YouTube

ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় । আয় করুন ইউটিউব থেকে

আপনি কি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার প্রতি ইন্টারেস্টেড? অথবা আপনার কি ইউটিউবে চ্যানেল রয়েছে এবং আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান? যার জন্য গুগলে সার্চ করেছেন “ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়?” আমি আপনাকে এই বিষয়ে Ensure করছি যে, আপনি যদি মনযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তবে ইউটিউব থেকে আয় করা বিষয়ক ওভারল একটি ধারণা আপনি পেয়ে যাবেন। চলুন তবে ইন্ট্রো বাদ দিয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যাই… 

ইউটিউব সম্পর্কে ব্যাসিক তথ্য

YouTube সম্পর্কে শুনে নি বা জানে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ইউটিউব হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইউজাররা ভিডিও আপলোড, দেখা এবং শেয়ার করতে পারে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও হোস্টিং সাইট এবং এটি প্রতিদিন বিলিয়ন বিলিয়ন ভিডিও দেখা হয়।

ইউটিউব 2005 সালে তিনজন প্রাক্তন পেপাল কর্মচারী, স্টিভ চেন, জাওড কারিম এবং চ্যাড হার্লির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে প্রতিদিন ১.৮ বিলিয়নেরও বেশি ভিডিও দেখা হয়। ২০০৬ সালে গুগল ইউটিউবকে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারে ক্রয় করে নেয়। 

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন ইউটিউবে প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ঘন্টা ভিডিও দেখা হয়। এছাড়াও প্রতি মিনিটে প্রায় ৫০০ ঘন্টা ভিডিও আপলোড করা হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ৩০০,০০০ ঘন্টা ভিডিও আপলোড করা হয়।

তবে মজার ব্যাপার হলো এখানে আপনি কেবল ভিডিও আপলোড করার আনন্দই পাবেন না, বরং সে ভিডিও গুলো আপলোড করার জন্য এখানে থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হ্যাঁ, আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন এবং এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাকে জানাবো “ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়” সম্পর্কে। 

তাহলে স্কিনের সাথে আপনার নজর বেধে ফেলুন এবং জানুন ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় সম্পর্কে ধাপে ধাপে। তবে সবার আগে জানতে হবে যে, ইউটিউব থেকে আয় করার প্রাথমিক ধাপ গুলো কি? মানে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার পূর্বে প্রিপারেশন ও করনীয় সমূহ কি। পরের ধাপেই রয়েছে সে আলোচনা। 

ইউটিউব থেকে আয় করার প্রাথমিক ধাপ সমূহ

যেমনটা বলেছি, ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে প্রথমে বেশ কিছু প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এবার একেক করে সেই প্রসেস সম্পর্কে জানবো। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত প্রাথমিক ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

১) একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে: প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এটি করার জন্য, আপনাকে একটি Google অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, আপনি “Create YouTube Channel” বোতামে ক্লিক করতে একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।

২) চ্যানেল সেটআপ করুন: আপনার চ্যানেল তৈরি করার পরে, আপনাকে এটি সেটআপ করতে হবে। এর মধ্যে আপনার চ্যানেলের নাম, বর্ণনা এবং লোগো সেট করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আপনি আপনার চ্যানেলে একটি প্রোফাইল ও কভার ফটোও যুক্ত করতে পারেন। তাছাড়া রয়েছে আরো বেশ কিছু সেটিংস। সম্পুর্ণ সেটিংস ঠিক ঠাক ভাবে উপস্থাপন করে পৃথক আলাদা একটি আর্টিকেল করা হয়েছে যাতে ওভারল বিষয় গুলো বুজতে সুবিধা হয়। আপনি এখানে ক্লিক করে জেনে নিন ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে। 

৩) ভিডিও আপলোড করুন: আপনার চ্যানেল সেটআপ হয়ে গেলে, আপনি আপনার প্রথম ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আপনার ভিডিওগুলি আকর্ষক এবং তথ্যপূর্ণ হওয়া উচিত।এক্ষেত্রে নিদিষ্ট নিশ সিলেকশন ও সে নিশের ওভারল ধারণা প্রদান করা উত্তম পন্থা। তাছাড়া এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের ইউটিউব নামক ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। 

৪) ভিডিওর প্রচার করুন: আপনার ভিডিও গুলো লোকেদের কাছে পৌঁছানোর জন্য, আপনাকে সেগুলি প্রচার করতে হবে। আপনি সামাজিক মিডিয়া, ইমেল এবং অন্যান্য উপায়ে আপনার ভিডিওগুলি প্রচার করতে পারেন।

৫) ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় গুলো অনুসরণ করুন: আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলি থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় অনুসরণ করতে হবে। পরবর্তী ধাপে ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 

ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় সমূহ (বিস্তারিত)

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে চ্যানেল মনিটাইজড করে ইউটিউব থেকে আয় করুন

ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে। গুগল এডসেন্স হল একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা ইউটিউব চ্যানেল মালিকদের তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ করে দেয়। যখন কোনো দর্শক আপনার ভিডিওতে একটি বিজ্ঞাপন দেখে বা ক্লিক করে, তখন আপনি সেকাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার চ্যানেল মনিটাইজড করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিত ক্রাইটেরিয়া গুলো পূরণ করতে হবে:

  • চ্যানেলে কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • চ্যানেলে কমপক্ষে ৪,০০০ ঘন্টা Watch Time থাকতে হবে।
  • আপনার চ্যানেল ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইনগুলি মেনে চলতে হবে।

আপনার চ্যানেল যদি এই Criteria গুলো পূরণ করে, তাহলে আপনি আপনার চ্যানেল মনিটাইজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে, আপনাকে আপনার চ্যানেলের তথ্য এবং Google AdSense এর একটি অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। এখান থেকে দেখে নিতে পারেন “কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল গুগল এডসেন্সের সাথে যুক্ত করবেন?”

যাই হোক, একবার আপনার চ্যানেল মনিটাইজড হয়ে গেলে, আপনি আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করতে পারেন। বিজ্ঞাপনগুলি আপনার ভিডিওর শুরুতে, মাঝখানে বা শেষে দেখা যেতে পারে। আপনি আপনার ভিডিওতে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে তা বেছে নিতে পারেন।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি কত টাকা আয় করবেন তা আপনার ভিডিওর Views এর উপর নির্ভর করে। Ads গুলো কতবার দেখা হয় এবং Click করা হয় তার উপর ভিত্তি করে আপনি অর্থ উপার্জন করবেন।

স্পনসর্ড ভিডিও এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করুন

আমরা প্রায় সময় দেখে থাকি, জনপ্রিয় ইউটিউবাররা ভিডিও এর শুরুতে বা কোনো এক পর্যায়ে বলে থাকে “This Video is sponsed by অমুক কোম্পানি বা অমুক ব্র্যান্ড” এখানে মূলত ওই ইউটিউবার সে কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের কাছ থেকে এক্সটা অর্থ লাভ করেছে সে ভিডিওতে তাদের মার্কেটিং করার জন্য। 

স্পন্সর্ড ভিডিও হলো এমন ভিডিও সেখানে কোনো স্পেসিফিক কোম্পানির বা ব্র্যান্ডকে উল্লেখ্য করে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে শর্ট করে ব্যাসিক ধারণা দেয় এবং Viewers দের সে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি পণ্য বা সেবা গ্রহনে উৎসাহিত করে। 

যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল অনেক জনপ্রিয় হবে কিংবা অনেক মানুষ আপনার ভিডিও দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হবে তখন বড় বড় কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনার ভিডিও এর মাধ্যমে তাদের পণ্য কিংবা সেবার প্রচারনা করার জন্য। 

এই কাজটি করার জন্য আপনাকেও বেশ কিছু অর্থ প্রদান করবে, যা হবে এক কালীন অর্থ। আপনি তখন নিজের তৈরি করা রিলেভেন্ট ভিডিওতে কোনো এক সময় (শুরু, মাঝে অথবা শেষে) সে কোম্পানির সম্পর্কে আপনার ভিউয়ার্সদেরকে অবগত করবেন। 

বর্তমানে বাংলাদেশে জনপ্রিয় ইউটিউবারদের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিটি পণ্য বা সেবার প্রোমোট করার জন্য ১০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা অব্দি ওয়ান টাইম পেমেন্ট পেয়ে থাকে। ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ টি উপায়ের মধ্যে এটা বেশ হাই উপায়, কেননা এটা সকলে পায় না। 

ভিডিওতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে আয় করুন

আপনি যে বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করেন সে বিষয়ের উপর নিদিষ্ট কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থেকে থাকলে আপনি সে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। প্রায় সময় দেখবেন ছোট বড় সকল ইউটিউবাররা ভিডিও এর ডিস্ক্রিপশনে একটি না একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে রাখে যেখানে ক্লিক করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পাঞ্চেস করলেই তারা নিদিষ্ট হারে কমিশন পায়। আপনি একজন ইউটিউবার হিসেবেও সেম স্ট্রেটেজি অনুসরণ করতে পারবেন। 

ভিডিওতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলি বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়, যেমন:

  • Amazon Associates
  • eBay Partner Network
  • AliExpress Affiliate Program
  • ClickBank
  • Rakuten Affiliate Network
  • ShareASale
  • CJ Affiliate
  • Impact Radius
  • Daraz
  • BD Shop

সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির অসংখ্য কোম্পানি। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানির ক্ষেত্রে। যাইহোক, একবার আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করলে, আপনাকে একটি একক লিঙ্ক দেওয়া হবে, যা আপনি আপনার ভিডিওতে প্রচার করবেন।

আপনার ভিডিওতে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রচার করার সময়, আপনার অবশ্যই আপনার Viewers দের কাছে সৎ হতে হবে। আপনার তাদের অবশ্যই জানাতে হবে যে আপনি একটি কমিশন পাবেন যদি তারা আপনার লিঙ্কটি ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবাটি কিনতে। তাহলে আপনার ভিউয়ার্সরা আপনার প্রতি লয়ালিটি দেখাবে এবং প্রতারক ভাববে না। 

ভিডিও এর মাধ্যমে নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করে ইউটিউব থেকে আয় করুন

এই প্রসেসটি অনুসরণ করতে আপনাকে বেশ ধৈয্যশীল ও পরিশ্রমী হতে হবে। এখানে আপনি রাতারাতি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না বরং সময় ব্যয় করতে হবে। এই পদ্ধতিটি তাদের জন্যই যারা ইতিমধ্যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছে। কেননা আপনি যেহেতু নিজের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য আয় করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি পণ্য বা সেবা থাকতে হবে। 

যাইহোক, আপনি যা করবেন তা হলো 

১) একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি 

২) চ্যানেলটিকে পপুলার করা বা জনপ্রিয় করা 

৩) প্রতিনিয়ত স্পেসিফিক বিষয় ধরে কন্টেন্ট বা ভিডিও পাবলিস্ট করা।

হতে পারে এটা আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কিংবা এই বিষয়ক অনুসাঙ্গিক বিষয়ের ভিডিও। আপনার যদি পণ্য থাকে তবে সেটার রিভিউ প্রদান করতে পারেন, কেনো এটা কেনা উচিৎ, এটার ব্যবহার ও উপকারিতা এসব আরকি। 

এর ফলে প্রোডাক্টের চাহিদা সম্পন্ন কাস্টমারদের কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং তারপরই তারা প্রোডাক্টটি ক্রয় করার প্রতি আগ্রহ দেখাবে। আর ঠিক তখনই আপনি সে পণ্য বা সেরা বিক্রি করা বিষয়ক তথ্য প্রদান করবেন। 

এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে রিচ বাড়ছে, মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ হচ্ছে। অন্যদিকে আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমারও পেয়ে যাচ্ছেন। যাকে বলে এক ঢিলে দুই পাখি। আর ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ টি উপায় এর মধ্যে এটা বেশ ভালো পন্থা। 

সাবস্ক্রাইবারদের দিয়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করুন

ইতিমধ্যে আপনি নিশ্চই জেনে গেছেন যে, বাংলাদেশেও ইউটিউব প্রিমিয়াম চলে এসেছে। যেহেতু এটা গ্রহন করলে একজন ইউজার কোনো প্রকার এড দেখা ছাড়াই আপনার ভিডিও দেখতে পারবে তাই বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনার রেভিনিউ জেনারেটের পথ তো বাধাগ্রস্ত হলো তাইনা?

চিন্তা নেই কেননা, ইউটিউব থেকে আয় করার অন্যতম আরো একটি উপায় হলো YouTube Premium সাবস্ক্রিপশন। YouTube Premium হলো একটি সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা যা ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন-মুক্ত ভিডিও দেখা, অফলাইনে ভিডিও দেখা এবং YouTube Music অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেয়। যখন একজন YouTube Premium ব্যবহারকারী আপনার চ্যানেলের একটি ভিডিও দেখে, তখন আপনি একটি অংশীদারিত্বের রেভিনিউ পাবেন।

YouTube Premium থেকে আয় করার জন্য, আপনার চ্যানেলকে প্রথমে YouTube Partner Program-এর জন্য যোগ্য হতে হবে। এই প্রোগ্রামে যোগ্য হতে, আপনার চ্যানেলে নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে হবে:

  • কমপক্ষে 1,000 সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে 4,000 ঘন্টা ভিডিও ওয়াচটাইম থাকতে হবে।
  • আপনার চ্যানেলে কোনও কপিরাইট স্ট্রাইক বা স্প্যাম অভিযোগ থাকতে পারবে না।

আপনার চ্যানেল যদি এই শর্তগুলি পূরণ করে, তাহলে আপনি YouTube Studio-তে গিয়ে YouTube Premium অংশীদারিত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার চ্যানেলের YouTube Premium সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় শুরু করতে পারবেন।

YouTube Premium থেকে আয়ের পরিমাণ আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, প্রতি 1,000 YouTube Premium সাবস্ক্রিপশনের জন্য আপনি $2 থেকে $3 আয় করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে আয় করতে যে সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে

দেখুন প্রতিটি সেক্টরেই রয়েছে কিছু না কিছু সতর্কতা এবং সচেতনতা যা ঠিক ঠাক ভাবে প্রেজেন্ট করলে অনেক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ইউটিউবের ক্ষেত্রেও এমন কিছু বিষয় রয়েছে। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে:

১) ভালো পরিমাণের আয় করার জন্য নিশ্চিত ভাবে একটি ভালো Niche বাছাই করতে হবে। 

২) মানসম্মত ভিডিও তৈরি করতে হবে। 

৩) ভিডিওতে একটি নিদিষ্ট ভাষা রাখতে হবে। 

তাছাড়াও আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি, সেগুলো হলো: 

  • কনটেন্ট: ইউটিউবে আয় করার জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা। আপনার ভিডিওগুলি আকর্ষণীয়, তথ্যপূর্ণ এবং দর্শকদের জন্য উপযোগী হতে হবে।
  • সাবস্ক্রাইবার: ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য একটি বড় সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার থাকা প্রয়োজন। আপনার ভিডিওগুলি যত বেশি মানুষ দেখবে, আপনি তত বেশি আয় করতে পারবেন।
  • ভিউস: সাবস্ক্রাইবারের পাশাপাশি, ভিডিওগুলির ভিউ সংখ্যাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ভিডিওগুলি যত বেশি মানুষ দেখবে, আপনি তত বেশি আয় করতে পারবেন।
  • মোনেটাইজেশন: ইউটিউবে আয় করার জন্য আপনার ভিডিওগুলিকে মোনেটাইজ করা প্রয়োজন। মোনেটাইজেশন করার জন্য, আপনাকে প্রথমে ইউটিউব অংশীদারি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে।

অন্যান্য বিষয়

  • কপিরাইট: আপনার ভিডিওগুলিতে অন্যের কনটেন্ট ব্যবহার করার সময় কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
  • নীতিমালা: ইউটিউবের নীতিমালা মেনে চলুন।
  • ইউটিউবে আয় করার জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানুন এবং শিখুন।

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ধৈর্য এবং পরিশ্রম প্রয়োজন। ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করে এবং দর্শকদের আকৃষ্ট করে আপনি সফল হতে পারবেন।

পরিশেষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

সর্বোপরি, আমরা জানি প্রতিটি সেক্টরেই রয়েছে হালাল হারামের বিষয়। As a Muslim আমাদের অবশ্যই ensure করা উচিৎ আমরা যে পথে অর্থ উপার্জন করছি সেটা হালাল নাকি হারাম। তবে ইউটিউবের বিষয়ে রয়ছে বেশ মতবাদ। 

বিভিন্ন স্থানে প্রশ্ন উঠেছে যে, “ইউটিউব থেকে আয় হালাল নাকি হারাম?” তো সে বিষয়ে যে মতবাদ গুলো রয়েছে, সেগুলো হলো: 

ইউটিউব থেকে ইনকাম করা হালাল হবে যদি:

  • ভিডিওটি ইসলামের বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
  • ভিডিওতে কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু না থাকে।
  • বিজ্ঞাপনগুলোও হালাল হয়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনে কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু না থাকে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করা হারাম হবে যদি:

  • ভিডিওটি ইসলামের বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়।
  • ভিডিওতে কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু থাকে।
  • বিজ্ঞাপনে কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু থাকে
  • এমন কিছু প্রোমোট করা যা ইসলামে নিষিদ্ধ

YouTube থেকে ইনকাম করা হালাল বা হারাম তা নির্ভর করে ভিডিওর বিষয়বস্তু এবং বিজ্ঞাপনের উপর। মুসলিম ইউটিউবারদের উচিত তাদের ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন গুলোকে হালাল রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। যাই হোক, এই ছিলো ওভারল ধারণা ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় সংক্রান্ত আশা করি খুব ভালো একটি আইডিয়া পেয়েছেন, কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন সে বিষয়ে। 

Salim Mahamud

Recent Posts

দৈনিক/প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার সেরা  ১০ টি উপায়

আপনি কি ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে চান ? তাহলে আজকের এই…

1 month ago

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় || সেক্টর ভিত্তিক ১০টি আইডিয়া

দিন যত আপডেট হচ্ছে অনলাইনে মানুষের আকর্ষণ ও ঝুকে যাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। একটা সময় তো…

5 months ago

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে হলে কন্টেন্ট তৈরি ও বিজ্ঞাপন প্রচারণা করতে হবে। এছাড়া,…

6 months ago

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন আয়ের দারুন এক পদ্ধতি। এখানে আপনি অন্যের পণ্য প্রচার করে কমিশন…

6 months ago

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়: সহজ ও কার্যকরী গাইড

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার প্রধান উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন। এই দুটি…

6 months ago

Binance থেকে ইনকাম করার উপায়: সহজ ও কার্যকরী টিপস

Binance থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো হলো: ট্রেডিং, স্টেকিং এবং রেফারেল প্রোগ্রাম ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে…

6 months ago