Course

ফরেক্স ট্রেডিং । ধাপে ধাপে শিখুন ফরেক্স  ট্রেডিং । বেসিক টু অ্যাডভান্স

শুরু করতে যাচ্ছি ট্রেডিং সংক্রান্ত বিশদ এক টিউটোরিয়াল যেখানে ফরেক্স ট্রেডিং সংক্রান্ত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করা হবে। এটা হবে একটি কমপ্লিট গাইডলাইন যারা ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করতে চাচ্ছেন। একদম বিগানের লেভেল থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত যাবতীয় সকল তথ্য দেওয়া হবে এই সিরিজটিতে। এই টিউটোরিয়াল সিরিজের বেশ কিছু পার্ট থাকবে।  আপনি যে পার্ক থেকেই আর্টিকেলটি শুরু করেন না কেন রেকমেন্ট থাকবে প্রথম পাঠ থেকে পড়ে আসার। কেননা এখানে প্রতিদিন ধাপে ধাপে গুছিয়ে একটির পর আরেকটি বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

ফরেক্স কি?

সাধারণত একটি দেশ থেকে অন্য একটি দেশে ভ্রমণ করতে হলে সে দেশের কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কাউন্টারের স্ক্রিনে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন যে এক ডলার সমান সমান বাংলাদেশি টাকার কত টাকা সেটা দেখানো হচ্ছে। বর্তমানে ইউএস ১ ডলার সমান বাংলাদেশি টাকার একশ দশ টাকার আশেপাশে। 

এবার বিষয়টি এমন যে আপনি যখনই টাকার বদলে ডলার কিংবা অন্য যে কোন দেশের কারেন্সিতে শিফট হবেন তখন আপনি মূলত ফরেক্স মার্কেটে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনি যখন একটি দেশের কারেন্সি থেকে অন্য একটি দেশের কারেন্সিতে শিফট হন সেক্ষেত্রে একটি এক্সচেঞ্জ রেট নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ ইউএস ডলারের ক্ষেত্রেই বলা যাক, এক ডলার সমান যদি ১১০ টাকা হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশী ১১০ টাকা দিয়ে ১ ডলার ক্রয় করতে হবে আবার আপনি যদি ডলারকে টাকাতে রূপান্তর করতে চান সে ক্ষেত্রে ১ ডলার দিলে আপনাকে ১১০ টাকা দেওয়া হবে।

মূলত এই এক্সচেঞ্জ রেট গুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। আর পরিবর্তিত এক্সচেঞ্জ রেটকে কেন্দ্র করে ফরেক্স মার্কেটে আপনি লাভ করতে পারবেন এবং টাকা বানাতে পারবেন।

ফরেক্স এক্সচেঞ্জ মার্কেট কি মূলত ফর এক্স বা (FX) এফ এক্স নামে পরিচিতি প্রদান করা হয়েছে, যা কিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইনান্সিয়াল মার্কেট। যদি ট্রেডিং এর পরিমাণ হিসাব করা হয় তবে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এর সাথে তুলনা করলে সেখানে দৈনিক ২২.৪ বিলিয়ন ডলার এর ট্রেড হয়ে থাকে। অন্যদিকে ফরেক্স মার্কেটে আনুমানিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ট্রেড হয়ে থাকে। 

তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ফরেক্স মার্কেটটা ঠিক কতটা বড়। আবার যদি স্টক মার্কেটের সাথে তুলনা করা হয় তবে ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের প্রায় 200 গুণ বেশি বড়। তবে যারা ফরেক্স মার্কেটে ট্রিট করে তাদের ক্ষেত্রেই আনুমানিক লেনদেন 1.49 ট্রিলিয়ন ডলার।

ফরেক্স মার্কেটে কি ট্রেড করা হয়?

উপরে তো ফরেক্স সম্পর্কে শুনলেন ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে শুনেন এবং সেখানে ট্রেড জাতীয় কিছু একটা করা হয় সেটি শুনলেন। তবে ফরেক্স মার্কেটে কি ট্রেড করা হয় সে বিষয়ে বা বিস্তারিত জানাবো। 

ছোট্ট করে বলে দিলে ফরেক্স মার্কেটে মূলত কারেন্সি নিয়ে ট্রেড করা হয়। কারেন্সি কেনার মানে একটি দেশের শেয়ার কেনার মত ব্যাপার। ঠিক যেভাবে একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা হয় একই রূপে একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় মানে ফরেক্স ট্রেডিং।  কারেন্টের দাম একটি দেশের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ অবস্থা দেখে নির্ণয় করা হয় এবং মার্কেট সেই কারেন্সি নিয়ে কে চিন্তা করছে সে বিষয়ে গবেষণা করা হয়। 

উদাহরণস্বরূপ ধরে নেয়া যাক আপনি জাপানি কারেন্সির ক্রয় করলেন যার অর্থ এই যে আপনি জাপানের একটি অংশ বা শেয়ার ক্রয় করেছেন। পাশাপাশি আপনি বিশ্বাস রাখছেন যে জাপানি অর্থনীতির দিক থেকে ভালো করবে এবং যখন বর্তমানে তুলনায় অর্থনীতি ভালো হবে তখন সেটিকে বিক্রি করে দেবেন। আর ঠিক এভাবেই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি ক্রয় বিক্রয় করার মাধ্যমে লাভ করা হয়। 

একটি দেশের কারেন্সির দাম অন্য দেশের কারেন্সির দামের সাথে বাড়বে না কমবে তা নির্ভর করে দুই দেশের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক দিক থেকে ভালো করছে তার উপর। আপনি যে কারেন্সি ব্যয় করে অন্য একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করছেন আপনার প্রেডিক্টেড দেশ যদি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করে তবে আপনার লাভ হবে। আর যদি প্রেডিক্টেড সে দেশটি আপনার বর্তমান কারেন্সি দিয়ে ক্রয় করা দেশের তুলনায় উন্নত না করতে পারে তবে আপনার লস হবে।  

বিভিন্ন দেশের কারেন্সি সমূহ

যাইহোক এখনো অব্দি যতটুকু তথ্য জানা গেছে সে হিসেবে ফর এক্স ট্রেডিং করা হয় একটি দেশের কারেন্সিকে কেন্দ্র করে। এক্ষেত্রে জানতে হবে কোন দেশের কারেন্সি কোনটা এবং সেটি কিভাবে নির্ণয় করা হয় সে সম্পর্কে। বিষয়টি ভালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য একটি ছবি দেওয়া হচ্ছে যেখানে মেজর কিছু কারেন্সি সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে এবং সে কারেন্সি গুলো কোন দেশের সেটিও দেওয়া রয়েছে। 

সুবিধা আপনি সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন প্রতিটি কারেন্সিতে তিনটি অক্ষর দেওয়া থাকে। প্রথম দুইটি অক্ষর দেশের নাম কে চিহ্নিত করে এবং তৃতীয় অক্ষরটি দেশের কারেন্সি কে চিহ্নিত করে। উদাহরণস্বরূপ ইউনাইটেড স্টেট এর সংক্ষিপ্ত রূপ US এবং তার কারেন্সি Dollar এর D মোট নাম USD।

উল্লেখ্য যে, ডলারের আরো কিছু নাম রয়েছে সেগুলো হলো: 

  • greenbacks,
  • bones,
  • benjis,
  • benjamins,
  • cheddar,
  • paper,
  • loot,
  • scrilla,
  • cheese,
  • bread,
  • moolah,
  • dead presidents,
  • cash money

এখানে উল্লেখিত যে সকল কারেন্সি বলে রয়েছে সেগুলোকে বলা হয় মেজর কারেন্সি এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কারেন্সি রয়েছে  যা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো। 

কারেন্সি ট্রেড করার প্রক্রিয়া

ফরেক্স ট্রেডিং এ একটি কারেন্সি কেনা হয় অন্য একটি কারেন্সি বিক্রি করার মাধ্যমে।এ সকল ট্রেড গুলো সম্পন্ন হয় প্রকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং প্রতিটি জোড়ায় জোড়ায় ট্রেড করা হয়। যেমন Euro এবং U.S. Dollar (EUR/USD) অথবা the british pound এবং Japanese yen (GBP/JPY). যার সহজ অর্থ এই যে, আপনি যখন ট্রেড করবেন তখন কারেন্সি জোড়ায় জোড়ায় ক্রয় অথবা বিক্রি করবেন। 

মূলত ট্রেড করা হয় দুইটি কারেন্সি পেয়ারেঃ 

১)  মেজর কারেন্সি পেয়ার

২)  মেজর ক্রস কারেন্সী পেয়ার বা মাইনর কারেন্সি পেয়ার

মেজর কারেন্সি পেয়ার: 

মুখ খোঁজে সকল কারেন্সি গুলো রয়েছে বা যেগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেগুলোকে মেজর কারেন্সি বলা হয় এই মেজর কারেন্সি গুলোর মধ্যবর্তী যে pair তৈরি করা হয় সেগুলোই মেজর কারেন্স বা এদের মধ্যেই ট্রেড করা হয়। বিষয়টি আরো ভালোভাবে বুঝতেই নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন সেখানে সব কয়টি জনপ্রিয় বা মেজর কারেন্সি গুলোর মধ্যেই পেয়ার তৈরি করা হয়েছে। 

মেজর ক্রস কারেন্সী পেয়ার বা মাইনর কারেন্সি পেয়ার: 

সোজা কথায় বলা যায় যে সকল পেয়ার গুলোতে USD থাকে না সেগুলোকে ক্রস কারেন্সি বলা হয়।  এক্ষেত্রে বিভিন্ন কারেন্সির নাম উল্লেখ করে একেক ধরনের ক্রস তৈরি করা হয়। যেমন:

ইউরো ক্রস

ইয়েন ক্রস

পাউন্ড ক্রস

অন্যান্য ক্রস

ফরেক্স ট্রেডিং এর মার্কেট সাইজ ও লিকুইডিটি সম্পর্কে

বলে রাখা ভালো যে ফরেক্স মার্কেট কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হয় না। এটি পরিচালিত হয় ওভার দা কাউন্টার বা ওটিসি অথবা ইন্টার ব্যাংক এর লেনদেনের মাধ্যমে। এটি একটি ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক যেখানে ব্যাংকগুলো যুক্ত থাকে এবং 24 ঘণ্টা খোলা থাকে এবং ট্রেড করা যায়। যার কারণে পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই হোক না কেন সে দিন রাত 24 ঘন্টার যেকোনো সময়ে ফরেক্স ট্রেডিং করতে পারবে।

ফরেক্স মার্কেট সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছে এবং এর কেন্দ্রীয় কোন অবস্থান নেই। যার জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বড় ফাইনান্সিয়াল মার্কেট হিসেবে স্বীকৃত।

অন্যদিকে এই মার্কেটের সবচেয়ে বড় কারেন্সি হলো ডলার। ডলার হল সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত কারেন্সি যা শতকরায় ৮৪.৯ ভাগের উপর সকল লেনদেনের অংশগ্রহণ থাকে। এরপর ইউরো এর অবস্থান যা হলো ওভারলের ৩৯.১ শতাংশ। নেমে একটি গ্রাফ চ্যাট এর মাধ্যমে প্রতিটি কারেন্সির অবস্থান এবং ফরেক্স মার্কেটে কত শতাংশ জুড়ে রয়েছে তা দেখানো হলোঃ 

প্রশ্ন উঠতে পারে ডলার কেন ফরেক্স ট্রেডিং এ এত বেশি জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। এর কারন আছে, যে কেন ইউএস ডলার ফরেক্স মার্কেটে কেন্দ্রীয় ভুমিকা পালন করেঃ

  • US বিশ্বের অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে বড়।
  • বিশ্বের সবচেয়ে সঞ্চয়ী মুদ্রা হলো ইউএস ডলার।
  • US বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশী লিকুইড ফাইনান্স্যিয়াল মার্কেট
  • US বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যাবস্থা।
  • বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতার অধিকারী হলো US।
  • US ডলার অনেক ক্রস-বর্ডার লেনদেনের জন্য এক্সচেঞ্জের মাধ্যম। যেমন, তেলের দাম ইউএস ডলারে। তাই যদি মেক্সিকো সৌদিআরব থেকে তেল কিনতে চায়, তাহলে তারা ইউএস ডলারের মাধ্যমেই কিনতে পারবে। যদি মেক্সিকোর কাছে ডলার না থাকে, তাহলে তাদের প্রথমে পেসো বিক্রি করে ডলার কিনতে হবে।

ফরেক্স মার্কেটের আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা জরুরী যে এখানে বেশিরভাগ কারেন্সি ট্রেডিং সংঘটিত হয় স্পেকুলেশন এর উপর ভিত্তি করে। ফরেক্স মার্কেট অনুযায়ী এর অর্থ হচ্ছে লিকুইডিটি। যা হলো কোন নির্দিষ্ট সময়কে কেন্দ্র করে বাই এবং সেল এর পরিমাণ। বিনিয়োগকারী দৃষ্টিকোণ থেকে লিকুইডিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা নির্ধারণ করবে যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কত সহজে প্রাইস ধরা পরিবর্তন করা যেতে পারে। একটি বিষয়ে এখানে লক্ষণীয় যে ফরেক্স মার্কেট তুলনামূলকভাবে বেশ তরল কেননা কারেন্সি পেয়ার এবং সময়সাপেক্ষে মার্কেটের পরিবর্তন হতে পারে। 

ফরেক্স ট্রেডিং এর সুবিধা

ফরেক্স ট্রেডিং করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে সুবিধাগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে যাতে করে আপনি কেন ইনভেস্ট করবেন সে বিষয়ে ক্লিয়ারিফাই তথ্য খুঁজে পাবেন। 

১) এখানে ট্রেড করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার কমিশন দিতে হবে না। তবে ব্রোকার আপনার কাছ থেকে যেটা চার্জ করবে তাহলে “আসক – বিড = স্প্রেড” 

২) এখানে আপনি সরাসরি ট্রেড করতে পারবেন মধ্যস্থ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থাকবে না। 

৩) এখানে নির্ধারিত লট সাইজ নেই আপনি কি পরিমান ট্রেড করবেন তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর। 

৪) এখানে ট্রিট করার জন্য তুলনামূলক কম খরচ হয় কেননা এখানে ব্রোকার আপনাকে যে চার্জ ধার্য করে সেটা খুব অল্প পরিমাণ এবং সেটা লট সাইজের উপর নির্ভর করে। 

৫) দিনরাত 24 ঘন্টা যেকোনো স্থান থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং করা যাবে। ফরেক্স মার্কেট সপ্তাহে সোমবার খোলা হয় এবং শুক্রবার বন্ধ করা হয়। 

৬) ফরেক্স মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, এমনকি কোন দেশ যদি সেন্ট্রাল ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইস নিজেদের ইচ্ছামত মুভ করতে চায় তাহলেও তা বেশিক্ষণের জন্য করতে পারবেনা। 

৭) খুব অল্প অর্থের বিনিময়ে এখানে আপনি ট্র্রেট করতে পারবেন যা অন্য কোন প্ল্যাটফর্ম আপনাকে দিচ্ছে না। 

৮)  মার্কেটে সহজে এন্ট্রি নেওয়া যায় মার্কেটে প্রবেশ করতে আপনাকে হাজার বাধা বিপত্তি পাড়ি দিতে হবে না ঘরে বসে একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন হলেই আপনি  এখানে ট্রেড করতে পারবেন। তাছাড়া ব্রোকারের কাছ থেকে হাজার হাজার ডলার ডিপোজিট করতে হবে না এখানে ব্রোকাররা এক ডলার ডিপোজিট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। 

৯) ফরেক্স ট্রেডিং সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের তথ্য সমস্যার সমাধান জানতে আপনি ইন্টারনেটকে খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন কেননা এই বিষয়ক ইন্টারনেটে অত্যাধিক তথ্য রয়েছে। 

 তাহলে বুঝতে পারছেন ফরেস্ট ট্রেনিং করা আপনার জন্য খুব সুবিধা জনক হবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায়। কেননা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলোতে যতটা নিষেধাজ্ঞা  ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেসবের তুলনায় ফরেক্স ট্রেডিং এ খুব সুবিধা প্রদান করছে। 

ফরেক্স ট্রেডিং এর মার্কেট স্ট্রাকচার

যে কোন মার্কেট বুঝতে হলে সে মার্কেটের স্ট্রাকচার সম্পর্কে ধারণা অবশ্যই রাখতে হবে। এটা হোক স্টক মার্কেট কিংবা ফরেক্স মার্কেট। আসুন প্রথমে মার্কেট স্ট্রাকচারগুলো দেখে নেয়া যাক তবে সর্বপ্রথমেই স্টক মার্কেট এর স্ট্রাকচার টা দেখে নেই তাহলে পরবর্তীতে  ফরেক্স মার্কেটেরটা বুঝতে সুবিধা হবে। 

স্টক মার্কেট স্বভাবত একচেটিয়া মার্কেট। মার্কেটে একটি স্পেশালিস্ট থাকে যে নিজের ইচ্ছামত প্রাইস কন্ট্রোল করতে পারে। স্পেশালিস্টরা নিজেদের স্বার্থ অধ্যায়ের জন্য সে সকল প্রাইসগুলোর হেরফের করতে পারে। 

অন্যদিকে ফরেক্স মার্কেট হল একটি ডিসেন্টালাইজড মার্কেট। যার কারণে এখানে প্রাইস কোড বিভিন্ন প্রকারে বিভিন্ন রকম দেখতে পাওয়া যায়। যদিও অনেকের কাছে এই বিষয়টি ভালো না ও লাগতে পারে। তবে ফরেক্স মার্কেটে প্রচন্ড প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ার কারণে ব্রোকার আপনাকে প্রায় সব সময় সবচেয়ে ভালো ডিল অফার করে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে, সে তুলনায় দেখতে গেলে অবশ্যই এটি খুব লাভজনক। 

এবং ভালো ব্যাপার এই যে ডিসেন্টালাইজড মার্কেট হওয়ার কারণে এখানে বিশৃঙ্খলতা দেখায় একদমই নেই। অংশগ্রহণকারীদের বড় থেকে ছোট সারিতে সাজানো হলে কিছুটা নিম্নের ছবির মত দেখানো হবে

উপরের ছবিটিতে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে প্রথম সারিতে মেজর ব্যাংকগুলো। এখানে অংশগ্রহণকারীরা ইলেকট্রনিক ব্রোকারিজ সার্ভিস বা ইবিএস এবং রয়টার্স ডিলিং ৩০০০ স্পট ম্যাচিং এর মাধ্যমে সরাসরি ট্রেড করে থাকে। যার জন্য এরা প্রায় মক্কেলদের ধরার জন্য একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা পূর্ণ মনোভাব রেখেই থাকে। 

ইভিএস প্ল্যাটফর্মে যে কারেন্সিগুলোতে বেশি তারল্য দেখা যায় সেগুলো হলোঃ 

  • EUR/USD,
  • USD/JPY,
  • EUR/JPY,
  • EUR/CHF,
  • USD/CHF

রয়টার্স প্লাটফর্মে যে কারেন্সি গুলোতে বেশি তারল্য দেখা যায় সেগুলো হলোঃ 

  • GBP/USD,
  • EUR/GBP,
  • USD/CAD,
  • AUD/USD,
  • NZD/USD

এরপর আমরা ছবিটির পরবর্তী সারিতে লক্ষ্য করলে যাদের অবস্থান দেখা যায় তারা হলোঃ 

  1. রিটেইল মার্কেট মেকার (Market makers)
  2. কর্পোরেশন (Corporations),
  3. হেজ ফান্ড (Hedge Funds),
  4. রিটেইল ECN

এরা যেহেতু ইন্টারব্যাংকের সরাসরি ট্রেড করতে পারে না এবং তাদের কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাথে ট্রিট করতে হয়, তাই তাদের খরচ কিছুটা বেড়ে যায় এবং তাদের ইন্টার ব্যাংকের অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে একটু বেশি চার্জ করতে হয়। অতঃপর একদম শেষের সাড়িতে রয়েছে রিটেইল ট্রেডার। তারমানে আমরা যারা কিনা ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে থাকি। 

ফরেক্স ট্রেডিং সংক্রান্ত টিউটরিয়ালটির ২য় পার্ট পড়ুন এখানে ক্লিক করে

Salim Mahamud

View Comments

Recent Posts

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় || সেক্টর ভিত্তিক ১০টি আইডিয়া

দিন যত আপডেট হচ্ছে অনলাইনে মানুষের আকর্ষণ ও ঝুকে যাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। একটা সময় তো…

2 months ago

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে হলে কন্টেন্ট তৈরি ও বিজ্ঞাপন প্রচারণা করতে হবে। এছাড়া,…

3 months ago

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন আয়ের দারুন এক পদ্ধতি। এখানে আপনি অন্যের পণ্য প্রচার করে কমিশন…

3 months ago

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়: সহজ ও কার্যকরী গাইড

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার প্রধান উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন। এই দুটি…

3 months ago

Binance থেকে ইনকাম করার উপায়: সহজ ও কার্যকরী টিপস

Binance থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো হলো: ট্রেডিং, স্টেকিং এবং রেফারেল প্রোগ্রাম ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে…

3 months ago

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ – ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

আপনার কি এটা বিশ্বাস হয় যে, ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ - ২০০০০ টাকা প্রতি…

3 months ago