Instagram থেকে আয় করার উপায় । ইনকাম হোক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে 

Salim Mahamud

Updated on:

Instagram থেকে আয় করার উপায়
Instagram থেকে আয় করার উপায়

Instagram থেকে আয় করার উপায় । ইনকাম হোক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে 

বিষয়ঃ Instagram থেকে আয় করার উপায়

ইনস্টাগ্রাম হলে একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যা মূলত ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রাম এর যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে, এবং তারপর থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে যায় বিশ্বব্যাপী। ২০০৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইনস্টাগ্রাম এর বর্তমান ইউজার সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়নেরও বেশি। উল্লেখ্য যে ইনস্টাগ্রাম ফেইসবুক একই কোম্পানির দুটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম। 

বর্তমান সময়ে প্রতি মাসে instagram এর একটিভ ইউজার সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন এর মত। গড়ে প্রায় ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার প্রতিদিন অন্ততপক্ষে একটি করে স্টোরি পোস্ট করে থাকে ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্টে।  তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৭১% ব্যবসার ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং এর বড় জায়গা দখল করে আছে ইনস্টাগ্রাম। 

মজার ব্যাপার হল প্রতিটা অ্যাক্টিভ ইউজার অন্ততপক্ষে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট ফলো অবশ্যই করে থাকে। প্রতি মাসে ২ মিলিয়ন এডভারটাইজার তাদের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে প্রতিবছর প্রায় 80 শতাংশ ইউজার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ইনস্টাগ্রামে। 

Facebook বর্তমানে সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হলেও বেশিরভাগ ব্র্যান্ড ফেসবুক থেকে চার গুণ বেশি এনগেজমেন্ট পেয়েছে instagram এর মাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বিজ্ঞাপন গুলো থেকে ইউজাররা প্রায় ৮০ শতাংশ প্রোডাক্ট এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।  যার কারণে instagram এর উপর একটু বেশি নির্ভর মার্কেটিং এর জন্য। 

ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ডাটাবেজ অনুসন্ধান করে দেখা যায় প্রায় ৭১% instagram ইউজাররাই হলো 35 বছর বয়স থেকে কম। তাই তরুণদেরকে লক্ষ্য করে ব্র্যান্ডিং করার জন্য instagram আদর্শ প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সকল কোম্পানি প্রোডাক্ট ও সার্ভিস তরুণদের কেন্দ্র করে তারা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনস্টাগ্রামকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে।

কি ভাবছেন পরিসংখ্যান গুলো দারুন না? হ্যাঁ, আসলেই দারুন অ্যামত অবস্থায় ইনস্টাগ্রাম হলো এমন এক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবসা এবং অর্থ সংক্রান্ত ঘটনা খুব বেশি ঘটে থাকে। তাই আপনার যদি ইনটেনশন থাকে অর্থ উপার্জন করার তবে ইনস্টাগ্রাম কে কেন্দ্র করে সেটি অবশ্যই করতে পারবেন। 

Instagram থেকে আয় করার পূর্বে যে সকল বিষয়ে জানা উচিৎ 

Instagram সম্পর্কে তো বেশ কিছু তথ্য এবং পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানলেন। তবে এসবের মধ্য দিয়ে আপনি ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করবেন কিভাবে? না আপনাকে জিজ্ঞেস করছি না মূলত এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে ইনস্ট্রাগ্রাম থেকে আয় করার উপায় সমূহ। 

তবে বিষয়টি মোটেও এমন নয় যে আপনি instagram একাউন্ট করেছেন এবং সেখান থেকে ইনস্ট্যান্ট আয় করা শুরু হয়ে গেছে। এর আগে আপনাকে শিখতে হবে জানতে হবে অনেক কিছু তারপর নামতে হবে আয় করার যুদ্ধে।  আসুন এবার জেনে নেই ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার পূর্বে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানা উচিত সেগুলো: 

১) ইনস্টাগ্রামে রয়েছে দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট। প্রথমটি পার্সোনাল দ্বিতীয়টি বিজনেস একাউন্ট। স্বাভাবিক যেই ইউজারগুলো রয়েছে তারা পার্সোনাল একাউন্ট ক্রিয়েট করে থাকে এবং যারা ব্যবসা সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য ইনস্টাগ্রাম কে ব্যবহার করতে চায় তারা বিজনেস একাউন্ট খুলে থাকে।

২) আপনাকে জানতে হবে “প্রোডাক্ট ক্যাটালগ” instagram শপে যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট কেনার পথ ক্রেতাদের জন্য সহজ কিভাবে করে দিবেন সে সম্পর্কে। 

৩) Instagram এ যে কোন পোস্ট করার পূর্বে পোস্টে যে করণীয় গুলো রয়েছে সেগুলোর পাশাপাশি যেগুলো বর্জন করা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। 

৪) খেয়াল রাখতে হবে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবির গুলোর উপরে কেননা instagram হলো একটি ছবি ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া তাই আপনার পোস্ট করা ছবি যতটা আকর্ষণীয় হবে ইউজারদের কাছে সেটা তত বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। 

৫) বর্তমান ট্রেন্ডকে ফলো করে ভাইরাল নিউজ এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পোস্ট এবং মার্কেটিং কেন্দ্রিক কার্যক্রম চালান। 

ইন্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার এর প্রকারভেদ 

ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ফলোয়ারকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জারদের বিভিন্ন ক্যাটাগরি। এই পর্যায়ে জানব আপনি কত ফলোয়ার থাকলে আপনাকে কোন ইনফ্লুয়েন্সার বলা হবে।

  • সাধারণত ১০০০ থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকলে তাকে ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়।
  • পরবর্তীতে 10 হাজার থেকে এক লক্ষ ফলোয়ার্স থাকলে তাকে মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়।
  • আপনার ফলোয়ার সংখ্যা যদি হয় ১ লাখ থেকে ১০ লাখ এর মধ্যে তাহলে বলা হবে ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েঞ্জার।
  • সবশেষে ১০ লাখ এর বেশি ফলোয়ার্স থাকলে তাকে মেগা বা সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়। 

ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার তার প্রতি পোস্ট এর জন্য চার থেকে ১৬ হাজার টাকা পেতে পারে। অন্যদিকে মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে ১৬ হাজার থেকে 35 হাজার টাকা, ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্স এর ক্ষেত্রে ৩৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে তা ১ লক্ষ টাকার অধিক পর্যন্ত হতে পারে। তবে এসব কিভাবে হওয়া সম্ভব? সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছি পরবর্তী স্টেপে। 

Instagram থেকে আয় করার উপায় 

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে, যে মূলত যেখানে নিজেকে কমফর ফিল করে, নিজেকে যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে মূলত সে বিষয়ের উপর কাজ করে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই জানলেন ইনফ্লুয়েন্সারদের কথা। সেখানে বলা অর্থের সংখ্যা গুলো মোটেও মিথ্যা নয়, তারা সেই অর্থগুলো আয় করতে সক্ষম হচ্ছে।

এ অবস্থায় অনেকে জানতে চাইতে পারে, “ আমি তো অনেক বছর ধরে ইনস্টাগ্রামে একটিভ ইউজার হয়ে রয়েছে, আবারও রয়েছে অনেক ফলোয়ার, তাহলে আমার আয় হচ্ছে না কেন? আমি টাকা ইনকাম করতে পারছি না কেন?” দেখুন এর উত্তর আপনি কখনো চেষ্টাই করেননি টাকা উপার্জন করার। আপনি যদি সঠিক ট্রাক অনুসরণ না করে এলোমেলোভাবে টাকা ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করেন তবে কখনোই তা বাস্তবায়ন হবে না।

একটা বিষয় হলো আমরা ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছি একটি চাকরি করার জন্য যার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারে। দেখুন, এখানে অর্থ, শ্রম, মেধা, সময় সবকিছু দিয়ে যাচ্ছেন একটা উদ্দেশ্যকে হাসিল করার জন্য। কিন্তু যখনই বিষয় আসে অনলাইন থেকে উপার্জন করার, তখনই আমাদের মানসিকতা এমন হয়ে যায় যে আমরা আজ রাতে যদি শুরু করি তাহলে আগামীকাল সকাল থেকেই আমরা আয় করতে পারবো। 

সত্যি কথা এই যে, অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন – টাকা উপার্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সময়, ধৈর্য, মেধা সহ সবকিছুর সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। আচ্ছা, অনেক তো হলো বেসিক কথাবার্তা এবার আসুন দেখে নেই ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন উপায় সম্পর্কে যে উপায় গুলো অনুসরণ করে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব। 

স্পনশরশীপ গ্রহণ করে স্পনশর পোস্টের মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করুন 

একদম সহজ ভাষা বলতে গেলে অর্থের বিনিময়ে কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসকে প্রোমোট করাকে স্পন্সর পোস্ট বলা হয়ে থাকে। এখন আপনি যদি কোন কোম্পানির সাথে ডিল করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করেন তাহলে স্পনশর করে ফেললেন তাদের। 

স্পন্সরশিপ গ্রহণ করার জন্য আপনার প্রোফাইলের ফলোয়ার সংখ্যা থাকতে হবে ৮ থেকে ১০ হাজারের মতো। আপনার যদি ১০ হাজার এর মতো ফলোয়ার থাকে তাহলে  পোষ্টের জন্য কমপক্ষে ১০ ডলার চার্জ গ্রহণ করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার ফলোয়ার যত বেশি আপনার পেমেন্ট এর পরিমাণও তত বাড়বে। 

এবার আপনার মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে আমি স্পন্সর কোথায় খুঁজে পাবো? মূলত স্পন্সর খোঁজার জন্য সবচেয়ে দারুন যে ওয়েবসাইট রয়েছে তার নাম হলো “ifluenz” আপনার instagram প্রোফাইলে আর থেকে দশ হাজার ফলোয়ার হয়ে গেলে এখানে একাউন্ট তৈরি করে কোম্পানিগুলো থেকে স্পন্সরশিপ গ্রহণ করতে পারবেন।  

নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে Instagram থেকে আয় করুন 

অনেক সম্পর্কে বেসিক ধারণা যদি থেকে থাকে আপনার তাহলে এটা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে আপনার নিজের হাতে তোলা ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফটোশুটার হয়ে থাকেন, কিংবা আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও এমন সব দারুণ ছবি তুলে থাকে যা অন্য কেউ ক্রয় করতে ইচ্ছুক হবে তবে আপনি আপনার এই স্ক্রিল থেকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে অনলাইনে অনেক স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনার তোলা ছবি বিক্রি করতে পারবেন এগুলোর মধ্যে অন্যতম স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট হলো: 

  • Shutterstock
  • Dreamstime
  • Adobe Stock
  • Istock

এগুলো একদম টপ লেভেলের স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট যেখানে একাউন্ট তৈরি করে আপনার তোলা ছবিগুলো সাবমিট করে রাখবেন এবং এখান থেকে কেউ যদি ছবিগুলো ডাউনলোড করে কিংবা ক্রয় করে তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। 

আচ্ছা এত কেন ছবি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে বিক্রি করবেন সে সম্পর্কে তবে ইনস্টাগ্রামের প্রভাব কি এখানে? আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলো স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট এর প্রোফাইল অনুযায়ী যে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন অনুরূপ অ্যাকাউন্ট করবেন ইনস্টাগ্রামে এবং সেখানে যে ছবিগুলো আপলোড করেছেন সেই একই ছবি আপলোড করবেন ইনস্টাগ্রামে। 

সে ছবি নিচে বা ডেসক্রিপশন বক্সে আপনি ছবির যাবত ইনফরমেশন সহ ক্রয় করার লিংক প্রদান করবেন। যেহেতু লোকেরা আপনার ছবিটি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক এবং ইনস্টাগ্রাম হলো ছবি ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম তাই এখানে ভালো সুযোগ রয়েছে আপনার ছবিগুলোকে সকলের সামনে তুলে ধরার। এতে করে আপনার ছবিগুলোর ক্রেতা সংখ্যা বাড়বে এবং আপনিও লাভবান হবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করুন 

দেখুন আপনি যখন একজন ইনফ্লুয়েন্সার তখন এমন কোন মাধ্যম আপনার বাকি রাখা উচিত না যে মাধ্যমগুলো  অনুসরণের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়।  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অবশ্যই জেনে থাকবেন, এটা কিছুটা স্পনশরশীপ গ্রহণ করার মতই, তবে রয়েছে কিছু ভিন্নতা। 

সেখানে যেমন এককালীন একটি পেমেন্ট করা হয়ে থাকে আপনাকে, কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যদি কোন ক্রেতাকে কনভেন্স করতে পারেন কোন প্রোডাক্ট কিংবা service গ্রহণ করার জন্য তবে সে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিবে। আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো এটি ইনকামের আওতাভুক্ত। 

ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে এই কাজটি কিভাবে করবেন? আপনি সেই প্রোডাক্ট কিংবা সেবা কে কেন্দ্র করে রিলিজ তৈরি করতে পারেন অথবা পোস্ট করতে পারেন যেখানে প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে সেটার উপকারিতা এবং কেন গ্রহণ করবে আপনার ফলোয়ার্সরা সেটা সঠিকভাবে জানাবেন, পাশাপাশি সে প্রোডাক্টের ক্রয় করার লিংক উক্ত পোস্টে দিয়ে রাখবেন। যখন আপনার ফলোয়ার্সদের মধ্যে কেউ প্রোডাক্টগুলো গ্রহণ করবে বা ক্রয় করবে আপনি নিজের মতো করে একটি কমিশন পেয়ে যাবেন। 

অন্যদের অ্যাকাউন্ট প্রোমোট করার মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করুন 

আপনার প্রোফাইলটি  যদি হয় বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচুর ফলোয়ার থাকে, তবে নতুন যারা ইনস্টাগ্রামে যুক্ত হয়েছে তাদের প্রোফাইল প্রমোট করার মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। এটা মূলত দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে ঘটে থাকে। 

মূলত যারা নতুন instagram একাউন্ট করে থাকে এবং দ্রুত রিচ যায় তাদের ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দিয়ে অ্যাকাউন্ট প্রমোট করতে হয়।  কিন্তু সকলের সেই পরিমাণ খরচ করা সক্ষমতা থাকে না বিধায় ইতিমধ্যে যাদের খুব জনপ্রিয় ইস্টাগ্রাম প্রোফাইল রয়েছে, কিছু অর্থের বিনিময় তাদের দিয়ে নিজের প্রোফাইলের প্রমোট করিয়ে নেয়। 

যদিও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার জন্য এটা অফিসিয়াল বা কার্যকর কোন উপায় নয় তবে অনেকেই মাধ্যমটি অনুসরণ করে কিছুটা উপার্জন করতে পারে ইনস্টাগ্রাম থেকে। তাই আপনার প্রোফাইলে যদি জনপ্রিয় হয়ে থাকে এবং কেউ আপনাকে প্রমাণ করার জন্য বলে তাহলে অবশ্যই সার্ভিস চার্জ ধার্য করে উঠতো কাজটি করবেন। 

নিজেই প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করুন 

নিজের যদি কোন ব্যবসা থেকে থাকে তবে উক্ত ব্যবসার পণ্য বিক্রি করার জন্য ইনস্টাগ্রাম এর মতো প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু এটা বেশ কার্যকর এবং জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তাই এখান থেকে নিজের ব্যবসার প্রোডাক্ট এর কাস্টমার খুঁজে পাওয়া খুব সহজ হবে আপনার জন্য। 

এমনটা দেখা গেছে এখন যে কয়টি কোম্পানি নিজেদের পণ্যের মার্কেটিং সংক্রান্ত কার্যক্রম করে, সে প্রত্যেকটা কোম্পানিরই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট রয়েছে। যদিও আমাদের দেশে instagram এর ব্যবহার খুব বেশি দেখা না গেলেও বাইরের দেশগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহার করে থাকে মার্কেটিংয়ের জন্য। 

উপরে এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সিপগ্রহণের মাধ্যমে যেভাবে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং এর কথা বলা হয়েছে ঠিক একই ভাবে নিজের ব্যবসার পণ্য মার্কেটিং করবেন। এটা তো মন্দ কোন কিছু নাই, বরং আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণ হবে instagram এর মাধ্যমে আয় হয়ে যাবে। 

তবে হ্যাঁ ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হলে আপনার একাউন্টে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হবে পাশাপাশি আপনি যে নির্ভরযোগ্য সেটা প্রমাণ করাতে হবে, যাতে করে কেউ পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে কোনো সংশয় না থাকে। 

IGTV ভিডিও মনিটাইজেশনের মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করুন 

আমরা সকলে জানি এই ইউটিউব এবং ফেসবুকে নিজের সব মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে সেখানে আপলোডকৃত ভিডিওর ওপর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রফিট করার ব্যবস্থা করে থাকে। তবে অনেকেই জানে না যে ইনস্টাগ্রামেও এমন একটি মনিটাইজেশন সিস্টেম রয়েছে যেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করেও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করতে পারবেন। 

তবে মূল বিষয়টি হচ্ছে এটি এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে চালু হয়নি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে সর্বশেষ যে আপডেটটুকু জানা গিয়েছে সেটা হল এই মনিটাইজেশন ইনস্ট্রিম অ্যাড এবং লাইভ ভিডিও গুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। 

তবে খানিকটা দুঃখজনক বিষয় এই যে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাডগুলো খুব শীঘ্রই দেখা মিলবে না কেননা প্রথমদিকে এটা চালু হবে আমেরিকা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, কানাডা, স্পেন এর মত কান্ট্রি গুলোতে অবশেষে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো স্থানে দেওয়া হবে। 

Live ভিডিও এর মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করুন

আপনি যদি এমন একজন হয়ে থাকেন যে কিনা ইনস্টাগ্রামে প্রতিনিয়ত লাইফ করে থাকেন এবং আপনি চাচ্ছেন কোন ভাবে লাইভ করার মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে তাহলে আপনাকে instagram এর Live Badge নামক ফিচারস টি চালু করতে হবে। 

প্রশ্ন হচ্ছে এই Live Badge জিনিসটি কি? আপনি ফেসবুকের মত লাইভে গিয়ে কমেন্টে সরাসরি কথা বলতে পারবেন না instagram এ। ক্ষেত্রে লাইভ ভিডিওতে চ্যাট করার জন্য পেইড ফিচারস টি গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি আপনার লাইফ স্টিম করতে যায় তখন তাকে Live Badge কিনে ভিডিওতে কমেন্ট করতে হবে। ঠিক তখন আপনার অ্যাকাউন্টে একটি করে স্পেশাল হার্ড জমা হতে থাকবে যার ভিত্তিতে আপনি ইনস্টাগ্রাম থেকে উপার্জন করতে পারবেন। 

একজন সাধারণ ইউজারকে Live Badge গ্রহন করে স্পেশাল হার্ট (Special Heart) ক্রয় করে নিতে হয়। জাত তুলনামূলকভাবে কিছুটা ব্যয়বহুল। নিম্মে স্পেশাল হার্ট ক্রয় করতে কত টাকা লাগবে তার কিছুটা ধারণা দেওয়া হলো: 

  • ১ টি Special Heart ক্রয় করতে ব্যয় হবে $০.৯৯ ডলার 
  • ২ টি Special Heart ক্রয় করতে ব্যয় হবে $১.৯৯ ডলার 
  • ৩ টি Special Heart ক্রয় করতে ব্যয় হবে $৪.৯৯ ডলার 

এইতো এই ছিল লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে instagram থেকে আয় করার বিষয়টি। 

পরিশেষে কিছু কথা 

অতঃপর জানানো হলো ইনস্টাগ্রাম থেকে হায় করার বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে। মূলত ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথম একজন ইনফ্লুয়েন্সার হতে হবে যার থাকতে হবে অনেক বেশি ফলোয়ার্স। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী বা ইউজার এমন কোন উপায় অবলম্বন করে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করতে পারবে না যতক্ষণ না অব্দি তার ফলোয়ার্স অনেক বেশি হয়ে উঠে। 

আপনি যদি এই instagram এ খুব ভালো সুযোগ করে উঠতে পারেন তাহলে এখান থেকে আয় করলে আপনি প্রচুর অর্থ করতে পারবেন, আর যদি তা না করতে সক্ষম হন তবে আয় করার আরো অন্যান্য বিষয় দেখতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে এমন অনেক উপায় রয়েছে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার।