সরকার অনুমোদিত ইনকাম App । ৮টি অনলাইন ইনকাম অ্যাপ 

Salim Mahamud

Updated on:

সরকার অনুমোদিত ইনকাম App
সরকার অনুমোদিত ইনকাম App

সরকার অনুমোদিত ইনকাম App । ৮টি অনলাইন ইনকাম অ্যাপ 

মানুষ জীবনযাপনের জন্য অর্থ উপার্জন করে, এক্ষেত্রে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে। প্রশ্ন যখন আসে অনলাইনে আয় করার উপায়ে সেক্ষেত্রে অনলাইনে রয়েছে এমন হাজারো অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট যেখানে কাজ করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। 

তবে সমস্যা হয় তখন, যখন কোনো অ্যাপ এ কাজ করার পর সে অ্যাপ আপনার সাথে প্রতারণা করে, মানে পেমেন্ট না করে স্ক্যাম করে। এমনও হয়েছে হাজারো অ্যাপ যেগুলো প্রাথমিক ভাবে দেখে মনেই হবে না যে এখানে কাজ করলে স্ক্যাম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরেও সেখানে কাজ করে অনেকেই ধোকা খেয়ে যায়।

আর এমন পরিস্থিতিতে পড়ার পরে কিংবা সচেতনতার দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকেই এই বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক যে – “আচ্ছা, সরকার অনুমোদিত ইনকাম App রয়েছে?” থাকলে সেগুলোর নাম কি? এটা মাথায় আসার কারণ এই যে, যদি কোনো ইনকাম অ্যাপ বা সাইট সরকার দ্বারা পরিচালিত বা অনুমদিত হয় সেক্ষেত্রে ওই অ্যাপ এ কাজ নির্দিধায় করা যায় এবং সেখানে কাজ করলে পেমেন্ট না পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে না। 

Online Taka Income করার ওয়েবসাইট থেকে এবারের উপস্থাপন করতে চাচ্ছি সরকার অনুমোদিত ইনকাম App সম্পর্কে। যেহেতু অনেকের এই বিষয়ে আগ্রহর পাশাপাশি সচেতনতা সরাতে এই বিষয়ে আর্টিকেলটি দিতেই হতো। তাহলে ইন্টোডাকশনের পর শুরু করা যাক, সরকার অনুমোদিত ইনকাম App সম্পর্কে জানা। 

বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম App রয়েছে কি? 

সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম সাইট রয়েছে, আবার নেই ও। মানে টা একটু ভেংগে বলছি। সরকারের এমন কোনো অ্যাপ নেই যেখানে আপনি বিভিন্ন কাজ (যেমন: গেম খেলা, এডস দেখা, কুইজে অংশগ্রহন করা ইত্যাদি টাইপ কাজ) করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। বা এমন কোনো অ্যাপ এ সরকার এপ্রুভাল দিয়েও থাকে না। 

তবে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে কাজ করে ইনকাম করা যায় আর সে প্রতিষ্ঠান গুলো বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অনুমোদিত। সেক্ষেত্রে বলা যায় এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে সেখানে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এবারের আর্টিকেলে সেসব অ্যাপ সম্পর্কেই জানাবো। তবে দেখে নেয়া যাক অ্যাপ গুলোকে। 

সরকার অনুমোদিত ইনকাম App সমূহ 

Pathao 

সবার প্রথমে যে আপনি নিয়ে কথা বলব তার নাম হচ্ছে পাঠাও। পাঠাও বাংলাদেশে অনলাইন ডেলিভারি এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানি। কমিউনিটি ঢাকা-চট্টগ্রাম রাজশাহী খুলনা বরিশাল সিলেট সহ অন্যান্য বড় বড় শহরে খাদ্য পণ্য ও গ্রাহকের যাতায়াত ব্যবস্থা সক্ষম করে তুলতে কাজ করে থাকে। 

পাঠাও এর মাধ্যমে আপনি দুই ভাবে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। প্রথমটি হচ্ছে পাঠাও রাইডার, অপরটি হচ্ছে পাঠাও ডেলিভারি ম্যান।  

পাঠাও রাইডার হিসেবে কাজ করতে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ির প্রয়োজন হবে, মূলত পাঠাও এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে এবং আপনার গাড়ির লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তাদের জমা দিতে হবে। আপনাকে এপ্রুভ করা হয়ে গেলে, পাঠাও অ্যাপ এর মাধ্যমে গ্রাহক খুঁজে রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

অন্যদিকে আপনি যদি  ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে চান এক্ষেত্রে আপনার একটি মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেলের প্রয়োজন হবে। এবং আপনি পাঠাও এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন পণ্য হোম ডেলিভারির দেওয়ার কাজ করেও আয় করতে পারবেন। 

সঠিকভাবে কাজ করলে এখান থেকে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে পাঠাও কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাহলে ভোলা যায় সরকারি অনুমোদিত ইনকাম App হিসেবে পাঠাও যথেষ্ট ভালো মাধ্যম। 

Uber 

বাংলাদেশের বাজারে ২০১৬ সালে উবার প্রথমবারের মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করে। প্রতিষ্ঠানটি শুরু হওয়ার পর পরে বাংলাদেশ সরকার থেকে অনুমোদিত হওয়ার পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো যেমন ঢাকা চট্টগ্রাম রাজশাহী খুলনা এবং সিলেট সহ বেশ কয়েকটি শহরে রাইট শেয়ারিং এর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে। 

উবারের মাধ্যমে ইনকাম করার পদ্ধতি একটি রয়েছে যা হলো রাইডার হয়ে কাজ করা। উবারের রাইডার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি গাড়ি কিংবা মাইকো বাসে মালিক হতে হবে। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা সাপেক্ষে উবারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রাইডারের কাজ করতে হবে।

এক্ষেত্রে উবার অ্যাপ এর সাহায্যে উবারের ইউজার বা গ্রাহকদের যাতায়াত সেবা প্রদানে রাইডার হিসেবে কাজ করবেন। সাধারণত উবারের সাথে চুক্তি করতে যে সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় তা হলো:

  •  নিজস্ব প্রাইভেট কার
  •  ড্রাইভিং লাইসেন্স
  •  জাতীয় পরিচয় পত্র
  •  যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন
  •  ট্যাক্স টোকেন
  •  ইন্সুরেন্স
  •  যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট

এ সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রদানের মাধ্যমে উবার অ্যাপ থেকে খুব সহজেই রাইডার হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যায়। রেজিস্ট্রেশন করার পর এপ্রুভ হলে অ্যাপ এর সাহায্যে গ্রাহক খোঁজা এবং নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে কাস্টমারকে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। সত্যি কথা বলতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে ওভার থেকে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করা সম্ভব। 

Bkash

বর্তমান সময়ে এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়ার দুঃসাধ্য যে কিনা এখন অব্দিও বিকাশ এর নাম শুনে নেই। মূলত বিকাশ একটি ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশের মানুষকে মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে সাহায্য করছে। 2011 সালে ব্রাক ব্যাংক দ্বারা প্রতিষ্ঠা হওয়া বিকাশ বর্তমানে প্রতিটি ঘরে ঘরে রয়েছে।

বিকাশ অ্যাপ 2011 সালে বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিকাশ টেলি যোগাযোগ পরিষেবা  প্রদানকারী হিসেবে অনুমোদন দেয়। তারপর থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন কার্যক্রম শুরু করে বিকাশ। 

প্রশ্ন হচ্ছে, “বিকাশ থেকে আয় করার উপায় কি?” বিকাশ থেকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন প্রথমত আপনি বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ভালো পরিমাণের অর্থ করতে পারবেন। বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে বেসিক কিছু ডকুমেন্টস ও প্রাথমিক পুঁজির প্রয়োজন হবে। কিভাবে বিকাশ থেকে আয় করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন এই আর্টিকেলটিতে। 

তাছাড়া রয়েছে রেফালেল প্রোগ্রাম। বিভিন্ন সময়ে বিকাশে নতুন ইউজার যুক্ত করার জন্য রেফারেল প্রোগ্রাম চালু করে থাকে। এ অফার চলাকালীন সময়ে আপনি যদি নতুন কাউকে বিকাশের সাথে যুক্ত করতে সক্ষম হন তবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন দেওয়া হবে। কখন কত টাকা কমিশন দেওয়া হবে বা কিভাবে রেফার করবেন সে বিষয়ে জানতে বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অথবা বিকাশ অ্যাপ এ ভিজিট করুন।

Nagad 

ওকে উল্লেখিত বিকাশের মতো নগদ ও বাংলাদেশের প্রচলিত জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে আর্থিক যে কোন লেনদেন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন। 2018 সালের ২২শে মে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদকে অনুমোদন দিয়ে থাকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। 

নগদের মাধ্যমে ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। প্রথমত আপনি নগদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নগদ উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। আপনি যদি মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়ে থাকেন কিংবা এই ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে তার পাশাপাশি নগদের এজেন্ট হয়ে ব্যবসা করার ব্যবস্থা করতে পারেন। 

বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম অ্যাপ হওয়ার সুবিধার্থে এখান থেকে আয় হওয়া অর্থ আপনি অবশ্যই  নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতে পারবেন। নগদ মূলত বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। ২০২৩ সালে পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে নগদের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় 40 মিলিয়ন বা ৪ কোটি। 

সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নগদের গ্রাহকদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে আয় করার বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে এখান থেকে। তাছাড়া নগদ প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরির মাধ্যমেও সেখান থেকে আয় করা সম্ভব। 

Food Panda 

মানুষের ঘরে ঘরে রেস্টুরেন্টের খাবার পৌঁছে দেওয়ার মত চমৎকার আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করে ফুডপান্ডা।গ্রাহকের কাছ থেকে অর্ডার গ্রহণ এবং নিকটতম রেস্টুরা থেকে সে খাবার সরবরাহ করার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে প্ল্যাটফর্মটি। 

২০১৬ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার তারা অনুমোদিত হয় ফুড পান্ডা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ফুড পান্ডাকে লাইসেন্স প্রদান করেন। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ১০ মিলিয়নেরও বেশি একটিভ ইউজার রয়েছে অ্যাপটির। 

যেখানে নতুন প্ল্যাটফর্ম সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সে ধারাবাহিকতায় ফুটপান্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ থাকছে অনেক ভাবে। দ্রুত মত আপনি ফুডপান্ডার নিজের হোমমেড ফুড অথবা রেস্টুরেন্ট রেজিস্টার করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম App  ফুড পান্ডা থেকে আয় করতে পারবেন। 

তাছাড়া খাবার পৌঁছে দেওয়া ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগদান করেও ফুডপান্ডা থেকে  ইনকাম করা সম্ভব। বাংলাদেশে প্রায় ১০০টিরও বেশি শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছুটে আছে ফুড পান্ডা। এবং বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মচারী রয়েছে প্লাটফর্মের পেছনে যারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে এবং নিজেদের ইনকাম জেনারেট করছে। 

তবে ফুডপাণ্ডার মোট কতটি ডেলিভারি ম্যান রয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি তবে তাদের ওয়েবসাইট অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজারের মতো ডেলিভারি ম্যান রয়েছে। একজন ডেলিভারি ম্যান দিনে প্রায় 8 থেকে 10 ঘন্টা কাজ করতে থাকে। ফুডপান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মতে একজন ফুডপান্ডার রাইডার প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হয়। 

Daraz 

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অন্যতম লিডিং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হল দারাজ। দারাজ একটি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে গ্রাহকরা প্রায় সকল ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারে। একজন স্বাভাবিক ইউজার দ্বারাজ থেকে যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবে, অন্যদিকে আপনি যদি তারা যে সেলার অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তবে তারা যে পণ্য বিক্রয় করার জন্য অনলাইন বা ভার্চুয়াল সব তৈরি করতে পারবেন। 

বাংলাদেশে তার আজ অনুমোদন পায় ২০১২ সালে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ দারাজ কে লাইসেন্স প্রদান করে। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তারা যে প্রায় ৫০ মিলিয়ন এর বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত পণ্য ক্রয় করছে অনলাইনের মাধ্যমে। 

বর্তমানে তার আছে কর্মচারী সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন:

  • দারাজের সেলার হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা
  • ডেলিভারি ম্যান হয়ে তারা যে চাকরি করা
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে দারাজ এর পণ্য বিক্রয় করিয়ে কমিশন পাওয়া

এর মধ্যে দারাজের সেলার হয়ে কাজ করা এবং ডেলিভারি ম্যানের চাকরি করা হলো সর্বোত্তম উপায় দারাজ অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে। তবে আপনি চাইলে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ভালো পরিমাণে কমিশন পেতে পারেন দারাজে থাকা পণ্যকে বিক্রি করানোর মাধ্যমে।

আপনি যে কাজটি করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন না কেন, সে কাজে যুক্ত হতে প্রাথমিকভাবে কিছু ডকুমেন্টস এবং আবেদনের প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন চাকরির পোর্টা যেমন বিডি জবস এর মত প্ল্যাটফর্মে দারাজ প্রতিনিয়ত ডেলিভারি ম্যান এর নিয়োগ দিয়ে থাকে তাছাড়া তারা এক অথবা ওয়েবসাইটে দারাজ সেলার এবং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। 

ShopUp

আপনি যদি রিসেলার বিজনেস ইন্টারেস্ট হয়ে থাকেন, অথবা ড্রপ শিপিং সংক্রান্ত কার্যক্রম করতে ইচ্ছুক থাকেন তবে ShopUp আপনার জন্য ইনকাম অ্যাপ হয়ে আবির্ভাব হবে। ShopUp হচ্ছে অনলাইনে সর্ববৃহৎ রিসেলার প্ল্যাটফর্ম।

বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে ShopUp কে অনুমোদন দেয়। যার কারণে এখানে কাজ করতে পারবেন নির্ভরতার সহিত এবংShopUp অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন ব্যবসা করার মতো করেই।

 যেহেতু আপনি একজন রিসেলার হিসেবে এখানে কাজ করবেন তাই আপনাকে পণ্য ক্রয় ডেলিভারি দেওয়া সংক্রান্ত কোনো কাজই করতে হবে না। আপনি নিজের মতো করে প্রচার প্রচারের মাধ্যমে পণ্যটি কাস্টমার খুঁজবেন, কাস্টমারের সাথে ডিল করবেন এবং পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার সকল তথ্য ShopUp অ্যাপে প্রকাশ করবেন।

এবং এ কাছের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন হবে, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখান থেকে আপনি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন খুব সহজে। ShopUp এর মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল রয়েছে যা এখানে ক্লিক করে জানতে পারবেন। 

Ifarmer 

আইফার্মার বাংলাদেশি কৃষিজ পণ্য বাজারজাতকরণের একটি প্ল্যাটফর্ম। সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য ক্রয় করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করা থাকে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে আই ফার্মার প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় এক লাখের মতো নিবন্ধিত ইউজার রয়েছে আইফার্মার অ্যাপটির। 

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পায় এক বছর পর মানে ২০১৭ সালে।অনুমোদন প্রাপ্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২২ টি জেলা জুড়ে তাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। 

আইফামার অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই। প্ল্যাটফর্মটির সাথে ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা হয়ে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আইফার্মারকে আয়ের উৎস হিসেবে তৈরি করতে পারেন। আবার আপনি যদি চান তবে আই ফার্মারে ইনভেস্ট করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। 

ইনভেসমেন্ট এর মাধ্যমে কিভাবে প্লাটফর্মটি সাথে যুক্ত হবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন আইফার্মারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং যোগাযোগ করতে পারেন তাদের সাথে সরাসরি। 

Sheba Bondhu 

সেবা বন্ধু হল সেবা এক্স ওয়াই জেড প্রতিষ্ঠানের একটি অনলাইন অ্যাপ। মূলত সেবা এক্স ওয়াই জেড এর যে সার্ভিসগুলো রয়েছে সেগুলো রেফার করার মাধ্যমে আয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে সেবা বন্ধ নামক  অ্যাপটি। 

সেবা এক্স ওয়াই জেড প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে শুরু করা হয় বিভিন্ন বেসিক কাজে সার্ভিস দেওয়ার জন্য। যেমন: 

  • বাড়ির কাজ: রান্না করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, কেনাকাটা করা
  • কারিগরি কাজ: ইলেকট্রিক্যাল কাজ, ওয়াটার সার্ভিস, মেকানিক্যাল কাজ
  • স্বাস্থ্যসেবা: চিকিৎসা সেবা, নার্সিং  কিংবা ফার্মেসি সেবা
  • অন্যান্য সেবা সমূহ:গাড়ি ভাড়া, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ইত্যাদ

মূলত এই সার্ভিসগুলো যাদের প্রয়োজন তাদেরকে রেফার করার মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত আয় করার বা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন জেনারেট করার যে অ্যাপ রয়েছে সেটির নামই সেবা বন্ধু। আপনি ব্যবহার করা খুব সহজ। এখানে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার কাছ থেকে বিকাশ নাম্বার নেওয়া হবে। যখনই আপনার রেফারে কেউ এখান থেকে যেকোনো সেবা গ্রহণ করবে, আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন আপনার ওয়ালেটে যুক্ত করবে। এবং আপনি নির্দিষ্ট সময় পর সে ওয়ালেট থেকে টাকা উইথড্র করতে পারবেন। 

তাছাড়া আরো রয়েছে 

এছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশ সরকার থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত। এবং বিভিন্ন উপায়ে এখান থেকে আয় করা যায় বা এই প্লাটফর্ম গুলোকে আর উৎস হিসেবে তৈরি করা যায়। এবার শুনুন এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানা যাক।

YouTube

আমরা জানি ইউটিউব বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, এখানে নেই এমন কোন টিউটোরিয়াল নেই, এখানে নেই এমন কেন টপিকে ভিডিও নেই, এবং মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আপনার ভিডিওর থেকে আয় করা সম্ভব ইউটিউবে এর মাধ্যমে। ইউটিউব থেকে আয় করার বিস্তারিত টিউটোরিয়াল রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটেই ইউটিউব নামক ক্যাটাগরিতে। 

Facebook

ফেসবুক বর্তমানে ইনকাম করার অনেক সুন্দর এবং কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব বর্তমানে। স্পেশালি এর এফ-কমার্স বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বাংলাদেশে। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো এবং সেখান থেকে যেকোনো একটি কিংবা একাধিক উপায় বেছে নিয়ে আপনিও শুরু করতে পারেন ফেসবুক থেকে ইনকাম জেনারেট করা। 

Instagram

ফেসবুকের পর সোশ্যাল মিডিয়া হিসাবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং হল ইনস্টাগ্রাম। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অনেকেই নিজেদের ব্যবসা লাভজনক পর্যায়ে পৌঁছে নিতে সক্ষম হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ডিজিটাল মার্কেটাররা আয় করে নিচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে। তাছাড়া আপনি যদি একজন ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার রয়েছে অনেক সুযোগ instagram থেকে আয় করার ক্ষেত্রে। ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে এ আর্টিকেলটি অনুসরণ করতে পারেন। 

পরিশেষে কিছু কথা

আপনি যদি এই অব্দি পড়ে এসে থাকেন তবে ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম App সম্পর্কে। খুব সহজ এবং সাবলীল ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন দেওয়া এমন অ্যাপ গুলো  সম্পর্কে যেখানে কাজ করে আপনিও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং সেটিকে করতে পারবেন আপনার আয়ের উৎস। এখানে কোন মিথ্যা স্বপ্ন কিংবা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই, নৈতিকভাবে কাজ করার মাধ্যমে এখান থেকে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবে। এমনই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আয়ের উপায় সম্পর্কে জানতে অনলাইন টাকা ইনকাম ওয়েবসাইটটি অনুসরণ করতে পারেন, ধন্যবাদ।