অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ২

Salim Mahamud

Updated on:

অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ২
অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ২

অনলাইনে ইনকাম । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ২

আপনার চোখে যেহেতু এই আর্টিকেলটি পড়েছে, এক্ষেত্রে আপনাকে বলবো কিছুক্ষন অপেক্ষা করেন, আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা এখানে ব্যয় করেন। হলফ করে বলতে পারি, আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তার স্বয়ংসম্পূর্ণটাই জানতে পারবেন এখান থেকে। অনলাইনে ইনকাম, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়, বাছাইকৃত ও সাজ্জিত ভাবে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় সহ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় সংক্রান্ত যতসত কথা, উপদেশ ও নির্দেশনা রয়েছে তার সকল কিছুই পাবেন গুচ্ছিত ভাবে এক স্থানে।  

আপনাকে স্বাগতম Online Taka Income নামক ওয়েবসাইটে যেখানে আপনি জানতে চলেছেন এখন অব্দি সেরা সকল অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। থাকছে Huge Resource সম্পর্ণ ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক এবারের বিশেষ গাইডলাইন সংক্রান্ত আর্টিকেলটি। 

অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় 

বলছিলাম অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়ের কথা। এখানে একেক করে পাবেন ১০০ টি ইনকামের উপায়। যেহেতু এতো বেশি সংখ্যক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে সেটা উপস্থাপন করা সম্ভব নয়, তাই আমরা ভেংগে ভেংগে একাধিক আর্টিকেলে উপস্থাপন করেছি। এবং এটি আর্টিকেলটির ২য় পার্ট। এই আর্টিকেলের আরো অন্যান্য পার্ট রয়েছে যা আর্টিকেলের শেষে এবং প্রথমে পরের ও পূর্বের পার্টের লিংক দেয়া থাকবে। এবার দেখে নিন বিস্তারিত। 

১ – ২০ টি । অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় 

২১ – ৩০ টি । অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় 

আর্টিকেল রাইটিং 

আর্টিকেল রাইটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একজন লেখক একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে একটি তথ্যপূর্ণ বা প্রচারমূলক আর্টিকেল তৈরি করে। আর্টিকেল গুলো সাধারণত ব্লগ, ওয়েবসাইট, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, ইবুক ইত্যাদিতে প্রকাশিত হয়।

আর্টিকেল রাইটিং একটি জনপ্রিয় পেশা, এবং এটি থেকে ভালো আয় করা সম্ভব। 2023 সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্টিকেল রাইটারদের গড় বার্ষিক বেতন ছিল $63,170 আর বাংলাদেশের কথা বললে, বর্তমানে বাংলাদেশের লোকাল রাইটাররা বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করে থাকে। 

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের বিকাশ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের বৃদ্ধির সাথে সাথে, আরও বেশি সংখ্যক সংস্থা এবং ব্যক্তি তাদের ওয়েবসাইট, ব্লগ, এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আর্টিকেল প্রকাশ করছে। এটি আর্টিকেল রাইটারদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে। 

কপিরাইটার / কপিরাইটিং 

কপিরাইটিং হচ্ছে এমন লেখা যা কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যে কিংবা কাউকে কোনো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য লেখা হয়। যে কপিরাইটিং করে তাকে কপিরাইটার বলা হয়। একজন কপিরাইটারের কাজ হচ্ছে এমন লেখা তৈরি করা যা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং তাদেরকে পণ্য বা পরিষেবা কেনার জন্য প্ররোচিত করে।

কপিরাইটিংয়ের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • বিজ্ঞাপন কপিরাইটিং: এই ধরনের কপিরাইটিং পণ্য বা পরিষেবার বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • বিক্রয় কপিরাইটিং: এই ধরনের কপিরাইটিং পাঠকদের পণ্য বা পরিষেবা কেনার জন্য প্ররোচিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
  • ট্রাফিক কপিরাইটিং: এই ধরনের কপিরাইটিং পাঠকদের একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন সম্পদের দিকে পরিচালিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
  • ইমেল কপিরাইটিং: এই ধরনের কপিরাইটিং ইমেলের মাধ্যমে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া কপিরাইটিং: এই ধরনের কপিরাইটিং সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

একজন copywriter এর বেতন নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর, যেমন:

  • অভিজ্ঞতা
  • দক্ষতা
  • কাজের ধরন
  • কাজের স্থান

অনলাইনে একজন copywriter এর আয়ের অনেকগুলো উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১) ফ্রিল্যান্সিং: একজন copywriter ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলিতে কাজ খুঁজে পেতে পারেন, যেমন Upwork বা Fiverr। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত প্রতি ঘন্টায় 100 থেকে 200 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আর্টিকেলের সংখ্যা কিংবা ওয়ার্ড ভিত্তিক দাম নির্ধারন করা হয়ে থাকে। 

২) কন্টেন্ট মার্কেটিং এজেন্সিতে কাজ: কন্টেন্ট মার্কেটিং এজেন্সিতে কাজ করলে একজন copywriter নিয়মিত বেতন পাবেন। এজেন্সিগুলি বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য copywriterদের নিয়োগ করে, যেমন ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, ব্লগ পোস্ট, ইমেল মার্কেটিং কপি, এবং সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট।

৩) নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয়: নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করার জন্য একজন copywriter স্পনসরশিপ বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

Ghost writer 

ছায়া লেখক (Ghost writer) হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি অন্য কারো নামে বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে লেখালেখি করেন। তারা তাদের কাজের জন্য কৃতিত্ব পান না, এবং তাদের পরিচয় প্রায়ই গোপন রাখা হয়। ছায়া লেখকরা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে বই, নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, চিঠি, ইমেল ইত্যাদি।

Ghost writer কিভাবে কাজ করে?

ছায়া লেখকরা সাধারণত তাদের কাজের জন্য একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এই চুক্তিতে কাজের প্রকৃতি, মূল্য, এবং কৃতিত্বের বিষয়টি নির্ধারিত হয়। ছায়া লেখকরা প্রায়ই তাদের কাজের জন্য গবেষণা এবং সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা তাদের কাজকে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা এবং শ্রোতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য সম্পাদনা এবং প্রস্তুত করেন।

Ghost writer-দের আয়ের উৎস

ছায়া লেখকদের আয় সাধারণত তাদের কাজের প্রকৃতি এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে। বই, নিবন্ধ, এবং ব্লগ পোস্টের মতো দীর্ঘ এবং জটিল কাজের জন্য ছায়া লেখকরা বেশি অর্থ পান। ছায়া লেখকরা তাদের কাজের জন্য প্রতি ঘন্টা, প্রতি শব্দ, বা প্রতি পাতার হারে পারিশ্রমিক পেতে পারেন।

একটি সমীক্ষা অনুসারে, 2023 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ছায়া লেখকদের চাহিদা 20% বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • লেখার দক্ষতার অভাব: অনেক মানুষ তাদের লেখার দক্ষতা উন্নত করতে ছায়া লেখকদের নিয়োগ করে।
  • সময়ের অভাব: ব্যস্ত ব্যক্তিরা তাদের লেখার কাজ ছায়া লেখকদের কাছে ছেড়ে দেয়।
  • বিশেষজ্ঞ জ্ঞান: ছায়া লেখকরা প্রায়ই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান রাখেন, যা তাদের কাজকে আরও নির্ভুল এবং তথ্যপূর্ণ করে তোলে।

বাংলাদেশেও ছায়া লেখকদের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, সংস্থা, এবং ব্যক্তি ছায়া লেখকদের নিয়োগ করছে।

ই-বুক রাইটার 

ই-বুক রাইটার হলেন এমন ব্যক্তি যারা ই-বুক লিখেন। ই-বুক হল ডিজিটাল বই যা কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনে পড়া যায়। ই-বুক রাইটার বিভিন্ন বিষয়ের উপর ই-বুক লিখতে পারেন, যেমন:

  • সাহিত্য: উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক ইত্যাদি।
  • প্রযুক্তি: সফ্টওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ওয়ার্ডপ্রেস, ইত্যাদি।
  • ব্যবসা: মার্কেটিং, বিক্রয়, ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি।
  • শিক্ষা: ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইত্যাদি।
  • জীবনধারা: স্বাস্থ্য, খাদ্য, ভ্রমণ, ইত্যাদি।

E-book Writer রা তাদের কাজের জন্য বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তারা তাদের ই-বুকগুলি বিক্রি করে, অন্যদের জন্য ই-বুক লিখে বা তাদের ই-বুকগুলির জন্য বিজ্ঞাপন বিক্রি করে।

ই-বুক রাইটাররা তাদের কাজ খুঁজে পেতে বিভিন্ন উপায়ে পারেন। তারা তাদের নিজস্ব ই-বুক প্রকাশ করতে পারেন, অন্যদের জন্য ই-বুক লিখতে পারেন বা ই-বুক প্রকাশনা সংস্থার সাথে কাজ করতে পারেন।

ই-বুক রাইটারদের আয় তাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের বিশেষজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। গড়ে, একজন ই-বুক রাইটার প্রতি ই-বুকের জন্য $20 থেকে $500 পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে।

E-book Writer দের জন্য কিছু ওয়েবসাইট

  • Amazon Kindle Direct Publishing
  • Barnes & Noble Press
  • Kobo Writing Life
  • Smashwords
  • Lulu
  • IngramSpark
  • BookBaby
  • Draft2Digital

ই-বুক রাইটারদের জন্য কিছু বই

  1. How to Write an Ebook That Sells
  2. The Ultimate Guide to Self-Publishing an Ebook
  3. Ebook Writing for Dummies
  4. The Nonfiction Book Publishing Handbook
  5. The Indie Author’s Guide to Marketing and Promotion
  6. The Self-Publishing Business Plan
  7. The Ebook Copywriter’s Handbook
  8. The Ebook Design Handbook

ওয়েবসাইট এডিটর 

ওয়েবসাইট এডিটর হলো একজন পেশাদার যিনি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, ডিজাইন এবং কার্যকারিতা সম্পাদনা এবং উন্নত করার জন্য কাজ করে থাকেন। তারা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ইডিট করা, ডিজাইন করতে এবং কোড করতে পারে। ওয়েবসাইট এডিটরদের বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে পারে, তবে তাদের সাধারণত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতে হবে:

১) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট এডিটরদের ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল ধারণাগুলি বোঝা উচিত, যেমন HTML, CSS এবং JavaScript। তারা ওয়েবসাইটগুলির কোড বুঝতে এবং সম্পাদনা করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

২) কন্টেন্ট ইডিটিং: ওয়েবসাইট এডিটরদের কন্টেন্ট গুলো আকর্ষক করে তুলতে হয় এবং তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট হিসেবে সেটিকে সাজাতে হয়। তারা বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট, যেমন আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট, এবং পণ্য বিবরণ সাজাতে সক্ষম।

৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন: ওয়েবসাইট এডিটরদের ওয়েবসাইটের ডিজাইনে অবদান রাখতে সক্ষম হওয়া উচিত। তারা ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর এবং ইনডিজাইন সহ বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

৪) SEO: ওয়েবসাইট এডিটরদের ওয়েবসাইটগুলিকে সার্চ ইঞ্জিনগুলির জন্য অপ্টিমাইজ করতে সক্ষম হওয়া উচিত। তারা কীওয়ার্ড গবেষণা করতে, ওয়েবসাইটের মেটা ডেটা তৈরি করতে এবং সামগ্রীকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেইন্ডলি করে তুলতে সক্ষম হওয়া উচিত।

অনলাইনে ওয়েবসাইট এডিটর হয়ে কত টাকা আয় করা যায় তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং অবস্থান। সাধারণত, ওয়েবসাইট এডিটররা ঘন্টাপ্রতি $15 থেকে $30 এর মধ্যে উপার্জন করেন। তবে, অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ওয়েবসাইট এডিটররা প্রতি ঘন্টা $50 এরও বেশি উপার্জন করতে পারেন।

ওয়েবসাইট এডিটররা বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করতে পারেন, যেমন:

  • সাংবাদিকতা: ওয়েবসাইট এডিটররা সংবাদ ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করতে পারেন, যেখানে তারা নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট এবং অন্যান্য কন্টেন্ট তৈরি এবং সম্পাদনা করতে পারেন।
  • ই-কমার্স: ওয়েবসাইট এডিটররা ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করতে পারেন, যেখানে তারা পণ্য বিবরণ, ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং তৈরি এবং সম্পাদনা করতে পারেন।
  • অর্থনৈতিক: ওয়েবসাইট এডিটররা আর্থিক ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করতে পারেন, যেখানে তারা অর্থনৈতিক খবর, বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট তৈরি এবং সম্পাদনা করতে পারেন।
  • প্রযুক্তি: ওয়েবসাইট এডিটররা প্রযুক্তি ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করতে পারেন, যেখানে তারা নতুন প্রযুক্তি, রিভিউ এবং টিউটোরিয়াল তৈরি এবং সম্পাদনা করতে পারেন।

প্রুফ রিডার 

Prove Reader হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনও লিখিত কন্টেন্টের ভুল-ত্রুটি খুঁজে বের করে এবং সংশোধন করেন। প্রুফ রিডিং হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা প্রকাশনা, সম্পাদনা, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

প্রুফ রিডাররা সাধারণত নিম্নলিখিত কাজগুলি করে থাকেন:

  • বানান, ব্যাকরণ, এবং শব্দ ব্যবহারের ভুল সংশোধন করা
  • বাক্য গঠন এবং প্রবাহের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা
  • তথ্যের অসঙ্গতি এবং অসম্পূর্ণতাগুলি চিহ্নিত করা
  • পরিমার্জনার ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদান করা

প্রুফ রিডাররা বিভিন্ন ধরণের লিখিত কন্টেন্ট এর উপর কাজ করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • বই, নিবন্ধ, এবং অন্যান্য প্রকাশনা
  • ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অনলাইন সামগ্রী
  • বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য বিপণন সামগ্রী
  • আইনি নথি এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ

প্রুফ রিডার হতে প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • শক্তিশালী ভাষা দক্ষতা
  • বানান, ব্যাকরণ, এবং শব্দ ব্যবহারের দক্ষতা
  • বাক্য গঠন এবং প্রবাহের বোঝাপড়া
  • তথ্যের অসঙ্গতি এবং অসম্পূর্ণতাগুলি সনাক্ত করার ক্ষমতা

প্রুফ রিডাররা সাধারণত চাকরি বা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করে। চাকরি খুঁজে পেতে, প্রুফ রিডাররা প্রকাশনা সংস্থা, সম্পাদনা সংস্থা, এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিতে আবেদন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার জন্য, প্রুফ রিডাররা তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করে অনলাইন বা অন্যান্য মাধ্যমে কাজ খুঁজে পেতে পারেন। 

আইনী লেখক 

আইনী লেখক বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি আইনি দলিল, চুক্তি, আবেদনপত্র, রিপোর্ট, ইত্যাদি লিখেন। তারা আইনি জটিলতাগুলিকে বোঝার এবং সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করার দক্ষতা রাখেন। আইনী লেখক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা নিম্নরূপ:

  • আইনী জ্ঞান: একজন আইনী লেখকের অবশ্যই আইনের একটি শক্ত বোঝার থাকতে হবে। তারা আইনি ভাষা, পরিভাষা এবং প্রক্রিয়াগুলির সাথে পরিচিত হওয়া উচিত।
  • ভাষাগত দক্ষতা: একজন আইনী লেখকের অবশ্যই স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং সঠিকভাবে লিখতে সক্ষম হতে হবে। তাদের অবশ্যই প্রযুক্তিগত ভাষাকে সহজ ভাষায় অনুবাদ করতে সক্ষম হতে হবে।
  • সৃজনশীলতা: একজন আইনী লেখকের অবশ্যই আইনি জটিলতাগুলিকে বোঝার এবং সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করার জন্য সৃজনশীল হতে হবে।
  • যোগাযোগ দক্ষতা: একজন আইনী লেখকের অবশ্যই গ্রাহকদের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হতে হবে।

আইনী লেখকদের চাকরির বাজার ক্রমবর্ধমান। তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন, যেমন আইন firms, কর্পোরেশন, সরকারী সংস্থা, ইত্যাদি। আইনী লেখকরা তাদের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পরিমাণে উপার্জন করতে পারেন। অনলাইনে কাজ পাওয়ার জন্য আইনী লেখকরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।

আইনী লেখক হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  1. আইনের ডিগ্রি অর্জন: আইনী লেখক হওয়ার জন্য একটি আইনের ডিগ্রি থাকা একটি সুবিধা। তবে, একটি আইনের ডিগ্রি ছাড়াও, আইনি লেখক হওয়ার জন্য অন্যান্য কোর্স বা প্রোগ্রামগুলি সম্পন্ন করা যেতে পারে।
  2. আইনি অভিজ্ঞতা অর্জন: আইনি লেখক হওয়ার জন্য আইনি অভিজ্ঞতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। আইনি সহকারী বা আইনজীবী হিসাবে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যেতে পারে।
  3. দক্ষতা বিকাশ: আইনি লেখক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। আইনি ভাষা, পরিভাষা এবং প্রক্রিয়াগুলির উপর দক্ষতা অর্জন করা উচিত।
  4. নেটওয়ার্কিং: আইনি লেখক হওয়ার জন্য নেটওয়ার্কিং গুরুত্বপূর্ণ। আইনজীবী, আইনি সহকারী এবং অন্যান্য আইন পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করে কাজের সুযোগ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

CV or Resume Writer  

CV or Resume Writer বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি অন্যদের জন্য CV বা Resume তৈরি করেন। CV হলো একটি ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম অভিজ্ঞতা, এবং দক্ষতাসমূহের একটি বিবরণ। Resume হলো একটি সংক্ষিপ্ত CV যা সাধারণত চাকরির আবেদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সিভি অথবা Resume Writer এর কাজ হলো একজন ব্যক্তির CV বা Resume তৈরি করা যাতে তা আকর্ষণীয়, তথ্যপূর্ণ, এবং নির্দিষ্ট চাকরির জন্য উপযুক্ত হয়। তারা ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম অভিজ্ঞতা, এবং দক্ষতাসমূহকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যাতে তা নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

CV or Resume Writer এর কাজের জন্য যেসব প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে ভালো সেগুলো হলো:

  • Upwork
  • Fiverr
  • Freelancer
  • PeoplePerHour
  • Guru

এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে CV or Resume Writer এর জন্য প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুসারে কাজ খুঁজে পেতে পারেন।

CV or Resume Writer এর কাজ করে কত টাকা আয় করা যায় তা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের পরিমাণের উপর। সাধারণত, CV or Resume Writer প্রতিটি CV বা Resume এর জন্য $20 থেকে $50 এর মধ্যে আয় করতে পারেন। তবে, যদি আপনি একজন অভিজ্ঞ CV or Resume Writer হন এবং আপনি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে আপনি প্রতিটি CV বা Resume এর জন্য আরও বেশি আয় করতে পারেন।

একাডেমিক রাইটার 

একাডেমিক রাইটার হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি একাডেমিক লেখার উপর দক্ষ। একাডেমিক লেখা হল এমন নন-ফিকশন লেখা যা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গবেষণা এবং বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। একাডেমিক রাইটাররা বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক লেখার কাজ করে থাকেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • গবেষণা প্রবন্ধ
  • থিসিস
  • ডিসসার্টেশন
  • বই
  • নিবন্ধ
  • পর্যালোচনা
  • আর্টিকেল

একাডেমিক রাইটারদের কাজ হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য এবং ধারণা গুলিকে সুসংগত এবং বোধগম্য উপায়ে প্রকাশ করা। তারা গবেষণা পরিচালনা করে, তথ্য সংগঠিত করে, এবং তাদের কাজকে একাডেমিক লেখার মান এবং স্ট্যাইল অনুসারে লেখে।

একাডেমিক রাইটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাগুলি হল:

  • উচ্চ স্তরের লিখিত যোগ্যতা
  • গবেষণা এবং বিশ্লেষণের দক্ষতা
  • একাডেমিক লেখার জ্ঞান
  • নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা

একাডেমিক রাইটাররা বিভিন্ন সংস্থাগুলিতে কাজ করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • বিশ্ববিদ্যালয়
  • গবেষণা প্রতিষ্ঠান
  • প্রকাশনা সংস্থা
  • কর্পোরেশন

বাংলাদেশে একাডেমিক রাইটারদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন গবেষণা প্রকল্পের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে একাডেমিক লেখার জন্য চাহিদা বাড়ছে। এছাড়াও, কর্পোরেশনগুলি তাদের ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করার জন্য একাডেমিক গবেষণার উপর নির্ভর করছে, যা আরও একাডেমিক রাইটারদের চাহিদা সৃষ্টি করছে।

প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটার

প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটার হলো এমন ব্যক্তি যারা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের রিভিউ লিখে থাকেন। এই রিভিউ গুলোতে তারা পণ্যের গুণমান, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং অসুবিধা তুলে ধরে। প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটাররা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পণ্যের রিভিউ লিখে থাকেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • প্রযুক্তি পণ্য, যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি, ক্যামেরা ইত্যাদি
  • ইলেকট্রনিক পণ্য, যেমন ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি
  • ফ্যাশন পণ্য, যেমন পোশাক, জুতা, গয়না ইত্যাদি
  • খাদ্য এবং পানীয়
  • স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য পণ্য

প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটারদের কাজ হল পণ্যের একটি বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ মূল্যায়ন প্রদান করা। এই রিভিউগুলি গ্রাহকদের পণ্যগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে এবং তাদের জন্য সঠিক পণ্যটি বেছে নিতে সাহায্য করে।

প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটাররা সাধারণত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে রিভিউ লিখে থাকেন:

  1. পণ্যটি সম্পর্কে গবেষণা করে।
  2. পণ্যটি ব্যবহার করে দেখে।
  3. পণ্যের গুণমান, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি তুলে ধরে।
  4. পণ্যটিকে একটি সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য সুপারিশ করে।

প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটারদের জন্য অনলাইনে অনেক সুযোগ রয়েছে। অনেক ওয়েবসাইট এবং ব্লগ প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটারদের জন্য কাজের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এছাড়াও, অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটারদের জন্য কাজ পাওয়া যায়।

প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটারদের আয় তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটাররা প্রতিটি রিভিউর জন্য 100 থেকে 500 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে তারা ভাষাগত পার্থক্যের কারণে কম বেশি আয় করতে সক্ষম। 

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য এটা অনেক বড় একটা সুযোগ কেননা বর্তমানে পণ্যের সংখ্যার বৃদ্ধির পাশাপাশি সেসব পণ্য সম্পর্কে মানুষের জানতে চাওয়ার আগ্রহও বাড়ছে। 

৩১ – ৪০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় 

ভয়েস ওভার 

ভয়েস ওভার হল একটি শিল্প যেখানে একজন ব্যক্তি একটি স্ক্রিপ্ট বা টেক্সট পড়ে এবং তার কণ্ঠস্বর দিয়ে একটি ভিডিও, অ্যানিমেশন, অডিওবুক, বা বিজ্ঞাপনের মতো একটি মিডিয়াতে অভিনয় করে। ভয়েস ওভার শিল্পীরা বিভিন্ন ধরণের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতে পারেন, যেমন কথোপকথন, নাটকীয়, বা কার্টুনিশ।

ভয়েস ওভারকারীরা বিভিন্ন ধরণের শিল্পে কাজ করতে পারে, যেমন:

  • ভিডিও গেম: ভিডিও গেমগুলিতে, ভয়েস ওভারকারীরা চরিত্রগুলির জন্য কণ্ঠস্বর প্রদান করে।
  • সিনেমা ও টিভি: সিনেমা ও টিভিতে, ভয়েস ওভারকারীরা অ্যানিমেটেড চরিত্রগুলির জন্য কণ্ঠস্বর প্রদান করে।
  • অডিওবুক: অডিওবুকে, ভয়েস ওভারকারীরা বইগুলিকে শব্দে রূপান্তর করে।
  • বিজ্ঞাপন: বিজ্ঞাপনে, ভয়েস ওভারকারীরা পণ্য বা পরিষেবাগুলির প্রচার করে।
  • শিক্ষামূলক ভিডিও: শিক্ষামূলক ভিডিওতে, ভয়েস ওভারকারীরা তথ্য প্রদান করে।
  • পোডকাস্ট: পোডকাস্টে, ভয়েস ওভারকারীরা পাঠকদের সাথে কথা বলে।

Voice Over কারীরা সাধারণত একটি মাইক্রোফোন এবং একটি রেকর্ডিং প্রোগ্রাম ব্যবহার করে তাদের কাজ করে। তারা প্রায়ই একটি শব্দ-নিরোধক কক্ষে রেকর্ডিং করে যাতে তাদের কণ্ঠস্বরকে পরিবেশগত শব্দ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।

অনলাইনে ভয়েস ওভার করে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় উপায় হল:

  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলি, যেমন Upwork এবং Fiverr, ভয়েস ওভারকারীদের নতুন কাজ খুঁজে পেতে একটি দুর্দান্ত জায়গা।
  • ভয়েস ওভার এজেন্সি: ভয়েস ওভার এজেন্সিগুলি ভয়েস ওভারকারীদের কাজ খুঁজে পেতে এবং ক্লায়েন্টদের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করতে পারে।

অনলাইনে ভয়েস ওভার করে কত টাকা আয় করা যায় তা নির্ভর করে আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কাজের প্রকৃতির উপর। সাধারণত, ভয়েস ওভারকারীরা প্রতি মিনিট হিসেবে নিজেদের চার্জ ধার্য করে থাকে। লোকাল মার্কেট থেকে শুরু করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ভয়েস ওভার দেয়া একটি ভালো উপায়, যদি আপনার ভয়েস আকর্ষনীয় এবং শ্রুতিমধুর হয়। 

ড্রপশিপিং 

ড্রপশিপিং হলো একটি খুচরা ব্যবসার মডেল যেখানে বিক্রেতা তার নিজস্ব স্টকে কোনো পণ্য রাখে না। যখন একজন গ্রাহক একটি পণ্যের জন্য অর্ডার দেয়, তখন বিক্রেতা সেই অর্ডারটি একটি তৃতীয় পক্ষের সরবরাহকারীকে পাঠায়, যা পণ্যটি সরাসরি গ্রাহকের কাছে প্রেরণ করে। বিক্রেতা শুধুমাত্র পণ্যের দামের ওপর মুনাফা করে, যা সরবরাহকারীর মূল্য থেকে কম।

Drop Shipping কিভাবে করে?

ড্রপশিপিং শুরু করতে, আপনাকে একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে হবে যাতে আপনি পণ্যগুলি বিক্রি করতে পারেন। আপনি একটি ড্রপশিপিং সরবরাহকারীর সাথেও একটি চুক্তি করতে হবে যা আপনাকে পণ্যগুলি সরবরাহ করবে।

একবার আপনার স্টোর এবং সরবরাহকারী থাকলে, আপনি পণ্যগুলি আপনার স্টোরে তালিকাভুক্ত করতে শুরু করতে পারেন। যখন একজন গ্রাহক একটি পণ্যের জন্য অর্ডার দেয়, তখন আপনি সেই অর্ডারটি সরবরাহকারীকে পাঠাবেন। সরবরাহকারী পণ্যটি প্যাক করে এবং সরাসরি গ্রাহকের কাছে প্রেরণ করবে।

ড্রপশিপিং করে আয় করার দুটি প্রধান উপায় রয়েছে:

  • পণ্যের দামের ওপর মুনাফা করা: আপনি সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্যটি কিনে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা করতে পারেন।
  • পণ্যের পরিমাণে উপর কমিশন করা: আপনি সরবরাহকারীর সাথে একটি কমিশন-ভিত্তিক চুক্তি করতে পারেন, যেখানে আপনি প্রতিটি বিক্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

ড্রপশিপিং ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য একটি ভাল মার্কেট স্ট্রেটেজি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অবশ্যই একটি লক্ষ্য শ্রোতা নির্বাচন করতে হবে এবং আপনার পণ্যগুলি তাদের চাহিদা পূরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনাকে আপনার পণ্যগুলিকে সঠিকভাবে বাজারজাত এবং প্রচার করতে হবে যাতে লোকেরা সেগুলি সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেগুলি কিনতে আগ্রহী হয়।

ড্রপশিপিং বাংলাদেশের জন্য একটি আকর্ষণীয় ব্যবসার সুযোগ কারণ এটি একটি স্বল্প-ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসার মডেল। বিক্রেতাদের তাদের নিজস্ব স্টক বা পরিবহন ব্যবস্থা স্থাপন করার প্রয়োজন হয় না, যা ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনা করা সহজ করে তোলে।

হ্যান্ড ক্রাফটিং 

হ্যান্ড ক্রাফটিং হল একটি শিল্প যেখানে হাত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল জিনিস তৈরি করা হয়। হ্যান্ড ক্রাফটিং এর মধ্যে রয়েছে কাঠের কাজ, কাগজের কাজ, পোশাক তৈরি, গয়না তৈরি, এবং আরও অনেক কিছু।

হ্যান্ড ক্রাফটিং একটি ব্যবসায়িক মডেল হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মডেলে, একজন হ্যান্ড ক্রাফ্টার তার তৈরি জিনিসগুলি বিক্রি করে আয় করে। হ্যান্ড ক্রাফটিং ব্যবসায়ের জন্য অনলাইন একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হ্যান্ড ক্রাফ্টাররা তাদের তৈরি জিনিসগুলি বিশ্বব্যাপী বিক্রি করতে পারে।

হ্যান্ড ক্রাফটিং ব্যবসায়ের জন্য সফল হওয়ার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১) একটি ভালো পণ্য তৈরি করা: হ্যান্ড ক্রাফটিং ব্যবসায়ের মূল হল একটি ভালো পণ্য তৈরি করা। পণ্যটি আকর্ষণীয় এবং মানের হতে হবে।

২) একটি ভালো মার্কেটিং কৌশল তৈরি করা: হ্যান্ড ক্রাফটিং পণ্যগুলিকে বিক্রি করার জন্য একটি ভালো মার্কেটিং কৌশল প্রয়োজন। এই কৌশলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, এবং অন্যান্য মার্কেটিং কৌশল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

৩) সঠিক দামে পণ্য বিক্রি করা: হ্যান্ড ক্রাফটিং পণ্যগুলির দাম তাদের তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ এবং শ্রমের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা উচিত। 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হ্যান্ড ক্রাফটিং ব্যবসায়ের আয়ের সম্ভাবনা ভালো। যুক্তরাষ্ট্রে, হ্যান্ড ক্রাফটিং ব্যবসায়ের আয় ২০২৩ সালে $৩৭ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও হ্যান্ড ক্রাফটিং ব্যবসার সম্ভাবনা ভালো।

বিশেষ করে বর্তমানে প্রিয় মানুষদের বিশেষ দিন গুলোতে হ্যান্ড ক্রাফটিং এর একেকটা জিনিস উপহার দেয়ার প্রবনতা বেড়ে চলেছে। যা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই করা হচ্ছে। ফেসবুকে এমন অনেক পেজ পাওয়া যায় যেখানে এসব কাজের অর্ডার গ্রহন ও ডেলিভার করা হয়। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি অনলাইন মার্কেটিং মডেল যেখানে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন পায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির সাথে একটি অংশীদারিত্ব গঠন করে এবং সেই কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবার জন্য লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপন তৈরি করে। যখন কেউ সেই লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবাটি কিনলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়।

এই মার্কেটিং তিনটি পক্ষের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক:

১) মার্চেন্ট: একজন পণ্য বা পরিষেবা প্রদানকারী যিনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সাথে অংশীদারিত্ব করে।

২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার: একজন ব্যক্তি বা সংস্থা যিনি মার্চেন্টের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন পায়।

৩) কাস্টমার: একজন ব্যক্তি যিনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবাটি কিনেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাধারণত তিনটি ধাপ নিয়ে কাজ করে:

  1. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের পছন্দের কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করে। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য সাধারণত একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া থাকে।
  1. লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপন তৈরি: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবার জন্য লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপন তৈরি করে। এই লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপনগুলি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা যেতে পারে।
  1. বিক্রয় তৈরি: যখন কেউ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবাটি কিনলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়।

অনলাইনে ইনকাম করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় উপায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি তার পছন্দের পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে অন্যদের সাথে শেয়ার করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। একটি সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রতি মাসে হাজার হাজার বা এমনকি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে।

বাংলাদেশে থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হল:

  • আমাজন অ্যাফিলিয়েট
  • দারাজ অ্যাফিলিয়েট
  • ইভ্যালি অ্যাফিলিয়েট
  • Shopbop অ্যাফিলিয়েট
  • Flipkart অ্যাফিলিয়েট
  • AliExpress অ্যাফিলিয়েট
  • Clickbank অ্যাফিলিয়েট
  • CJ Affiliate
  • ShareASale

এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা বিভিন্ন ধরণের পণ্য এবং পরিষেবার জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম খুঁজে পেতে পারেন।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং  

বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প। এই কৌশলটি ব্র্যান্ডগুলিকে তাদের লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং তাদের পণ্য বা পরিষেবাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। প্রভাবশালীরা তাদের অনুগামীদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে এবং একটি জনপ্রিয় অনলাইন ব্যক্তিত্ব হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলতে ব্র্যান্ডের পণ্য বা পরিষেবাগুলির একটিকে প্রচার করার জন্য একটি ব্র্যান্ড এবং একটি অনলাইন প্রভাবকের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বকে বোঝায়। প্রভাবশালীরা হলেন এমন ব্যক্তিরা যাদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে একটি বড় অনুসরণ রয়েছে, যাদের ক্রয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অনুগামীরা প্রভাবিত করে।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং অনলাইনে আয় করার জন্য একটি জনপ্রিয় উপায়। প্রভাবশালীরা তাদের অনুগামীদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন বিভিন্ন উপায়ে, যার মধ্যে রয়েছে:

১) স্পনসরশিপ: একটি ব্র্যান্ড তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য প্রভাবশালীকে অর্থ প্রদান করে।

২) এফিলিয়েট মার্কেটিং: প্রভাবশালীরা তাদের অনুগামীদের একটি লিঙ্ক শেয়ার করে একটি কমিশন উপার্জন করে, যা ব্যবহারকারীরা পণ্য বা পরিষেবা কেনার সময় ব্যবহার করে।

৩) পণ্য বিক্রয়: প্রভাবশালীরা তাদের নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর সম্ভাবনা ব্যাপক। এই কৌশলটি ব্র্যান্ডগুলিকে তাদের লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং তাদের পণ্য বা পরিষেবাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর উপায়ও হতে পারে যাতে প্রভাবশালীরা অনলাইনে আয় করতে পারে।

আমরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর দিকে লক্ষ্য করি সেখানে দেখা যায় অসংখ্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ছড়াছড়ি। আপনি যদি সোশ্যাল সাইট গুলোতে জনপ্রিয় একজন হয়ে থাকেন তবে আপনিও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

বুক ডিজাইনার 

Book Designer হলেন একজন পেশাদার ডিজাইনার যিনি বইয়ের মোড়ক, অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠা, এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন। তারা বইয়ের কন্টেন্ট এবং দর্শকদের পছন্দের উপর ভিত্তি করে একটি আকর্ষণীয় এবং কার্যকরী ডিজাইন তৈরি করে।

বুক ডিজাইন করে কিভাবে আয় করে?

বুক ডিজাইনাররা বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন। এ কাজে তারা প্রকাশনা সংস্থা, লেখক, বা ব্যক্তিগত গ্রাহকদের জন্য কাজ করতে পারে। তারা তাদের ডিজাইন বিক্রি করে, তাদের হয়ে চাকরি করে আবার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে অর্ডার ভিত্তিক কাজ করার মাধ্যমে আয় করে থাকে। 

অনলাইনে বুক ডিজাইনার হয়ে আয় করার জন্য বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি লেখক এবং প্রকাশকদের ডিজাইনারদের সাথে সংযোগ করার সুযোগ করে দেয়। এখানে কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানানো হলো:

এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে, ডিজাইনাররা তাদের কাজের জন্য একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারে এবং লেখক বা প্রকাশকদের কাছ থেকে কাজের জন্য অর্ডার পেতে পারে।

একজন বুক ডিজাইনার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা হলো:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন দক্ষতা
  • কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা
  • সৃজনশীল চিন্তাভাবনা
  • যোগাযোগ দক্ষতা

এক্ষেত্রে বুক ডিজাইনাররা সাধারণত Adobe InDesign, Photoshop, এবং Illustrator ব্যবহার করেন। বুক ডিজাইনার হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

১) গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখুন। আপনি একটি অনলাইন কোর্স বা একটি কলেজে ডিগ্রি নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন।

২) আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করুন। আপনার কাজের একটি নমুনা দেখানোর জন্য একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন।

৩) আপনার দক্ষতা বিপণন করুন। আপনার পোর্টফোলিও অনলাইনে শেয়ার করুন এবং লেখক এবং প্রকাশকদের সাথে যোগাযোগ করুন।

এডোবি আফটার ইফেক্ট স্পেশালিস্ট 

এডোবি আফটার ইফেক্টস (AE) হল একটি শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস সফ্টওয়্যার যা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য মিডিয়াতে ব্যবহৃত হয়। AE স্পেশালিস্টরা এই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করে, যেমন:

  • 3D মডেলিং এবং অ্যানিমেশন
  • ভিডিও কম্পোজিশন
  • ভিডিও সম্পাদনা
  • ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস
  • ভিডিও প্রোডাকশন

AE স্পেশালিস্টদের জন্য চাকরির সুযোগগুলি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন, ভিডিও গেম এবং অন্যান্য মিডিয়া শিল্পে পাওয়া যায়। AE স্পেশালিস্টদের বেতন তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশে, AE স্পেশালিস্টদের জন্য চাকরির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে অনেক চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং বিজ্ঞাপন কোম্পানি AE স্পেশালিস্টদের নিয়োগ দিচ্ছে।  

AE স্পেশালিস্ট হতে চাইলে, আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  • এডোবি আফটার ইফেক্টস সফ্টওয়্যারের উপর একটি কোর্স করুন।
  • ভিডিও সম্পাদনা এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস সম্পর্কে অনলাইনে বা বই থেকে শিখুন।
  • আপনার কাজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
  • AE স্পেশালিস্টদের জন্য চাকরির জন্য আবেদন করুন।

তাছাড়া অনলাইনে এডোবি আফটার ইফেক্ট স্পেশালিস্ট হয়ে আয় করতে চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে একাউন্ট খুলে এই বিষয়ক গিগ করতে পারেন। 

এডোবি InDesign এক্সপার্ট 

এডোবি InDesign একটি পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রকাশনা অ্যাপ্লিকেশন যা পেশাদার প্রিন্ট এবং ডিজিটাল প্রকাশনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি শক্তিশালী টুল যা ব্যবহারকারীদের বই, ব্রোশার, ম্যাগাজিন, পোস্টার, ওয়েবসাইট এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করতে দেয়।

একটি এডোবি InDesign এক্সপার্ট হল একজন ব্যক্তি যিনি এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে দক্ষ। তারা অ্যাপ্লিকেশনের সমস্ত বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে জানে এবং এটি ব্যবহার করে উচ্চ-মানের নকশা তৈরি করতে সক্ষম।

এডোবি InDesign এক্সপার্ট হয়ে অনলাইনে আয় করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে হবে। আপনি বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল থেকে শিখতে পারেন। আপনি আপনার কাজের একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন যা ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে। এবং আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলিতে কাজের জন্য বিড করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলি যেমন Upwork, Fiverr, এবং Freelancer.com এ কাজের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটগুলিতে বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য পোস্ট করা হয়, যেমন বই, ব্রোশার, ম্যাগাজিন, পোস্টার, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ডিজাইন করা। আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কাজের জন্য বিড করতে পারেন।

এনিমেটর / এনিমেশন ক্রিয়েটর 

একজন এনিমেটর হল একজন শিল্পী যিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এবং অ্যানিমেশন তৈরিতে দক্ষ। তারা কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, ভিডিও গেম, বিজ্ঞাপন, এবং অন্যান্য মিডিয়াতে ব্যবহৃত অ্যানিমেটেড চিত্র তৈরি করে।

এনিমেটররা বিভিন্ন ধরণের অ্যানিমেশন তৈরি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • টু-ডি অ্যানিমেশন: এটি হল একটি ধরণের অ্যানিমেশন যাতে চিত্রগুলিকে লাইন, রঙ, এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।
  • থ্রি-ডি অ্যানিমেশন: এটি হল একটি ধরণের অ্যানিমেশন যাতে চিত্রগুলিকে তিনটি মাত্রায় তৈরি করা হয়।
  • স্টপ-ফ্রেম অ্যানিমেশন: এটি হল একটি ধরণের অ্যানিমেশন যাতে জীবন্ত বস্তু বা মডেলগুলিকে ছবিতে ক্যাপচার করা হয় এবং তারপর সেগুলিকে একটি নির্দিষ্ট গতিতে একে অপরের সাথে একত্রিত করা হয়।
  • কম্পিউটার-জেনারেটেড অ্যানিমেশন (সিজিএ): এটি হল একটি ধরণের অ্যানিমেশন যা কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

এনিমেটররা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • মূল অ্যানিমেটর: তারা একটি দৃশ্যের জন্য মূল ফ্রেমগুলি তৈরি করে, যা অ্যানিমেশনের keyframes হিসাবে পরিচিত।
  • ইন্টারলেভিং অ্যানিমেটর: তারা মূল ফ্রেমের মধ্যে ফ্রেমগুলি যোগ করে অ্যানিমেশনকে আরও মসৃণ করে তোলে।
  • বডি অ্যানিমেটর: তারা চরিত্রগুলির শারীরিক আন্দোলন তৈরি করে।
  • মুখের অভিব্যক্তি অ্যানিমেটর: তারা চরিত্রগুলির মুখের অভিব্যক্তি তৈরি করে।
  • অ্যাকশন অ্যানিমেটর: তারা অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলি তৈরি করে।
  • ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট অ্যানিমেটর: তারা অ্যানিমেশনে অতিরিক্ত ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট যোগ করে।

একজন এনিমেটর হতে হলে নিম্নলিখিত দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকা প্রয়োজন:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অ্যানিমেশনের জ্ঞান
  • কম্পিউটার সফ্টওয়্যারের দক্ষতা
  • সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি
  • ধৈর্য এবং অধ্যবসায়

বাংলাদেশে এনিমেশন একটি বাণিজ্যিক শিল্পে পরিণত হয়েছে। তাই এখানে ভালো করার সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে। একই ব্যাপার হবে অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রেও। 

ডিজিটাল আর্টিস্ট 

ডিজিটাল আর্টিস্ট বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝায় যারা ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে শিল্প তৈরি করে। এটিতে কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে তৈরি করা যেকোনো ধরণের শিল্প অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ডিজিটাল শিল্পের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিওগ্রাফি
  • অ্যানিমেশন
  • কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজ
  • মোবাইল অ্যাপস
  • ওয়েবসাইট
  • সঙ্গীত
  • সাহিত্য
  • চলচ্চিত্র

ডিজিটাল শিল্প তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরণের সফ্টওয়্যার এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু জনপ্রিয় সফ্টওয়্যারের মধ্যে রয়েছে Adobe Photoshop, Illustrator, InDesign, Premiere Pro, After Effects এবং Maya।

এই ধরণের লোকেরা নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রোফেশনাল ভাবে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা অনলাইনে এবং অফলাইনে উভয় ভাবেই কাজ পেয়ে যায়। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো এদের সেরা পছন্দ। অন্যদিকে তারা বিভিন্ন এজেন্সির সাথে কোলাব করেও কাজ করে থাকে। পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চাকরি করেও আয় করে থাকে। 

ইনকাম করার ১০০ টি সহজ উপায় বিষয়ক আর্টিকেলের পরের পার্ট গুলো:

২১ – ৪০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ১

৪১ – ৬০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ৩

৬১ – ৮০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ৪

৮১ – ১০০ টি । ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় । পার্ট ৫