন আপনি স্বাভাবিকভাবে ডাটা কালেকশন না করতে পারেন তখন সে সকল টিপস গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে গোপন থেকে গোপন তথ্য খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন। 

 ধাপ ৫

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার পরেও যদি এমন কোন তার থেকে থাকে সেটি আপনি জেনারেট করতে পারছেন না অন্যদিকে সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সেক্ষেত্রে ফ্রি এবং পেইন্ট টুলস ব্যবহার করে লিড জেনারেট করতে পারবেন। সবশেষে সকল তথ্যগুলো একত্র করে আপনার বাইয়ারের কাছে সাবমিট করুন। 

লিড জেনারেশন করে আয় করা যায়? 

এতো সময় ধরে জানালাম লিড জেনারেশন কি এবং কিভাবে এটা করতে হয় সে বিষয়ে। তবে এই বিষয়ে মূল আকর্ষন যে বিষয়টিতে সেটা হলো: “লিড জেনারেশন করে আয় করা যায়? হ্যা অবশ্যই। আপনি লিড জেনারেশনের মাধ্যমে অল্প থেকে শুরু করে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। 

বর্তমানে জনপ্রিয় যে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে, সেখানে গেলে দেখতে পারবেন যে লিড জেনারেশনের জন্য কাজের পোস্ট গুলোতে পেমেন্ট এমাউন্ট দেখলেই বুঝা যায় যে, লিড জেনারেশনের মাধ্যমে একজন দক্ষ লোক মাসে ২০০ ডলার থেকে শুরু করে ২০০০ ডলার অব্দি আয় করতে পারে। 

আমরা দেখেছি, প্রতিটি সেক্টরেই এমনটা রয়েছে যে, একটা নিদিষ্ট কাজকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ অনেক বেশি টাকা আয় করছে আবার একই কাজ করে অন্য একজন খুব বেশি একটা আয় করতে পারছে না। এমনটা হয় একমাত্র দক্ষতা, প্রপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ও স্মার্ট ভাবে কাজ করার দুর্বলতার কারণে। 

লিড জেনারেশন করে আয় করার উপায় 

জেনে নিলেন লিড জেনারেশন করে কত টাকা আয় করতে পারবেন সে বিষয়ে। এবার জানুন ঠিক কোন কোন উপায়ে লিড জেনারেশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস: যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তারা চাইলেই এসব মার্কেটপ্লেস গুলোতে নিজেদের একাউন্ট তৈরি করে গিগ / পোস্ট করার মাধ্যমে কাজ খুজতে পারেন, যখন কেউ আপনাকে লিড জেনারেট করার জন্য Hire করবে তখন কাজ করে সেটিতে সাবমিট করলেই আপনাকে পেমেন্ট দেয়া হবে।  

ফেসবুক: আপনি হয়তো জানেন যে, ফেসবুক এখন কেবল একটা স্রেফ সোসাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই নয় বরং পাশাপাশি একটি মার্কেটপ্লেসেও পরিনত হয়েছে। যে সুবাধে এমন অনেক ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যেখানে অনলাইন ভিত্তিক অনেক কর্মকান্ডের সরাসরি লেনদেন হয়ে থাকে। সেখানে বিভিন্ন লোক নিজেদের চাহিদা মোতাবেক লিড জেনারেশনের কাজে এক্সপার্টদের খোজ করে। আপনি সেরুপ ফরাম গ্রুপ গুলো থেকেও কাজ পেতে পারেন। 

মার্কেটিং এজেন্সি: তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক যে এজেন্সি গুলো রয়েছে তারাও এখন লিড জেনারেশন এর কাজের জন্য লোক খুজে থাকে। মূল বিষয় হলো আপনি যদি একটা বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে আপনার কাজের অভাব হবে না কোনো দিক থেকেই। 

পরিশেষে কিছু কথা 

অনেকের প্রশ্ন কিছুটা এমন যে, লিড জেনারেশন হালাল নাকি হারাম? তাদের জন্য বলতে চাই, হালাল হারাম মূলত সকল কাজেই রয়েছে তবে সেটা নির্ভর করবে আপনার মানসিকতার উপরে। তারপরেও এমন কিছু কাজ বা বিষয় রয়েছে যেগুলো সরাসরি হারাম হিসেবেই গ্রহনযোগ্য। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারি, আপনি যদি অনৈতিক কোনো বিষয়ের উপর লিড জেনারেট করে আয় না করেন তবে সে কাজটি আপনার হালাল হবে। 

আবার এই বিষয়ে কিছুটা ভিন্ন মত প্রকাশ পায় এই বলে যে, লিড জেনারেশনের মাধ্যমে যেহেতু অন্যের গোপন করা তথ্য খুজে প্রকাশ করা হয়, তাই কাজটি অনৈতিক। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি যাকে তথ্য গুলো সেল করছেন সে ব্যক্তি উক্ত তথ্য গুলো দিয়ে কি কাজ করতে চাচ্ছে। 

ওভারল বলতে গেলে, এই ছিলো লিড জেনারেশন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য যেখানে – লিড জেনারেশন কি, কিভাবে করতে হয়, এর প্রকারভেদের পাশাপাশি লিড জেনারেশন থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি এবারের আর্টিকেলের মাধ্যমে লিড জেনারেশন সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের ব্যাসিক উত্তর গুলো জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ এতোক্ষন যুক্ত থাকার জন্য, সঙ্গে থাকুন ও জানতে থাকুন Online Taka Income করার উপায়।