এটা তো নিশ্চই শুনেছেন যে ইউটিউব থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এটা নিশ্চই জেনে অবাক হবেন যে, নিজে কোনো ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। ভাবছেন এটা কিভাবে সম্ভব? চিন্তা নেই, কিভাবে সেটা করতে পারবেন তার বিস্তারিত জানানো হবে এই আর্টিকেলটিতেই।
স্বাভাবিক ভাবে ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সেটাকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে রেভিনিউ জেনারেট করতে হবে। এবং দীর্ঘকালীন এই সেক্টর থেকে আয় করতে চাইলে এটাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা। তবে আপনি যদি কোনো কারণে এটা না করে অন্যান্য উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে চান সে ব্যবস্থাও রয়েছে। যা জানানো হবে এবারের আর্টিকেলে।
আপনি যদি এটা বিশ্বাস করেন যে এটা সম্ভব তবে অবশ্যই সম্ভব। এখন সেটাকে সম্ভব করতে কি করণীয় সেই পথে আপনাকে কেবল হাটতে হবে। এখানে অনেক পথ রয়েছে কোন পথ বেছে নিবেন এটা নির্ভর করবে আপনার উপর। এই আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরছি এমন কিছু পথ যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে। চলুন শুরু করা যাক।
এই পর্যায়ে জানাবো বেশ কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে যেগুলো অনুসরণ করে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি আইডিয়াই পৃথক পৃথক ভাবে কাজ করবে, তবে আপনি চাইলে একাধিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ইউনিক ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারবেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হল এমন এক ধরনের কম্পিউটার সিস্টেম যা মানুষের চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম। আর ঠিক এই টেকনোলজি ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।
এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ChatGPT এবং AI ভিডিও এডিটর। প্রথমে চ্যাট জিপিতে ব্যবহার করে ভিডিওটির একটি স্ক্রিপ তৈরি করে নিতে হবে। আপনার স্ক্রিপ্ট টি কেমন হবে বা কোন বিষয়ে স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন সেটি নির্ভর করবে আপনার ভিডিওর নিশ এর উপর। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি একটি নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে এ করবেন। তাহলে ভিজিটরদের কাছে reach করতে সুবিধা হবে পাশাপাশি আপনার কনটেন্ট গুলোর একটি ধারা বজায় থাকবে।
জেনারেট করা স্ক্রিপ্টটি রেডি হয়ে গেলে এবার সেটিকে টেক্সট টু ভিডিও কনসেপের এ আই টুলস এর মাধ্যমে সেটির মাধ্যমে একটি ভিডিও তৈরি করে ফেলুন। এ কাজের জন্য গুগলে সার্চ করতে পারেন টেক্সট টু ভিডিও AI অথবা ব্যবহার করতে পারেন নিম্মে উল্লেখিত তিনটি টুলস:
এখানে আপনার জেনারেট করা স্ক্রিপটি সাবমিট করলে এই AI টেকনোলজি সেটিকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও উপস্থাপনা করে দিবে। যা আপনি ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন।
ডিজে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে সহজ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে তা হল ফ্রি স্টক ভিডিও ব্যবহার। যে ভিডিও গুলো থাকে সম্পূর্ণ কপিরাইট মুক্ত এবং যেকোনো কাজে ব্যবহারযোগ্য।
ফ্রী স্টক ভিডিও সংগ্রহ করার পর যে বিষয়টি দরকার পড়বে সেটি হল ফ্রি মিউজিক। বর্তমানে আমার অনেক অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রি মিউজিক এভেলেবেল রয়েছে যেগুলো কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে যে কোন ভিডিওতে। ফ্রি স্টক ভিডিও এবং কপিরাইট ফ্রি মিউজিক একত্রিত করে এডিট করে সেগুলোকে ইউটিউবে আপলোড করা যাবে।
এখানে কিছু জনপ্রিয় ফ্রি স্টক ভিডিও ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানানো হলো:
এছাড়াও আপনি যখন ইউটিউব এ চ্যানেল তৈরি করবেন তখন আপনাকে ইউটিউব অডিও লাইব্রেরির এক্সেস দেওয়া হবে যেখানে রয়েছে অসংখ্য কপিরাইট ফ্রি মিউজিক আপনি চাইলে সেখান থেকেও ভিডিওর জন্য মিউজিক বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সিলেক্ট করতে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে আপনি যতই ফ্রি স্টক ভিডিও ব্যবহার করে ইউটিউবে জন্য পারফেক্ট ভিডিও তৈরি করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটি নির্দিষ্ট নিস নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই আপনার ভিডিওর ধারাবাহিকতা সঠিক থাকবে এবং আপনার অডিয়েন্সদের কাছে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লেখ্য যে ইউটিউব নিজেই একটি বড় উৎস হাজারো কপিরাইট ফ্রি ভিডিও কালেক্ট করার জন্য। আপনি ইউটিউব থেকেই কপিরাইট ফ্রি ভিডিও কালেক্ট করে সেগুলোর হালকা কিছু কাস্টমার করে নতুন করে আপলোড করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে কোন রেস্ট্রিকশন দেওয়া হবে না বা কপিরাইট ক্লেইন করা হবে না। তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট SEO জানতে হবে। কেননা আপনি যখন কোন একটি একজাস্টিং ভিডিও কে পুনরায় আপলোড করার চিন্তাভাবনা করছেন তখন আপনার অডিয়েন্স হতে হবে টার্গেটেড কেননা ইতিমধ্যে সে ভিডিওটি ইউটিউবে রয়েছে সেখানে ভালো সারা পাইনি বিধায় আপনি সেই একই কাজটি পুনরায় করতে চাচ্ছেন বেশি সাড়ার আশায়। যার জন্য আপনাকে সঠিকভাবে কাস্টমার করে সেই ভিডিওকে টার্গেটেড অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
তাছাড়া আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন যা হলো একটি লং ভিডিও (অবশ্যই কপিরাইট ফ্রী হতে হবে) ডাউনলোড করে সেটিকে অনেকগুলো ছোট ছোট ক্লিপ বা reals তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা হবে না বরং মূল বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য আপনার ভিডিওর রিচ অনেক বেড়ে যাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন পডকাস্ট এবং বড় আলোচনা কে ছোট ছোট কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো reels আকারে রিলিজ করে অনেক টাকা ইনকাম করছে।
এটা নিশ্চই দেখেছেন যে যখন কোনো বিশ্বকাপ বা কোনো খেলা চলে তখন ইউটিউবে খেলা গুলোর লাইভ সম্প্রচার করা হয়। তবে এক্ষেত্রে দেখা যায় সেখানে কেবল স্ক্রোর গুলোই জানা যায়। লাইভ খেলা চলতে থাকে এবং একজন ভাস্যকার স্কোর গুলোর আপডেট জানাচ্ছে। যেমনটা হয়ে থাকে FM Radio তে।
লাইভ খেলা দেখিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য কিছু জনপ্রিয় গেম হল:
আপনি চাইলে সেটাও করতে পারেন, এতে করে চ্যানেল দ্রুত গ্রো হয় আর আপনি ইউটিউব থেকেও আয় করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে আপনি নিজের ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। কেননা, লাইভ স্কোর গুলোতেও আপনি ভিডিও এডস দেখাতে পারবেন এবং সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
অতএব, এই ছিলো কিছু উপায় যেখানে আপনি নিজের ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এটা অবশ্যই আপনার মনে রাখা উচিৎ যে, এটা কখনই একটি প্রোফেশনাল উপায় না ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য। কেননা, এগুলো ট্রেন্ডের সাথে আসে আবার হারিয়েও যায়। আপনি যদি দীর্ঘ কালীন প্রজেক্ট চিন্তা করে ইউটিউব থেকে আয় করার কথা ভাবছেন তবে এটা আপনার জন্য খুব বেশি একটা লাভজনক প্রজেক্ট হবে না। তবে আপনি যদি সল্প সময়ে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তবে এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন। তাছাড়া ইউটিউবে আয় করা সংক্রান্ত আরো অন্যান্য উপায় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের ইউটিউব নামক ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন।
আপনি কি ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে চান ? তাহলে আজকের এই…
দিন যত আপডেট হচ্ছে অনলাইনে মানুষের আকর্ষণ ও ঝুকে যাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। একটা সময় তো…
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে হলে কন্টেন্ট তৈরি ও বিজ্ঞাপন প্রচারণা করতে হবে। এছাড়া,…
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন আয়ের দারুন এক পদ্ধতি। এখানে আপনি অন্যের পণ্য প্রচার করে কমিশন…
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার প্রধান উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন। এই দুটি…
Binance থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো হলো: ট্রেডিং, স্টেকিং এবং রেফারেল প্রোগ্রাম ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে…
View Comments