অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ১

Salim Mahamud

Updated on:

অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ১
অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ১

অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ১

আপনার চোখে যেহেতু এই আর্টিকেলটি পড়েছে, এক্ষেত্রে আপনাকে বলবো কিছুক্ষন অপেক্ষা করেন, আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা এখানে ব্যয় করেন। হলফ করে বলতে পারি, আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তার স্বয়ংসম্পূর্ণটাই জানতে পারবেন এখান থেকে। অনলাইনে ইনকাম, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়, বাছাইকৃত ও সাজ্জিত ভাবে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় সহ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় সংক্রান্ত যতসত কথা, উপদেশ ও নির্দেশনা রয়েছে তার সকল কিছুই পাবেন গুচ্ছিত ভাবে এক স্থানে।  

আপনাকে স্বাগতম Online Taka Income নামক ওয়েবসাইটে যেখানে আপনি জানতে চলেছেন এখন অব্দি সেরা সকল অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। থাকছে Huge Resource সম্পর্ণ ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক এবারের বিশেষ গাইডলাইন সংক্রান্ত আর্টিকেলটি। 

অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব?

কেনো সম্ভব হবে না? যেখানে বর্তমান যুগে দিন দিন একেক বিষয়ের উপর থেকে অসম্ভব শব্দটি ধিরে ধিরে উঠে যাচ্ছে, সেখানে অনলাইনে ইনকাম করা বিষয়ক কথায় অসম্ভব বলাটাই সম্ভব না। যাই হোক, মূল বিষয়টি হচ্ছে, “অনলাইনে ইনকাম করার জন্য এখন অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি অফলাইনে যতগুলো কাজ করতে পারবেন তার অধিকাংশ কাজ অনলাইনেও করতে পারবেন।” ধিরে ধিরে প্রতিটি সেক্টর অনলাইনে আসার পর থেকে অনলাইনে কাজের পরিমাণ ও সেই সাথে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় অনেক বেশি বেড়েছে। এখন অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার বিষয়টিও সম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। আর সেটা আপনি কিভাবে কোন কাজ গুলো করে করবেন সে বিষয়েই থাকছে এবারের গাইডলাইন ভিত্তিক আর্টিকেলটি। এখানে আপনি জানতে পারবেন অনলাইনে ইনকাম করার ১০০ টি উপায় সম্পর্কে। 

অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন?

আমাদের জানার আগ্রহের শেষ নেই আসলে, সেই জানার আগ্রহের থেকে অনেকেই আছে যারা জানতে চান, “অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন? এই বিষয়ে উত্তরে সচারচর যা আস 

  • একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন: অনলাইনে কাজ করার জন্য একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থাকা অপরিহার্য।
  • ইন্টারনেট সংযোগ: অনলাইনে কাজ করার জন্য একটি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরি।
  • দক্ষতা বা জ্ঞান: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার কিছু দক্ষতা বা জ্ঞান থাকতে হবে। এটি হতে পারে লেখার, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং, ইত্যাদি।
  • ধৈর্য এবং পরিশ্রম: অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হলে ধৈর্য এবং পরিশ্রম অপরিহার্য। শুরুতে হয়তো আপনি খুব বেশি আয় করতে পারবেন না, তবে ধীরে ধীরে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার আয়ও বাড়বে

বাংলাদেশে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের উপর ভিত্তি করে যেকোনো উপায় বেছে নিতে পারেন। ধৈর্য এবং পরিশ্রম করে আপনি অনলাইনে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর কি কি কাজ করবেন বা করার সুযোগ রয়েছে সেগুলো তো এই পর্যায়ে জানাচ্ছি ই। পড়তে থাকুন।  

অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়

বলছিলাম অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়ের কথা। এখানে একেক করে পাবেন ১০০ টি ইনকামের উপায়। যেহেতু এতো বেশি সংখ্যক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে সেটা উপস্থাপন করা সম্ভব নয়, তাই আমরা ভেংগে ভেংগে একাধিক আর্টিকেলে উপস্থাপন করেছি। এবং এটি আর্টিকেলটির ১ম পার্ট। এই আর্টিকেলের আরো অন্যান্য পার্ট রয়েছে যা আর্টিকেলের শেষে এবং প্রথমে পরের ও পূর্বের পার্টের লিংক দেয়া থাকবে। এবার দেখে নিন বিস্তারিত।

১ – ১০ টি । অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় 

ব্লগিং 

ব্লগিং হলো একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করা। ব্লগ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা আগ্রহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীভূত থাকে এবং পোস্টগুলি ব্যক্তিগত মতামত, পর্যালোচনা, খবর, বা তথ্যপূর্ণ নিবন্ধ হতে পারে। ব্লগ ব্যক্তিগত বা প্রোফেশনাল হতে পারে, এবং সেগুলি ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্লগিং থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যায়, যার মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ ইত্যাদি। 

ব্লগিং শুরু করার জন্য, আপনাকে একটি হোস্টিং এবং একটি ব্লগ প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হবে। হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি স্থান প্রদান করবে, এবং ব্লগ প্ল্যাটফর্ম আপনাকে আপনার পোস্ট তৈরি এবং পরিচালনা করতে দেবে। বিস্তারিত এর জন্য এখানে ক্লিক করুন। 

ইউটিউবিং 

ইউটিউবিং হল একটি অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি এবং পোস্ট করার প্রক্রিয়া। ইউটিউব একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরণের ভিডিও দেখতে পারে, যেমন মজার ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, এবং মিউজিক ভিডিও।

ইউটিউবিং শুরু করার জন্য, আপনাকে একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, আপনি আপনার প্রথম ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আপনার ভিডিওটি আকর্ষক এবং তথ্যপূর্ণ হওয়া উচিত, এবং আপনার দর্শকদের আগ্রহের বিষয়ে হওয়া উচিত। আপনি আপনার ভিডিওতে ক্যাপশন এবং সাবটাইটেল যোগ করতে পারেন যাতে দর্শকরা ভিডিওটি বুঝতে পারে।

ইউটিউব থেকেও আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যায়, এবং এর মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ, প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল ইত্যাদি। বিস্তারিত এখানে। 

Vlogger 

ভ্লগার হল একজন ব্যক্তি যিনি ভিডিও ব্লগ তৈরি করে এবং ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। ভিডিও ব্লগ সাধারণত ব্যক্তিগত ভিডিও যা ভ্লগারের দৈনন্দিন জীবন, চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতাগুলিকে ভিডিও আকারে উপস্থাপন করে। ভ্লগাররা ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে তাদের ভিডিওগুলিতে মিউজিক, হেডিং এবং অন্যান্য উপাদান যুক্ত করে।

ভ্লগার হওয়ার জন্য, আপনাকে একটি ভিডিও ক্যামেরা, একটি কম্পিউটার এবং ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যারের প্রয়োজন হবে। আপনাকে একটি ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে, যেমন YouTube বা Vimeo-তে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। একবার আপনি একটি চ্যানেল তৈরি করলে, আপনি আপনার ভিডিওগুলি আপলোড করতে পারেন। 

Vlogging থেকেও আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যায়, এবং এর মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ, ট্রাভেল এজেন্সির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল ইত্যাদি।

ওয়েব ডেভলপিং 

Web Developing হলো ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রক্রিয়া। ওয়েব ডেভেলপাররা ক্লায়েন্ট-সাইড ভাষা এবং সার্ভার-সাইড ভাষা ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে। ওয়েব ডেভেলপিংয়ের দুটি প্রধান উপায় রয়েছে:

  • ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপিং
  • ব্যাক-এন্ড ডেভেলপিং

ওয়েব ডেভেলপিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং চাহিদাসম্পন্ন পেশা। বর্তমানে, বিশ্বের প্রতিটি কোম্পানিই তাদের ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে চায়। ফলে, ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

ওয়েব ডেভেলপিং করে আয়ের অনেক উপায় রয়েছে। একজন ওয়েব ডেভেলপার অনলাইনে রিমোট চাকরি করতে পারেন, ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন, বা নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইনিং 

ওয়েব ডিজাইন হল একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল উপাদানগুলি ডিজাইন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইটের গ্রাফিক্স, লেআউট, রঙ, ফন্ট এবং অন্যান্য বিষয়গুলি। ওয়েব ডিজাইনাররা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব অভিজ্ঞতা তৈরি করার জন্য এই উপাদানগুলিকে একত্রিত করে।

ওয়েব ডিজাইনিং একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় পেশা। এই পেশায় ভালো আয় করা সম্ভব। তাই, আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে আগ্রহী হন, তাহলে দেরি না করে আজই শুরু করুন। কেননা, এতে আপনি চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং, বা নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং মাসে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং   

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট, মোবাইল ডিভাইস এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচারণা করার একটি প্রক্রিয়া। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, ব্যবসা তাদের টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সচেতন করে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র। ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপকতা এবং মোবাইল ফোনের বৃদ্ধি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। এটির মাধ্যমে আপনি আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং, ও নিজের এজেন্সি গড়ে তুলে। 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয় করার প্রধান উপায় হল পণ্য বিক্রি করা। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে, আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবাগুলিকে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে যত বেশি বিক্রয় তত বেশি আয়। যার জন্য এটার দ্বারাও অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন 

গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি ক্রমবর্ধমান চাহিদা সম্পন্ন পেশা। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে, যার মধ্যে রয়েছে লোগো, ওয়েবসাইট, পোস্টার, ব্যানার, বিজ্ঞাপন, এবং আরও অনেক কিছু। এসকল কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে অনলাইনে এবং এগুলো করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে এজেন্সি পর্যন্ত সব খান থেকেই টাকা ইনকাম করার সম্ভাবনা থাকছে। এই সেক্টরের ভেতর অন্যান্য বিভাগ নিয়ে আরো ডিটেইলস তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

ভিডিও ইডিটর 

ভিডিও ইডিটর হল একজন ব্যক্তি যিনি ভিডিও সম্পাদনা করে। ভিডিও সম্পাদনা হল একটি প্রক্রিয়া যাতে ভিডিও ফুটেজকে কাটা, একত্রিত করা, এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল এবং অডিও প্রভাব প্রয়োগ করা হয়। ভিডিও ইডিটাররা বিভিন্ন ধরণের মিডিয়াতে কাজ করতে পারে, যেমন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন, এবং ব্যক্তিগত ভিডিও।

ভিডিও ইডিটাররা বিভিন্ন ধরণের শিল্পে কাজ করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় কর্মসংস্থান স্থান হল:

  • চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন প্রযোজনা কোম্পানি
  • বিজ্ঞাপন সংস্থা
  • ভিডিও গেম কোম্পানি
  • ব্যক্তিগত ভিডিও প্রযোজক

ভিডিওর চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভিডিও ইডিটারদের চাহিদাও বাড়ছে। ভিডিও ইডিটিং একটি চ্যালেঞ্জিং এবং ফলপ্রসূ পেশা। তাই এখান থেকে অনেক টাকা আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস, কোম্পানিতে চাকরি ও এজেন্সি তৈরির মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। 

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর 

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করেন। যেমন: আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, পডকাস্ট, ইনফোগ্রাফিক্স, এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি। তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে Content তৈরি করতে পারে যেমন – তথ্য প্রদান, শিক্ষাদান, বিনোদন প্রদান, বা একটি পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করা।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের বিভিন্ন দক্ষতা এবং ক্ষমতা প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে:

১) সৃজনশীলতা: কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য নতুন এবং আকর্ষক ধারণা তৈরি করতে সক্ষম হতে হবে।

২) লেখা বা কথা বলার দক্ষতা: কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের বিষয়বস্তুকে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হতে হবে।

৩) প্রযুক্তিগত দক্ষতা: কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের বিষয়বস্তু তৈরি এবং প্রচার করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সক্ষম হতে হবে।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করে যেমনঃ স্বাধীন বা এককভাবে, একটি সংস্থার জন্য, বা একটি মিডিয়া কোম্পানির জন্য। এমনকি তারা বিভিন্ন ধরনের অর্থ উপার্জন করতে পারে। যেমন বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ, বা সদস্যতা। 

বাংলাদেশে, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বর্তমানে খুব জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয়তার কারণে, আরও বেশি মানুষ তাদের নিজস্ব কন্টেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করছে। এর ফলে নতুন নতুন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এবং অনলাইনে ইনকাম করার এটা খুব ভালো একটা মাধ্যম যদি আপনি একজন পপুলার পার্সন হয়ে থাকেন 

১১ – ২০ টি । অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়

ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার 

ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি স্বাধীনভাবে কাজ করেন এবং তাদের ফটোগ্রাফি দক্ষতা বিক্রি করেন। তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে, যেমন:

  • পোট্রেট ফটোগ্রাফি: ব্যক্তি, পরিবার এবং দলগুলির ছবি তোলা।
  • ওয়েডিং ফটোগ্রাফি: বিবাহ অনুষ্ঠানের ছবি তোলা।
  • ইভেন্ট ফটোগ্রাফি: কর্পোরেট ইভেন্ট, সঙ্গীত অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের ছবি তোলা।
  • ফ্যাশন ফটোগ্রাফি: পোশাক, জুতা এবং অন্যান্য পণ্যের ছবি তোলা।
  • প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি: পণ্যের ছবি তোলা।
  • আর্কিটেকচারাল ফটোগ্রাফি: ভবন এবং অন্যান্য নির্মাণের ছবি তোলা।
  • নৈসর্গিক ফটোগ্রাফি: প্রকৃতির ছবি তোলা।

 যদিও এই কাজের জন্য এখন ফটোগ্রাফারকে অফলাইনে যেতে হবেই। তবে বেশির ভাগ কাজ অনলাইনে করা হয় এবং ক্লাইয়েন্ট খোজার কাজও অনলাইনেই হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারদের জন্য কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো:

  • Fiverr: Fiverr হল একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন।
  • Upwork: Upwork হল আরেকটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন।
  • Freelancer.com: Freelancer.com হল একটি আরও একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন।

এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফাররা তাদের কাজের জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন।

অ্যাপ ডেভিলপিং  

অ্যাপ ডেভেলপিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়। অ্যাপ্লিকেশন গুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, যেমনঃ তথ্য প্রদান, গেম খেলা, বা যোগাযোগ স্থাপন করা। অ্যাপ ডেভেলপিং একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার। কারণ মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অ্যাপ ডেভেলপিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জ্ঞান:

  • একটি কম্পিউটার যা iOS বা Android অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • প্রোগ্রামিং ভাষা, যেমন Swift বা Kotlin।
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফ্টওয়্যার, যেমন Xcode বা Android Studio।
  • iOS বা Android ডিভাইস।

অ্যাপ ডেভেলপিংয়ের ধাপগুলি:

  1. একটি অ্যাপ আইডিয়া তৈরি করুন।
  2. একটি প্রোগ্রামিং ভাষা এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফ্টওয়্যার নির্বাচন করুন।
  3. ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন করুন।
  4. অ্যাপের জন্য কোড লিখুন।
  5. অ্যাপটিকে পরীক্ষা করুন।
  6. প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে এ লঞ্চ করুন

অ্যাপ ডেভেলপিং শেখার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। আপনি অনলাইন কোর্স, বই, বা ইন-পারসোনাল প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আপনি একটি মুক্ত সোর্স অ্যাপ প্রকল্পে যোগদান করেও শিখতে পারেন

অনেক বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং স্টার্টআপ তাদের ব্যবসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে। এছাড়াও, অনেক বাংলাদেশী অ্যাপ ডেভেলপার বিশ্বব্যাপী অ্যাপ ডেভেলপিং শিল্পে কাজ করছে।

বাংলাদেশে অ্যাপ ডেভেলপিংয়ের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভেলপার হওয়ার আগ্রহী হন, তাহলে বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে।

অনলাইন টিউটর 

অনলাইন টিউটর হলো একজন শিক্ষক যিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখায়। তারা বিভিন্ন বিষয়ে টিউটরিং করতে পারে, যেমন – গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি, ইতিহাস, এবং আরও অনেক কিছু। অনলাইন টিউটরিং একটি জনপ্রিয় বিকল্প কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের বাড়িতে থেকে তাদের নিজস্ব সময়ে শেখার সুযোগ করে দেয়।

Online টিউটরিংয়ের অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের তাদের বাড়িতে থেকে তাদের নিজস্ব সময়ে শেখার সুযোগ করে দেয়। এটি বিশেষ করে যারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারে না বা যারা তাদের নিজস্ব গতিতে শিখতে পছন্দ করে তাদের জন্য উপকারী। দ্বিতীয়ত, অনলাইন টিউটরিং শিক্ষার্থীদের স্থানগত যাতায়াত করতে হয় না। তৃতীয়ত, অনলাইন টিউটরিং সাধারণত প্রথাগত টিউটরিংয়ের চেয়ে কম ব্যয়বহুল।

অনলাইন টিউটর হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে এবং শেখাতে সক্ষম হতে হবে। তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হওয়া উচিত। অনলাইন টিউটরদের প্রায়ই একটি সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি থাকে যা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে।

অনলাইন টিউটররা সাধারণত প্রতি ঘন্টা বা প্রতি ক্লাস টিউশন ফি চার্জ করে। টিউশন ফি নির্দিষ্ট বিষয়, টিউটরের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষার্থীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে, অনলাইন টিউটরের প্রতি ঘন্টা টিউশন ফি সাধারণত ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে থাকে। তবে কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো One Time Fee চার্জ করে থাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হলো একজন স্পেশালিস্ট যিনি একটি সংস্থা বা ব্যক্তিগত পর্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি পরিচালনা করেন। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং পরিচালনা করা, আকর্ষক এবং তথ্যপূর্ণ সামগ্রী তৈরি করা, এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের মূল কাজগুলি হল:

  • সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং পরিচালনা করা: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রথম কাজ হল সংস্থা বা ব্যক্তির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। এর মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন, এবং অন্যান্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের অ্যাকাউন্ট তৈরি করা অন্তর্ভুক্ত। একবার অ্যাকাউন্টগুলি তৈরি হয়ে গেলে, তাদের পরিচালনা করা এবং নিয়মিত আপডেট করা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের দায়িত্ব।
  • আকর্ষক এবং তথ্যপূর্ণ সামগ্রী তৈরি করা: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আকর্ষক এবং তথ্যপূর্ণ সামগ্রী তৈরি করা। এই সামগ্রীতে পোস্ট, ছবি, ভিডিও, এবং অন্যান্য ধরণের সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। সামগ্রীটি সংস্থা বা ব্যক্তির লক্ষ্য শ্রোতাদের কাছে আকর্ষণীয় এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
  • গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা। এটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, অভিযোগের সমাধান করা, এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি করা জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের গ্রাহকদের সাথে একটি সংস্থা বা ব্যক্তির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সহায়তা করা উচিত।

বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের তাদের লক্ষ্য শ্রোতাদের সাথে সংযোগ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

একটি জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের চাহিদা আগামী পাঁচ বছরে 25% বৃদ্ধি পাবে। এখানে আয়ের সম্ভাবনাও ভালো। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সাধারণত প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারে।

রিক্রুটিং এজেন্ট 

রিক্রুটিং এজেন্ট হলো এমন একটি সংস্থা যা কর্মসংস্থানকারীদের জন্য কর্মীদের খুঁজে পেতে এবং কর্মীদের জন্য চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে, রিক্রুটিং এজেন্টদেরকে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দ্বারা লাইসেন্স দেওয়া হয়। রিক্রুটিং এজেন্টের কাজগুলি নিম্নরূপ:

  • কর্মসংস্থানকারীদের জন্য কর্মীদের খুঁজে পাওয়া
  • কর্মীদের জন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া
  • চাকরি খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া
  • চাকরি খোঁজার জন্য পরামর্শ দেওয়া
  • কর্মীদের চাকরি খোঁজার জন্য সিভি বা রিজিউম প্রস্তুত করা
  • চাকরি খোঁজা ও ইন্টারভিউয়ের জন্য ভ্রমণের ব্যবস্থা করা

রিক্রুটিং এজেন্টরা বিভিন্ন ভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে পারে যেমন:

  • কর্মীদের কাছ থেকে চাকরির জন্য আবেদন ফি নেওয়া
  • কর্মসংস্থানকারীদের কাছ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য ফি নেওয়া
  • চাকরি খোঁজার জন্য অনলাইন সার্ভিস প্রদানের জন্য ফি নেওয়া

রিক্রুটিং এজেন্টরা অনলাইনে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হয়। যেমন: 

  • ওয়েবসাইট
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • অনলাইন জব বোর্ড
  • অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন

বাংলাদেশে, রিক্রুটিং এজেন্টদের জন্য কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হল:

  • প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট
  • বিএমইটির ওয়েবসাইট
  • বিডিজবস
  • জবপোস্ট
  • ইয়ুনিয়নবাংলা ইত্যাদি 

অনুবাদক / ডুয়েল ট্রান্সলেটর 

অনুবাদক হলো একজন ব্যক্তি যিনি দুটি বা ততোধিক ভাষার মধ্যে পাঠ্য বা কথোপকথনকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করে। অনুবাদকদের সাধারণত একটি ভাষার উপর গভীর জ্ঞান এবং অন্য ভাষার উপর ভাল দক্ষতা থাকে। এটি হতে পারে কোনো ডকুমেন্টস, পেপারস, আর্টিকেল অনুবাদ করা। আবার হতে পারে কোনো ভিডিওতে উপস্থাপিত তথ্য অন্য ভাষায় অনুবাদ করা। আবার একজন অনুবাদক কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত অনুবাদক হিসেবেও কাজ করতে পারে। 

বাংলাদেশের অনুবাদকের আয়ের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান সূত্র হলো বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে অনুবাদকের গড় বেতন ছিল প্রতি মাসে ৪০,০০০ টাকা।

তবে অনলাইনে এটা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হয় যেখানে ঘন্টা কিংবা প্রজেক্ট অনুযায়ী পেমেন্ট করে থাকে। অনুসন্ধান অনুযায়ী, একজন নতুন অনুবাদক প্রতি শব্দের জন্য প্রায় $0.05 থেকে $0.10 পায়। একজন অভিজ্ঞ অনুবাদক প্রতি শব্দের জন্য প্রায় $0.20 থেকে $0.50 পায়।

অনুবাদক হওয়ার জন্য, একজন ব্যক্তিকে সাধারণত একটি অনুবাদ প্রোগ্রাম থেকে স্নাতক ডিগ্রি বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, অনুবাদকদের পেশাদার অনুবাদ সংস্থার মাধ্যমে অনুবাদক হিসাবে নিবন্ধন করতে হবে।

ফাইন্যান্সিয়াল এডভাইজার

একটি আর্থিক পরামর্শদাতা হল একজন পেশাদার যিনি ব্যক্তি এবং ব্যবসাগুলিকে তাদের আর্থিক লক্ষ্যগুলি অর্জনে সহায়তা করে। তারা আর্থিক পরিকল্পনা, বিনিয়োগ, এবং ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে।

বাংলাদেশে, আর্থিক পরামর্শদাতারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন আর্থিক পরামর্শদাতা হওয়ার জন্য, একজনকে বিএসইসি দ্বারা প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেতে হবে।

আর্থিক পরামর্শদাতারা বিভিন্ন ধরণের পরিষেবা প্রদান করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • আর্থিক পরিকল্পনা: একজন আর্থিক পরামর্শদাতা আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করতে এবং সেগুলি অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে আপনাকে সহায়তা করতে পারেন। এই পরিকল্পনায় আপনার আয়, ব্যয়, এবং বিনিয়োগের বিবরণ থাকবে।
  • বিনিয়োগ পরামর্শ: একজন আর্থিক পরামর্শদাতা আপনাকে আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য উপযুক্ত বিনিয়োগ পণ্যগুলি নির্বাচন করতে সহায়তা করতে পারেন। তারা আপনাকে আপনার ঝুঁকি প্রবণতা এবং আর্থিক লক্ষ্যগুলি বিবেচনা করে একটি বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
  • ঋণ পরামর্শ: একজন আর্থিক পরামর্শদাতা আপনাকে আপনার আর্থিক অবস্থার জন্য উপযুক্ত ঋণ পণ্যগুলি নির্বাচন করতে সহায়তা করতে পারেন। তারা আপনাকে আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি বিবেচনা করে একটি ঋণ পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।

বাংলাদেশে, আর্থিক পরামর্শদাতাদের জন্য চাহিদা বাড়ছে। কারণ মানুষ তাদের আর্থিক ভবিষ্যত নিয়ে আরও সচেতন হয়ে উঠছে এবং তারা একজন পেশাদারের কাছ থেকে পরামর্শ পেতে চায়।

একজন ফাইন্যান্সিয়াল এডভাইজার হিসেবে অনলাইন ভিত্তিক ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব পোর্টফলিও, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া এই বিষয়ক কোর্স তৈরি করে সেটার পেইড ভার্সন চালু ও অনলাইনেই ফাইন্যান্সিয়াল এডভাইজ দেয়ার সার্ভিস চালু করে আয় করতে পারেন। 

ডেটা এনালাইজ / ডাটা এনালাইসিং 

ডেটা এনালাইসিস হল তথ্য থেকে অর্থ নিষ্কাশন করার প্রক্রিয়া। এটি একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র যা বিপুল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে। ডেটা এনালাইসিস ব্যবসা, সরকার, বিজ্ঞান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। Data ভিত্তিক ব্যবসাগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা ডেটা থেকে অর্থ নিষ্কাশন করতে এবং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উন্নত করতে ডেটা এনালিস্টদের চাহিদা করছে।

অনলাইনে ডেটা এনালিস্ট হয়ে আয় করার কয়েকটি উপায় রয়েছে। একটি হল ফ্রিল্যান্সিং, ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কাজের জন্য দরপত্র দিতে পারে। আরেকটি উপায় হল অনলাইন কোর্স বা শিক্ষানবিস প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে কাজ খুঁজে বের করা। অনেক সংস্থা অনলাইনে ডেটা এনালিস্টদের জন্য চাকরি পোস্ট করে।

অনলাইনে ডেটা এনালিস্ট হয়ে আয় করার জন্য কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল:

Upwork: Upwork হল একটি বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে ডেটা এনালিস্টরা তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কাজের জন্য দরপত্র দিতে পারে।

Fiverr: Fiverr হল একটি আরও ছোট মার্কেটপ্লেস যেখানে ডেটা এনালিস্টরা ডেটা বিশ্লেষণ, ডেটা মাইনিং এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলির জন্য ছোট, প্রারম্ভিক কাজগুলি খুঁজে পেতে পারে।

LinkedIn: LinkedIn হল একটি জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ডেটা এনালিস্টরা কাজের সুযোগ খুঁজে পেতে এবং তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করতে পারে।

Indeed: Indeed হল একটি অনলাইন চাকরির বোর্ড যেখানে ডেটা এনালিস্টরা চাকরি খুঁজে পেতে পারে।

অনলাইনে ডেটা এনালিস্ট হয়ে আয় করার সম্ভাব্য আয় পরিসংখ্যানগুলি পরিবর্তিত হয়। তবে, ফ্রিল্যান্সাররা প্রতি ঘন্টা 50 ডলার উপার্জন করতে পারে। একজন পূর্ণ-সময়ের ডেটা এনালিস্টের গড় বার্ষিক বেতন প্রায় 110,140 ডলার। [তথ্য সূত্র: মার্কেটপ্লেস গুলোতে থাকা গিগ ও এই বিষয়ক ব্লগ]

ডেটা এনালিস্ট হয়ে আয় করার জন্য, আপনার নিম্নলিখিত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে:

  • গণিত এবং পরিসংখ্যানের দক্ষতা
  • ডেটা মাইনিং এবং ভিজুয়ালাইজেশনের দক্ষতা
  • প্রোগ্রামিং দক্ষতা
  • ডেটা এনালিটিকস সফ্টওয়্যারের দক্ষতা
  • যোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো একজন স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি যিনি দূরবর্তী অবস্থান থেকে, সাধারণত হোম অফিস থেকে, গ্রাহকদের পেশাদার প্রশাসনিক, প্রযুক্তিগত বা সৃজনশীল সহায়তা প্রদান করেন। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • প্রশাসনিক কাজ: ডাটা এন্ট্রি, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট করা, ইমেল পরিচালনা, ফাইলিং ইত্যাদি
  • প্রযুক্তিগত কাজ: ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি
  • সৃজনশীল কাজ: লেখালেখি, অনুবাদ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও সম্পাদনা ইত্যাদি

এর জন্য চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এর কারণ হল, ব্যবসাগুলি তাদের খরচ কমাতে এবং দক্ষতা বাড়াতে ভার্চুয়াল সহায়তার দিকে ঝুঁকছে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় না। তবে, অনলাইনে বা স্থানীয় কমিউনিটি কলেজগুলিতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রশিক্ষণ কোর্স পাওয়া যায়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য কিছু দক্ষতা প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ভাষা দক্ষতা
  • কম্পিউটার দক্ষতা
  • যোগাযোগ দক্ষতা
  • সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা:

সাবটাইটেল ক্রিয়েটর 

সাবটাইটেল ক্রিয়েটর হলো এমন একজন ব্যক্তি যে ভিডিওর জন্য সাবটাইটেল তৈরি করে। সাবটাইটেল হলো এমন টেক্সট যা ভিডিওর উপরে প্রদর্শিত হয় এবং দর্শকরা ভিডিওর অডিও শোনা না পারলেও ভিডিওটি বুঝতে সাহায্য করে।

এখানে আয় করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। একটি উপায় হলো – সাবটাইটেল মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজ বিক্রি করা। সাবটাইটেল মার্কেটপ্লেসগুলি হল এমন ওয়েবসাইট যেখানে ভিডিও নির্মাতারা সাবটাইটেল ক্রয় করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় সাবটাইটেল মার্কেটপ্লেস হলো:

  • Rev: Rev হল একটি জনপ্রিয় সাবটাইটেল মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি আপনার কাজের জন্য প্রতি ঘন্টা 15 থেকে 30 ডলার উপার্জন করতে পারেন।
  • Upwork: Upwork হল একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি আপনার কাজের জন্য প্রতি ঘন্টা 10 থেকে 20 ডলার উপার্জন করতে পারেন।
  • Fiverr: Fiverr হল একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি আপনার কাজের জন্য প্রতি ভিডিও 5 থেকে 10 ডলার উপার্জন করতে পারেন।

আরেকটি উপায় হল সরাসরি ভিডিও নির্মাতাদের কাছে আপনার কাজ বিক্রি করা। আপনি যদি ভিডিও নির্মাতার সাথে পরিচিত হন তবে আপনি তাদের আপনার কাজের জন্য একটি প্রস্তাব দিতে পারেন। আপনি যদি ভিডিও নির্মাতার সাথে পরিচিত না হন তবে আপনি তাদের অনলাইনে খুঁজে পেতে পারেন।

সাবটাইটেল তৈরি করা একটি দক্ষতা যা শিখতে সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে। তবে, একবার আপনি দক্ষ হয়ে গেলে, আপনি সাবটাইটেল তৈরি করে ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সাবটাইটেল তৈরি করার জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. সাবটাইটেল তৈরির সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
  2. ভিডিওটি দেখুন এবং সাবটাইটেল লিখুন।
  3. সাবটাইটেলটিকে নির্ভুল এবং সুসংগত নিশ্চিত করুন।
  4. ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করুন।
  5. প্রয়োজনীয় ভাষায় অনুবাদ করুন।

ইনকাম করার ১০০ টি সহজ উপায় বিষয়ক আর্টিকেলের পরের পার্ট গুলো:

২১ – ৪০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ২

৪১ – ৬০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ৩

৬১ – ৮০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ৪

৮১ – ১০০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ৫