Earning Ways

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকেই (২০২৩-২০২৪)

আমরা যারা বাংলাদেশ অবস্থান করছি, পাশাপাশি ইনকাম করার উপায় খুঁজছি; তাদের মনে তাই একটা প্রশ্ন এসে থাকে যে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে কি রয়েছে? যদি থেকে থাকে তাহলে বাংলাদেশের টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় কি?

আমাদের অনেকের ধারণা টাকা ইনকাম করা খুব সহজ, তবে সেটা বাংলাদেশের সম্ভব নয়। দেশের বাইরে গিয়ে যেকোনো সহজ কাজ করলেই অনেক অনেক টাকা পাওয়া সম্ভব। এমনটা ধারণা রাখা কি আসলেই ঠিক? সত্যিই কি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে নেই?এসব সকল জল্পনা কল্পনার নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আর্টিকেলটি এবং জানানো হবে টাকা ইনকাম করার সহজ কিছু উপায় সম্পর্কেও।  তাহলে সময় না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক খুব ডিটেলস আলোচনা, এবার আজকে আমাদের মূল বিষয় হলো: টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়, বাংলাদেশে করা সম্ভব কিনা সম্ভব হলে সেই উপায় গুলো কি কি সেগুলো জানার চেষ্টা করবো। 

কিভাবে সহজে টাকা আয় করা যায়?

আচ্ছা আপনি যদি কোথাও জিজ্ঞেস করেন কিভাবে সহজে টাকা আয় করা যায় তাহলে আমার মনে হয় না আপনাকে কেউ সঠিক উত্তরটি দিতে পারবে। অথবা যদি কেউ দেও থাকে তাহলেই সেই উপায়টি আপনার জন্য সহজ কিনা সেটাও দেখার বিষয়। এটা খুব স্বাভাবিক যে একজন মানুষের কাছে যে কাজটি সহজ হিসেবে উপস্থাপিত হয় অন্য একটা মানুষের কাছে সেই একই কাজটি খুব কঠিন লাগতে পারে।

 তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন আপনাকে কেউ বলে দিবে এই কাজটি খুব সহজ এবং সেটি আপনার কাছেও খুব সহজ বলে মনে হবে তাহলে খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে আপনি ভুলের জগতে বসবাস করছেন। বরং সকলে এটা বলতে পারবে যে, এই ধরনের কাজগুলো তুলনামূলক কম পরিশ্রমে করা যায়, এবং আপনি যদি সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে কাজটি করেন তাহলে আপনার কাছে সহজ বলে মনে হতে পারে।

তাহলে আশা করতে পারি পরবর্তীতে “কিভাবে সহজে টাকা আয় করা যায়” এই ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা আপনার মাথায় আসবে না। বরং আপনার চিন্তা ভাবনাটা এমন হবে কোন সে সকল কাজগুলো যেগুলো অল্প পরিশ্রম করেই মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। 

আর সত্যি কথা বলতে বর্তমানে অনলাইন জগতে এমন হাজারো কাজ রয়েছে যে কাজগুলো করতে পারবেন আপনি খুব অল্প পরিশ্রমে, এমনকি রিমোট ওয়ার্ক বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম অথবা ঘরে বসে আয় করার মত ব্যবস্থাও রয়েছে অনলাইন সেক্টরে। তাহলে এবার আসুন জেনে নেই অনলাইন আয় কি সে সম্পর্কে। 

অনলাইন আয় কি?

অনলাইন আয়, শব্দ দুটি শুনে মনে হচ্ছে এখানে আয় অথবা ইনকাম সংক্রান্ত কোন ব্যাপার-স্যাপার রয়েছে। তবে অনলাইন বলতে এখানে কী বোঝানো হয়েছে? মূলত যে কাজগুলো করতে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না, যে কোন সিচুয়েশন যে কোন সময়ে আপনি কাজগুলো করতে পারেন, এবং আপনি চাইলে ঘরে বসেও আপনার সকল অফিশিয়াল কাজ করতে পারবেন এমন পরিস্থিতি থেকে অনলাইন কাজ বলে। আর অনলাইনে কাজের মাধ্যমে যে রেভিনিউ টা পাওয়া যায় সেটাকে অনলাইন আয় বলে। 

 খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বাইরের কাজ করার মাধ্যমে যে ইনকাম করা হয়, সেটাকে অনলাইন আয় বলা হয়। এবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় কি অনলাইন সেক্টর? প্রাথমিকভাবে উত্তর হ্যাঁ বলা যায়। 

কেননা বর্তমানে অনলাইনে কাজ করার দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান শীর্ষস্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যাদের ৫০% এর বয়স ৩০ বছরের নিচে। এবং সবচেয়ে দারুন ব্যাপার হলো ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলার আয় হচ্ছে। 

তাহলে দেখুন শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি থেকেই যদি এত পরিমানের অর্থ বাংলাদেশে বসে আয় করা যায় তাহলে অনলাইন জগতের আয়ের ক্ষেত্রে এত এত উপায় গুলোর মধ্যে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে বসবাসকারী মানুষের অবস্থান কেমন হবে? হ্যাঁ আসলেই অনেক বেশি তবে এটাই শেষ নয় এটা মাত্র শুরু সুদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে অনলাইন সেক্টরে আয় করার প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পাবে। আচ্ছা, এবার চলুন বাংলাদেশে টাকা কামানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

বাংলাদেশে টাকা কামানোর সহজ উপায় কি?

আচ্ছা ধরে নেওয়া যাক আপনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, এবং টাকা কামানোর সহজ উপায় খুঁজছেন। আপনাকে প্রথমে একটি তিক্ত সত্যি কথা বলে শুরু করি যে, টাকা ইনকাম করার কোন সহজ উপায় নেই। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। পৃথিবীতে এমন কোন উপায় নেই যে উপায়ে আপনাকে কোন পরিশ্রম করতে হবে না, কোন দক্ষতা অর্জন করতে হবেনা,  কোন কাজ করতে হবে না, আপনি শুধু পায়ের উপরে পা রেখে বসে থাকবেন এবং আপনাকে টাকা দিয়ে যাবে।

 তাহলে টাকা কামানোর উপায় কি? সকল উপায় কি খুব কঠিন? আমি কি সহজে বাংলাদেশে টাকা ইনকাম করতে পারবোনা? বিচলিত হবেন না উপায় রয়েছে, আপনিও বাংলাদেশে টাকা কামাতে পারবেন। তবে আপনাকেও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেগুলো কি হবে তা আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিবো। 

তার আগে আসুন দেখে নেই টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে বাংলাদেশে বসে কোন কোন স্কিল গুলো নিজের মধ্যে develop করে কাজ করার মাধ্যমে আয় শুরু করতে পারেন। এবার একটা জোরে কিছু স্কিল সম্পর্কে অবগত হয়ে নিন: 

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • কপিরাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • প্রোগ্রামিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ভাষা অনুবাদক
  • ভিডিও এডিটিং
  • অ্যানিমেশন

সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ে এই দক্ষতার মানুষদের খুব ডিমান্ড রয়েছে বাংলাদেশে। তাদের রয়েছে কাজের অনেক সম্ভাবনা। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বাংলাদেশের মানুষেরা কাজ করে আয় করে নিচ্ছে লক্ষ কোটি ডলার।  না এটা কোন নিছক স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব কথা এই যে আপনি যদি যথাযথভাবে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে। 

এবার কি তাহলে এই স্কিল গুলো সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত জানতে ইচ্ছা করছে না যে কিভাবে বাংলাদেশে থেকেই খুব সহজ উপায়ে স্কিল গুলোকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? আসুন তাহলে সে সম্পর্কে জানিয়ে এবার বিস্তারিতভাবে। 

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকেই (২০২৩-২০২৪)

দেখুন এখানে আমি আপনাকে বলবো না কোন কাজকে হাইলাইট করে যে, “এই কাজটি করুন”; “এই কাজটি খুব সহজ”; “আপনি এই কাজটি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে”;

বরং এখানে আমি কিছু দক্ষতা ভিত্তিক কাজের কথা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে যাবো। যেগুলো সম্পর্কে আপনি জেনে আরো ভালোভাবে তথ্য সংগ্রহ করে নিজের ক্ষেত্রে এপ্লাই করবেন। এটা দেখবেন যে কোন কাজটি করতে আপনার ভালো লাগছে বা কোন কাজের উপরে আপনার ইন্টারেস্ট রয়েছে।

সত্যি কথা এটাই যে আপনি যদি কোন কাজে ইন্টারেস্ট খোঁজে না পান সে কাজ যত পরিশ্রমবিহীনই হোক না কেন আপনার কাছে সেটিকে কঠিন মনে হবে। অন্যদিকে, এমন কাজ যেখানে প্রচুর পরিশ্রম করতে হচ্ছে কিন্তু সে কাজটিতে আপনার ইন্টারেস্ট রয়েছে সে কাজটি করতে আপনার ভালো লাগছে সে ক্ষেত্রে সে কাজকে আপনাকে সর্বদা সহজ হিসেবেই মনে হবে। 

এ পর্যায়ে আমরা কেবলমাত্র অনলাইন ভিত্তিক কাজের কথায় বলে যাবো, কেননা অফলাইন বা বাস্তবিকভাবে বাংলাদেশে করা যায় এমন কোন কাজ নেই যেটা সম্পর্কে আপনি দেখেননি বা জানেন না। এটা আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় করে ঘর থেকে বের হয়ে কোন এক কলরব জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন এবং আশেপাশে লক্ষ্য  করবেন। তখন উপলব্ধি করতে পারবেন যে কেউ থেমে নেই প্রতিটা মানুষ কিছু না কিছু কাজ করছে নিজের জীবিকা  নির্বাহের জন্য।  এবং প্রতিটা কাজেই অর্থ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটছে। 

তাই এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এটা চেষ্টা করব আপনাকে অনলাইন ভিত্তিক এমন তথ্য প্রদান করার যেটা সম্পর্কে হয়তো আগে অবগত ছিলেন না অথবা থাকলেও সঠিক ধারণা ছিল না। তাহলে শুরু করছি জানানো – টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকেই করা যায়, এমন কিছু স্কিল ভিত্তিক কাজ সম্পর্কে। 

ফ্রিল্যান্সিং

কিছুক্ষণ আগে আমরা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কথা বলছিলাম, যেখানে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থান।  বাংলাদেশে লাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার হয়েছে যারা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি নিজেদের আর্থিক অবস্থা উন্নতি ঘটাচ্ছে।

আপনিও যদি বাংলাদেশ অবস্থান করেন, তাহলে নির্দিষ্ট একটি দক্ষতা অর্জন করে সেটির উপরে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কাজের সুযোগ গ্রহণ করে এবং কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যখন নির্দিষ্ট কোন স্কিল এর উপর দক্ষতা অর্জন করবেন তখন সেই কাজটি বারবার করার মাধ্যমে খুব সহজ মনে হবে আপনার কাছে। এই ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়েছেন, ওয়েব ডেভেলপিং এর উপরে আপনার রয়েছে ব্যাপক দক্ষতা। এবার যখন নতুন কোনো ক্লাইয়েন্ট আপনাকে কোন কাজ দিবে ওয়েব ডেভেলপিং এর উপর ভিত্তি করে সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু খুব সহজেই সে কাজটি করে ফেলতে পারবেন এবং সে কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

বর্তমানে অনেকগুলো স্কিল রয়েছে যেগুলো খুব জনপ্রিয় এবং ট্রেডিং আছে। আগামী পাঁচ বছর এই স্কিল এর উপরে করা কাজ করতে পারবেন নিশ্চিন্তে। সেগুলো হলো: 

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ট্রান্সলেশন
  • প্রোগ্রামিং
  • ডেটা এনালাইসিস
  • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • সাইবার সিকিউরিটি
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ভিডিও এডিটিং

আপনি এই কাজগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন এবং দেখুন আপনার ঠিক কোন কাজটির উপরে ইন্টারেস্ট আসে এবং সে কাজে দক্ষতা অর্জন করুন এবং কাজ করুন। এখানে উল্লেখিত Skill গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করলে, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকেই খুঁজে পাবেন।

অনলাইনে পণ্য বিক্রি

আপনি ২০২৩ সালে এসেও যদি নিজস্ব কোন পন্যকে অনলাইনে বিক্রি করা সংক্রান্ত কাজ না করে থাকেন তাহলে খুব বড় ভুল করছেন। নিজের সম্পন্ন যদি নাও থাকে তাহলেও ব্যবসায়িক সুবাদে আপনার উচিত হবে কোন পণ্যকে বাছাই করা এবং অনলাইনে সে পণ্য বিক্রি করা সংক্রান্ত কাজ করা।

বর্তমানে বাংলাদেশে এমন কোন ঘর নেই যে ঘরে ইন্টারনেটের ছোঁয়া না রয়েছে। প্রতিটি ফ্যামিলিতে রয়েছে স্মার্টফোন, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট এন্ড স্মার্ট পিপলস। মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটার উপরে ঝুকছে। আর তাইতো দারাজের মতো প্লাটফর্ম বাংলাদেশে খুব ভালো পরিমাণের ব্যবসা করে নিচ্ছে। 

আপনাকে সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা সমস্যা এবং তার সমাধান খুঁজতে হবে। মানুষ প্রতিনিয়ত অলস হয়ে যাচ্ছে তারা যাচ্ছে হাতের নাগালে সবকিছু। কোন কিছু কিনতে যাওয়ার জন্য এখন আর মানুষ বাইরে বেরোতে ইচ্ছা পোষণ করে না বরং অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে সে পণ্য অর্ডার করে এবং হোম ডেলিভারির মাধ্যমে সে পণ্য তার নিকট পৌঁছে যায়।

তাহলে আপনি কেন এই সুযোগটির সদ্ব্যবহার করবেন না? আপনার যদি নিজস্ব তৈরি কোন পণ্য থাকে এবং আপনি সেটিকে এখনো অব্দি অফলাইনে বিক্রি করে যাচ্ছিলেন তাহলে এটাই উপযুক্ত সময় সে পণ্যটিকে অনলাইনে নিয়ে আসার। আর যদি আপনার নিজস্ব তৈরি হতো কোন পূর্ণ না থাকে তাহলে আপনার উচিত হবে একটি নির্দিষ্ট পণ্য বাছাই করুন যেটার চাহিদা রয়েছে এবং মানুষের সমস্যা সমাধান করবে। 

এরপর সেটিকে অনলাইনে নিয়ে এসে অ্যাভেলেবেল করে দিন যাতে করে মানুষ খুব সহজে সেটি গ্রহণ করতে পারে। আপনি যত বেশি করে অন্যের সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতে পারবেন তত বেশি বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করতে সক্ষম হবে। এবং বাংলাদেশে এইসবের অপরচুনিটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সময় থাকতে সাধন করে ফেলুন। 

ব্লগ কিংবা ইউটিউবে টিউটোরিয়াল তৈরি

মানুষ জ্ঞানের পিপাসু, প্রতিনিয়ত জ্ঞান অর্জন করতে চায়। এটা হোক বাংলাদেশের মানুষ অথবা পৃথিবীর অন্য যে কোন প্রান্তের। আপনার কাছে যে জ্ঞানটি রয়েছে সে জ্ঞান সম্পর্কে জানতে চায় আরো অনেকে। তাহলে আপনার কি উচিত হবে না আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান অন্যের সাথে শেয়ার করা? ওয়েট এখানে আমি আপনাকে সমাজ সেবা করতে বলিনি। আপনি এই কাজের মাধ্যমে ও টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। 

বাংলাদেশে গত পাঁচ বছর ধরে ব্লগিং এবং ইউটিউবিং এর জনপ্রিয়তা খুব বাড়ছে। এখন প্রায় প্রতিটি অলিগলিতেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দেখা মিলে। সবাই রয়েছে নিজেকে উপস্থাপন করতে অনলাইন জগতে। যে ব্যক্তি যতটা উত্তম ভাবে নিজের দক্ষতা এবং মেধা উপস্থাপন করতে পারছে সে ব্যক্তি তত বেশি করে টাকা ইনকাম করে নিয়েছে। 

বলছিলাম ব্লগিং এবং ইউটিউবিং এর মাধ্যমে টিউটোরিয়াল শেয়ারিং এর কথা। এই দেখুন না আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন এখানে সেটি হচ্ছে “ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকেই” এবং এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমিও আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি যা আপনাকে উপকৃত করছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমি যে কাজটি করছি সেটি ব্লগিং। 

ঠিক একই কাজ আমি যদি ইউটিউবে ভিডিওর মাধ্যমে করতাম সেটা হতো youtube টিউটোরিয়াল বা ইউটিউবিং। এই দুটি কাজের মাধ্যমেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় লুকায়িত রয়েছে। 

ব্লগিং এবং ইউটিউবে এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা যায় বাংলাদেশ থেকেই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মনিটাইজেশন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ, প্রোডাক্ট সেলিং সংক্রান্ত কার্যক্রম। 

না, এখানে আপনাকে খুব বিস্তারিতভাবে জানানো সম্ভব না যে, কিভাবে এই সকল কাজের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এগুলো আপনি জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা ব্লগিং এবং ইউটিউব নামক দুটি পৃথক পৃথক ক্যাটাগরিতে থাকা আর্টিকেলগুলোর মাধ্যমে। সেগুলো দেখে এই উপায়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিন। 

অনলাইন কোর্স তৈরি

এইতো কিছুক্ষণ আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু স্কিল নিয়ে কথা বলছিলাম না? সে স্কিল গুলো শেখানোর কাজ যারা করে থাকে তারা বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে সে কাজগুলো করে। প্রত্যেকটা স্কিলের এক একটি করে কোর্স রয়েছে। একটা কোর্সে একটা SKILL সম্পর্কে একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল কিছু শেখানো হয়। 

একটা সময় ছিল যখন কোন কিছু শিখতে আপনাকে যেতে হতো কোন কোচিং সেন্টারে এবং অনেকগুলো টাকা দিয়ে সেখানে ভর্তি হতে হত। প্রতিদিন সেখানেই যেতেন – আসতেন আর কাজ শিখতেন বা স্কিল ডেভেলপ করতে। কিন্তু ওই যে বললাম বর্তমানে সবকিছু অনলাইন কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সে সুবাদে অন্য সব পণ্যের মতোই কোর্সগুলো অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে। 

আপনি কিভাবে আয় করতে পারবেন? খুব সহজ প্রথমে তো আপনাকে নিজেকে একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, আর এটা কোন স্বাভাবিক দক্ষতা অর্জনের জন্য বরং অন্যকে শেখানোর মতো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ধরে নিচ্ছি আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট স্কিলে ভালো জ্ঞান রাখেন এবং সেখানে কাজ করতে সক্ষম পাশাপাশি এটি আপনি অন্যকেও শেখাতে পারবেন।এমতাবস্থায় আর সময় নষ্ট না করে আপনার শেখানোর দক্ষতাটা অনলাইন ভিত্তি করে ফেলুন। চলে আসুন ক্যামেরার সামনে এবং নিজেকে তুলে ধরুন সারা বিশ্বের কাছে, না সারা বিশ্বের কাছে না যারা কোর্সটি গ্রহণ করবে তাদের কাছে। কাজটি খুব সহজ:  

  • প্রথমে আপনি নির্দিষ্ট একটি স্কিল সম্পর্কে জানবেন,
  • সেই স্কিল সম্পর্কে সকল তথ্য একত্রিত করবেন
  • ভিডিও এবং লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে স্কিলটির সম্পূর্ণ উপস্থাপন করবেন
  • খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি কোর্স আকারে প্রকাশ করবেন

এবং আপনার পরবর্তী কাজ হল কোর্সটি বিক্রি করা যাদের এই বিষয়ে শেখার আগ্রহ রয়েছে তাদের কাছে। যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত মানুষ অনলাইন ভিত্তিক আয় সংক্রান্ত জানতে আগ্রহী হয়ে উঠছে, তাই কাজ করে আয় করার আগে অবশ্যই শিখতে হবে তাহলে আপনি শেখানোর কাজটি করুন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে র প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং হল জাতীয় কাজ। আপনি যদি প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে জিজ্ঞেস করেন টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় কি বা কোন সেক্টরে কাজ করে আপনি সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তার মধ্যে ৭ জন বলবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিচিতিটা  এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে প্রাথমিকভাবে প্রায় সকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং করার পেছনে ছুটছে। 

তবে এই ছোটা যে নিছক ছোটা নয় সে সম্পর্কে শতভাগ শিওর থাকতে পারেন, সত্যি কথা বলতে যেখানে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন পণ্য বা সেবা তৈরি হচ্ছে তা মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য মার্কেটিং সেক্টর ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এমতাবস্থায় ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম সেরা স্কিল গুলোর মধ্যে একটি যেখানে থাকা কার্যক্রম করে আপনি ব্যাপক পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে।

ডিজিটালাইজেশনের সুবিধার্থে বাংলাদেশে এখন প্রতিটি পণ্য বা সেবা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে এবং অনলাইনে ক্রেতা সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কোম্পানিগুলো ক্রেতাদের নিজেদের পণ্যের দিকে আকৃষ্ট করতে বিভিন্নভাবে মার্কেটিং ক্যাম্পাইন গুলো করে যাচ্ছে। 

আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না কোন দিক থেকেই। এমন কোন কোম্পানি নেই যে কোম্পানির চায় না তাদের পণ্য বিক্রি হোক, এবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যদি সে কাজটি হয় তাহলে তাদের কাছে এটি সোনার হরিণ। 

তাই এই সোনার হরিণের মত কাজটি যদি আপনি করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে তাহলে আপনার টাকা ইনকাম করার কোন টেনশন করতে হবে না। এবং বাংলাদেশে বসে ঘরে থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। 

অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে আয়

এতক্ষণ অব্দি যে পদ্ধতি বা উপায় গুলো নিয়ে বললাম, সেগুলো প্রতিটি কোনো না কোনো স্কিলভিত্তিক বড় বড় কাজের কথা যা দীর্ঘকালীন সময় ধরে আপনার টাকার উৎস হিসাবে হিসেবে কাজ করবে। তবে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করতে খুব একটা স্কিলের দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা হয় না, এবং স্বল্প সময়ে অল্প কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য একদম পারফেক্ট। পাশাপাশি এটা মনে রাখা জরুরী যে এই ধরনের কাজ করে কখনো দীর্ঘ সময় ধরে আয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব না। এমন কিছু কাজ করা যায় অনলাইন ইনকাম সাইট গুলো থেকে। 

বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ইনকামসাইট রয়েছে যেখানে খুব সহজ কিছু কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হ্যাঁ এটা খুব সহজে কাজ কেননা এখানে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো:

  • অনলাইনে বসে ভিডিও দেখা
  • বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা এবং সেটিতে ক্লিক করা
  • অনলাইনে সার্ভে কমপ্লিট করা
  • অনলাইনে বসে গেম খেলা
  • কুইজ এবং ছোটখাটো কোন কাজ করা

হ্যাঁ, আপনার হাতে যদি প্রচুর অবসর সময় থেকে থাকে। পাশাপাশি আপনি কোন ভারী কাজ করতে চাচ্ছেন না, খুব অল্প কিছু পরিমাণের অর্থ (মোবাইলের ডাটা খরচ কিংবা হালকা নাস্তার খরচ) উপার্জন করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে এই কাজগুলো একদম যথাযথ।

এ কাজগুলো সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত বলছি না কেননা এগুলো ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন আর্নিং সাইট ক্যাটাগরিতে রয়েছে। সেখানে রয়েছে অসংখ্য অনলাইন ইনকাম সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যর পাশাপাশি কিভাবে সেখান থেকে কোন কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই ওই ক্যাটাগরিতে ভিজিট করুন এবং দেখে নিন সে কাজ গুলো কি কি এবং কিভাবে করবেন। 

বিভিন্ন মাইক্রো জব করে ইনকাম

শেষ করবো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু কাজের সন্ধান দেওয়ার মাধ্যমে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করলাম কেননা এখানে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা খুব ছোট ছোট কাজ যেমন: 

  • কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপের সাইনআপ করা
  • ইউটিউব ভিডিও দেখা এবং সেখানে লাইক কমেন্ট করা
  • কোন অ্যাপ ইন্সটল করা
  • গেম ডাউনলোড করা এবং খেলা


সহ এমন কিছু ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার ব্যবস্থা রয়েছে। এ সকল ওয়েবসাইট গুলোকে মাইক্রো জব ওয়েবসাইট বলা হয়। আপনি এমন ওয়েবসাইট গুলোতে এমন ছোট ছোট কাজ গুলো করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকে এটাকে বলা যায়, কেননা এখান থেকে পেমেন্ট নেয়ার জন্য যে মাধ্যম রয়েছে সেটা বাংলাদেশ থেকেও নেয়া যায়। আপনি এমন যাবতীয় সাইট সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

পরিশেষে কিছু কথা

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকেই কোন গুলো, সেটা জানাতে গিয়ে অনেক কথাই হলো।আশা করি এবার আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুব সচ্ছ একটি ধারণা পেয়েছেন অনলাইনে আয় করা সংক্রান্ত বিষয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবেন সে বিষয়ে জানিয়েছি বিস্তারিত তথ্য, ক্লিয়ার করেছি যাবতীয় ভুল ধারণা এবং কোনটাকে সঠিক হিসেবে গ্রহন করবেন সে বিষয়েও সঠিক তথ্য দেয়া হয়েছে আর্টিকেলটিতে। আপনার কাছে যদি তথ্য গুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়ে থাকে এবং এমনই সব আয় সংক্রান্ত তথ্য জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে Online Taka Income ওয়েবসাইটি অনুসরণ করবেন, ধন্যবাদ।  

Salim Mahamud

Recent Posts

দৈনিক/প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার সেরা  ১০ টি উপায়

আপনি কি ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে চান ? তাহলে আজকের এই…

1 week ago

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় || সেক্টর ভিত্তিক ১০টি আইডিয়া

দিন যত আপডেট হচ্ছে অনলাইনে মানুষের আকর্ষণ ও ঝুকে যাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। একটা সময় তো…

3 months ago

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে হলে কন্টেন্ট তৈরি ও বিজ্ঞাপন প্রচারণা করতে হবে। এছাড়া,…

5 months ago

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন আয়ের দারুন এক পদ্ধতি। এখানে আপনি অন্যের পণ্য প্রচার করে কমিশন…

5 months ago

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়: সহজ ও কার্যকরী গাইড

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার প্রধান উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন। এই দুটি…

5 months ago

Binance থেকে ইনকাম করার উপায়: সহজ ও কার্যকরী টিপস

Binance থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো হলো: ট্রেডিং, স্টেকিং এবং রেফারেল প্রোগ্রাম ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে…

5 months ago