বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন । কাজ করা খুব সোজা 

Salim Mahamud

Updated on:

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন
বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন । কাজ করা খুব সোজা 

খালি হাতে শুধু ঘরে বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন। কাজ করা খুব সোজা এবং জটিল কোনো দক্ষতারও প্রয়োজন হবে না। সকল বয়স ও সকল পেশার মানুষই করতে পারবে। তাই নিজের অবসর সময় গুলোকে এমনি হেলায় না কাটিয়ে apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করার পিছনেই ব্যয় করুন। কিভাবে? সে বিষয়েই বিস্তারিত জানাচ্ছি এবারের আর্টিকেলটিতে। পড়তে থাকুন। 

অ্যাপ কি? অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? 

অ্যাপ হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার আপ্লিকেশন যা ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে। অ্যাপগুলি সাধারণত মোবাইল ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়, যেমন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট, তবে এগুলি কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

হ্যাঁ, অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যে অ্যাপ গুলো তৈরি করাই হয়েছে টাকা ইনকাম করার জন্যই। এবারের আর্টিকেলে আমরা মূলত সেসকল অ্যাপ নিয়েই কথা বলবো। 

মূলত এই সকল অ্যাপ থেকে ইউজাররা টাকা আয় অ্যাপস এ থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে। এসব বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অ্যাপ এর তৈরিকারীও অর্থ আয় করে থাকে। এবং তার মধ্য থেকে কিছু পরিমাণ ইউজারদের দিয়ে থাকে। 

apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করার পূর্বশর্ত 

১) অ্যাপস দিয়ে ৩০০ টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে পূর্ব সতেরোগুলো হলো আপনাকে এমন অ্যাপস বাছাই করতে হবে যে অ্যাপসগুলো দীর্ঘদিন যাবত বিশ্বস্ততার সাথে তার ইউজারদের পেমেন্ট করে আসছে। 

২) আপনাকে নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করে প্রতিদিন অ্যাপসে কাজ করে যেতে হবে।

৩) অ্যাপস দিয়ে আপনি খুব বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন না তবে কম অর্থ হচ্ছে বলে মাঝপথে এটাকে বন্ধ করে রাখা যাবে না

৪) আপনার প্রবল ধৈর্য শক্তি থাকতে হবে কেননা মাঝে মাঝে কিছু বাগ এর কারণে অ্যাপ কাজ করতে নাও পারে, কিংবা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে, এক্ষেত্রে ধৈয্যহারা হবেন না। 

৫) অ্যাপ সংক্রান্ত কাজ করতে হলে আপনার স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কানেকশন থাকা অবশ্যক।

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন । সেরা ১০ টি ইনকাম অ্যাপ 

এই পর্যায়ে একেক করে ১০ টি অ্যাপ নিয়ে বলবো যে ১০ টি অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, যেমনটা টাইটেলে বলা রয়েছে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাক অ্যাপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যে। 

Facebook 

আপনার কাছে স্মার্টফোন আছে অথচ আপনার ফোনটিতে ফেসবুক অ্যাপ ইন্সটল করা নেই এটা হতে পারে না। বর্তমানে ফেসবুক মানুষের জীবনের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত রয়েছে। সাধারণত ফেসবুকে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে কনজিউম করে। তবে আপনি কি জানেন ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব?আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে facebook ব্যবহার করে আপনি প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। তাই বসে না থেকে এই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন খুব সহজে। কিভাবে করবেন? সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছি:

১) মনিটাইজেশন – ফেসবুক থেকে আয় করার সর্বপ্রথম যে উপায়টি রয়েছে তা হল ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন। আপনার পোস্ট করা ভিডিও এর মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সে সকল ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন। 

২) ফেসবুক মার্কেটপ্লেস – ফেসবুক হল পণ্য কেনাবেচার একই স্থান যেখানে আপনি নিজের কিংবা ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। 

৩)  ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ – আপনি জেনে খুশি হবেন যে ফেসবুকে বড় বড় পেইজ এবং গ্রুপ তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করা যায়। এবং সেগুলো বিক্রি করে ভালো পরিমানের অর্থ করতে পারবেন।  

৪) তাছাড়া আপনি বিভিন্ন মার্কেটিং এজেন্সির কাছে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনার জনপ্রিয় হয়ে থাকা পেইজ কিংবা ফেসবুক গ্রুপকে ভাড়া দিতে পারেন তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম চালানোর জন্য। 

৫) ফেসবুক থেকে আয় করার এমন আরো দারুন সব পদ্ধতির বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

TikTok 

বর্তমান সময়ের সফল সমাজের মাথা ব্যথার কারণ টিকটক, টিক টককে অনেকেই অনেক ভাবে ব্যবহার করে। কেউ এটাকে ব্যবহার করে মার্কেটিং কার্যক্রমের জন্য আবার কেউ নিছক বিনোদন হিসেবে গ্রহণ করে। ব্যবহারের ভিন্নতার দিক থেকে বিবেচনা করলে টিকটক একদিকে যেমন আমাদের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবার অন্যদিকে এটাকে কেন্দ্র করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে অনেকে। তা যাই হোক এটা যার যার ব্যক্তিগত মানসিকতার উপর নির্ভর করবে আপনি যেকোনো একটি মাধ্যম ভালো না মন্দ কোন দিকে ব্যবহার করবেন।

বলছিলাম টিক টক অ্যাপ থেকে আয় করার কথা। যদিও সবাই এটিকে স্বল্প সময়ের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিনে থাকে। তবে এটাও জেনে রাখেন যে, টিকটকে যারা ভিডিও তৈরি করে, তারাই কাজের জন্য হেল্প প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ পায়। হ্যাঁ ঠিক শুনছেন tiktok থেকে আয় করা সম্ভব।

১) টিকটক থেকে আয় করার সর্বপ্রথম উপায় হলো যখন আপনি tiktok একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন তখন আপনাকে একটি বোনাস রিওয়ার্ড দেওয়া হবে। 

২) আমি যখন tiktok এ ভিডিও করবেন তখন সে ভিডিওর উপর ভিত্তি করে ভিউ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের কে কেন্দ্র করে টিকটক এর পক্ষ থেকে আপনাকে পেমেন্ট দেওয়া হবে। 

৩) আপনি যখন tiktok এর সেলিব্রেটি তখন বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে নিজেদের পণ্যের প্রমোট করার জন্য স্পন্সর দিয়ে থাকবেন। এক্ষেত্রে আপনি স্পন্সারশিপ থেকেও টাকায় করতে পারবেন tiktok এর মাধ্যমে। 

৪) টিকটকে যারা লাইভ স্ট্রিমিং করে, তারা লাইভে আসার জন্য এবং tiktok ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ধাতব্য বা উপহার গ্রহণ করে যা অর্থতে রূপান্তর করা যায়।  

এসব ছাড়াও ঠিকঠাক থেকে আয় করা আরো বেশ কিছু উপায় রয়েছে আপনি যদি টিকটক থেকে আয় করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তবে এখানে ক্লিক করে একান্তর tiktok সংক্রান্ত আয়ের বিস্তারিত আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন। 

Likee 

টিকটকের মত আরও একটি জনপ্রিয় স্বল্প দীর্ঘের শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হল লাইক-ই (Likee) জনপ্রিয়তার দিক থেকে টিক টক এর মত খুব বেশি জনপ্রিয় হতে না পারলেও এই সেক্টরের নাম ডাক ভালোই রয়েছে। যাইহোক, বলছিলাম লাইক-ই থেকে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে। 

যেহেতু এটি একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম তাই আপনাকে এখানে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে হবে। তবে এখানে থেকে আয় করার নিয়ম এর মধ্যে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। 

১) আপনি এখান থেকে আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ক্রাউন অর্জন করতে হবে। ক্রাউনের বিষয়টি এমন যে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনাকে কিছু টাস্ক দেওয়া হবে সেই টাস্ক গুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনি গ্রাউন পাবেন আর সে ক্রাউন থেকে অর্থতে কনভার্ট করতে পারবেন। 

সাধারণত এ সকল ক্রাউন গুলো তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। 

Likee K1 Crown: প্ল্যাটফর্মে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রথম টার্গেট ফুলফিল করতে পারলে এই লেভেল অতিক্রম করবেন। এবং এই লেভেল অতিক্রম করলে আপনাকে দেওয়া হবে 400 টাকা উপহারস্বরূপ। 

Likee K2 Crown:  অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি যে লেভেল টুতে যে প্রাইস মানি দেওয়া রয়েছে তার মূল্য হল ২০০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে হয় ২০ হাজার টাকারও বেশি। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদান কৃত লেভেল টু এর টাস্ক গুলো পূর্ণ করলে আপনি এই প্রাইজ মানি টি পাবেন।

Likee K3 Crown: প্রথম দুইটি লেভেল কমপ্লিট করার পর আপনি দ্বিতীয় লেভেল এবং ফাইনাল লেভেলে চলে আসবেন যেখানে আপনার প্রাইজমানি হবে ৫০০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৫০ হাজার টাকা। লেবেলের কাজগুলো সম্পূর্ণভাবে করতে পারলে আপনি এই টাকা অর্জন করতে পারবেন। 

অন্যান্য উপায় 

২) এই প্লাটফর্ম থেকে আয় করার আরো একটি উপায় হল বিভিন্ন কন্টেস্ট এ যুক্ত হয়ে প্রতিযোগিতা করা। এখান থেকে প্রচুর কম্পিটিশন হয়ে থাকে যে কম্পিটিশন গুলোতে অংশগ্রহণ করে টাকা ইনকাম করা যাবে। 

৩) এই প্রথম থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব লাইভ স্ট্রিমিং করে। আপনি যদি অল্প সময়ে ঠিক টাকা আয় করতে চান তবে আপনাকে লাইভ স্ট্রিম করতে হবে। তবে এই লাইভ স্ট্রিমটি সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়, উক্ত প্লাটফর্মটির কর্তৃপক্ষ তারা নির্ধারিত লেভেল 35 পর্যন্ত যাওয়ার পরে আপনি লাইভ স্ট্রিমের জন্য এভেলেবেল হবেন। লাইভ স্ট্রিমের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন টপিক দেওয়া হবে না, আপনার দর্শকরা যেদিকে পছন্দ করছে আপনি তাই করতে পারবেন। তাছাড়া প্রতি লাইভ স্ট্রিম থেকে আপনি প্রায় ৫০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

Snack Video 

শর্ট ভিডিও আপলোড করে আয় করার ক্ষেত্রে আরও একটি দারুন এক সম্পর্কে আপনার জানা উচিত যার নাম হচ্ছে স্নেক ভিডিও (Snack Video) আপনি এখান থেকেও টিকটক লাইকই এর মত ভিডিও আপলোড করে এবং আরো কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বলা বাহুল্য যে আপনি ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

 যেভাবে আপনি এই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো হলো: 

১) লাইভ স্ট্রিমিং করে স্ন্যাক ভিডিও থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যার লাইভে যত বেশি মানুষ এংগেজড হয় তার ইনকামের পরিমাণ তত বেশি। যার জন্য আপনাকে ক্যামেরার সামনে এসে এমন কিছু করতে হবে, বা এমন কিছু শেখাতে হবে যাতে করে আপনার দর্শক আপনার লাইভে আকৃষ্ট থাকে। সাধারণত দেখা যায় এক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে কেননা মেয়েরা লাইফে আসতে সে লাইভে এঙ্গেস্ট তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। তবে অতিরিক্ত ভিউ এর আশায় কোনভাবে এডাল্ট কোন কন্টেন্ট তৈরি করে ফেলা যাবে না। এটি একদিক দিয়ে যেমন আইনগত অপরাধ অন্যদিকে এটা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনৈতিক। 

২) টিকটক লাইক-ই এর মত এখানেও প্রায় সময় কনটেস্ট হয়ে থাকে। এ সকল  কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে ইউজাররা বিভিন্ন প্রাইজ মানি অর্জন করতে পারে।  এটাও একটা মাধ্যম এই অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে।

৩) আপনার দর্শকদের কাছ থেকে বিভিন্ন গিফট গ্রহণের মাধ্যমেও এই প্লাটফর্ম থেকে আয় করা যাবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে। যত বেশি দক্ষতামূলক আইডিয়া এপ্লাই করতে পারবেন তত বেশি আয় করা সম্ভাবনা এখানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা চলে আপনি যখন লাইভ স্ট্রিম করবেন তখন আপনাকে যারা দেখছেন তাদের কাছ থেকে ডায়মন্ড বা পয়েন্ট গিফট পাওয়ার মাধ্যমে নিজের আয় বাড়াতে পারবেন। 

৪)  আপনি যদি এই প্লাটফর্মে খুব পপুলার বা সেলিব্রেটি পর্যায়ের হয়ে থাকেন। কিংবা যদি মোটামুটি ভালো মানের ইনফ্লুয়েন্স আর হন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনাকে স্পন্সর শিপ দেওয়া হবে। আর এসকল স্পনসরশীপ থেকে ভালো পরিমাণের অর্থ আয় করতে পারবেন। 

Pocket Money 

সর্বপ্রথম প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে। তারপর নিজের মোবাইল নাম্বার, পাসওয়ার্ড, এবং রেফার কোড যদি থাকে – তাহলে সেটি দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। পকেট মানিতে কাজ করার জন্য আপনাকে ভিপিএন ইউজ করতে হবে। এক্ষেত্রে Super VPN অথবা Purbo VPN ব্যবহার করতে পারেন। ভিপিএন এ আপনার লোকেশন সিলেক্ট করতে হবে US, UK, জার্মান কান্ট্রি গুলোতে। 

এখানে কাজ করা বলতে প্রতি পঁচিশটা ভিউয়ের পর একটা এড ক্লিক করতে পারবেন এবং একটা এড ক্লিক করে যখন আপনাকে ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে তখন সেখানে দুই থেকে এক মিনিট ভিজিট করবেন এরপর কেটে দেবেন। তাছাড়া যদি কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার কথা বলে তবে সেটাকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নেবেন। প্রতিদিন দুই থেকে একটা অ্যাপ ইন্সটল করলে কাজ হয়ে যাবে। 

কাজ করা শেষ হলে এখান থেকে পেমেন্ট দেওয়া খুব সহজ। মাত্র ১০ টাকা ব্যালেন্স হলেই আপনি সেটাকে রিচার্জের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে হলে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ব্যালেন্স থাকতে হবে। প্রতি দুই হাজার পয়েন্টে ১০ টাকা করে মোবাইল রিচার্জ নিতে পারবেন এবং ৩০ টাকা যদি হয় সেক্ষেত্রে ক্যাশ টাকায় উত্তোলন করতে পারবেন। 

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখানে পেমেন্ট দেওয়া হয় ইনস্ট্যান্ট তাই টাকা পাবেন কিনা সে বিষয় টেনশন নিতে হবে না। এবং এখানে আপনি আনলিমিটেড কাজ করতে পারবেন এবং এই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই আপনার যত বেশি ফ্রী সময় থাকবে আপনার আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি হবে। 

Grow Earn 

প্রশ্ন হচ্ছে এখানে মূলত কিভাবে কাজ করবেন? সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করুন ভিজিট করে একটি পোস্ট চালু করে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ট্যাবে ক্লিক করে সেটিকে বাদ দিয়ে দিন এবং পুনরায় অ্যাপ এ চলে আসুন। ক্লিক করার সময় ক্লিক বাথরুমে ক্লিক করে একটি পোস্ট চালু করুন যেকোনো অ্যাড এ ক্লিক করুন ৬০ সেকেন্ড থাকুন অ্যাড লিংক কপি করে অ্যাপ এ ফেরত এসে লিংক পেস্ট করে টাস্ক কমপ্লিট করুন। 

আপনার ব্যালেন্স যদি দশ টাকা হয় তাহলে আপনি এখান থেকে রিচার্জ করে টাকা তুলতে পারবেন অন্যথায় ৫০ টাকা হলে সেটি বিকাশে সাথে সাথে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। এখানে ক্লিক করে অ্যাপটি ডাউনলোড করে কাজ করুন এবং মাত্র তিন মিনিটে পেমেন্ট দিয়ে দিবে এমনটা দাবি এই অ্যাপের ক্রিয়েটরের। ভালো ব্যাপার এই যে এই অ্যাপে আপনি সারা মাসই কাজ করতে পারবেন।

আপনার যদি অনেক অবসর সময় থাকে এবং বসে বসে বোর হয়ে যান তবে বসে না থেকে এই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন খুব সহজেই।

Poll Pay 

আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে রিয়েল মানি রিওয়ার্ড পেতে চান সেক্ষেত্রে অল্পে নামক এই অ্যাপটি আপনাকে বেশ  উপকৃত করবে। এটি এমন একটি ২০২১ সাল থেকে বিশ্বস্ততার সাথে প্রতিনিয়ত পেমেন্ট করে আসছে। আসল প্রথমে জেনে নেই এটি কিভাবে কাজ করে?

১) সর্বপ্রথম আপনাকে এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

২) অ্যাপে দেখানো বিভিন্ন সার্ভেতে পারটিসিপেট করতে হবে

৩) আপনি যে রিওয়ার্ডগুলো পাবেন সেগুলো paypal amazon ভাউচার এবং বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

সার্ভেগুলো খুব সহজ হয়ে থাকে এবং রিওয়ার্ডগুলো মূলত আপনি যে সকল গিফট কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন সে সকল গিফট কার্ডগুলো হলো: 

  • Amazon gift card
  • Xbox gift card
  • Netflix gift card
  • Google Play gift card
  • PayPal credit
  • iTunes gift card

আমি যদি সরাসরি ক্যাশ করে এডিট করতে চান তাহলে পেপাল ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া অন্যান্য ভাউচার কার্ড এবং গিফট কার্ডগুলো ইমেইলের মাধ্যমে নিতে পারবেন। আর সত্যি কথা বলতে এখানে আপনি প্রতিদিন নতুন নতুন সার্ভে খুঁজে পাবেন। তাই বলা চলে এখানে কাজের কমতি নেই তবে বাংলাদেশ থেকে এই অ্যাপটিতে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই vpn ব্যবহার করতে হবে। 

Cointiply 

এখানে মূলত ২০টিরও বেশি উপায় রয়েছে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্ত কারেন্সি গুলো আর্ন করার জন্য।  সেগুলো হলো: 

  • Collect daily Coins from our faucet.
  • Redeem promo codes for bonuses.
  • Paid out more than $12,000,000 to our users.
  • Complete daily surveys.
  • Play fun games.
  • Watch short videos.
  • View Paid to Click ads (PTC Ads).
  • Chat with other crypto currency enthusiasts and earn while you chat.
  • Frequent bonus days, coin boosts & giveaways.
  • Loyalty bonuses up to 2x the rewards.
  • Take paid surveys.
  • Withdraw your Coins to any Bitcoin, Doge, LTC or Dash wallet. 

এবং আরো অনেক কিছু… 

এখানে প্রথমবারের মতো রেজিস্ট্রেশন করলে আপনাকে ১০০ কয়েন ফ্রিতে দেওয়া হবে এবং ১০০ পয়েন্টের মূল্য ১ সেন্ট এভাবে আপনি যদি মোট 50 হাজার কমেন্ট ইনকাম করতে পারেন তাহলে সরাসরি আপনাকে বিটকয়েনের পেমেন্ট দেওয়া হবে।

তাছাড়া বিটিসি এড এ ক্লিক করলে মিনিমাম ১০০ থেকে ৫০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পাওয়া যায়। এভাবে আপনি প্রতিদিন 50 থেকে 100 পয়েন্ট আপনি প্রতিটি করলে পাবেন। এভাবে আপনি যদি প্রতিদিন 20 থেকে 30 টা অ্যাড ক্লিক করেন সেক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ ডলার পেয়ে যাবেন। 

Make Money: Play & Earn Cash 

গুগল প্লে স্টোরে এখন অব্দি এই অ্যাপ দিয়ে ১০ মিলিয়নেরও বেশি ইন্সটল করা হয়েছে। গেম খেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন এবং মিউজিক প্লে করেও অর্থ পান যা পেপাল বা উপহার কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করুন। হ্যাঁ সত্যিই আপনি মিউজিক প্লে করে এবং গেম খেলার মাধ্যমেও এখন আয় করতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ঠিক যে যে কাজের  জন্য ক্যাশ রিওয়ার্ড পাবেন সেগুলো হলো: 

  • বিনামূল্যে গান শুনে অর্থ উপার্জন করুন
  • সমীক্ষার মাধ্যমে আমাদের আপনার মতামত দেওয়ার জন্য অর্থ গ্রহন করুন
  • বিনামূল্যে গেম, অ্যাপ ব্যবহার করে এবং ছোট ভিডিও দেখে নগদ অর্থ পুরস্কার অর্জন করুন
  • বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান এবং উপহার কার্ড, টাকা এবং নগদ উপার্জন করুন
  • আপনার লক স্ক্রিনে Mode Earn অ্যাপ ফ্রি মিউজিক প্লেয়ার থাকার জন্য অর্থ উপার্জন করুন
  • কেনাকাটার জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে নগদ অর্থ পান এবং মোড আর্ন অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করুন
  • বিশ্বের সেরা গেম স্টুডিও থেকে গেম খেলার জন্য অর্থ পান
  • আপনি যখন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কনভিনিয়েন্স স্টোর এবং রেস্তোরাঁয় যান তখন নগদ উপার্জন করুন
  • আপনার ফোন চার্জ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

এই অ্যাপটিতে এতো বেশি ফিচার্স রয়েছে আয় করার যে, এই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই। আপনাকে জাস্ট অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে এবং সাইন আপ করে কাজ শুরু করতে হবে। 

TaskBucks

বর্তমানে যতগুলো টাকা ইনকাম করার অ্যাপ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করার মত android app হলো এটি। যেখানে আপনি অনেক ছোট ছোট জব করে অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কি একটা কাজ করা অনেক বেশি সহজ হওয়ার কারণে অনেক বেশি মানুষ এই অ্যাপস এ কাজ করে এবং দীর্ঘদিন ধরে আয় করে আসছে। 

এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনি যে সকল কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো হল 

  • কুইজ খেলে টাকা আয়
  • ভিডিও দেখে টাকা আয় 
  • গেম খেলে টাকা আয় 

কেন আপনি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করবেন টাকা আয় করার জন্য?

১) খুবই ইন্টারেস্টিং টাস্ক দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে

২) ফ্রীতে মোবাইল রিচার্জ এবং ডাটা রিচার্জ পাবেন

৩) প্রতি মাসে ৫০০ টাকা অব্দি পোস্টপেইড মোবাইল বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে এই অ্যাপস এ কমেন্ট আর্ন করবেন?

  • বিভিন্ন কুইজ এবং গেম খেলার মাধ্যমে 
  • সেখানে থাকা বিভিন্ন টাস্ক পূরণ করার মাধ্যমে
  • বন্ধুদের মাঝে একটি রেফার করার মাধ্যমে
  • প্রতিদিনকার কনটেস্ট জিতে ফ্রিতে মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমে
  • ডেইলি ১০ হাজার কয়েন পর্যন্ত জিততে পারবেন

এই ছিলো অ্যাপটির ওভারল বিষয়। আশা করি এটার মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন। 

পরিশেষে কিছু কথা 

আজকের মত অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিষয়ে টিউটোরিয়াল এখানেই সমাপ্ত। উপরে যে সকল অ্যাপ গুলো সম্পর্কে বললাম সে সকল অ্যাপস দিয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। আপনার হাতে যত ফ্রি সময় থাকবে আপনি তত বেশি উপার্জন করার জন্য সময় ব্যয় করতে পারবেন এই অ্যাপস গুলোতে। শুধু তাই নয় আপনি যদি টাকা আয় করার জন্য আরও অন্যান্য অ্যাপস খুঁজে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আর্ন মানি উইথ অ্যাপস সেকশনে দেখে নিতে পারেন অসংখ্য অ্যাপসের সমাহার, যেগুলো অনুসরণ করে আপনিও অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।