আপনিও কি তাদের মধ্যে একজন যারা অন্তত মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুজছেন? অভিনন্দন আপনি একদম সঠিক স্থানে অবস্থান করছেন। আপনি যে আর্টিকেলটি এখন পড়ছেন, সেটায় রয়েছে ১৫ টি ভিন্ন ভিন্ন উপায় যেগুলো থেকে আপনার নিশ্চিত ভাবে কোনো না কোনো উপায় পছন্দ হয়ে যাবে এবং আপনিও সে উপায় অনুসরণ করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
এখানে যে ১৫ টি উপায় রয়েছে সেগুলো কেবল অনলাইন কিংবা অফলাইনেই নয় বরং উভয় সেক্টরকে মাথায় রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি যথাযথ ভাবে সঠিক তথ্যের আলোকে সাজানো হয়েছে যাতে করে আপনি এখান থেকে কোনো প্রকার মিথ্যা সপ্ন নিয়ে ঝাপিয়ে না পরেন। তাই বলবো হাতে কিছুটা সময় নিয়ে মনযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন Online Taka Income ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত বিশেষ এই আর্টিকেলটি যার উদ্দেশ্য আপনাকে জানানো “মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়”
কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব?
আপনি নিশ্চয়ই টাকা আয় করার উপায় খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত, গুগোল সার্চ করলে এমন হাজারো আর্টিকেল চলে আসবে যেখানে বলা হচ্ছে এটা করলে এত টাকা হয় ওইটা করলে অত টাকা আয় করা সম্ভব। এগুলোর মধ্যে থাকে কিছু কমন বিষয়, আবার থাকে কিছু সত্যিকার অর্থে কার্যকর উপায়। তবে সত্যি কথা বলতে ২০ হাজার টাকা এমন বেশি কিছু অর্থ না যা প্রতি মাসে আয় করা সম্ভব হবে না। প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা আসলেই সম্ভব।
এটি সম্ভব হয়ে উঠবে যদি আপনি যথাযথ উপায় অনুসরণ করে এগোতে পারেন। প্রবল ইচ্ছা শক্তি এবং ধৈর্যের সহিত প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের ফলাফল হিসেবে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সেক্টর নির্ধারণ করে নিতে হবে, যেখানে আপনি দক্ষতার সহিত কাজ করতে সক্ষম হবেন। পরবর্তীতে সে সেক্টরকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট গোল তৈরি করতে হবে, যেটিকে অনুসরণ করে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাবেন।
আপনার আগ্রহ যদি থাকে এটা জানার যে কিভাবে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করবেনতবে আমাদের আর্টিকেলটিতে দেয়া তালিকা থেকে বেছে নিতে পারেন একটি উপায় যেটির উপর দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি প্রবল ভাবে কাজ করে যেতে পারবেন। আচ্ছা, মূল বিষয় শুরু করার আগে জেনে নেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
কাজের দক্ষতা: আপনি যে সেক্টরের কাজ করেন না কেন প্রয়োজন সেই সেক্টরে উক্ত কাজের উপরে দক্ষতা। আপনাকে প্রথমে শিখতে হবে শেখার মানসিকতা রাখতে হবে। আপনি যখন একটি কাজ যথাযথভাবে করতে সক্ষম হবেন তখন সে কাজ করে আয় করার উপায় এর অভাব হবে না। যদি আপনার কাছে কোন কাজ করা দক্ষতাই না থাকে সেক্ষেত্রে কিছু না করে আয় করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এবারের আর্টিকেলে যে উপায় গুলো সম্পর্কে বলবো তার প্রতিটিতে কোন না কোন দক্ষতা প্রয়োজন। তাই প্রথমেই নিজেকে নির্দিষ্ট কোন কাজের উপরে দক্ষ করে তুলতে হবে।
একটি ডিভাইস: বিশেষ করে আপনি যখন অনলাইন ভিত্তিক কোন কাজে যুক্ত হবেন তখন আপনার অবশ্যই একটি ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হলে ভালো হয় তবে প্রতিটি কাজের জন্যই যে কম্পিউটার প্রয়োজন হবে তেমনটা নয়। এটা অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজটি করতে চাচ্ছেন তার উপর, আপনি যখন নিম্নে উল্লেখিত ১৫ টি আয়ের উপায় সম্পর্কে ধীরে ধীরে দেখতে থাকবেন তখনই বুঝে যাবেন আপনার ঠিক কি প্রয়োজন।
ইন্টারনেট কানেকশন: হ্যাঁ অবশ্যই আপনি যখন অনলাইন ভিত্তিক কোন কাজ করবেন তখন নিজেকে অনলাইনে অ্যাক্টিভ রাখতে সব সময় ইন্টারনেট কানেকশন এর প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়াইফাই ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে খুব ভালো হয়। তবে অফলাইন যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
ব্যাংক একাউন্ট: বর্তমান সময়ে সকলের একটি করে ব্যাংক একাউন্ট থাকা খুব জরুরী। আপনি যেকোনো ধরনের লেনদেন করেন না কেন হোক সেটা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে, আর্থিক লেনদেন সব সময় ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরী।
পর্যাপ্ত সময়: আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে, যেকোন কাজ শেখার ক্ষেত্রে এবং করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় বিনিয়োগ করতে হয়। আপনি এখনই কাজ শুরু করেছেন এবং এখনই আয় করতে চাচ্ছেন, এমনটা সম্ভব নয়। আপনাকে প্রয়োজনীয় সময় দিয়ে কাজ শিখতে হবে এবং সে কাজ করার ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করতে হবে। অতঃপর আপনি ফলাফল হিসেবে আয়ের ব্যবস্থা সচল করতে সক্ষম হবেন।
অনলাইনে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
এই পর্যায়ে ধাপে ধাপে ১৫ টি ভিন্ন ভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানাবো যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এখানে রয়েছে ৮ টি অনলাইন ভিত্তিক উপায় যেগুলো শেখা থেকে শুরু করে আয়ের ব্যবস্থা চালু করতে পারবে অনলাইনের মাধ্যমেই। এবং আরো রয়েছে ৭ টি অফলাইন ভিত্তিক উপায় যেগুলো করতে পারবেন বাস্তবিক জীবনে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ব্লগিং থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
সবার প্রথমেই যেই পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব তার নাম হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে একটি সিরিজ আকারে টিউটোরিয়াল প্রদান করা আছে যেখানে জানানো আছে ব্লগিং থেকে আয় করার উপায় সমূহ।
আচ্ছা যাদের কাছে ব্লগিং বিষয়টি নতুন তাদের জন্য বলে রাখছি ব্লগিং হলো আপনার জানা ও দক্ষতাকে লিখিত আকারে প্রকাশ করা অনলাইনে মাধ্যমে। এমন লাখো মানুষ রয়েছে যারা আপনার দক্ষতার বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তারা আপনার ব্লগে এসে সে বিষয়ে জানবে এবং আপনি আপনার দক্ষতার বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তারা আপনার ব্লগে এসে সে বিষয়ে জানবে এবং আপনি আপনার ব্লগে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে সেসব ট্রাফিক থেকে আয় করতে পারবেন।
একটি ব্লগ থেকে এতো টাকা আয় করা যায়, যা সরকারি – বেসরকারি চাকরিকেও হার মানায়; যদি আপনি যথাযথ ভাবে ব্লগিং করতে পারেন। যার জন্য স্পেসিফিক ভাবে ব্লগিং থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বলার জন্য নিদিষ্ট একটা ক্যাটাগরি তৈরি করে রেখেছি যেখান থেকে আপনি ব্লগিং ও ব্লগিং থেকে আয় করার Road-map এর অনুসরণকারী হয়ে উঠতে পারবেন।
ব্লগিং করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ ডলার আয় করা একদমই সহজ যা বর্তমানে বাংলাদেশী টাকায় ২০ হাজার টাকা এরও বেশি। তাই আপনি যদি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান তবে ব্লগিং হতে পারে আপনার লিস্টের প্রথম চয়েজ। তবে এক্ষেত্রে আপনার প্যাশন এবং লেখালেখির প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে। তা না হলে আমাদের লিস্টের অন্যান্য উপায় গুলো দেখতে পারেন।
ইউটিউবিং থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
লেখালেখির উপরে আপনার আগ্রহ না থাকলে ওয়েবসাইট বা ব্লগিং বাদে ভিডিও করার মাধ্যমেও আয় করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে ইউটিউব। হ্যাঁ আপনি ইউটিউবিং এর মাধ্যমেও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। শুধুমাত্র বিশ হাজার টাকায় নয় একজন ইউটিউবার মাসে লাখ টাকা অব্দি আয় করতে পারে। বাংলাদেশে এমন অনেক ইউটিউবার রয়েছে যাদের মাসিক আয় লাখ টাকার উপরে এবং এই অর্থ পেয়েছে কেবল ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে।
ইউটিউব থেকে আয় করা যায় বিভিন্ন ভাবে। যেমন:
- ইউটিউব মনিটাইজেশন
- স্পন্সরশীপ গ্রহন
- অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া
- পেইড মার্কেটিং করা
- নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করা
তবে একজনার হিসেবে প্রথমটি ছাড়া বাকি উপায়গুলোর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হবে না। আপনি যখন একজন পরিচিত মুখ হয়ে দাঁড়াবেন তখনই কেবল স্পন্সারশিপ কিংবা পেইড মার্কেটিং এর মত উপায় অনুসরণ করে আয় করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি শুধু ইউটিউব মনিটাইজেশনের উপরেই ফোকাস করেন তবুও google এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা কোন ব্যাপার হবে না। তবে যে কোনোভাবে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করলে আপনাকে মনিটাইজেশন দেয়া কিংবা সেখান থেকে আয় করতে পারার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে না, দরকার যথাযথ পরিকল্পনা ও অনেক জ্ঞানার্জন, সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে ক্লিক করে আমাদের ফ্রী ইউটিউবিং টিউটরিয়ালের মাধ্যমে।
কন্টেন্ট রাইটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আপনি কি জানেন একজন কন্টেন্ট রাইটার মাসে কত টাকা অব্দি আয় করতে পারে? হয়তো আপনি বর্তমানে যতটা ধারণা করছেন তার থেকে কিছুটা পরিমাণ হলেও বেশি। একজন কন্টেন্ট রাইটারের আয় সম্পর্কে ধারণার জন্য আপনি আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সিং এর মত প্ল্যাটর্মে গিয়ে কেবল Hire a Content Writer লিখে সার্চ দিয়েই দেখুন, প্রতি ঘন্টা বা প্রতি আর্টিকেলের জন্য যত টাকা চার্জ করা হয় সে সম্পর্কে দেখলে নিজেই চকমে যাবেন।
বর্তমান সময়ে এতো এতো ওয়েবসাইট ও এতো এতো প্রোডাক্টের সমাহারে Content is always King হয়েই রয়েছে। একজন কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা কখনই কোনো ভাবে কমে যাবে না, বরং দিন দিন তাদের চাহিদা শীর্ষ স্থানেই উঠছে।
আপনার যদি লেখালেখির উপর একটু ঝোক থেকে থাকে তবে আপনি মাসে কেবল মাত্র ২০ হাজার টাকাই নয় বরং আরো অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। একজন কন্টেন্ট রাইটার বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারে। যেমনঃ
- চাকরি করতে পারেন
- ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন
- নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে কন্টেন্ট পাবলিস্ট করতে পারেন
- পোর্টফলিও এর মাধ্যমে কন্টেন্ট বিক্রি করতে পারেন
চাকরি করলে মাসিক বেতন পাবেন, এক্ষেত্রে যে কোম্পানি কিংবা এজেন্সিতে কাজ করবেন সেখানের উপর নির্ভর করবে কত টাকা পাবেন। ফ্রিল্যান্স করলে তারা প্রতিটি কাজের জন্য আলাদাভাবে পেমেন্ট পাবেন। এবং নিজের ওয়েবসাইট খুলে কন্টেন্ট পাবলিস্ট করলে আজীবন সেখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। তবে এই কাজের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমান রঙ্গিন দুনিয়ায় গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা একদম শীর্ষ স্থানে। এটি বেশ চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশ। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে যেমন:
- লোগো ডিজাইন
- বিপণন উপকরণ ডিজাইন
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- প্রচারমূলক কন্টেন্ট ডিজাইন
- বই এবং ম্যাগাজিনের কভার ডিজাইন
- পোস্টার এবং ফ্লায়ার ডিজাইন
সহ আরো অনেক ধরণের ডিজাইন রয়েছে যা একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের হাতেই করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়সহ সুদূর ভবিষ্যতে গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা বহমান থাকবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার দক্ষতা ও কাজের উপর নির্ভর করে মাসে ২০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারে। শুধু বিশ হাজার টাকায় নয় দক্ষতা এবং কাজের চাপ বেশি হলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকাও এই সেক্টর থেকে আয় করা বড় কোন বিষয় নয়।
যেহেতু গ্রাফিক ডিজাইনিং একটি সিজনশীল এবং চ্যালেঞ্জিং পেশা তাই এ পেশায় আসতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি নিজের দক্ষতা অর্জনে অনেক কিছু শিখতে হবে এবং পর্যাপ্ত সময় বিনিয়োগ করতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এবং একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে ওঠার জন্য যা যা করণীয় এবং কিভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে আয় করা যায় সেই সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের গ্রাফিক ডিজাইন ক্যাটাগরিটি দেখে আসতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় এমন একটি সেক্টর সম্পর্কে বলতে যে সেক্টরে অল্প সময়ে কাজ করার মাধ্যমে আয়ের ধরা শুরু করা যাবে তবে আমি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কথাই বলবো। ডিজিটাল মার্কেটিং, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং বহুলভাবে ব্যবহৃত মার্কেটিং সেক্টর। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে যে সকল কাজগুলো রয়েছে তার যেকোনো একটির উপরে ফোকাস করে দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হবে। আসুন দেখে নেই কি কি ধরণের কাজ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আন্ডারে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): SEO হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা ওয়েবসাইটগুলিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের প্রথম পৃষ্ঠায় (SERP) উচ্চতর র্যাঙ্কিংয়ের জন্য অপ্টিমাইজ করে।
- পেইড সার্চ মার্কেটিং (PPC): PPC হলো এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যা সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM): SMM হলো এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি (যেমন ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন এবং ইনস্টাগ্রাম) ব্যবহার করে লক্ষ্য দর্শকদের কাছে নিজের পণ্য বা সেবা ছড়িয়ে দেয়।
- ইমেল মার্কেটিং (EM): EM হলো এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যা ইমেল ব্যবহার করে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারণা করে।
- কন্টেন্ট মার্কেটিং (CM): CM হলো এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যা আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করে। এটার সাথে আবার কন্টেন্ট রাইটিং কাজের সাথে যোগবন্ধন রয়েছে।
- ডিজিটাল রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (DRM): DRM হলো এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যা টার্গেটেড অডিয়েন্সদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে।
- ডিজিটাল এনালাইটিক্স (DA): DA হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যক্রমের ফলাফলগুলি পরিমাপ করে।
তো দেখলেন তো কাজের নেই শেষ। ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে উঠা হবে অন্যতম সেরা পছন্দ যদি আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করতে চান। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের অলিগলি সম্পূর্ণ ফ্রীতে পেয়ে অনুসরণ করুন আমাদের ওয়েবসাইটের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরিটি।
ওয়েব ডিজাইনার হয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
একজন ওয়েব ডিজাইনার একটি ওয়েবসাইটের গ্রাফিক্যাল উপাদান গুলোকে ডিজাইন করে থাকে। ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে, কোথায় কোন রং ব্যবহার করা হবে, কোথায় কি ধরনের ফ্রন্ট টাইপোগ্রাফি ইমেজ ব্যবহার করবে সেগুলোর জানান দেয়ার পাশাপাশি পুরো ওয়েবসাইট টার কেমন হবে তা নির্ধারণ করাই একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজ।
আমরা জানি বর্তমান সময়ে এবং সুদূর ভবিষ্যতে ওয়েবসাইটের ব্যবহার আরো হাজার গুন বাড়বে এমন অবস্থায় একজন ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা সবসময় শীর্ষস্থানেই থাকবে। একজন ওয়েব ডিজাইনার চাইলেই মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অব্দি আয় করতে সক্ষম হবে। তবে তার নির্ভর করবে তার দক্ষতা এবং কাজের পরিমাণের উপর।
একজন ওয়েব ডিজাইনার কে সাধারণত যে সকল বিষয় শিখতে হয় তা হলো:
গ্রাফিক্স ডিজাইন: গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে যাতে আপনি আকর্ষণীয় এবং কার্যকর ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: ওয়েব ডিজাইনারদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানা প্রয়োজন যাতে তারা ওয়েবসাইটগুলিকে তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন।
তাছাড়া যে সকল কোডিং ল্যাংগুয়েজ গুলো জানতে বা শিখতে হবে তা হলো:
- HTML: ওয়েবসাইটের কাঠামো তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত একটি মার্কআপ ভাষা।
- CSS: ওয়েবসাইটের লুক এবং ফিল তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত একটি স্টাইলিং ভাষা।
- JavaScript: ওয়েবসাইটে ইন্টারঅ্যাকটিভিটি যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।
বর্তমানে অনলাইনে এবং অফলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ওয়েব ডিজাইনিংয়ের কোর্স করানো হয়। আপনি এই বিষয়ে আগ্রহী হলে প্রথমে শিখে পরে কাজ শুরু করতে পারবেন।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হলো একজন ব্যক্তি যিনি নতুন কন্টেন্ট তৈরি করে। প্রশ্ন হচ্ছে কন্টেন্ট কি? কন্টেন্ট বলতে বোঝায় – যে কোনও তথ্য বা ধারণা যা অন্যরা কানেক্ট করতে পারে। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন, যেমন:
- লিখিত কন্টেন্ট: ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ইমেল, ইত্যাদি।
- ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট: ছবি/ফটোগ্রাফি, ভিডিও, গ্রাফিক্স, ইত্যাদি।
- অডিও কন্টেন্ট: পডকাস্ট, অডিও বুক, ইত্যাদি।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন, যেমন:
- ব্লগ বা ওয়েবসাইট: কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে তাদের কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া: কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি (যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইত্যাদি) ব্যবহার করে তাদের কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন।
সাধারণত কোন কোন বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে দেখা যায়?
- শিক্ষা
- প্রশিক্ষন
- মোটিভেশন
- বিনোদন
- প্রতিষ্ঠান
- মার্কেটিং ইত্যাদি
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে আয় করার উপায় গুলো কি কি?
১) মনিটাইজেশন: ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব এর ক্ষেত্রে।
২) স্পন্সরশিপ: জনপ্রিয় মুখে পরিনত হতে পারলে এটা পাওয়া যায়।
৩) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: দর্শকদের বিভিন্ন পণ্য বা সেবা গ্রহনে আগ্রহী করে তুলে আয়।
৪) সাবক্রিপশন: বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে নির্ধারিত চার্জ ধার্য করে আয়।
৫) ডোনেশন: দর্শকদের কাছ থেকে ডোনেশন গ্রহন করে আয় করেন (don’t do this)
তো, ফাইনাল প্রশ্ন হচ্ছে এখান থেকে তাহলে কেমন আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ আপনি ঠিক যত টাকা আয় করার কথা চিন্তা করে আর্টিকেলটি পড়ছেন ঠিক তত পরিমাণ এবং কিছু ক্ষেত্রে এর বেশিও। মাসের ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া ভালো উপায়।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে ব্যবসা করা খুব সহজ হয়ে গেছে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে। অনলাইনের এই চোখে যে কোন সময় ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে নিজের ব্যবসা করে তোলা যায় খুব সহজে। বাংলাদেশ থেকে দারাজ, চাল ডাল, সেলফ, ইভ্যালি এর মতো ই-কমাস প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে নিজের অনলাইন শপ গড়ে তোলা এবং সেখান থেকে ব্যবসা করা খুব সহজ হয়ে উঠেছে।
অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। যেহেতু এখানে পরোক্ষ ব্যয়ের পরিমাণ কম তাই এখান থেকে বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে এই সকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট গড়ে উঠতে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর হওয়ার কারণে বিক্রির সম্ভাবনা খুব বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন পণ্যের উপর based করে অনলাইন সব গড়ে তুলতে না চান তবে অ্যাফেলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে, তো ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করার মাধ্যমে কমিশন বেসড আয় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব ভালোভাবে করতে পারলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা খুব সহজ পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র একটিভ ইনকাম নয় বরং প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
পরিশেষে কিছু কথা
একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য দেওয়ার মাধ্যমে এ আর্টিকেলটি এখানে শেষ করতেছি যে, মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সংক্রান্ত এই আর্টিকেলটিতে এখনো অব্দি যে ৮টি উপায় বলা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক। তবে আর্টিকেল এর শুরুতে বলেছিলাম মোট ১৫ টি উপায় এর কথা। বাকি ৭ উপায় অফলাইন ভিত্তিক যা একই বিষয়ক আর্টিকেলের পার্ট ২ তে বিস্তারিত জানানো রয়েছে। আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক উপায় গুলো জানার পাশাপাশি অফলাইন বা বাস্তব জীবনে প্রতি মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে পার্ট ২ দেখুন। ধন্যবাদ।