প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় 

Salim Mahamud

Updated on:

প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় 
প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় 

প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় 

আপনি কি প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় খুজছেন? অনলাইন থেকে আয় করা খুব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে? যেকোনো ভাবেই হোক, অনলাইনে ঘরে বসেই আয় করতে চাচ্ছেন প্রতিদিন ১ হাজার টাকা? তাহলে আপনি সঠিক স্থানেই রয়েছেন। এই আর্টিকেলে জানানো হবে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়। তাই কথা না বাড়িয়ে আসুন জেনে নেই অনলাইনে আয়ের রাজ্যের রহস্য গুলো। 

সত্যিই কি প্রতিদিন প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব?  

টেকনিক্যালি ভাবতে গেলে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এটা আহামরি বড় কোনো ব্যাপার না। তবে বাস্তবিক অর্থে সহজ হলেও এটা বেশ কঠিন একটি পদক্ষেপ। কেননা আজকাল দৈনিক ১০০০ টাকা করে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা খুব সহজ কোনো কাজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন দক্ষতার সাথে কাজ করা, স্পেসিফিক বিষয়ের উপর ডেডিকেশন রাখা ও প্রচুর পরিশ্রম করা। 

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটে এবারের আর্টিকেলে আপনার কাছে উপস্থাপন করবো প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়। তাই আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই মূল বিষয়ে। 

প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ 

এই পর্যায়ে আমরা ১০ টি কাজের ধরণ সিলেক্ট করেছি যার মধ্যে প্রতিটি কোনো না কোনো বিষয়ে দক্ষতাকে প্রোমোট করে। এমন কোনো উপায় নেই যেটা থেকে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করা যাবে এবং কোনো প্রকার দক্ষতা লাগবে না। তাই রিওয়ার্ড পেতে হলে প্রথমে তো পরিশ্রম করতেই হবে। এর জন্য নিম্মের দেয়া উপায় গুলোর মধ্যে আপনার যদি কোনোটি ভালো লাগে তবে সেটা আকড়ে ধরুন এবং সে সেক্টরে নিজেকে স্কিলড করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করুন। 

Note: এখানে উপস্থাপিত উপায় গুলোর মাধ্যমে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে আয় করতে সক্ষম হবেন সে বিষয়েও বিস্তারিত টিউটরিয়াল প্রদান করা আছে আমাদের ওয়েবসাইটে। তাই অবশ্যই ওয়েবসাইটটিতে সাবস্ক্রাইব করুন, অথবা সেভ করে রাখুন। এবার যাওয়া যাক মূল কন্টেন্টে। 

ব্লগিং (Blogging) 

ব্লগ থেকে ব্লগিং এবং যে ব্লগ করে তাকে বলা হয় ব্লগার। এখন বিষয়টা হচ্ছে এই ব্লগিং কি? ব্লগিং হলো এমন এক ধরনের কাজ যেটা করলে পুরো বিশ্বকে আপনার দক্ষতাকে দেখাতে পারবেন। ব্যাসিক ভাবে ব্লগিং হলো ওয়েবসাইটে নিজের দক্ষতার উপরে ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট প্রদান করা যা দ্বারা ট্রাফিক বা ভিজিটর উপকৃত হয়। ব্লগ মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ব্লগ থেকে প্রচুর পরিমাণের প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব। 

প্রতিনিয়ত দক্ষতার সাথে কাজ করতে থাকলে কিছু দিন বা মাসের মধ্যে আপনি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা অব্দি নিশ্চিত আয় করতে সক্ষম হবেন। শুধু তাই নয়, ব্লগিং করে আয়ের কোনো নির্ধারিত মাত্রা নেই। এমন প্রচুর লোকজন রয়েছে যারা কেবল ব্লগিং করেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। 

ব্লগিং বিষয়ক আমাদের ওয়েবসাইটে আলাদা একটা ক্যাটাগরি করা আছে, যেখানে ব্লগিং কি সে বিষয় থেকে শুরু করে ব্লগিং করে আয় করার In-deep আলোচনা করা হয়েছে। ব্লগিং করতে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি জন্য নিদিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বাছাই করে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে পেক্ষিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ফিচার্স সম্পন্ন সাইট গুলো হলো: 

আপনি যেকোনো একটি প্ল্যাটর্মের উপর ভিত্তি করেই ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইনের জন্য এখানে ক্লিক করুন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) 

মার্কেটিং করতে ভালো লাগে? এই কাজে নিজেকে পার্ফেক্ট এবং দক্ষ মনে করেন? পাশাপাশি যাচ্ছে ক্যাসি একটা কাজ করে টাকা ইনকাম করতে? এক্ষেত্রে আপনার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজটা দারুন পছন্দ হতে পারে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কমিশন ভিত্তিক একটা কাজ যেখানে আপনাকে অন্য কোম্পানির সার্ভিস বা পণ্য বিক্রি করিয়ে দিতে হবে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আপনার করণীয় কাজটা হলো – কোনো ভাবে কাস্টমারকে বুজিয়ে পণ্য বা সেবা গ্রহন করাতে হবে। যখন কেউ আপনার রেফারে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে তখন সেখান থেকে আপনাকে কমিশন দেয়া হবে। 

এবার কথা হচ্ছে প্রতিদিন ১০০০ টাকা কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন? দেখুন, এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা ইনফ্লুয়েন্সার হতে হবে কিংবা ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন ইন করতে হবে। তবে প্রথম দিকে কাঙ্খিত ফলাফল না পেতে পারেন। তবে দীর্ঘ কালীন প্রজেক্ট হিসেবে দেখলে এটা প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে বেশ কার্যকর।  

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য বর্তমানে আন্তর্জাতিক মার্কেটে আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট, আলিএক্সপ্রেস এর মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলো। অন্যদিকে, বাংলাদেশি গ্রাহকের জন্য দারাজ, বিডিশপ, চাল-ডাল এর মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলো ভালো হয়ে থাকে। 

কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writting) 

অবশ্যই সম্ভব। যদি আপনি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, কন্টেন্ট রাইটিং একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। তাই, আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে এবং আপনার কাজের মানকে সর্বোচ্চ রাখতে হবে।

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কেবল লেখাগত দক্ষতাই যথেষ্ট হবে না। লিখতে পারে সবাই কিন্তু সকল লেখা মানসম্মত হয় না। একজন কন্টেন্ট রাইটারকে লেখার দক্ষতা রাখার পাশাপাশি SEO, Keyword Research এর মত ক্ষেত্র গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হয়। তাছাড়া একজন কন্টেন্ট রাইটারকে অবশ্যই স্পেসিফিক বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্মত হতে হবে। 

আপনি যখন একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করছেন এবং নিদিষ্ট নিশ নিয়ে এগোচ্ছেন তখন উক্ত নিশের সকল বিষয়ে ভালোভাবে অধ্যায়ন করতে হবে পাশাপাশি যথাযথ রিসার্চ করার মত সক্ষমতা রাখতে হবে। আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটার পেতে চান আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লিখার জন্য তবে এখানে ক্লিক করুন। 

যাই হোক, কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে দৈনিক ১০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। বিশেষ করে আপনি যখন ইংরেজি ভাষায় আর্টিকেল লিখবেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে গিগ করার মাধ্যমে ক্লাইয়েন্ট জোগার করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজের জন্য ভালো মার্কেটপ্রেস হলো: 

  • Upwork
  • Fiverr
  • Freelancer
  • PeoplePerHour
  • Guru
  • ProBlogger
  • Contently
  • Scripted
  • Textbroker
  • Constant Content

প্রশ্ন হচ্ছে, এসব সাইটে ঠিক কি ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ পাওয়া যায়, তাইনা? কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনার কাজ যেগুলো হবে তা হলো: 

  • ব্লগ পোস্ট
  • আর্টিকেল
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
  • কপিরাইট
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
  • ইমেল মার্কেটিং কন্টেন্ট

এখন বলি কাজ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণের থাকে তবে কত টাকা আয় করতে পারবেন। এই বিষয়ে বললে যদি আপনি বাংলা কন্টেন্ট রাইটার হোন আর দৈনিক ৫ থেকে ৮ ঘন্টা কাজ করতে পারেন তবে দৈনিক ৮০০০ – ১০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে যদি ইংরেজি কন্টেন্ট রাইটার হোন আর একই ঘন্টায় কাজ করেন তবে ১০০০ – ১৫০০০ টাকা অব্দি আয় করতে পারবেন ক্ষেত্র বিশেষে। তবে কাজের জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষতার শীর্ষ অবস্থান দেখাতে হবে।  

ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) 

প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে লিস্টে না রাখলে তালিকাই পরিপূর্ণ হবে না বলে মনে করছি। কেননা এই সেক্টরে এতো কাজের পরিমাণ ও সুযোগ রয়েছে যেগুলোর যেকোনো একটির উপর যদি ফোকাস করা যায় তাহলেই আপনার আয় দৈনিক ১০০০ টাকা হবে এটাই স্বাভাবিক। 

বিশেষ করে আপনি যদি সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর ফোকাস করে কাজ করেন তাহলেই আপনার কাজের চাপ কমবে না আর আয় হবে ভরপুর। কেননা এমন কোনো কোম্পানি নেই যারা কি না তাদের পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করতে চায় না। আর এই বিক্রি বৃদ্ধির মূল হাতিয়ার হলো মার্কেটিং। বর্তমানে সোসাল মিডিয়ায় এতোটাই ট্রাফিক পাওয়া যায় যে, এইখানে কাজ করা মানেই ব্যবসার উন্নয়ন। 

শুধু কি সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং? ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে রয়েছে নিম্ম লিখিত ব্যাপক ক্যাটাগরি। 

  • ইমেল মার্কেটিং
  • পেইড মার্কেটিং
  • SEO
  • SEM

আপনি যেকোনো একটি কিংবা একাধিক সেক্টরে কাজ করেন তবে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করা কোনোই বিষয় হবে না। সহজ হয় যদি আপনার কোনো এজেন্সি থেকে থাকে। কেননা একক ভাবে একাধিক কাজ একসাথে করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে। 

যাই হোক, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে টাকা ইনকাম করার সকল উপায় সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ম্যাজিক্যাল বিষয় গুলো জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরিটি অবশ্যই চেকআউট করবেন। 

ইউটিউবিং (YouTube) 

আপনি অবশ্যই এটি জেনে থাকবেন যে বর্তমানে ইউটিউব হলো বিশ্বের ২য় সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন হয়ে গেছে। এখন মানুষ যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও গাইডলাইন খুজে থাকে। আপনি যদি এমন কোনো বিষয়ে দক্ষতা রাখেন এবং নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন, তবে ইউটিউব থেকে ভালো পরিমাণের অর্থ জেনারেট করা সম্ভব। 

যদিও প্রথম দিকে কাজটি করা একটু কষ্টসাধ্য বলে মনে হতে পারে, তবে একবার ইনকাম শুরু হলে প্রতিনিয়ত এটা হতেই থাকবে। বাংলাদেশ থেকে ভিউয়ের উপর টাকা পাওয়া না গেলেও Ads Revenue যা পাওয়া যায় তা থেকে খুব ভালো পরিমাণের আয় করা সম্ভব। 

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য যা যা করণীয় তার সকল কিছু সাজিয়ে উপস্থাপন করা আছে আমাদের ওয়েবসাইটের ইউটিউব নামক ক্যাটাগরিতে। মোট কথা হলো আমাদের এই সাইটি একমাত্র আর্নিংয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা, যার কারণে আয় করার উপায় সংক্রান্ত সকল কিছু পাবেন এখানে।  

ডোমেইন ক্রয় – বিক্রয় (Domain Buy sell) 

ডোমেইন হলো একটা নামকে বুঝায় যা অনলাইন জগতে কোনো একটা একক সত্তা স্থাপন করে। ডোমেইন ছাড়া কোনো ওয়েবসাইট কল্পনা করা সম্ভব না। আর এটা সকলের জানা যে বর্তমান থেকে ভবিষতে ডোমেইনের চাহিদা কত বেশি করে বাড়বে। তো বিষয়টি হচ্ছে, এই ডোমেইনকে কেন্দ্র করে কি আয়ের পথ চালু করা যায় না? অবশ্যই যাবে। 

প্রথমেই আপনাকে ডোমেইন ক্রয় করতে হবে। ডোমেইন ক্রয় করার জন্য বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ভাবে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রয়েছে Godady, Namecheap ইত্যাদি। এখান থেকে আপনি প্রথম বছর ডোমেইন সল্প দামে কিনতে পারবেন। পরবর্তীতে Fippa, Sedo এর মত মার্কেটপ্লেসে সেসকল ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন। 

প্রশ্ন হচ্ছে সরাসরি রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে না কিনে কেনো আপনার কাছ থেকে কিনবে, তাইতো? এখানেই এই ব্যবসায়ের আসল খেলা। মূলত ডোমেইন নেম পৃথিবীতে একটা এক্সটেনশনে কেবল মাত্র একটাই পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনি রিসার্চ করে ভালো ভালো মানের ডোমেইন গুলো যদি কিনে রাখতে পারেন তবে সেগুলো যাদের চাহিদা তাদের কাছে অন্য কোনো অপশনই থাকবে না আপনার কাছ থেকে নেয়া ছাড়া। আর এভাবেই আপনি ডোমেইন ক্রয় বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন ডেইলি ১০০০ টাকার বেশি। সত্যি কথা বলতে ডোমেইন প্রতিদিন বিক্রি না ও হতে পারে তবে যখন হবে তখন অনেক লাভ হবে। এমন কেস নিছক কম নয় যে, হাজার টাকার ডোমেইন লাখ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। 

ওয়েট ওয়েট, আপনার কাজ শুধু ডোমেইন কেনা ও বিক্রিতেই আপনার কাজ সীমাবদ্ধ নয়। আপনাকে যথাযথ মার্কেটিং করতে হবে, নিয়মিত মার্কেটের খবরাখবর রাখতে হবে এবং বিভিন্ন ক্যাম্পাইনের মাধ্যমে আপনার ডোমেইনের খবর জানান দিতে হবে। well, ডোমেইন সংক্রান্ত এই সকল বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন ক্রয় বিক্রয় ক্যাটাগরিটি দেখতে পারেন। সেখানে ডোমেইনের মাধ্যমে আয় করার সকল তথ্য দেয়া আছে। 

সার্ভে করে (Online Survey) 

অনলাইনে সার্ভে করে অনেকেই অনেক টাকা ইনকাম করে এমন কথা একবার হলেও আপনি শুনেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, “অনলাইনে সার্ভে করে দৈনিক কি ১০০০ টাকা আয় করা সম্ভব?” সত্যি কথা বলতে হ্যাঁ আবার না। না এই কারণে যে সার্ভের কাজ সব সময় পাওয়া যায় না, যখন পাওয়া যায় তখন আয় করাটা সহজ হয়। সহজ বলতে এতোটাও সহজ নয়, কেননা এখানে অধিক সময় ব্যয় হয়। 

হ্যাঁ, এই কারণে যে – সার্ভে করে আপনি অধিক পরিমাণের আয় করতে পারবেন যদি ঠিক ভাবে সেটাপ করে নিতে পারেন। হয়তো আপনি ইতিমধ্যে যেনে থাকবেন যে, বাংলাদেশে সার্ভের কাজ তেমন একটা পাওয়া যায় না। সার্ভের কাজ করার জন্য আপনাকে US / UK এর আইপি এড্রেস ও ভিপিএন ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। 

আমাদের সাইটে অনলাইনে সার্ভে করে আয় করার যত গুলো উপায় রয়েছে, সে সব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একেক করে দেখে নিতে পারেন সব, এবং সেখান থেকে আপনার যেগুলো ভালো লাগে সেটাতে কাজ করবেন। 

অনলাইন ব্যবসা (Online Business) 

বর্তমান সময়ের পেক্ষাপটে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় হলো অনলাইনে ব্যবসা। এখন অনলাইনে যেকোনো ব্যবসা শুরু করা অনেকটা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাইলেই কেউ কিছু কাইটেরিয়া পূরণের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারে। তবে যতটা সহজ ভাবে প্রথম দিকে ভাবা হয় বিষয়টা অতটাও সহজ নয়। 

অনলাইনে ব্যবসা করতে হলে প্রয়োজন হয় ব্যবসায়িক দক্ষতা। কেননা, বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার সংখ্যরা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে প্রয়োজন আরো বেশি কার্যকর ভাবে নিজেকে উপস্থাপন। 

এটা ঠিক যে আপনি আজকে ব্যবসাতে নেমে কাল থেকেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তবে ধিরে ধিরে এমন পরিবেশ তৈরি করে ফেলাটা খুব কঠিন কোনো বিষয় নয়। বিক্রি করতে আপনার দক্ষতা যত বেশি হবে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে আপনি তত বেশি এগিয়ে থাকবেন। 

প্রশ্ন হচ্ছে অনলাইনে কিসের ব্যবসা করবেন? মূলত এখানে স্পেসিফিক কোনো একটি বা একাধিক ব্যবসার কথা বলা যাচ্ছে না। কেননা, এমন কোনো ব্যবসা নেই যেটার অনলাইন ভার্সন গড়ে না উঠেছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন আপনার নিদিষ্ট পছন্দের উপর গড়ে তোলা ব্যবসায়িক পণ্যের। তাছাড়া অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করে আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটের Earning Way ক্যাটাগরিতে। 

ট্রেডিং (Treding) 

ট্রেডিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব, তবে এটা বেশ কিছু দিকের উপর নির্ভর করবে যেমন – পদ্ধতি, দক্ষতা, বিনিয়োগের বাজেট, ও মার্কেটের বর্তমান অবস্থা। মনে রাখা উচিৎ যে, ট্রেডিং সব সময়েই একটা ঝুকিপূর্ণ বিনিয়োগ। এখানে বিনিয়োগ করে আয় করার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ধারণা রাখতে হবে। 

তাছাড়া ট্রেডিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করা যাবে কি না এটা নির্ভর করবে আপনি কত ভালো করে এটা করতে পারছেন তার উপর। ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে কিছু টিপস হলো:

  • ভালো একটি সেন্টার থেকে ট্রেডিং এর প্রশিক্ষণ নিন।
  • ট্রেডিং করার পদ্ধতি নির্বাচন করুন।
  • কত টাকা ট্রেড করবেন তার বাজেট নির্ধারণ করুন।
  • বাজারের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • একটি ট্রেডিং পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
  • আপনার ট্রেডিং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করুন।

পরিশেষে, ধৈর্য ধরুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন। প্রথমদিকে ফলাফল ভালো না আসলেও একটা সময় গিয়ে প্রতিদিন কেবল ১০০০ টাকাই নয় বরং এর বেশি আয় করা সম্ভব। 

স্কিল ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing based on Skill) 

আপনার যদি স্পেসিফিক কোনো বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তবে সেটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr এ গিগ তৈরি করে সেখানে কাজ পেতে পারেন। এবং সেখানে কাজ করে ঘন্টা অনুযায়ী কিংবা প্রজেক্ট অনুযায়ী পেমেন্ট গ্রহন করতে পারেন। 

তবে ফ্রিল্যাংসিং এর মাধ্যমে আয় করতে হলে প্রয়োজন ধৈয্য ও অনেক হার্ড ডেডিকেশন। যেকোনো একটি কিংবা একাধিক মার্কেটপ্লেসে সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করুন, সেখানে গিগ দিন, এবং কাজের জন্য এপ্লাই করুন। কাজ সম্পন্ন করে পেমেন্ট নিন। এখানে যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ১০০০ টাকা কেন, এর বেশিও আয় করা সম্ভব। 

পরিশেষে কিছু কথা 

দেখুন, বাংলাদেশের পেক্ষাপটে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা মানে অনেক বড় একটা ব্যাপার। এমন অনেক কঠিন কঠিন জব রয়েছে যেগুলো করলেও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা অনলাইনে খুব সহজ হবে না। 

আমাদের লিস্টে যে ১০ টি কাজের কথা বলা হয়েছে এগুলা কম বেশি সকলের জানা এবং অনলাইন জগতে বেশ জনপ্রিয় কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে। আমাদের Online Taka income ওয়েবসাইটে রয়েছে এমন হাজারো উপায় অনলাইন থেকে আয় করার জন্য। সঙ্গে থাকুন, জানতে থাকুন আর আয় করতে থাকুন।